নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ রিভিউ দিতে চলেছি একটা টেলিফিল্ম এবং দুটি মুভির।কিন্তু তার আগে আমার এক কাছের বন্ধুর একটা উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে চাই, ভয় হয় পরে যদি ভুলে যাই।সেটা হলো,
“কোন একজন বিশেষ ব্যক্তি একটি বিশেষ সময়ের জন্য ফ্যান্টাসি হতে পারে, আজীবনের জন্য নয়।”
আমার এই বোকা বন্ধু অনেক চতুর চতুর কথা বলে।ওকে বোকা বলায় নিশ্চয় এখন হাসছে।যাইহোক চলে যাচ্ছি রিভিউতে,
১. টেলিফিল্ম-গেইম ওভার(Game Over)
২. অন্য বসন্ত(কলকাতা)
৩. ফ্রোজেন ২ (Frozen 2)
● গেইম-ওভার(Game Over)
ব্যক্তিগত রেটিং ৮.৫/১০
প্রথমত, টিস্যু পেপার কাছেই রাখুন, আপনি যদি সত্যিকার অর্থে দর্শক হয়ে থাকেন তো।কারণ, এই গল্প আপনাকে কাঁদাতে বাধ্য করবে।আমার মনে পড়ে, অপূর্বের “গ্যাংস্টার” নামে একটা মুভি মুক্তি পেয়েছিলো কোন এক কালে যখন ঢালিউডের একটা খারাপ সময় চলছিলো তখন।মুভিটির মুক্তি তারিখ আমি জানি না।এমনকি কখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো আর কখন প্রেক্ষাগৃহ থেকে নেমেও গেলো সেটার দিন ‘খন ঢালিঊড পাড়ার মানুষজনও জানে কি না সন্দেহ আছে! আমি তো সামান্য একজন রিভিউ দাতা।যাইহোক, আমি অপূর্বের একজন ফ্যান।তার কাজ আমার ভালোলাগে, শুধু কোন কোন নাটকে অভিনয়টা ঠিক হয় না।“লোকটি সৎ ছিলো” বা “বড় ছেলে” নাটক দুটিতে আমি তার চমৎকার অভিনয় লক্ষ্য করেছি।কিন্তু গেইম-ওভার যেন আজ সবকিছুকে টক্কর দেবার সক্ষমতা রাখে।আমার জানা মতে, অপূর্বের যে কাজগুলো এতদিন দেখেছি তার মধ্যে এই কাজটি আমার যার পর নাই ভালো লেগেছে।কাহিনী বিন্যাস করা হয়েছে সম-সাময়িক কিছু ক্রাইসিস কে কেন্দ্র করে।যেমন ধরুণ, সেই গতানুগতিক ধারা- ছেলে গরীব তো মেয়ে ধনী।এখন প্রেম বিয়ে পর্যন্ত এগোচ্ছেনা।তাহলে বাঙালী জাতির পুরাতন স্বভাব এই প্রেম অমীমাংসিত এবং কোন এক বয়স্ক টাকলুর সাথে বিয়ে হয়ে যাবে এখন মেয়েটার।কিন্তু গেইম ওভারে এটা দেখাচ্ছে না।এটা স্রোতের বিপরীতে যাবার নির্দেশ দিচ্ছে।আবার ধরুণ, সততার দাম ঘুষের টাকায় বিক্রি করে না দিয়ে একজন নীতিবান মানুষ তার যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করছে ঐ সমাজে যেখানে সোজা বাংলায় সততার মূল্য নেই।সুতরাং চাকরি মিলছে না, এবং এটাও স্বাভাবিক হতে পারে তা যেন প্বার্শ চরিত্র বুঝিয়ে বলছে।একবার ভাবুন ব্যাপারটা কি অদ্ভূত এবং ভয়ংকর।এখানেও অপূর্বকে স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে বলা হচ্ছে।আবার অন্যদিকে প্বার্শ চরিত্রগুলো(যেমন ধরুন, বাবা-মা, ভাই-বোন ইত্যাদি) তাদের অভিনয় এবং ডায়ালগ নিক্ষেপ করার ধরণ এই টেলিফিল্মে দেখার মত।একজন বাবার পিঠ কতটা দেয়ালে ঠেকে গেলে তিনি ক্যাসিনোতে পর্যন্ত যেতে পারেন।তাই ক্যাসিনো ভিকটিমাইজড্ মানুষদেরকে এক কাতারে রাখা যাবে না, তাদের একটা মাথা আছে।যে এই পুরো খেলাটা খেলছে।এখন ধর্ষণ বলুন আর যে কোন গুম-খুন-হত্যা টাকাওয়ালাদের দ্বারা ডোমিনেটেড হচ্ছে।কিন্তু আফসোস দাবার নেতা যত বড়-ই হোক না কেন একজন আদর্শমান মানুষের কাছে জিরো, স্রেফ জিরো।যেটা ন্যাকা ন্যাকা প্রেমের নাটক এবং টেলিফিল্ম থেকে মুক্ত এবং অন্য ধারার একটি শ্রেষ্ঠ টেলিফিল্ম।আর স্ক্রিনপ্লে নিয়ে কোন কথা হবে না।
