নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ক্যান্ডাল(১৮+)

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৪







‘শিরোনামটা দেখেছেন পত্রিকায়?’- এটা বলে দেশের এক জনপ্রিয় পত্রিকা ছুঁড়ে দিলেন জাভেদের মুখের উপর।

তিনি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স(বিসিআই) এর একজন কর্মকর্তা।উনার নাম রাশেদ খান।বর্তমানে একটা “সেক্স স্ক্যান্ডাল” নামক অপারেশনের তিতা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন তিনি।আসামি হিসেবে স্বীকারোক্তি চলছে জনাব জাভেদের উপর, অন্ধকার এক রুমে।রুমের মাঝখানে ছোট্ট একটা পঁচিশ ওয়াটের বাল্ব নিভু নিভু করে জ্বলছে।চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বেশ কিছু মাইক্রোফোন সেট-আপ করা আছে, একটি কাঁচের ঘর এটি।হেডফোনে কানপেতে তাদের কথাগুলো শুনছেন মিস প্রিয়াঙ্কা বসু।তিনি এই কেসে রাশেদের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।অন্যান্য আরো দশটা অপরাধ জগতের ঘটনার চেয়ে এই ঘটনাটি পুরোপুরি অন্যরকম।


‘দেখুন, আজ দিয়ে প্রায় একমাস হয়ে গেলো।আমরা এই কেসের কোনো সুরাহা করতে পারছিনা।যখন আপনি আমাদের রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না তখন আপনাকে আমরা একটা শেষ সুযোগ দিতেই পারি।হয় স্বীকার করুন নিজের রাস্তাতে বা যে কোন পয়েন্ট থেকে নতুবা আপনাকে ঠিক ব্ল্যাঙ্ক পয়েন্টে শ্যুট করে আজ বাসায় ফিরবো।আমাদের অন্তত একটা গল্প চাই।একটি বিশ্বাসযোগ্য গল্প।বুঝেছেন?’- রাগ্বত স্বরে কথাগুলো বলে চলেছেন রাশেদ।
‘সমস্যা হচ্ছে আপনি বিশ্বাস করবেন না।কারণ এমন অভিঞতা আপনাদের কাছে একেবারে নতুন।’- নির্বিকার স্বরে কথাগুলো বললেন জাভেদ।
‘এই...এই...এই আপনি! বাদ দিন আপনার এই রিপিট টেলিকাস্ট।একমাস ধরে প্রতিটা দিন আপনি এই দুই লাইন আমাদের শোনাচ্ছেন।ঠিকাছে, বিশ্বাসযোগ্য হোক বা না হোক আপনি আমাদের এই গল্পটা শোনাচ্ছেন।মাথায় ঢুকেছে? আর আপনার শার্টের পকেট থেকে আট টাকা পাওয়া গেছে।এই আট টাকার রহস্য কি?’- আজ যেন নিজের প্রতিই অনেক বিরুক্ত রাশেদ।জীবনে অনেক ক্রাইমের রহস্য খোলাসা করেছে।কিন্তু এমন ফালতু এবং জঘন্য একটি বিষয়েও যে কোন একদিন তার মাথা ঘামাতে হবে তা কোনদিন ভাবেননি।অন্যদিকে নির্বিকার আসামীর জবাব শুনে তিনি আরো বেশি অথর্ব হয়ে যাচ্ছেন দিন দিন এটাই তার বর্তমান ধারণা নিজেকে নিয়ে।


যাইহোক কথা বলা শুরু করলেন জাভেদ-
স্যার... মানুষের জীবনে দুটো জিনিস খুব করে দরকার।এই দুটো জিনিসের পরিপূর্নতা পেলে আমার বিশ্বাস মানুষ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে বা তার বর্তমান জীবনযাপন নিয়েও কোন আপত্তি তুলবে না।এর মধ্যে একটা হলো খাবার আর অন্যটি হলো সেক্স।এখন ধরুন, আপনার কাছে খাবারের কোনো ঘাটতি নেই তাহলে আপনি কি করবেন?’...একটুখানি বিশ্রাম নিয়ে আবার কথা বলতে শুরু করলেন জাভেদ।
প্রথমে আমি আপনার কাছে এই আট টাকার রহস্য উন্মোচন করছি।গল্পটা একটু লম্বা তবে সত্যি বলতে গল্পটা এখান থেকেই শুরু...

