নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ষণ বর্তমান সময়ে যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তাতে মনে হচ্ছে এক সময় ধর্ষণ রোধ করা মহা-মুশকিল হয়ে যাবে। সময় আজ-ই এর শিকল টেনে ধরবার। আঁতকে উঠা প্রতিদিনের দৈনিক পত্রিকার খবরে বিষাদে ভরে উঠছে হাজারো বাঙালীর মন।
অনেকে বিকল্প খুঁজছেন। মানে, সোজা করে লিখতে গেলে বলতে হয় "বাঙালী আজ বড় অসহায়, তাই জাপানীজ পুতুল খুঁজছেন"।
তা এই পুতুলের কাজ কী হবে?
• পুরুষতান্ত্রিক সমাজে (নারী প্রধানমন্ত্রী, নারী স্পিকার, নারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নারী বিরোধীদলীয় নেত্রী, নারী জেলা প্রশাসক, নারী হাইকোর্টে বিচারপতি, নারী সুপ্রীমকোর্টে বিচারপতি, নারী মাজিস্ট্রেট, নারী মেজর, নারী এসপি, নারী ওসি, নারীরা কয়েকটা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, পুলিশ বাহিনীতে নুন্যতম ২০% নারী ইত্যাদি) নারীদের স্বাধীনতা দিলে তবেই ধর্ষণ কমবে, নতুবা পুরুষদের অতিদ্রুত বিয়ে দিয়ে দিতে হবে।
কীভাবে কমবে?
কমবে এভাবে যে, পুরুষদের চর্বির যথাযথ একটি পাত্র(ভিন্ন অর্থে বউ) খুঁজে পাওয়া যাবে এবং যাদের আচরণ হবে জাপানীজ পুতুলদের মত। ওরা ঘরদোর পরিষ্কার করবে, স্বামীর যত্ন নেবে এমনকি সম্পূর্ণ হাউজওয়াইফের ভূমিকা পালন করবে। মহৎ এই উদ্দেশ্যে সাড়া দিয়ে যারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় পা ফেলতে যাচ্ছেন তারাও বেশ কনভিন্সড্। মুশকিল হলো, জাপানীজ পুতুল স্রেফ সেক্সুয়াল স্যাটিফফিকশন(তাও বিকল্প হতে পারবে বলে মনে হয় না) এনে দিতে পারে। এর বেশি বা কম কিছুই নয়। পুতুলগুলো কিন্তু আবার রোবট নয় যে, সে একজন আদর্শ হাউজওয়াইফ হবে। কিন্তু আমাদের তো ধর্ষণ রুখতে হবে!
• দ্বিতীয় প্রস্তাবনা হলো, যদি জাপানীজ পুতুল দিয়েই সব হত তাহলে জাপান থেকে কিছু পুতুল বাংলাদেশ সরকার অর্ডারও করতে পারতেন। যদিও আখেরে তা ভাল ফল বয়ে আনবে বলে আমার তো মনে হয় না। ধরুন, আপনি খুব বকবক করছেন বিয়ে নিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা মানে পাড়া-পড়শীর একটাই কথা আপনার বাবাকে বারবার শুনতে হচ্ছে,
"আপনার ছেলে কি করে?"
না, সে কিচ্ছু করে না। তার আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি। যুবক ভাবছে চায়ের বিল তবে আটকে যাবে না তো! অথবা "চাকুরীর বাজার" পত্রিকা নিয়মিত কিনতে পারবো তো? মানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় সামাল দিতে সে হিমশিম খাচ্ছে। এখন তাকে যদি এই বিয়ের আইডিয়াটা খুব সুন্দর করে গেঁথে দিয়ে আমরা আমাদের দায় সেরে ফেলি তাহলে অন্তত ঐ যুবকের দ্বারা ধর্ষণ হবে না। কিন্তু মহাশয়, ভাল ফ্যামিলি ব্যাক-আপ না থাকলে বিয়ের পর সে বউকে খাওয়াবে কি? তিনবেলা জল? এখন আবার কাউন্টার প্রশ্ন,
"তবে কি ঐ যুবক না খেয়ে থাকেন?"
ধ্যাত! খাওয়ানো বলতে সেটার সংজ্ঞা এখানেই শেষ হয়ে গেলো না। একজন মেয়ের কী কী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লাগতে পারে তার যোগান তিনি কি দিতে পারবেন? খুব সম্ভবত নয়। তাই যে ইতোমধ্যেই অসুবিধার মধ্যে আছে তাকে বিয়ে দিয়ে যে প্রিভিলেজপ্রাপ্ত করছেন তা কিন্তু প্রাকটিকালি হলো না। কারণ, অসুবিধার উপর অতিরিক্ত যে কোনো দায়িত্ব আরো বেশি অসুবিধার কারণ হতে পারে। তবে যাদের সাধ্য আছে, বিয়ে করে ফেলুন। কিন্তু এই যুবককে বিয়ে দেবার কথা ভাবা বড্ড অন্যায় হয়ে যাবে। কারণ, যে সমাজ তাকে দুই পয়সার সাহায্য করতে রাজী নয় সে সমাজ তাকে বিয়ের পীড়িতে বসার জন্য জবরদস্তি খাটাতে পারে না।
• এবার আসা যাক ড্রিম গার্ল প্রজেক্টে। দেখুন, একজন ব্যক্তির হৃদয় বলেও তো একটা বস্তু থাকে। শ্বশুরবাড়ি থেকে ব্যাক-আপ নিলেও পরিবর্তিত যে মানুষটি মিলবে তার সাথে তিনি চলতে পারবেন? কয়জন পারবেন? বা এই চলতে পারাটা টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরির জন্য সহি তো?