● অন্য বসন্ত(কলকাতা)
আই.এম.ডি.বি দিয়েছে ৮.৭/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ৯/১০
এটি একটি জি-বাংলা ভিত্তিক মুভি।এবং পাশাপাশি লাইফ চেঞ্জিং মুভি।কেন? কারণ, এই মুভির দর্শন হলো “উচ্চাকাঙ্খা” যা মুভির শুরুতে বুঝবেন না।জীবন নিয়ে পরিকল্পনা থাকা ভালো, খারাপ চোখে আমি দেখি না।কিন্তু যখন এই “উচ্চাকাঙ্খা” অর্জনের জন্য কেউ মরিয়া হয়ে ওঠে সেটাকেও ভালো চোখে দেখা সম্ভব নয়, অন্তত আমার পক্ষে।কি খুঁজছেন জীবনে? কেন সেটা খুঁজছেন? এবং স্বাভাবিক ধারাকে আটকে দেবার প্রয়াসের সাহস পেলেন কোথা থেকে? একটা গান আছে না,
“যদি থাকে নসীবে, আপনা-আপনিই আসিবে...”
এই দর্শনের সঠিক প্রয়োগ করা হয়েছে এই মুভিটিতে।মুভিটির নায়িকাকে বাধ্য করেছে নিজেকে খুঁজে পেতে।এবং নায়ক নিজেও নিজেকে খুঁজছে এই ভীড়ের মধ্যে।সুতরাং কে কখন আপন হয়ে যাবে সেটা বলা যেন বড় দুষ্কর।আর পরিকল্পনা ছাড়াও যে জীবন ভালো চলতে পারে সেটা যেন বৃদ্ধাঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে এই মুভিটিতে।এই মুভির একটা বিষয় খুব ভালোলেগেছে আর তা হলো,
“প্রিয়তমার মিষ্টি শরীরের গন্ধ কোন পারফিউমে পাওয়া যায় না।”
এই কথাটার ব্যাখ্যা টানলে হয়তো আজ রাত পোহাবে, সেদিকে ভয়েই এজন্য যাচ্ছি না।মুভিটির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এত ভয়াবহ ভালোলাগার যে আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।আর যদি গানের কথা বলি তো এক কথায় অসাধারণ, বিস্তারিত ব্যাপারে যাচ্ছি না।রাত পোহাবে তাই।তবে ব্যক্তিগত একটা মতামত, সেটা হলো জীবন নিয়ে যারা এত দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য এই মুভিটি মাস্ট ওয়াচ পর্যায়ের।সংক্ষেপে,
“This movie depicts nothing but a clear acknowledgment of seeking your life.”
সুতরাং একবার দেখে নিতেই পারেন।
● ফ্রোজেন ২ (Frozen 2)
আই.এম.ডি.বি দিয়েছে ৭.৩/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ৮/১০
ডিজনির সাথে আমার পরিচয় “Tangled” মুভি দিয়ে।এরপর “Coco” তারপর “Aladdin” এবং সদ্য মুক্তি পাওয়া ফ্রোজেনের পার্ট টু।যদিও এর বাহিরেও ডিজনির প্রায় সব মুভি আমার দেখা হয়ে গেছে।ডিজনি দুই একটা ফালতু মুভি বানিয়ে থাকলেও হতাশ রকমের ফালতু মুভি এখন অবধি বানায়নি।সুতরাং ডিজনির ফ্যান হতে বাধ্য আমি।যারা মনে করেন, কার্টুন মুভিগুলো/এনিমেটেড মুভিগুলো শুধুমাত্র বাচ্চাদের জ্ন্য তাদের জন্য বড্ড মায়া হয় আমার।যাকগে, ফ্রোজেনের পার্ট ওয়ান আমার ভালোলাগেনি।কেন? কারণটা হচ্ছে, এখানে ভি.এফ.এক্স এবং “লেট ইট গো...” গানটা ছাড়া আর কিছু আমি দেখিনি বা শুনিনি, যারা দেখেছেন মন্তব্যে জানাবেন।এখন আসা যাক, ফ্রোজেন পার্ট টু তে কি দেখানো হচ্ছে, প্রথম কথা হলো এই মুভি দুই বোন সম্পর্কে।