একদিন বিকেলে হুটহাট করেই আমার প্রেমিকা আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়ে গেলো।আমি তখন কোন জব করি না।জব বলতে, আমি একজন গল্পকার ছিলাম।যার গল্প মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতো।প্রকাশ পেত বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে এমনকি আঞ্চলিক কিছু পত্রিকাতেও।ওখান থেকে কিছু টাকা আসতো আর তা দিয়েই আমার দিন চলে যেত।কিন্তু আমার প্রেমিকা যখন আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়ে গেলো তখন আমি বিন্দুমাত্র নিজেকে ভাববার সুযোগ দেইনি।সোজা বিয়ের আয়োজন করে ফেলেছি।প্রসঙ্গত আমার প্রেমিকা অনেক বড় পরিবারের, ওরা ধনী।এই পাঁচ-দশ টাকার শাড়ি বিয়ের আগে ওদের বাসায় পৌঁছতে ওরা বেশ হোঁচট খেলো।ভাবতে লাগলো তাদের মেয়ের বাকি জীবনের সিকিউরিটির কথা।সোজা বাংলায়- টাকার কথা।যা আমার কাছে কম ছিলো।বিয়ের আগের রাতে আমি তাদের বাসায় চুপিসারে যাই।ওর সাথে আমার দেখাও হয়।আমি ওকে পাঁচটাকা দিয়ে বলেছিলাম, ‘এইটা তোমার দেন মোহর’।সে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো।টাকাটা হাতে নিয়ে উল্টে পালটে কি যেন দেখছিলো।

তারপর বললাম, এই পাঁচ টাকা তোমার এক আংটির মূল্য যে আংটিটা তুমি একদিন হারিয়ে ফেলেছিলে।দুঃখের বিষয় হলো, আমি বলেছিলাম আমি তোমাকে আংটিটা খুঁজে দিবো কিন্তু আমি সেটা খুঁজে পাইনি।আর সেদিন তুমি অনেক কান্নাকাটি করেছিলো।সম্পর্কের কোন পর্যায়ে কোন হিসাব আমাদের মধ্যে বাকি নেই, তাই আমি চাই না এটা বাকি থাকুক।ঐ আংটির মূল্য আমার কাছে পাঁচটাকা বলে মনে হয়েছে।

এরপর একটা চুমু খেতে চাইলাম ওকে।বাঁধা দিলো না।আরো বেশি ঘনিষ্ঠ হতে চাইলাম কিন্তু মনে হয় শুধু বুক পর্যন্তই আপাতত আমার অধিকার আছে ওর উপর।সমস্যা চুমুতে নয়, চুমুর স্বাদে।কেমন জানি মনে হচ্ছিলো, আমি কোন এক মাংসের টুকরোকে ভিজিয়ে দিচ্ছি।কোন রেসপন্স নেই।
এরপর হঠাৎ তার এক বান্ধবীর আগমণ ঘটলো।ওর নাম শুনেছি অনেকবার লিজার মুখে কিন্তু ব্যক্তিজীবনে এই প্রথম সামনে দেখছি।আমাকে দেখে মনে হয় একটু বিরুক্ত হলো আর চেঁচিয়ে বললো, ‘লিজা! তুই না বললি মার্কেটে যাবি এখন?’

রুমের মধ্যে স্তুপাকার শাড়ি, গহনা এবং কসমেটিকস দেখে আমার ভ্রু-কুঁচকে গেলো।এটা ভেবে যে, আবার এমন কি মার্কেট করা লাগবে?

রাশেদ খান তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তারপর... তারপর কি হলো? বিয়ে করছেন নিজের প্রেমিকাকে আর গুলি করে বসলেন এক ইন্সপেক্টর কে?’

