![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে হাজারো মানুষের ভিড়ে।
দেখতে দেখতেই এইচএসসি পরীক্ষা চলে আসল। মিতু আর তনুর আর কারো দিকে তাকানোরই সময় ছিল না। মাঝে মাঝে পড়া নিয়ে দুজনের ফোনে কথা হলেও কেউই কাউকে জানতে দেয়নি আসলে কি হয়েছে এই কয়টা দিনে ওদের জীবনে। দুজনই ভেবেছে এসব বলার সময় এটা না। একবার পরীক্ষাটা হয়ে যাক। অনেক কথা বলার সময় পাবে। এটা বলা যতটা শজ, করা কিন্তু ততটাই কঠিন। মনের মাঝে যখন ঝড় চলে তখন বাইরের দুনিয়ার কোনো একটা মানুষের বড় প্রয়োজন হয় সে ঝড় থামানোর জন্য। মনের ভিতরে কথা পুষে রাখার মত বড় কষ্ট আর কিছুই নেই। মিতু তাও শ্রাবণের সাথে কথা বলে একটু হালকা হতো।কিন্তু মেয়েদের একটা বড় সমস্যা আছে । একটা মেয়ে যেভাবে আরেকটা মেয়েকে বুঝে হয়তো কেউই সেভাবে তাকে বুঝে না।
পরীক্ষাটা শেষ হলো অবশেষে। কিন্তু মিতুর সাথে তনুর দূরত্ব ঘুচল না। দুজনই এক জায়গায় ভর্তি হল কোচিং করার জন্য কিন্তু আলাদা ব্যাচে। এরই মাঝে একদিন কোচিং এর একটা ছোটো বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বড় একটা ঝগড়া হয়ে গেলো। আসলে ঝগড়াটা হয়তো হত না, কিন্তু ঐ যে কারো রাগ অন্য কারো উপর ঢেলে দেওয়া বলে না!! দুইজনই সেই কাজটা করল। মনের সব রাগ ঝাড়লো একজন আরেকজনের উপর। কথা বন্ধ হয়ে গেলো দুজনের। হ্যা, ঐটাই ছিল শেষ কথা ওদের। তারপর আসলে কেটে গেছে ৩টা বছর। কিভাবে যে কেটে গেছে নিজেরাই জানেনা ওরা। মাঝেখানে ফেসবুকে একটু যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তারপর ওটাও ছুটে গিয়েছিল। অনেক অভিমান ছিল দুজনেরই দুজনের উপর। আজ মুখোমুখি বসে ওদের মনে অনেক প্রশ্ন। চুপ করে থাকার মধ্যেও অনেক জিজ্ঞাসা।
তনুই মুখ খুলল," মনে আছে তোর? এইচএসসি পরীক্ষার আগে ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে আমরা দুজন রিকশা নিয়ে ঢাকা ভার্সিটিতে ঘুরেছিলাম।" "হুমম। আর রিকশা থামানোর পর দুজন যখন হাটছিলাম সামনের ঐ রাস্তাটায় তখন তোর একটা স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেলো। তারপর তুই খালি পায়ে ঢুকলি ফালুদা খেতে । সবাই আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল। আর আমরা একটা ফালুদা শেয়ার করে খাচ্ছিলাম।",বলতে লাগলো মিতু। "হুমম, আর খাওয়া শেষে তুই বললি আমার একটা স্যান্ডেল তুই পড় আর একটা আমি পড়ি। দুজনেরই এক পায়ে জুতা থাকবে। আমরা এভাবে হাঁটছিলাম আর রাস্তায় সবাই আমাদের দিকে তাকিয়েছিল। পাগল ভাবতেছিল দুইজনকে", বলেই হাসতে থাকল তনু। দুজনের হাসির শব্দে আশেপাশের প্রেমিক প্রেমিকের জোড়াদের প্রেম কিছুটা কমে গেলো। কিন্তু দুজনের হাসি থামলো না। ঠিক আগের মতই দুজন আশেপাশের সব মানুষের বুড়ো আংগুল দেখিয়ে হা হা হি হি করতে লাগল। অনেকদিন পর রাস্তার সব মানুষকে নিয়ে দুষ্টুমী করল, কয়েকটা জুটিকে ডিস্টার্ব করল, সামনের রিকশা দিয়ে যাওয়া যাত্রীদের সালাম দিয়ে ভড়কে দিল। বিকেলটা কিভাবে জানি কেটে গেলো স্বপ্নের মত করে। খুব ভালো সময় কাটলো ওদের। ঠিক হলো পরদিন আবারো বের হবে। অনেক কথা বলবে দুজন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: স্যরি ভাইয়া। আসলে কি বলব আমি কেনো যে এত্ত অলস। খুব তাড়াতাড়ি শেষ করব ভাইয়া।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
ডরোথী সুমী বলেছেন: বন্ধুত্ব......দারুন একটা জিনিস।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমম। আসলেই....
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০
খান মেহেদী ইমাম বলেছেন: আপনার নামে মামলা কইরা দিমু। আপনের অলসতা আমাদের গল্প থেকে বঞ্চিত করছে। এর পর আরও বড় করে লিখবেন, ১৬-১৮ ঘণ্টা কাজ করেও শত কেলান্তি নিয়েও আপনার সুহান ভাইয়ের গল্প পরি আর আপনারা তারপরেও গল্প থেকে আমাদের বঞ্চিত করেন। আবার করলে মামলা কইরা দিমু।