নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

Kaagaz: মুভি রিভিউ(Must Watch)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩০



একবার ভাবুন তো! আমাদের জন্ম-সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে কি নিখুঁত তথ্য দেওয়া থাকে? নামের শেষে প্রমাণিক কে প্রাং, হাসান কে হোসেন, ইসলাম কে বিশ্রাম থেকে শুরু করে বানান ত্রুটি তো রয়েছেই। আর যদি জন্ম তারিখের কথা বলি তাহলে হাততালি পাবো বলে আশা রাখছি। এখন এসব পাল্টানোর জন্য সরকারী দপ্তরে আমরা যারা সাধারণ মানুষ দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত তাদের কষ্ট বুঝবার সামর্থ্য খুব কম মানুষের আছে। আর এই প্রক্রিয়া কতটুকু লম্বা সেটা ভুক্তভোগীরাই ভালো জানেন। প্রসঙ্গত, সামনে বিসিএস এবং আমার এই কথাগুলোতে দ্বিমত পোষণকারী পাওয়া যাবে না। যদি যায়, তাহলে ধরেই নেওয়া যায়, তিনি মিথ্যা বলছেন অথবা অস্বীকার করছেন।

কাগজ ছাড়া কোনকিছু প্রমাণিত হয় না। হোক সেটা জমি দখলের ক্ষেত্রে বা নিজের পরিচয় ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে। আপনাদের বোধকরি মনে আছে, মার্কিন নির্বাচনে একজন মৃত ব্যক্তি ভোট দেওয়ার কথাও জোরশোরে শোনা গিয়েছিলো। হুলস্থুল কান্ড বেঁধে গেছিলো। এখন যদি কাগজে কাউকে মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয় তাহলে তার ব্যক্তি অস্তিত্ব নিয়ে লড়াই করার অবস্থা দাঁড় হয়। আর এই হিম্মত খুব কম মানুষের আছে যারা সিস্টেমের বিরুদ্ধে গিয়ে লড়তে পারেন। বাদী ও বিবাদীর আশীর্বাদে আইনজীবিদের পকেট ভারি হতেই থাকে কিন্তু বছরের পর বছর সেই মামলার ঘানি টানতে গিয়ে বরবাদ হয়ে যেতে পারে একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের সমাজের আজ অবধি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই এবং বলে রাখা ভালো যে, ঠিক কবে এই বিষয়ে আমাদের সুরাহা মিলবে সেটাও ঠিক করে বলা যায় না।

বিদেশে টাকা পাচার করা বাংলাদেশের খবরের কাগজে হট টপিক/টক অব দ্য টাউন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিদেশে টাকা নিয়ে যেতে হলে যে কাগজ দরকার সে সবের আমদানী কে করে থাকেন? কারা এর জন্য দায়ী? সরষের মধ্যে ভূত দেখা দিয়ে এই দূর্নীতি ঘোমটা খুলতেই লজ্জায় আবার সেটা নামিয়ে নেন। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।

এতক্ষণে বুঝে যাবার কথা আমি আসলে কী নিয়ে কথা বলছি এবং কী নিয়ে আরো দুই একটা লাইন লিখতে চাই। যাইহোক, কে যেন বলেছিলো,

একটি দেশের নাগরিক দুই রকমের হয়,
১. এক – যিনি চাইলেই অধিকার খাটাতে পারেন।
২. দুই – যিনি চাইলেও কোনরুপ অধিকার খাটাতে পারেন না।

কিন্তু কাগজ যদি আমাদের মৃত ঘোষণা করে দেয়! তখন? লোকসমাজে মুখ দেখানোর মত অবস্থা আমাদের থাকে না। মানুষ মনে করতে বাধ্য হয়, সে এক জীবন্ত লাশ দেখছে। এমনকি এই নিয়ে দুই আইনজীবির সাথে ঝগড়া হয়, উপস্থিত থাকেন কাগজে মৃত এবং মানুষের কাছে এক জীবন্ত লাশ। তিনি বারবার বলছেন, “আমি বেঁচে আছি, দেখুন! আমি বেঁচে আছি”।

সংক্ষিপ্ত সংসারের ঘানি টানতে টানতে যে ব্যক্তি লোনের জন্য ব্যাংকে যান এবং জানতে পারেন যে, তিনি আর বেঁচে নেই। তারচেয়েও বড় কথা, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা তাদের জন্য এই কাগজ যত্ন সহকারে রাখা একরকমের বিলাসীতা নয় কি! অন্তত এটা মানুন যে, এসব বেশ কষ্টসাধ্য!

