নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কিছুদিন ধরে প্রায়শ কোথাও না কোথাও আগুন লাগার ঘটনায় আমরা শুধু বিব্রত-ই নই, লজ্জিত-ই নই, হারাচ্ছি জীবন, হারাচ্ছি মানুষ ও মনুষ্যত্ব। একটি পরিচিত কথা আছে, “নগরে আগুন লাগলে দেবালয় এড়ায় না।” যদি এক নজরে সমস্ত ঘটনা দেখা যায় তাহলে হতেও পারে এই সমস্ত বিষয়ে আমাদের আরো সচেতন হবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হতেও পারে। হাজারো মানুষের কান্না আমাদের হৃদয় কে ব্যথিত করলে করতেও পারে। এই অনুচ্ছেদে আমি চেষ্টা করেছি সাম্প্রতিক সময়ে যে যে স্থানে আগুন লেগেছে এবং যা যা ক্ষতি হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরবার।
১. সায়েন্স ল্যাবে আগুন
গত ৫ মার্চ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের বসুন্ধরা গলিতে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ফলে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেদিন (রোববার) সকাল ১০টা ৫২ মিনিটের দিকে এ আগুন লাগে। বেলা ১১টা ১৩ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায় ‘ফায়ার ডিফেন্স অধিদপ্তর’ সূত্র থেকে। এই আগুন নেভানোর জন্য মোট চারটি ইউনিট কাজ করেছে।
প্রথম আলো পত্রিকার সূত্র থেকে জানা যায়, সায়েন্স ল্যাবের কাছে ওরিয়েন্টাল লগ কেবিনের বাসিন্দা জাহারাত জাহান বলেন, তিনি প্রথম বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। তিনি ভেবেছিলেন ভূমিকম্প হয়েছে। পরে বারান্দায় গিয়ে দেখেন চারপাশ শুধু ধোয়া আর ধোয়া। তিনি সন্তানদের নিয়ে নিচে নেমে যান। ভবনের অন্য বাসিন্দাদেরও নিচে নামিয়ে খোলা জায়গায় রাখা হয়।
বিস্ফোরণের কারণে ঘটা এই দূর্ঘটনায় দগ্ধ সাত জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
২. বঙ্গবাজারে আগুন
গত ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) আমরা আরো একটি ভয়াবহ আগুন দেখতে পাই ‘বঙ্গবাজার’ এ। এই আগুনের ভয়াবহতা এত বেশি ছিলো যে, পুরো বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ভোর ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর মোট ৪৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। উল্লেখ্য, এই আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল পর্যন্ত যোগ দিয়েছিলেন।
প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটের দিকে এই আগুন নেভানো সম্ভব হয়। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব। ঈদ উপলক্ষে বাজারের প্রত্যেক দোকানদার অনেক কাপড় কিনেছিলেন। কিন্তু সেসব মালের/কাপড়ের এক সূতোও বাঁচানো সম্ভব হয় নি। অনেকেই তো পথে বসে গেছেন। তাদের আর্তনাদ সময়ের সাথে সাথে চাপা পড়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে এবং স্পষ্টত আমরা ভুলে যাচ্ছি বা গেছি।
৩. নিউ সুপার মার্কেটে আগুন
শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। এখানে ফায়ার সার্ভিসের মোট ২৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের আরও ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
এই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে ধোঁয়ায় ৩০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মকর্তা, ফায়ারফাইটার ২১ জন, ভলান্টিয়ার দুইজন, আনসার সদস্য দুইজন, স্কাউট একজন ও বিমান বাহিনীর একজন সার্জেন্ট।
এখানেও আমরা ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ আমরা লক্ষ্য করেছি, করছি। বঙ্গবাজার এবং নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার বিষয়ে বেশ কিছু মিলও লক্ষ্য করা যায়। আমরা ঠিক জানিনা এই সকল দূর্ঘটনার আসল কারণ কি? সূত্র কি?
পরিশেষ
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রতি যে অভিযোগ রয়েছে সেটা নিয়ে। যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় আধুনিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পর্যন্ত নেই। সে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেই বা কি লাভ যে আগুনে সব পুড়িয়ে ছাই হয়ে যায়? অনেক মানুষ সর্বহারা হয়ে যায়? এই সমস্ত প্রশ্ন/বিষয় আপনার-আমার মনে শুধু ঘুরছে না, আমরা এই সমস্ত ভয়ানক দূর্ঘটনায় প্রচন্ডভাবে আহত।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩০
মি. বিকেল বলেছেন: "আধুনিক বিশ্বে সেফটি ফাস্ট নীতিতে স্থাপনা তৌরি করে তাই এমন দূঘটনা সেখানে কমই ঘটে...." - আমরা এখানে আজও ব্যর্থ কেন? এটাই হতাশ হবার মত বিষয়।
ধন্যবাদ
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যখন সচেতন হবে, তখন আগুন লাগবে না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩১
মি. বিকেল বলেছেন: মানুষ কবে সচেতন হবে? অথবা, এতে রাষ্ট্রের কি কোনো দায়িত্ব নেই?
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
অধীতি বলেছেন: গাছের সাথে পুকুরের সংখ্যাও কমে গেছে। পানি আসবে কোত্থেকে?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩১
মি. বিকেল বলেছেন: সহমত
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১২
কিরকুট বলেছেন: পানির সংকোটে ফায়ার সার্ভিস উন্নত করে কি লাভ। আগে ঢাকায় পানির উৎস বৃধ্যি করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
নতুন বলেছেন: দেশে কেউই আগুন থেকে বাচার জন্য ব্যবস্থা রেখে স্থাপনা তৌরি করেনা।
টাকা দিয়েই সিভিল ডিফেন্সের সেটিফিকেট নিতে হয় সবাইকে...
আধুনিক বিশ্বে সেফটি ফাস্ট নীতিতে স্থাপনা তৌরি করে তাই এমন দূঘটনা সেখানে কমই ঘটে....