জাভেদ আবার নিজস্ব জায়গায় ঠিকঠাক হয়ে বসলো।গতকালের শারীরিক অত্যাচারের ওজন এখনো কমেনি বলে মনে হচ্ছে উনার।যাইহোক, আবার শুরু করলেন,
‘ধূর মশাই! এইটা তো আপনার গল্পের লিড ছিলো।অতঃপর আমি আমার প্রেমিকাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি আমাকে পেয়ে কি খুশী?’
সে উত্তর না দিয়েই চলে গেলো।এখান থেকে আট টাকার আইডিয়াটা মাথায় আসলো।’
নির্বিকার গোয়েন্দা অবাক হয়ে বললো, ‘মানে?’
প্রত্যুত্তরে জাভেদ বললো, ‘আপনার কি কোন গার্লফ্রেন্ড আছে? যদি থাকতো তাহলে অবশ্য এমন প্রশ্ন করতেন না।একটা থিউরি আপনার জেনে থাকা ভালো।মেয়েমানুষের একটা ভুল আছে।ওরা যখন আপনার ব্যাপারে সিরিয়াস হয় তখন আপনার সব বিষয়ে খেয়াল রাখে।ঝগড়া করে, আবার ভুলেও যায়।ওদেরকে যখন সম্পর্কে খেয়ালি দেখবেন তখন বুঝে নিবেন, আপনার কপালে দুঃখ আছে।মানে থার্ড পার্টি ইন্ট্রি মেরেছে।অথবা, আপনি বড্ড চেনা হয়ে গেছেন।আবার এই থিউরি মাফিক যদি আগামীকাল আমার বিয়ে হয় তাহলে সে যে বাসর ঘর থেকে অন্য কারো সাথে ভেগে যাবে সে ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই।তাই পকেটে আট টাকা রাখতে হয়েছিলো।আপনি হয়তো জানেন না, বাংলাদেশের নিম্নমানের দুটো সিগারেটের দাম এখন আট টাকা।দেখুন একজন ধূমপায়ীর কাছে সেক্সুয়্যাল প্লেযার আগে না কি ধূমপান আগে সে ব্যাপারে এখন আর কোন মন্তব্যে যেতে চাই না।’

‘মানতে হয় গুরু আপনি একজন দূর্দান্ত গল্পকার।যেমন করে সেটিং করছেন তাতে মনে হয় না আপনাকে আমি কোনভাবে আটকাতে পারবো।ঠিকাছে...তারপর? তারপর কি হলো বলুন? এবার কি বলবেন বাসর ঘর থেকে বউ পলায়ন করায় আপনি এক জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিলেন?’- গালে হাত দিয়ে কথাগুলো বললেন রাশেদ খান।অনেকদিন পর এমন গল্পও তাকে হজম করতে হচ্ছে একজন ক্রিমিন্যালের কাছে থেকে।


জাভেদ আবার ফর্মে-
ঠিক ধরেছেন।পরের দিন ব্যাংকে যা ছিলো তার সবটাকা নিয়ে যাত্রা দিলাম সেন্ট মার্টিনে যাবার।ওখানের নারিকেল গাছ হয়তো আমাকে একটু শান্তি এনে দিতে পারবে।কিন্তু পথিমধ্যে রাস্তা হারালাম।আসলে নিজের কাজের প্রতি খেয়াল না থাকলে যা হয় আর কি!
আমার শুধু এমন মনে আছে, কয়েকটা দিন আমি বেশ কিছু যানবাহনে যাত্রা করেছি যেমন ধরুণ, বাস-ট্রাক-সি.এন.জি-লঞ্চ এমনকি জাহাজেও।তারপর কোন এক দ্বীপে গিয়ে আমি আটকে পড়লাম।এক নির্জন দ্বীপ।চারপাশে শুধু বন আর জঙ্গল।প্রথম দুই দিন ব্যাগে রাখা কিছু খাবার যেমন কেক এবং পেপসি খেয়েই কেটে গেলো।কিন্তু তৃতীয়দিন থেকে অনুভব করলাম ক্ষুধা।সাগরের লোনা জল আর অস্বস্তিকর এই পরিবেশে আমি ভেবেছিলাম এক সপ্তাহের বেশি টিকতে পারবোনা।কিন্তু আমার এই গল্পের ক্লাইমাক্স এখানে থেকেই শুরু হলো...