একজন পাওয়ারফুল(এলসা), একজন স্টুপিড(আন্না)।কিন্তু এখানে চমৎকার ভি.এফ.এক্স ছাড়াও একটা দর্শন টানা হয়েছে।একটা সুর ভেসে আসছে সূদুর থেকে যেটা পাওয়ারফুল ওয়ান ভাবছে এটা তাকেই ডাকছে।এবং ওই আগুন, পানি, বাতাস, মাটি এই চারটে উপাদান পুরাতন ওয়েস্টার্ণ জ্যোতিষশাস্ত্র এর দ্বারা উদ্ধার করা(বিজ্ঞান অন্য কথা বলে) ঘুরে ফিরে আবারও ধার করা।তবে নতুন যে জিনিসটা যুক্ত করেছে, ঐ সবগুলোর সাথে পাঁচ নম্বর উপাদান হিসেবে যদি পাওয়ারফুল ওয়ান(এলসা) যুক্ত হয় তাহলে অতীতে গিয়ে গোপন কথাগুলো জেনে আসা যাবে।জেনে আসা যাবে কীভাবে তাদের মা-বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে? এবং কেনইবা মেরে ফেলা হয়েছে? তবে গল্পটা আর যাইহোক, একঘেয়েমি রুপে উপস্থাপন করা হয়নি।কারণ, স্নো বল(ওলাফ) আর ঐ ডাম্ব রাজকুমার যে স্টুপিড রাজকুমারীকে পছন্দ করে ওদের জন্য।কিন্তু রহস্যময় সেই কন্ঠ ধরে যাওয়ার পর ঝামেলা হয়।এলসা, আনা, ওলাফ, ক্রিস্টফ এবং সোভেন রহস্যময় কণ্ঠ অনুসরণ করে এনচ্যান্টেড ফরেস্টে যাত্রা করেছিল।এলসার স্পর্শে কুয়াশার অংশগুলির পরে, বায়ু স্পিরিট, একটি টর্নেডো আকারে উপস্থিত হয় এবং প্রত্যেককে তার ঘূর্ণিতে স্যুইপ করে।এলসা এটিকে থামিয়ে দেয়, বরফের ভাস্কর্যগুলির একটি সেট তৈরি করে।বোনেরা আবিষ্কার করেন যে ভাস্কর্যগুলি তাদের বাবার অতীত চিত্র এবং তাদের মা কুইন ইদুনা ছিলেন নর্থুলড্রা এবং তিনিই ছিলেন আগ্নারাকে রক্ষা করেছিলেন। তারা নর্থুলড্রা এবং আরেনডেলিয়ান সৈন্যদের একটি গোষ্ঠীর মুখোমুখি হয়েছিল যারা আগুনের আত্মা প্রকাশের আগেই একে অপরের সাথে বিরোধে জড়িত।এলসা উদ্বেগযুক্ত যাদুকরী সালামেন্ডার হিসাবে আত্মাকে আবিষ্কার করে এবং শান্ত করে।এলসা এবং আন্না সৈন্য এবং নর্থুলড্রার মধ্যে একটি মীমাংসার ব্যবস্থা করে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তাদের মা উত্তরদুল্রান এবং তাদের বাবা আরেনডেলিয়ান ছিলেন।তারা পরে পঞ্চম আত্মার অস্তিত্ব শিখেন যিনি মানুষকে এবং প্রকৃতির যাদুকে একত্রিত করবেন।যাইহোক, বাকিগল্প বলে দিলে গালি খেতে হতে পারে।এরপর এলসা খুঁজতে আরম্ভ করে অতীতকে এবং পেয়েও যায় তার কাঙ্খিত উত্তর।আর এই জার্নিটা ছিলো অসাধারণ, একরকম চুপটি মেরে দেখতে থাকবেন।এবং ক্রিস্টফ ও সোভেন তো আছেই যথেষ্ট কমেডি উপহার দেবার জন্য।
আজ এই পর্যন্তই।
ধন্যবাদ
(বিঃ দ্রঃ লিংক লিখে একটা মন্তব্য আসবেই।ওটা বিরুক্ত লাগে।তবুও দিবো।আপনি আমার ইউটিউব চ্যাবনেল সাবস্ক্রাইব করে একটা স্ক্রিনশট পাঠাবেন ইনবক্সে।লিংক পেয়ে যাবেন।
আমার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব লিংকঃ Click This Link )
Mehedi Hasan
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩১
মিরোরডডল বলেছেন: অন্য বসন্ত দেখেছিলাম ভালো মুভি ।
“এসেছিল মন, সকাল যেভাবে আসে”
এই গানটা আমার অনেকি প্রিয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: অন্য বসন্ত দেখেছি।
চমৎকার মুভি।