নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত এত নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হচ্ছি এবং এসবের ব্যাপকতা এত বেশি যে এড়িয়ে চলা খুব মুশকিল। ‘প্রজন্ম আমি (Zen Z)’ এর এই নতুন নতুন টার্ম গুলোর কারণে ‘মিলেনিয়ালস (Millenials)’ হওয়ায় নিজেকে বেশ ওল্ড স্কুল মনে হচ্ছে। কোথাও না কোথাও এটা মনে হচ্ছে ‘Zen Z’ সব পরিস্থিতিতে কে নাম দিতে চায় দোষ বা গুণের ব্যাখ্যায় না গিয়ে।
সম্পর্কে সিচুয়েশনশীপ হচ্ছে, এমন এক ধরণের সম্পর্ক যেখানে কমিটমেন্ট নাই, যে সম্পর্ক অসংজ্ঞায়িত, যে সম্পর্কে একে অন্যের থেকে কোনরুপ কোনো প্রত্যাশা রাখে না, এমনকি ঐ সম্পর্কের নাম পর্যন্ত থাকবে না, গতানুগতিক ধারার সম্পর্কের সংজ্ঞার বাইরের সম্পর্ক যা দীর্ঘদিন চালিয়ে যেতে হবে এমন কোনো শর্ত নাই।
কিন্তু ঐ সম্পর্কে ওরা (দুই ব্যক্তি যারা সিচুয়েশনশীপ এর মধ্যে আছেন) তাদের মধ্যে মানসিক এবং শারীরিক সম্পর্ক থাকা যাবে বা চলবে। কিন্তু সেটাও কতদূর পর্যন্ত থাকবে সেজন্য প্রয়োজনীয় বাঁধাধরা কোনো নিয়ম নাই। এছাড়াও একে অন্যের ব্যাপারে কেউ নাক গলাবে না, নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অজ্ঞাত থেকে যাবে বা একে অন্যর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকে মোটেই যাবে না।
এই ধরণের সিচুয়েশনশীপে বিবাহিত এবং অবিবাহিত পুরুষ/মহিলা উভয়ই জড়িত হতে পারেন। মানে যেটাকে আমরা সোজা বাংলায় ‘প্রতারণা/প্ররোচনা/ধোকা’ বলতে পারি সেটা থেকে একটু সরে এসে, “না… না… আমি তো এসব পরিস্থিতির স্বীকার” – জানানো কেই সিচুয়েশনশীপ খানিকটা বলা যেতে পারে।
সাধারণত, আমরা যখন সম্পর্কে থাকি তখন নানাবিধ প্রশ্নের মধ্যে একটি প্রশ্ন নিশ্চিত অর্থে থাকে সেটা হলো, “আমাদের মধ্যে কি চলছে?” – প্রেম হলে দেখবেন তার একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে; যা উক্ত সম্পর্ক অনুসরণ করছে। প্রেম থেকে বিয়ে হলেও তার একটি ভিন্নরকম প্যাটার্ন দেখবেন। শুধু ‘বন্ধুত্ব’ হলেও সেটা সুন্দরভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। কিন্তু সিচুয়েশনশীপে এই ধরণের প্রশ্ন তার পার্টনারকে মোটেই করবে না। মন ভালো নাই তাই ওরা একে অন্যের সাথে কথা বলবে। একে অন্যের সাথে শারীরিক ভাবেও জড়িত হবে। কিন্তু দিনশেষে জিজ্ঞাসিত হবেন না, “আপনি কি করছেন? কেন করছেন?”
এরা গভীর মানসিক সম্পর্কে জড়িত হবেন না। একে অন্যের ব্যক্তিগত ঝুটঝামেলা নিয়ে তো নয়-ই। অথবা, আপনি আপনার পার্টনারের দেয়া ফোনকল বা মেসেজের জন্য অপেক্ষাও এখানে অহেতুক বা জরুরী নয়। কৃত্রিম বা ভাসা-ভাসা কথোপকথন বিদ্যমান থাকবে। এস ডি বর্মনের গানের মত এমন ফলোআপও থাকবে না,
“তুমি এসেছিলে পরশু
কাল কেন আসোনি?”