হঠাৎ এক ক্ষুদ্র পোকামাকড় জাতীয় কি যেন একটা আমার শরীরে আমার নাভী দিয়ে প্রবেশ করলো।তারপর মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমি বেহুঁশ হয়ে গেলাম।চেতনা ফিরতেই বুঝতে পারলাম আমার সামনে এক সুন্দরী মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সে আস্তে আস্তে আমার কাছে আসলো।তারপর কিছু না বলেই তার উষ্ণ ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁটে স্পর্শ করলো।আমি অনুভব করছিলাম, ভয়ানক মজার একটি শারীরিক মিলন।একদম ওয়াইল্ড ভঙ্গিতে সে আমাকে চুমু খেতে থাকলো যেন কোন কিছুতেই আমাদের মধ্যে কোন বাঁধা নেই।আমি তার শরীরটা নিজের কাছে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতেই বুঝতে পারলাম অস্বাভাবিক সুন্দর তার গঠন।আর এত নরম ও এল্যাস্টিক মত যে রীতিমত দুলছে এবং আমাকে পেঁচিয়ে নিয়েছে আমাকে সাপের মত করে।ফর্সা শরীর, বক্ষযোগল বেশ নিটল।মনে হচ্ছে আমাকে শুষিয়ে নিচ্ছে ওর মধ্যে।

হেডফোন লাগিয়ে ছিলো মিস. প্রিয়াঙ্কা বসু।একসময় বাধ্য হলেন সেটা খুলতে।এবার মাইক্রোফোনে রাশেদকে বললেন, ‘অনেক হয়েছে।এবার আসল গল্পতে তো প্রবেশ করুন।যতদূর মনে হচ্ছে এই ব্যক্তি আমাদের মিথ্যে বলছে।অথচ ল্যাই ডিটেক্টর এখন পর্যন্ত কিছুই ধরতে পারেনি’।

রাশেদ খান বললেন, ‘ঠিকাছে, বুঝতে পেরেছি।আপনাদের মধ্যে একটি চমৎকার ইন্টারকোর্সে হয়েছিলো।কিন্তু এর সাথে ইন্সপেক্টরের খুন হওয়ার ব্যাপারটা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন?’

জাভেদকে থামিয়ে দেওয়ায় সে মনে মনে একটু বিরুক্ত।কারন ঐ অভিঞতা ছিলো আজীবন মনে রাখার মত।কিন্তু পরবর্তী গল্প তো তাদের জানানো দরকার।তাই জাভেদ আবার শুরু করলেন-
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এরপর আমার আর কখনো ক্ষুধা লাগে না।আপনি জ্যামবি বিষয়ে কোন ধারণা রাখেন? যাকে বলে জীবন্ত লাশ?
কিন্তু এই ব্যাপারটা এর চেয়েও বেশি ভয়াবহ।জ্যামবি বা জীবন্ত লাশ যতদূর আমি জানি মানুষের রক্ত খেতে পছন্দ করে, কখনো কখনো মানুষের মাংস খেতেও ওদের ভালোলাগে।যারা জীবিত আর কি! তাদের...
কিন্তু আমাদের নেশা ছিলো সেক্স কারণ আমাদের কোন ক্ষুধা লাগতো না।পাশাপাশি আমরা রুপ পরিবর্তন করে ছোট্ট পোকামাকড়ও হয়ে যেতে পারতাম।আর ঐ দ্বীপে ছিলো আনুমানিক শতাধিক মেয়ে আর ছেলে।ওরা নিয়মিয়ত সেক্সে লিপ্ত হতো।যে যত বেশি সেক্স করছে সে তত বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক যেমন করে আপনি বেশি খাবার গ্রহণব করলে আপনার শরীর অনেক শক্তিশালী হয়ে যায় তেমন করে।সেদিক থেকে আমি সুপুরুষ।তাই আমার সেক্স পার্টনারের অভাব হতো না।তাই দিনদিন আমি সবার উপরে ক্ষমতাবান হতে লাগলাম।

রাশেদ খান এবার ত্যক্ত বিরুক্ত হয়ে পড়লেন তারপর আবার নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘চালিয়ে যান গল্পটা, চালিয়ে যান।’