কারণ বর্তমানে ডিভোর্সের রেট বেড়ে যাচ্ছে, পরকীয়া বেড়ে যাচ্ছে। আর এতসব কেনো হচ্ছে? কারণ, বোঝাবুঝি নেই ওদের একে অপরের সাথে। যদি থাকতো, তাহলে এর কোনটাই ঘটতো না। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে পাবেন। আসলে "মনের মিল" হওয়াটা জরুরী বুঝলেন। অবশ্য যেটা বলিউড আজ অবধি আমাদের বুঝাতে প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অথবা আপনারা "আশিকী ২" মুভিটি দ্যাখেননি। আজ-ই দেখে ফেলুন।
ধূর মশাই, বিয়েটা এবার করেই ফেলুন।
• ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখলাম। তিনি লম্বা করে কি সব ছাইপাঁশ লিখেছেন। একটা লাইন চোখে পড়ে গেলো,
"...মেয়েদের ভোগ করুন।"
এই লাইনটির মধ্যে যে রাজনীতি জড়িয়ে আছে তা মনে হয় ঐ খুকুমণি জানে না। সায়েন্স অনুযায়ী মেয়েদের তবে Estrogen অথবা Progesterone হরমোন সমূহ নেই। মানে ভাবখানা এমন।
একজন পুরুষ একজন মহিলার সম্মতি নিয়ে চুমু খেলেন। এখন মেয়েদের যেহেতু হরমোন নেই(উপরোক্ত বাক্য অনুযায়ী) তাই এই মহিলাটি ঐ পুরুষকে দয়া দেখালেন। ব্যাপারটা এমন করেও লিখা যায়,
"(এমন মহিলার ভাষায়)...হে পুরুষ, আমি তোমার অসহায়ত্ব বুঝি। তোমার হরমোনগুলো এখন মাথায় চড়েছে। আর আমি ব্যস সেটা শান্ত করার দায়িত্ব নিলাম।"
ভাবতে অবাক লাগে, "ভোগ" শব্দটির ব্যবহার করে একজন মেয়ে কীভাবে নিজেই নিজেকে ছোট করছে। একবার চিন্তাও করছে না এর পিছনের ইতিহাস কী?
হ্যাঁ, রাজা-বাদশারা "ভোগ" করেছেন, জমিদারেরা "ভোগ" করেছেন। আর অতি চটে গেলে আমি হয়তো বলবো, ব্রিটিশরাও "ভোগ" করেছেন। মানছি তো...
তাই বৎস, ব্লেইম গেইম আর কত! বিয়েটা এবার করেই ফেলো। পকেট ভর্তি হতে চল্লিশ হয়ে যাবে নতুবা ড্রিম গার্ল প্রজেক্ট হাতছাড়া হয়ে যাবে। আর না হয় আপনি কেশশূন্যতায় ভূগবেন।
এক সেকেন্ড, স্মার্টফোনে ডেটা আছে? তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিন "টাকলা"।
তাছাড়া আপনি না বিয়ে করলে তো বিয়ের দর্শনের দরজা-ই আর খুলবে না। ঠিক যেমনটা, "তোমার ছেলে উঠলে গো মা রাত পোহাবে তবে"।
(Please! Don't take it any other way. I got a mother too. And she is a woman. And I know how to respect a woman. But the idea you are trying to implement in this society can be horrific. Thanks.)
ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তাহলে যারা বিবাহিত তারা এই কাজ করে যে।আজ কোথায় যেন দেখলাম সত্তর বছরের বৃদ্ধা ধর্ষণ ডিম আর চাল দিয়ে সমাধান ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১১
মি. বিকেল বলেছেন: আমি বিবাহিতদের নিয়ে এই অনুচ্ছেদে মাথা ঘামাইনি
ধন্যবাদ
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: বিয়েও ধর্ষন এর সমাধান না।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
নতুন বলেছেন: ধর্ষনের পেছনে কাারন হলো ক্ষমতার অপব্যবহার। মানুষ যদি জানে ধর্ষন করলে সে সাজা থেকে রেহাই পাবেনা, কেউই তাকে সাহাজ্য করবেনা সেখানের মানুষ ধর্ষন করেনা।
আরব দেশে লাখ লাখ পুরুষ আছে কয়েক লাখ নারীও আছে যারা বাইরের দেশ থেকে গিয়ে কাজ করছে।
এই পুরুষেরা ধর্ষন করেনা বরং ঐ সব নারিদের সাথে সম্পক তৌরি করতে চেস্টা করে, পতিতালয়ে যায়।
আমাদের দেশের পুরুষেরা ধর্ষন করে জানে তাদের সাহাজ্য করার মানুষ আছে। টাকা এবং ক্ষমতার জোরে তাদের সাজা পেতে হয় না।
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: জাপানিজ পুতুল কেনার আগে ট্রায়াল হওয়া চাই ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৯
মি. বিকেল বলেছেন: নিশ্চয়
৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
রাশিয়া বলেছেন: বিবাহিতেরাই ধর্ষণ বেশি করে, তাই বিবাহ ধর্ষণের সমাধান নয়। ধর্ষণের সবচে সহজ সমাধান হচ্ছে নিবির্যকরণ টীকা, যা রাস্তার কুকুরদের দেয়া হয়। তাহলেই ধর্ষন কমবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।