![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে হাজারো মানুষের ভিড়ে।
"প্লিজ , তুই থামবি?" "তোর কি মনে হচ্ছে যে আমি ফান করছি? আমি সত্যি বলছি দোস্ত। আমার কাজিন তোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। আমার খালা আমাকে খুউব ধরছে দোস্ত। এখন বল তুই আগে কথা বলবি ভাইয়ার সাথে নাকি আন্টি বলবে আমার খালার সাথে?" তনু বোকার মত বসে থাকে। ওর ভার্সিটির ভালো ফ্রেন্ড শান্তা। শান্তার সাথে ওর অনেক ছবি আছে। সেই ছবি ফেসবুকে দেখেই শান্তার কাজিন পাগল হয়ে গেছে ওর প্রেমে শান্তার ভাষ্য মতে। তনু বলে," দেখ তুই তো জানিস আমার ব্যাপারটা। আর আমি আসলে হাইয়ার স্টাডিজের জন্য চিন্তা করছি। বিয়ের কথা আমি মাথাতেও আনতে চাই না।" " দেখ, তনু আমি জানি তুই কেন না করছিস। পৃথিবীতে সব মানুষ কি আর এক নাকি? আর আমি ভাইয়াকে তোর পাস্টের কথা বলেছি। এখন আফতাব চাইলেও ভাইয়ার কাছে গিয়ে তোর নামে বদনাম করতে পারবে না। ভাইয়া সে সুযোগই দিবে না। তুই শুধু একবার ভাইয়ার সাথে দেখা কর। আমার বিশ্বাস রাহাত ভাইকে তোর ভালো লাগবে। উনি অনেক হ্যান্ডসাম। আর সবথেকে ভালো ব্যাপার উনি মেয়েদের অনেক রেসপেক্ট করে। ঠিক যেমনটা তোর পছন্দ। আর অনেক ভদ্র উনি।" তনুর মাথায় ওসব কথা ঢুকে না। ও জানে ভদ্র মানুষের মুখোশ পরে কত ধোঁকাবাজও ঘুরে বেড়ায় এ শহরে। পুরোনো সব ক্ষতগুলো মনে হয় যেন জ্যান্ত হয়ে উঠে।
শেষ পর্যন্ত শান্তার জেদের কাছে হার মানে তনু। আর মিতুও অনেক বুঝায় তনুকে। এখন সামনে দেখা উচিত ওর। যা হয়েছে সব ভুলে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। একটা সাদা রংযের ড্রেস পরেছে ও। রিকশায় বসে হাজার চিন্তা করতে করতেই কখন যে ও কেএফসির সামনে চলে এল বুঝতেই পারেনি। মিতুকে কত করে বলল ওর সাথে আসতে কিন্তু মেয়েটা আসলোই না। খুব আনইজি লাগছে ওর। রিকশা থেকে নামতেই রাহাত ওর সামনে এসে দাঁড়াল। "স্যরি। একটু লেট হয়ে গেলো। অনেকক্ষন ধরে ওয়েট করছেন নাকি?"" আরেহ নাহ। এই অপেক্ষাটাও আমার জন্য অনেক ভালো কিছু। তোমাকে তুমি করে বলতে পারি তো? শান্তার বয়সী তুমি।" "হ্যা। তুমি করেই বলুন। চলুন বসা যাক।" দুজনে একটা টেবিলে বসল। একটু কোনার দিকে। রাহাত অর্ডার দিয়ে আসল। তনু কিছুতেই যেন নরমাল হতে পারছে না। খুব খারাপ লাগছে ওর। রাহাত কেনো জানি ব্যাপারটা আঁচ করে ফেললো। "আমি জানি, তোমার আমার সাথে দেখা করার কোনো ইচ্ছাই ছিলো না। তুমি মনে হয় অনেক বেশি আনইজি ফিল করছ। কিন্তু দেখ, মানুষ যদি তার সামনে চলার রাস্তাটাই বন্ধ করে ফেলে তাহলে তো আর সামনে এগুতে পারে না। তোমাকেও সামনে যেতে হবে।" তনু চুপ করে থাকে। রাহাত প্রসংগ পাল্টে দেয়। "এ্যাই দেখ ঐ বাচ্চাটা তোমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।" তনু তাকিয়ে দেখে সত্যিই একটা ছোট্ট বাচ্চা ওর দিকে তাকিয়ে কি সুন্দর করে হাসছে। তনুর নিজের মুখেও হাসির রেখা পড়ল। খাবার নিয়ে এল রাহাত। দুজন দু একটা কথা বলে খাওয়া শেষ করল। রাহাত খুউব বুঝতে পারলো তনু এখনও স্বাভাবিক হতে পারেনি। ও বলল," দেখো তনু, আমি জানি এটা খুব কঠিন একটা কাজ। কিন্তু একদিন না একদিন তো তোমাকে কারো উপর বিশ্বাস করতেই হবে। আমাকে একটা সুযোগ দাও। আমি একটু চেষ্টা করে দেখি পারি কি না। প্লিজ।" তনু আর নিজেকে আটকাতে পারলো না। বাচ্চা