জাভেদ আবার শুরু করলেন।তিনি যেন সবার মগজ ধোলাই করতে পারছেন ভেবে একটা পাশবিক আনন্দ উপভোগ করছেন।যাইহোক তিনি আবারো শুরু করলেন-
মানুষের সবচেয়ে বড় ডেজায়ার কি জানেন মি. রাশেদ? সেটা হলো অমর হওয়া।ঠিক তাই, আমি যেহেতু আর মারা যাচ্ছি না তাই আমাকে নির্দিষ্ট কিছু সেক্স পার্টনার হাতে রাখতে হবে।তাছাড়া আমাদের বয়েসও বাড়ছে না।তাই আমি কিছু মেয়েকে হুমকি দিলাম যে, তারা যদি অন্য ছেলেদের সাথে সেক্স করে তাহলে আমি আর তাদের সাথে সেক্স করবোনা।বেশ কয়েকজন এতে রাজী হয়ে গেলো।এভাবে আস্তে আস্তে হাতিয়ে নিলাম প্রায় সবাইকে।অন্যদিকে বাকি ছেলেগুলো ইন্টারকোর্সের জন্য কোন মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় আস্তে আস্তে ওরা দুর্বল হতে শুরু করলো।আর এভাবে মারা পরতে লাগলো একের পর এক।ঠিক যেমনটা আমরা মারা যেতে পারি খাদ্যর অভাবে।এভাবে একদিন সমস্ত ছেলে মারা পরলো।শুধু বেঁচে থাকলাম আমি।কিন্তু সমস্যাটা এরপর থেকেই শুরু হলো।
আর তা হলো, আমি এই দ্বীপের প্রথম মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি।এবং সেও আমাকে।তাই একদিন দুইজন প্ল্যান করলাম আমরা দুজন ছাড়া বাকিদের মেরে ফেলতে এবং নির্বিঘ্নে বাকি জীবনটা এই দ্বীপে কাটিয়ে দিতে, অমর হয়ে যেতে।এবং আমরা তাই করলাম।


মিস. প্রিয়াঙ্কা বসু এবার তার হেডফোনটা খুলে রাগে গরগর করতে করতে প্রবেশ করলেন রুমের ভিতর।‘এই যে মি. জাভেদ? এই সেক্স শব্দটা শুনতে শুনতে আমি অত্যন্ত বিরুক্ত।আপনি কি দয়া করে বলবেন ঐ ইন্সপেক্টরকে কীভাবে হত্যা করলেন?’- তিনি কটমট করে তাকালেন জাভেদের উপর।

জাভেদ একটুও ভয় পেলো না, বরং সে তার গল্প বলা আবার শুরু করলেন-
আমরা তখন প্রায় সবাইকে মেরে ফেলেছি।কিন্তু এক জুটি বাদ পরে যায়।যা আমরা হিসেবের মধ্যে ধরিনি।ভেবেছিলাম ওরাও মারা গেছে।ঠিক এরই মধ্যে আপনাদের পুলিশ অপারেশন চালায় এই দ্বীপটির উপর।তাদের ধারণা এখানে এমন কিছু আছে যা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে সহায়তা করছে।ঘটনাক্রমে আমি তখন পোকামাকড় থেকে ছেলে হিসেবে নিজেকে রুপান্তরিত করি আর তারপর একজন কনস্টেবলকে আঘাত করে তার হাত থেকে আমি পিস্তল নিয়ে শ্যুট করতে চেয়েছিলাম ঐ জুটিকে যারা এখনো বেঁচে আছে।কিন্তু গুলি করার সময় সামনে এসে পরে আপনার ঐ পুলিশ ইন্সপেক্টর।আর দেখতে পাই ঐ জুটিতে থাকা মেয়েটি আর কেউ নয়, আমার প্রিয়তমা, এই দ্বীপে দেখা হওয়া সেই মেয়েটি, আমার ভালোবাসা।তাই অমর হওয়ার বাসনা সেদিন ঐ দুইজন কে হত্যা করেই শেষ করে ফেলেছি।ওরা মিলে গেছে মাটি ও পৃথিবীর সাথে।আর আমি? এইতো আপনার সামনে।


‘তা আপনি এখন পোকামাকড় হোন? আমরাও একটু দেখি!’- বললেন রাশেদ।প্রতুত্ত্যরে জাভেদ বললো, ‘সাগর থেকে আসার পর আমি সেই শক্তি হারিয়ে ফেলেছি সম্ভবত ঐ শক্তিটা শুধু ঐ দ্বীপের জন্যই কার্যকর হতে পারতো।’
‘ওহ! এতখন আপনি যা বললেন ভেবেছেন আমরা তা বিশ্বাস করবো?’- ঠান্ডা গলায় বললেন রাশেদ খান।
‘এছাড়া আপনার কাছে আর কোন অপশনও নেই।মনে হয় আমাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হয়েছে।তাহলে আমি কি এখন আসতে পারি?’- হেয়ালীপুর্ণভাবে উত্তর দিলেন মি. জাভেদ।


