![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে হাজারো মানুষের ভিড়ে।
আফতাব বুঝতে পেরেছিল দ্বিতীয় দিনই যে সে তার আরাধ্য মেয়েটিকে পেয়ে গেছে। তনুর মনের অনেকখানি জুড়ে যে আফতাব বাসা বেধেঁ ফেলেছে তা সে তনুর প্রতিটা কথায় টের পেয়েছে। অবশেষে উপরওয়ালা তার মিনতি শুনেছে। তনুর সাথে ভালবাসার প্রহরগুলো কেটে যেতে থাকল অসম্ভব সুন্দর ভাবে। তনুর কলেজে ক্লাস শুরু হয়ে গেলো। এই ফাঁকে তনুর সাথে প্রায়ই দেখাও হতে থাকল। ছুটি পেলেই বাসায় চলে আসত আফতাব। সকালবেলা তনুর কলেজে যাবার আগে ফিজিক্স স্যারের বাসায় পড়া থাকত। তনু আগে থেকে বাসা থেকে বের হত আর স্যারের বাসার আশেপাশের সব গলিতে ও আর আফতাব হাত ধরে ঘুরে বেড়াত। সকালবেলা কলেজ ড্রেস পরে একটা মেয়ে একটা ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকেই অদ্ভুত চোখে তাকাত। কিন্তু তনুর কোনো খেয়ালই থাকত না। পাশে যে তার মনের মানুষটি আছে। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য এতটুকু তার কাছে সামান্যই।
তনুর এই গোপন অভিসারগুলোর কথা কিন্তু মিতু জানতো না। আফতাবই নিষেধ করেছিল কাউকে ওদের কথা জানাতে। মিতুর কাছে মাঝে মাঝেই মিথ্যে বলতে হত তাই তনুকে। ব্যাপারটা তনুর কাছে ভালো লাগত না। কিন্তু আফতাবের জন্য সে এটাও মেনে নিয়েছিল। তনু আফতাবের সাথে কথা বললেই একবার না একবার মিতুর কথা উঠবেই। আফতাব কেনো জানি মিতুর কথা সহ্যই করতে পারত না। তনু অবাক হত, আবার ভালোও লাগত এই ভেবে যে আফতাব আসলে চায় না তনু ওকে ছাড়া আর কাউকে বেশি ভালোবাসুক। তবে তনু কিন্তু মিতুর সাথে সায়েম ভাইয়ার যা কথা হত তার সব জানত। লাইন ধরে সব না বললে মিতুর যেনো পেটের ভাতই হজম হত না।
সায়েমের আজকাল একটা অদ্ভুত অভ্যাস হয়ে গেছে। মন খারাপ থাকলেই কেনো জানি মিতুর কথা মনে পড়ে। মনে হয় এই মেয়েটার সাথে দু মিনিট কথা বললে হয়তো নিজেকে হালকা লাগবে। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। ভার্সিটি কোচিংয়ের জন্য সায়েম ঢাকা চলে গেলো। মিতুর সাথে এখন ওর প্রায়ই দেখা হয়। মিতুকে দেখলেই বুঝে ও যে মেয়েটা ওকে একনজর দেখার জন্য কেমন জানি পাগলের মত হয়ে থাকে। কিন্তু মিতুর প্রতি ওর তেমন কোনো আবেগই জন্মায় না। মনটা ওর এখনও রিমাতেই আটকে আছে। ওর খুব ক্লোজ বন্ধু তারেক জানে মিতু আর রিমার ব্যাপারটা। তারেক বলে, মিতু মেয়েটা আসলে ওকে পাগলের মতই ভালোবাসে। কিন্তু সায়েম মানতে পারে না। সায়েমের ধারণা এটা শুধুই মিতুর একটা পাগলামী , দুদিন পরই ঠিক হয়ে যাবে মিতু। আর ঢাকার মেয়েদের কাছে ছেলে পাওয়া কোনো ব্যাপারই না। মিতুর মতো মেয়েরা কখনও ভালোবাসতে পারে না। পারে শুধু ছেলে ঘুরাতে। কেনো জানি মিতুর চালচলন একটুও ভালো লাগে না সায়েমের। তা লাগবেই বা কেনো? সায়েমের মন তো আটকে আছে রিমাতে।
আজ সায়েমের এইচএসসির রেজাল্ট দিবে । বাবার এক বন্ধু বোর্ডে আছেন। তিনি আগেই জানিয়েছেন রেজাল্টটা ভালো হয় নাই সায়েমের। খব খারাপ লাগছে। রেজাল্টের জন্য ও ঢাকা থেকে এসেছে গতকাল। কিছুই ভালো লাগছে না ওর। কি সব জানি ভেবে ও মিতুকে ফোন দিল। ফোন ধরলো মিতুর ছোটো বোন, মিলা। মিলা গলা শুনেই বুঝলো সায়েম ভাই। ও বলল," আপুতো কলেজে । আসলে বলব আপনি ফোন করেছিলেন।" সায়েমের মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো। রিমাকে কি একটা কল দিবে? নাহ, এই মুখ নিয়ে ও কিভাবে রিমাকে ফোন করবে? খুব কান্না পাচ্ছে সায়েমের।
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৮"
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৭"
(** রেগুলার হওয়ার চেষ্টা করছি। বেশি লিখার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই।**)
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব তারাতারি পাবেন পরের পর্ব। সাথেই থাকবেন প্লিজ ।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লাগলো! আশা করি নিয়মিতই লিখবেন।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
ডরোথী সুমী বলেছেন: সায়েমের জন্য নয় খারাপ লাগছে মিতুর জন্য। ভাল লেগেছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমম। সায়েম আসলে খারাপ না। কিন্তু ও পরিস্হিতি মোকাবেলা করার মত শক্তি রাখে না। ও ভীতু । আর কিছুটা স্বার্থপর বলব নাকি নিজেকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে চিন্তা করে না বলব?? দুইটাই হালকা পাতলা সঠিক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০
ইখতামিন বলেছেন:
গল্প অসাধারণ হয়েছে.. সায়েমের জন্য খারাপ লাগছে.. আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়িই পড়তে পারবো..