এমনি কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে হিন্দি সিনেমা “Kaagaz”- এ। ২০২১ সালের ভারতীয় বায়োগ্রাফিক্যাল চলচ্চিত্র যা সতীশ কৌশিক রচিত ও পরিচালনা করেছেন। এবং সালমান খান ফিল্মস ও দ্য সতীশ কৌশিক ইন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশনের ব্যানারে সালমান খান ও নিশান্ত কৌশিক প্রযোজনা করেছেন। ছবিটিতে প্রধান বিরোধী চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমর উপাধ্যায়ের সাথে পঙ্কজ ত্রিপাঠি এবং মোনাল গজ্জর।

প্রতিবেশি দেশে এখন এই কাগজ নিয়েই চলছে দহরম মহরম। NRC ও CAA নিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে গিয়ে লিখলে পাঠক সমাজ বিরুক্ত হতে পারেন। আমার মত বোকারাও আজকাল বেশ চতুর হওয়া শিখে গেছে। কিছু লিখলেই ট্যাগিং করার অভ্যাস আমাদের জন্ম থেকেই আছে বলে আমি মানি। তাই আর কথা বাড়ালাম না, তবে অন্তত একবার দেখে নেওয়া-ই যায় এই ছবিটি।

ধন্যবাদ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই এটা একটা চমৎকার মুভি হবে।
আমি দেখব। আজকাল মুভি দেখা হচ্ছে না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৩

মি. বিকেল বলেছেন: নিশ্চয়

একবার দেখে নিতেই পারেন। ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৪

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: পন্কজ ত্রিপাঠি- আমার পছন্দের অভিনেতা।
তার অভনিতো - লুডু ও বেশ প্রসংসিত।

কগজ কি নেটফ্লিক্সে নাকি আমাজন এ?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৪

মি. বিকেল বলেছেন: খুব সম্ভবত আমাজন প্রাইম।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৪

মাস্টারদা বলেছেন: আপনার আন্দাজে বয়ান___দারুণ লেগেছে। ভাষার গাঁথুনি কী! আহা!
একটা কথাই বলি মুভি নিয়ে.. প্রথাগত প্রেম পিরিতের বাইরের এইসব মুভিগুলোই এখন হচ্ছে দেখার বলিউডি মুভি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৫

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৯

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: অনেকবার দেখব দেখব করেও দেখা হচ্ছেনা। আগ্রহ বাড়িয়ে দিলেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

মি. বিকেল বলেছেন: এবার দেখেই ফেলুন।

ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

ছণ্ণ্ ছাড়া বলেছেন:
বাবাকে ভোট দিতে পারলেন না ‘মৃত’ মানিক
ঢাকা থেকে বাবাকে ভোট দিতে এসেছিলেন নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দা মানিক ইসলাম। কিন্তু ভোট দেওয়া হলো না। স্মার্ট আইডি কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকায় তার নাম ‘মৃত’ দেখানোয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।

আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মানিক ইসলাম নলডাঙ্গা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বাবলু সরদারের ছেলে।

মানিক ইসলাম অভিযোগ করেন, বাবাকে ভোট দেওয়ার জন্য কর্মস্থল ঢাকা থেকে শুক্রবার রাতে বাড়িতে এসেছেন। দুপুরের দিকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ভোট দিতে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। এ সময় স্মার্ট আইডি কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকায় তার নাম না থাকায় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তাকে ফিরিয়ে দেন। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডটি দেখিয়ে সমস্যার কথা জানালে, তারা মেশিনে পরীক্ষার পর জানান তিনি মৃত। এই অবস্থায় তিনি তার বাবাকে ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ করেন।

নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. কিশোয়ার জানান, ওই ব্যক্তির স্মার্ট কার্ডটি থাকলেও ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। এ জন্য তার ভোট দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তাই তাকে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংশোধন বা কাগজ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকলে তার ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ভোটের পর কার্ডটি সংশোধন করে নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ওই তালিকায় তার নাম আছে কিনা তা আগেই যাচাই করা উচিত ছিল। কিন্তু উনি সেটা করেননি। ভুলবশত তার নামটি মৃতের তালিকায় যেতে পারে, তা সময়মতো সংশোধন করা যাবে।
ঢাকা থেকে বাবাকে ভোট দিতে এসেছিলেন নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দা মানিক ইসলাম। কিন্তু ভোট দেওয়া হলো না। স্মার্ট আইডি কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকায় তার নাম ‘মৃত’ দেখানোয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।

আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মানিক ইসলাম নলডাঙ্গা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বাবলু সরদারের ছেলে।

মানিক ইসলাম অভিযোগ করেন, বাবাকে ভোট দেওয়ার জন্য কর্মস্থল ঢাকা থেকে শুক্রবার রাতে বাড়িতে এসেছেন। দুপুরের দিকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ভোট দিতে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। এ সময় স্মার্ট আইডি কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকায় তার নাম না থাকায় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তাকে ফিরিয়ে দেন। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডটি দেখিয়ে সমস্যার কথা জানালে, তারা মেশিনে পরীক্ষার পর জানান তিনি মৃত। এই অবস্থায় তিনি তার বাবাকে ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ করেন।

নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. কিশোয়ার জানান, ওই ব্যক্তির স্মার্ট কার্ডটি থাকলেও ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। এ জন্য তার ভোট দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তাই তাকে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংশোধন বা কাগজ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকলে তার ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ভোটের পর কার্ডটি সংশোধন করে নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ওই তালিকায় তার নাম আছে কিনা তা আগেই যাচাই করা উচিত ছিল। কিন্তু উনি সেটা করেননি। ভুলবশত তার নামটি মৃতের তালিকায় যেতে পারে, তা সময়মতো সংশোধন করা যাবে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০১

মি. বিকেল বলেছেন: জানলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.