রাশেদ শুধু মুচকি মুচকি হাসছিলেন।আর জাভেদকে যাবার সময় একটা কথা বললেন, পরবর্তী মার্ডারের গল্পটাও তৈরি রাখুন।কারণ এর পর আমি আপনাকে আর ছাড়ছিনা, একদম জেলে ঢুকাবো।আর আপনার এই গল্পটা কেউ না ছাপালেও আমি আমার নিজের টাকায় ছাপাবো, উপন্যাস আকারে, কথা দিলাম’।
জাভেদ তবুও নির্বিকার আর মুখে এক মিষ্টি হাসি।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মাসুদ রানা।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

মি. বিকেল বলেছেন: বিসিআই মানেই মাসুদ রানা নয়।ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: :(

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গল্পটা কি আগে পড়াছিল???
কি জানি!!""

তবে এতে উপন্যাসের ছাপ স্পষ্ট!!:)

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

মি. বিকেল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।কোন উপন্যাসের ছায়া পেয়েছেন জানালে ভালো হত।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @কোন উপন্যাসের ছায়া পেয়েছেন জানালে ভালো হত।
.. লেখক!
এখানে উপন্যাসের ছাপ বলতে, উপন্যাস যেমন ধীর গতিতে আগায়, একটা ছন্দ থাকে, সেটা বোঝানো হয়েছে।
এক কথায় ব্লগে উইনিক লেখা।:)

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৫

মি. বিকেল বলেছেন: ভুলবোঝাবুঝির জন্য দুঃখিত।আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি গঠনমূলক মন্ত্যব্যের জন্য।ভালো থাকবেন।

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেষের পার্টটা বুঝিনি...টুইস্ট টা একটু খুলে বলুন...

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৩

মি. বিকেল বলেছেন: শেষের দিকটা আমি সাধারনত পাঠকদের হাতে ছেড়ে দেই।সে যাইহক, আপনি যখন জিজ্ঞেস করেছেন তখন বলতে হয়।
সংক্ষেপে, সে একজন ক্রিমিন্যাল, একটা কনভিন্সিং ক্যারেক্টার।না ওমন কোন দ্বীপ ছিলো, না ওমন কোন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তিনি গেছেন।খুন করেছেন পার্সোনাল মুটিভের জন্য।কিন্তু তার বলা গল্পটা অনেকটা সত্যর মতো, বিশ্বাস করলেও পস্তাবেন আবার অবিশ্বাস করলেও পস্তাবেন।আর মাঝের গল্পটিতে কিছু ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে।যেটা লেখকের পারপাজ সার্ভ করেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০২

কাইকর বলেছেন: ধীরগতির লেখা ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪

মি. বিকেল বলেছেন: আমারও এমন মনে হয়েছে।তবে আরো সংক্ষিপ্ত করলে গল্পটা অপূর্ণ থেকে যেত।
ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলে ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে আমার মনে হয়েছে রাশেদ একজন প্রকাশক তাই তার লেখককে চাপ দিয়ে গল্প বের করছে। কারণ, সামনে ঈদ অথবা বই মেলা। ধন্যবাদ...

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

মি. বিকেল বলেছেন: হা হা হা....।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৩

নতুন বলেছেন: গল্প বলার স্টাইলটা ভালো লাগলো.... অনেক দিন পরে কোন গল্প পুরাটা পড়লাম... +++

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

মি. বিকেল বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হলো গোয়েন্দা অনুবাদ গল্প পড়লাম।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

মি. বিকেল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

আরাহান বলেছেন: এটা সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি "Vettah" এর মতন।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৩

মি. বিকেল বলেছেন: দুঃখিত! আমি সাউথ ইন্ডিয়ান ঐ মুভিটি দেখিনি।তবে এই গল্পটা আমার একেবারে কল্পনাপ্রসূত।মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আনকমন গল্প।