আসোনি তো কি হয়েছে! আমরা তো সম্পর্কে নাই, আমরা আছি সিচুয়েশনশীপে। খোদা, এই হলো নতুন প্রজন্মের নতুন শব্দ। ব্যক্তি নিজেকে আর দায় দিতে রাজী নয়, এখন সব পরিস্থিতির উপর চলমান।
এতক্ষণে এসমস্ত পড়েও মাথাব্যাথা যদি না ধরে তাহলে এর পরের শব্দ ‘বেঞ্চিং’ নিয়ে একটু জানুন।
ফুটবল এবং বর্তমান ক্রিকেটে খুব জনপ্রিয় শব্দ ‘বেঞ্চ’। ‘বেঞ্চ’ হলো প্রধান টিমের পাশাপাশি একাধিক খেলোয়াড় রাখা যারা অন্যর পরিবর্তে কোনো কারণে মাঠে নামতে পারবেন। মানে একটি দলে মোট ১১ জন খেলোয়াড় থাকলে তার থেকে যদি কাউকে বাদ দেওয়া উচিত বলে টিম বা কোচ মনে করেন তাহলে বেঞ্চ থেকে একজন উঠে দাঁড়াবেন এবং যিনি খেলছেন এবং যাকে বাদ দেওয়া হবে তাকে রিপ্লেস করে তিনি খেলে যাবেন।
এখন এটি যদি কোনো সম্পর্কে হয়, তাহলে ভাবুন তো, ব্যাপারটা কি অদ্ভুত ভয়ানক শব্দ!
হ্যাঁ, এটাই বেঞ্চিং। এখানে ‘বেঞ্চিং’ হলো একটি ডেটিং টার্ম। কিন্তু এর অর্থ ডেট করাকে বুঝায় না বরঞ্চ ডেট করার নামে অন্যকে ব্যাক–আপ অপশনে রাখা। এটি একধরনের ম্যানিপুলেশন। ডার্ক সাইকোলজি তে এটিকে বলা হয় ‘লাভ বোম্বিং’। মানে হচ্ছে, নিজের আকর্ষণ দ্বারা অন্যকে মোহিত করে রাখা এবং প্রয়োজনে তার হাত ধরা বা ছেড়ে যাওয়া।
ডেট চলমান, একটি অসংজ্ঞায়িত সম্পর্ক চলমান কিছুটা বন্ধুত্বের মতন কিন্তু একজন অন্যজনকে জানাচ্ছে না যে, “এর পরের ধাপ কি?” না সে নিজে সামনে যাবে আপনার সাথে, না আপনাকে অন্যের সাথে সামনে যেতে দিবে। যাকে আমরা বলি মুভ অন করা এবং কমিটেড হওয়া।
বেঞ্চিং করার ক্ষেত্রে আপনার পার্টনার আপনাকে জানাচ্ছে যে, “আমি তোমার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী।” কিন্তু যেটা জানাচ্ছে না সেটা হলো, “আমাদের অদৌ কি কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে?” আপনি এই ধরণের পরিস্থিতিতে একধরনের ভিক্টিম হয়ে পড়েন, অন্যের অপশন হওয়া ছাড়া আর কিছুই হবার সুযোগ থাকে না।
Image Credit: Bing Enterprise
Also Read It On: সম্পর্কে সিচুয়েশনশীপ এবং বেঞ্চিং (Situationship & Benching) মূলত কি!
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
মি. বিকেল বলেছেন: কিন্তু আমার জানা মতে, এখন ঘোষণা দিয়েই চলছে...
২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১০
শায়মা বলেছেন: সিচুয়েশনশীপ, বেঞ্চিং দুইটা শব্দই আজ প্রথম শুনলাম।
মানে দায়িত্ব এড়াবার জন্য কতকিছুই না বৈধ করার শব্দ বের করবে নতুন নতুন নতুন প্রজন্মরা!
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
মি. বিকেল বলেছেন: হা হা হা...
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:২৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ খারাপ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে, হতাশা থেকে পালিয়ে বেড়াতে অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে। এগুলো তেমন কিছু। যাইহোক আজকে নতুন দুটি বিষয় জানলাম পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
মি. বিকেল বলেছেন: তাও হতে পারে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সবকিছু বদলাচ্ছে খুব দ্রুতই।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
মি. বিকেল বলেছেন: এজন্য একটু থমকে দাঁড়িয়ে আমি সময় দেখি যে, আমি কতটা পিছিয়ে পড়েছি!
৬| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: হিবিজিবি জেনারেশন
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
মি. বিকেল বলেছেন: হ্যাঁ, বেশ অদ্ভুত বিষয়গুলো!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারনা করে মেলামেশা করে এটা আমাদের সমাজে অহরহ হচ্ছে।কিন্তু ঘোষণা দিয়ে হয় না।