নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হারানো সত্ত্বা https://www.youtube.com/channel/UC0KzULq05noDm_sAQsoYlnQ

মৌমিতা আহমেদ মৌ

আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে হাজারো মানুষের ভিড়ে।

মৌমিতা আহমেদ মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১২"

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

তনুর পৃথিবীটা মনে হলো এক মুহূর্তে কেউ দুমড়ে মুচড়ে দিল। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। আফতাব এমন করতে পারলো তার সাথে? নিজের কানকে সে বিশ্বাস করতে পারছে না। তনুর আশেপাশের সবাই জানে তনু পড়ালেখার ব্যাপারে কতটা সিরিয়াস। আর আফতাব কিনা তনুর সামনে এইচএসসি পরীক্ষা জেনেও তাকে বলল বিয়ে করে ফেলতে!!! এই মানুষটাকে কি তনু আদৌ চিনে? নাকি আসলে এটা আফতাবের মুখোশ পরা অন্য কেউ?? আফতাব বিয়ের কথা বললেও সে মেনে নিত। কিন্তু তনু যখন বলল যে সামনে ওর পরীক্ষা আফতাব তখন কিভাবে বলতে পারল যে ওর পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই!! এটা কি আফতাবের কথা নাকি তার নতুন চিন্তাধারার ফসল??

আফতাবকে সাফ বলে দিয়েছিল তনু পড়ালেখাই ওর জীবন। আফতাব রাগ করেছিল ভীষণ । কিন্তু তনু আফতাবকেবুঝানোর অনেক চেষ্টা করেছে। আফতাব ওর সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছে। আফতাবের দিকে বেশি মনোযোগ দিলে তনুর পড়াশোনার ক্ষতি হবে তাই তনুও পড়ায় মনোযোগী হবার চেষ্টা করছে। যদিও তা বৃথা চেষ্টা মাত্র। কাউকেই বলতে পারছে না সে। মিতু নিজেই সায়েমকে নিয়ে আপসেট । তার উপর তনুর কথা শুনলে তো মনে হয় ও হার্টফেল করবে। আর মিতু যা রাগী । দেখা যাবে আফতাবকে বাঁশ দিয়ে পিটাতে যাবে মেয়েটা। নিজের কষ্ট গুলোকে তাই নিজের মাঝেই পুষে রাখে তনু। পরীক্ষাটা শেষ হোক। আফতাবকে সে বুঝাবেই।

দেখতে দেখতেই পরীক্ষার সময় চলে এল। মিতু আর তনুর যোগাযোগও একটু কমে এলো। দুজনই পড়ায় ব্যস্ত। নিজেও তারা হয়তো জানত না যে তাদের মনের অবস্হাটা প্রায় একই। মিতু তনুর আফতাবের সাথে সম্পর্কের কথাটা জেনেছিল পরীক্ষার কিছু আগেই। কিন্তু আফতাবের এসব কাহিনী তার অজানা ছিল। তনু মিতুর প্রায় সবটা জানলেও জানত না আসল ঘটনাটা। কারণ মিতু নিজেই জানত না তার জীবন নিয়ে কতটা নিষ্ঠুর এক খেলা খেলছে বিধাতা।

পরীক্ষা শেষ। দুজনেই ব্যস্ত হয়ে গেলো ভর্তি কোচিং এ। এরই মাঝে হঠাত একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এলো তনুর ফোনে। তনু ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে একটা নারীঁকন্ঠ ভেসে এলো। ফোনটা দুমিনিট পর কেটে গেল। কিন্তু তবুও তনু মোবাইলটা শক্ত করে ধরে রাখল নিজের কানে। চোখ দিয়ে তপ্ত জল গড়িয়ে পড়ল। মনে হচ্ছে হাজার বছর কেটে যাচ্ছে ঐ এক মুহূর্তে।



" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১১"

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১০"

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৯"

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

জেমস বন্ড বলেছেন: বাহ এই তো লিংক এড হয়েছে :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: লিংক তো বেশিরভাগ পর্বেই দিয়েছি। :-B B-))

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে আপু ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই্য়া। :)

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

সুনীল চাঁদ বলেছেন: ভাল্লাগছে গল্পটা

'দেখা যাবে আফতাবকে বাঁশ দিয়ে পিটাতে যাবে মেয়েটা।' কথাটা পড়ে হাসছি :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমম। হাসছেন কেনো?? এইরকম মেয়ের হাতে মনে হয় এখনও পড়েন নাই। পড়লে বুঝতেন । B-)) :D

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

সুনীল চাঁদ বলেছেন:
মেয়েটা কি জংলি?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: কি মনে হয়?? একটু পাগল এইটা ঠিক। জংলি কি না জানি না !!!

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

ইখতামিন বলেছেন:
গল্পটা বোধ হয় আর বেশি নেই

তনুর ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে কল এসে দু'মিনিট পর কেটে গেলো। কী কথা হলো তা কি আগামী পর্বে থাকছে? নারী কণ্ঠটা মিতুর নয়তো?

অনেক সুন্দর হয়েছে
পরের পর্বের অপেক্ষায়

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: খুব বেশি নাই। খুব কম ও নাই। :)

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে
পরের পর্বের অপেক্ষায়

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: পরের পর্ব দিলাম তো মাত্রই। :)

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

ডরোথী সুমী বলেছেন: মিতু আর তনুর যে কোন মুল্যে পড়াশোনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। সবকিছুই একসময় হয়তো পূরণ হয়ে যাবে কিন্তু পড়াশোনার ক্ষতি নয়। ভাল লেগেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমম। এইটাই আসলে মেয়েদের একমাত্র শক্তি । পড়ালেখা করে ছেলেরা হয়তো চাকরি বাজারে দাম পায়। কিন্তু মেয়েরা পায় সম্মান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.