প্লট ও বর্ণনা ভাল হয়েছে।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৪

মি. বিকেল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: গল্পের সাথে শিরোনামটি ঠিক মেলেনি। গল্পের ভেতরে গল্প। ভেতরের গল্পে মোহাবিষ্ট হয়ে লেখার সাথে একেবারে শেষ পর্যন্ত যেতে বাধ্য হবে পাঠক। তবে এক্ষেত্রে গণ্ডগোল যেটা হয়ে যায় সেটা হল, দ্বিতীয় গল্পের এত অদ্ভুত কাহিনীতে আচ্ছন্ন হয়ে পাঠক আর মূল গল্পের সামান্য অসামঞ্জস্যতা ধরার প্রয়াস পায় না। আমিও পেতাম না যদিনা আরেকবার চোখ বুলাতাম। বুঝলাম জাভেদ নিজের মোটিভে ইন্সপেক্টরকে খুন করেছে এবং নিশ্চয়ই ওই দ্বীপেই তাৎক্ষণিক ধরা পড়েছে যা গল্পের শেষে বোঝা যায়। কিন্তু যেহেতু জাভেদের বলা গল্পটি মিথ্যা সেহেতু কোন ইন্টারকোর্সে লিপ্ত নারী পুরুষ সেখানে ছিল না, তাহলে এটি সেক্স স্ক্যান্ডাল কি করে হল ? পত্রিকার শিরোনাম এমন কেন হবে তবে ? এর পক্ষে কোন ক্লু গল্পের কোথাও নেই, যেহেতু জাভেদের গল্পটা সম্পূর্ণ বানানো। আবার শুরুতে রাশেদ সাহেব চরম ছিলেন, হয় জাভেদ সত্যি বলবে নয়তো তাঁকে মেরে ফেলবে, শেষে গল্প শুনে রাশেদ ইমপ্রেস/ব্রেইন ওয়াশড হয়ে তাঁকে ছেড়ে দিলেন, এমন তো বাস্তব নয়।এবং প্রথমে এটাকে স্বীকারোক্তি বলা হলেও শেষে দেখা গেলো প্রশ্নোত্তর পর্ব। এটুকু অবশ্য ছেড়ে দেয়া যায় ‘সেই সত্য রচিবে তুমি, ঘটে যা তা সত্য নয়’ এই সূত্রে ফেলে।
এইবার জাভেদের গল্প প্রসঙ্গে যাই। শুরুতেই আপনাকে একরাশ প্রশংসায় আগে ভাসিয়ে নিতে চাই। দারুণ কনসেপ্ট এবং কাহিনী বর্ণনায়। ইউনিক বলতেই হবে। তবে এই বিলিভ কিন্তু নতুন নয়। বাউলদের মধ্যে সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধির চর্চা আছে বীর্য না ফেলে। আবার একটা ইংলিশ মুভিতে দেখেছিলাম নায়ক ইন্টারকোর্সের মাধ্যমেই চার্জ নয়। পাশ্চাত্যে বহু প্রাচীন এমন অনেক ধর্মানুসারীরা ছিল যারা এটি করতো। রেনেসাঁর সময়ও ছিল, এখনও আছে গোপন চর্চা খুবই কম সংখ্যায়। কিন্তু এরপর যা বর্ণনা করেছেন, খিদে পায়না, সারাক্ষণ শুধু এই করা আর অমর হয়ে যাওয়া এসব আপনার সম্পূর্ণ নিজস্ব বুনন। ভালো লেগেছে পড়তে। আপনার লেখা খুবই আকর্ষণীয়। এখানেও অল্প ঘাপলা আছে। মানুষের সবচেয়ে বড় ডেজায়ারের জায়গায় জাভেদ বলল, ‘যেহেতু আমি আর মারা যাচ্ছি না তাই আমাকে নির্দিষ্ট কিছু সেক্স পার্টনার হাতে রাখতে হবে’। তার মানে সে অমর হয়ে গেছে, তাহলে ‘নির্বিঘ্নে বাকি জীবন’ প্রসঙ্গটা শব্দ চয়নে ভুল কারণ, আর বাকি কি, এতো চলতেই থাকবে, অসীম আয়ুষ্কাল। আরও আছে, শেষে জাভেদ বলে, “তাই আমার অমর হওয়ার বাসনা সেদিন ওই দুইজনকে হত্যা করেই শেষ করে ফেলেছি”। এটা কেমন হল, যে অমর হয়ে গেছে তার আবার অমর হওয়ার বাসনা কি। অবশ্য বানোয়াট গল্প জাভেদ যেভাবে খুশী বলতে পারে, কিন্তু প্রিয়াঙ্কা বোসের জায়গায় আমি হলে এটা ঠিকই ধরতাম।