মেয়ের মতো অঝোরে কাঁদতে শুরু করল। রাহাত প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকে খেয়ে গেলেও বুঝতে পারলো ওর কি করতে হবে। টিস্যু দিয়ে তনুর চোখ মুছে দিল। ওর হাতটা ধরে বলল, " চলো, কোথাও থেকে ঘুরে আসি। তোমার ভালো লাগবে। আর যাওয়ার সময় আইসক্রীম খেতে খেতে যাব। " এমনভাবে বলল যেনো তনু একটা বাচ্চা । তনু এই প্রথম রাহাতের দিকে তাকালো। বুঝতে পারলো, এই মানুষটা খুব তাড়াতাড়িই ওর জীবনের সব থেকে বড় অবলম্বন হতে যাচ্ছে।
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১৭ "
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১৬ "
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১৫ "
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
ইখতামিন বলেছেন:
তনুর খুশির খবর ভালো লাগলো +
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পর্বটা চমৎকার লাগলো , বাকি গুলিও পড়তে হবে ।
লেখিকাকে অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অপেক্ষায় ছিলাম পর্বটার জন্য। ভাল লাগল।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: থ্যাংক ইউ।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১
আবু শাকিল বলেছেন: পড়ার সময় টান টান উত্তেজনা ছিল যেমন টা ছিল লাস্ট নাইট দেখা ধুম থ্রী এর মত অভিষেক যখন আমির খান কে ধড়ার জন্য চেস্টা করছে...
পড়ে ভাল লাগল।পরের কিস্তির অপেক্ষায়....
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: শুনলাম ধুম থ্রী নাকি ভালো হয় নাই। যাই হোক। তাড়াতাড়িই আসবে পরের পর্ব।
৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল হয়েছে না বলতে যত টা আশা করেছে তত টা ভাল হয় নাই।শুরু টা ভাল লেগেছে তবে ধুম থ্রী তে কিছু অবাস্তব ভেহিকল টেকনোলজি দেখাইছে যা পৃথিবী তে এখনো আসে নাই।জেমস বন্ড এর মুভিতে এরকম কিছু দেখা যায়।যা পরবির্তিতে তৈরি করা হয়েছে ।
আজকাল লেখিকা আস্কে খুব কম পাচ্ছি।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: আপনি কি এখনও আমাকে আস্কে দেখতে পান? আমার জানা মতে আমি আপনাকে ওখানে ব্লক করেছি।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
আবু শাকিল বলেছেন: আস্কে আপনার প্রোফাইল ভিজিট করতে পারছি,আপনার এক্টিভিটি ও দেখা যাচ্ছে তবে একটা প্রশ্ন করেছিলাম।ব্লক দেয়ায় মনে হয় প্রশ্ন টা পৌছায় নি।
ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে !সেটা আমি কখনই পড়তে পারি না।
ধন্যবাদ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ব্লক দেওয়ার যুক্তি সংগত কারণ ছিলো। এটা আপনিও জানেন। তাই না ? যাই হোক। প্রোফাইল দেখেই খুশি থাকুন।
৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
ডরোথী সুমী বলেছেন: ভাবতে ভাল লাগছে তনুর জীবনটা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। আসলেই তাই? জীবনটা কি আর এত সহজ হিসেবে চলে! ভাল লেগেছে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: নাহ আপু। আসলে এতো সহজে ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আরো লিখলে গল্প বাড়বে। শেষই হবে না। তাই জোর করে একটা ভালো মানুষ খুঁজে নিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
ইখতামিন বলেছেন:
তনুর খুশির খবর