হা…………অনেক বড় মন্তব্য করে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। আপনার এই গল্পে আমি কত সময় নিয়েছি আপনি বুঝতে পারছেন ! আসলে আপনার লেখার ধরণ আমি খুবই পছন্দ করেছি। আপনার সুরিয়ালিস্টিক কল্পনার রীতিমত প্রেমে পড়ে গেছি। এই নিয়ে দুটো গল্প পড়লাম। দুটোই দারুণ এবং অসাধারণ। আমি আপনার আরও অনেক গল্প পড়তে চাই। কিন্তু শেষমেশ গল্পে আপনার আরেকটু যত্ন চাই।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

মি. বিকেল বলেছেন: প্রথমেই আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।যেভাবে বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যে করেছেন এতে আপনাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে নিশ্চয়।

প্রথমত, আমার যেটা মনে হয়েছে।বাংলাদেশেরে সাংবাদিক, বা পত্রিকাগুলো কোন একটা আকর্ষণীয় হেডলাইন খোঁজেন সবসময়।এখন হেডলাইনের সাথে নিউজের মিল কতখানি আছে তা দ্যাখেননা অনেক ক্ষেত্রে।আর বিসি আই তে আসার পূর্বে জাভেদ পুলিশ কাস্টডিতে ছিলো(যা গল্পে উহ্য)।সেখানে একটা স্বীকারোক্তি তাকে দিতে হয়েছে।এবং পরবর্তী স্বীকারোক্তির সাথে সেটার মিলও ছিলো।সাংবাদিকরা সেটা তাদের রসদ হিসেবে পেয়েছেন, নিউজ বিক্রি করার জন্য।এবং মূলত গল্পটি ডিল করছে সেক্সুয়্যাল কিছু বিষয়ের উপর তাই এমন নাম বেছে নিয়েছি।তবে এই নামটা নিয়ে আমি নিজেও সম্পূর্ণ তৃপ্ত নই, কিন্তু এর জায়গায় অন্য কি নাম দিলে আরো ভালো হত তাও বুঝতে পারিনি।

দ্বিতীয়ত, বিসি আই কে টেনে আনা এখানে এক সেন্সে ভুল হয়েছে।ঠিক যেন মশা মারার জন্য কামান নিয়ে এসেছি।তবে যদি ব্যাপারটাকে ম্যাস কিলিং কিছু একটা বুঝাতে পারতাম তাহলে ব্যাপারটা আলাদা হত।অন্যদিকে এই গল্পের পুরোপুরি বর্ণনা এবং আরো স্পষ্টতার জন্য আমার কমপক্ষে আরো ১০০০ শব্দের ব্যবহার করতে হত যা আমি করিনি।এজন্য পাঠক হিসেবে আপনি হোঁচট খেয়েছেন।যা স্বাভাবিক ছিলো।

তৃতীয়ত, সেক্সুয়্যাল ইন্টারকোর্সর সম্পর্কে আপনি যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম।আমি শুধু মানুষের ডেজায়ার নিয়েই ভেবেছি।আর শেষের অংশে কনফিউশনে পড়া উচিত, কারণ সেখানে সত্যিই আমার ব্যাখ্যার ক্রুটি রয়েছে।
যাইহোক, আমি যা বুঝাতে চেয়েছি, অমর হওয়ার জন্য জাভেদের অন্তত একজনর সেক্স পার্টনার লাগতো, এটা অপরিহার্য।কিন্তু জাভেদ তার প্রিয়তমাকে হত্যার ফলে সেই সুযোগ হারিয়ে ফেলেছেন।

পার্থিব জগতে সেক্সের জন্য আমাদের যে লড়াই বা কান্নাকাটি সেটা অনেকগুণে ভালো এমন ফ্রিতে কিছু পাওয়ার চেয়ে।গল্পের এক পর্যায়ে আপনি এটাও আশা করি অনুধাবন করতে পেরেছেন।


শেষান্তে শুধু একটা কথা বলতে চাই, এত যত্নশীল পাঠক পাওয়া ভাগ্যর বিষয়।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.