নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বলিউড (Bollywood): একটি মাফিয়া চক্রের বিশ্লেষণ (পর্ব - ০২) - লেখাটি প্রথম পাতায় প্রদর্শন করার বিশেষ অনুরোধ

১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৫



সিনেমাটিক জীবনে আমাদের অধিকাংশের চোখে বলিউডের লেন্স যুক্ত। আমরা আমাদের বাস্তবতাকে বলিউডের সিনেমাটিক জীবনের সাথে অনেক সময় গুলিয়ে ফেলি। আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের বহু অংশে বলিউড একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক। কিছু কিছু সংস্কৃতি প্রায় একেবারে বলিউডের জন্য আজ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিষ্ঠিত। ‘বার্থডে’ বা ‘জন্মদিন’ উদযাপন কোন বিলেত ফেরত ব্যক্তি যতটা আয়োজন করেছেন বা তার থেকে আমরা যতটা প্রভাবিত হতে পারি বলিউড থেকে তারচেয়ে বেশি আমরা প্রভাবিত এবং এই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত।

উপনেশবাদের ধারক ও বাহক এই বলিউড ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু আবার ফেলে আসা হিন্দি সিনেমা নয়। হিন্দি সিনেমা এবং বাংলা সিনেমা (বাংলাদেশের) একসময় প্রায় হাত ধরে হাঁটতো। সেখানেও জন্মদিন পালন হত কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন সেটাকে শোভন বা গ্রহণযোগ্য সংস্কৃতি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। সুতরাং ঐ হিন্দি ও বাংলা সিনেমা আপাদমস্তক সস্তা শিল্প হলেও, আমাদের লেন্সে অনেক কিছু ধরা না পড়লেও তা অন্তত ক্ষতিকর ছিলো না।

সেখানে হয়তো ধনী-গরিবের বৈষম্যের লড়াই চলছে। ইংরেজিতে কথা বলা কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট করা হয়েছে। ধনী ব্যক্তি মাত্রই দুর্নীতিবাজ, বাজে লোক, দুষ্ট লোক হিসেবে দেখানো হয়েছে। টাকার ধারণা বাদ দিয়ে জীবনের ধারণা ঐ সমস্ত ফেলে আসা সেলুলয়েডের পাতায় পাতায় রচিত হয়েছে।

প্রেমের সংজ্ঞা জোরদার করা হলেও সেখানে ‘ডেটিং’, ‘লিভ টুগেদার’, ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’, ‘সিচুয়েশনশীপ’, ‘বেঞ্চিং’ ইত্যাদি অদ্ভুত (ভারতীয় সাংস্কৃতির প্রেক্ষাপটের আলোকে) শব্দের বা বিষয়ের সাথে পরিচয় করানো হয়নি। এমনকি গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড শব্দগুলো এখন পর্যন্ত অনেক বাঙালী গ্রহণ করেন নাই। এবং তাঁরা খুব সম্ভবত এসব মেকানিজম সম্পর্কেও জানেন। আমরা বাঙালীরা এই সমস্ত দিনগুলোকে এত মূল্যায়ন করা শুরু করেছি যে, আমাদের যা ছিলো তা অবহেলায় আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। এমন কোন দিন নাই যা গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা মতে কোন বিশেষ দিন হওয়া থেকে মুক্ত।

যখন লিখছি তখন গ্রামীণফোন থেকে ‘মা দিবসের শুভেচ্ছা!’ জানানো হলো। আমি ভাবছি, মায়ের জন্যও নির্দিষ্ট দিবস থাকা উচিত? বাবার জন্যও নির্দিষ্ট দিবস থাকা উচিত? আমাদের পায়ে হালকা চোট লাগলে ও... মা..., ও... বাবা... বলে উঠি। পারলে মায়ের কোলে গিয়ে উঠে থাকি... ২৭ বছর বয়স মতান্তরে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত বাবার কাছে পকেট খরচ না নিয়ে বাইরে বের হতে পারি না।

একটু বাবা-মা কে দেখার জন্য যারা ঘনঘন ছুটিতে বাড়ি আসেন তারা আর যাইহোক ‘Homesick’ নয়, এই আবেগ কোন রোগ নয় যে সারাতে হবে। আমরা থাকি তো সবসময় বাবা-মায়ের হাত ধরে। এমন দিন নাই আমাদের বাবা-মা আমাদের খবর রাখে না। তাই বলিউড আমাদের প্রতিষ্ঠিত ও যা এখন অনেকখানি ভঙ্গুর ‘সমাজ’ নামক বস্তুর অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

আপনি বলবেন, “না, না, সব সোশ্যাল মিডিয়ার দোষ। আজকাল ছেলেমেয়ে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে মিশছে, সেসব দেখছে, সেসব দেখে শিখছে... তাদের মধ্যে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে। আরেহ্, এ তো ভালো জিনিস!” এই ধরণের পাগলের সাথে আমি তর্কে যাবো না, শুধু এটুকু বলবো, যতটুকু সিনেমা মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে তার অর্ধেকও সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া মিলে করতে পারে না। সিনেমা হচ্ছে একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। এর আশেপাশে প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত কিছু জন্মায় নাই।

বাঙালী মায়েরা আজীবন শাবানার মত জীবনযাপন করে গেছেন বা যাচ্ছেন আর বাবারা সবাই একেকজন জসিম। এই উদাহরণ যদি আপনার মনে দাগ কাটে তাহলে বাংলা সিনেমা একসময় সত্যিই ‘সিনেমা’ ছিলো, আর যেহেতু বাংলা ও হিন্দি সিনেমা সে সময় হাত ধরে হাঁটতো সেহেতু আমি ঐ ফেলে আসা স্বর্ণালী ও সুন্দর সময়ের সমালোচনা করছি না। বরং আমি প্রশংসা করতে চাই ঐ সমস্ত সস্তা শিল্প কে। যে শিল্প সহজ ছিলো, বোধগম্য ছিলো...

কলকাতার ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘প্রেম আমার’, ‘বুঝে না সে বুঝে না’, ‘সেদিন দেখা হয়েছিলো’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘পাগলু’, ‘সকাল-সন্ধ্যা’ এই সিনেমাগুলো বেশিরভাগ রিমেক ছিলো। কিন্তু এই সিনেমার নাম নেওয়ায় যদি আপনার শৈশব/কৈশোর মনে পড়ে যায় তাহলে খুব সম্ভবত এসব ভালো শিল্প ছিলো। সালমান শাহ্ তো ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ আমাদের সবার জনপ্রিয়। মুদ্রার অন্যপিঠে একই সিনেমায় হিন্দি সিনেমার আমির খান ছিলেন। এবং এই দুই সিনেমা একটা গোটা প্রজন্মের জন্য পুরা নস্টালজিয়া।

কিন্তু বলিউডের কাছে আর দেবার মত খুব বেশি কিছু নাই। নেটফ্লিক্স/আমাজন প্রাইমের সাবক্রিপশন ক্রমান্বয়ে কোরিয়ান, জাপানীজ ইন্ডাস্ট্রির দিকে যাচ্ছে না তো? যদি যায় তাহলে ভালো খবর। কারণ দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাতেও লুঙ্গী বা ধূতি পরা ওল্ড স্কুল হয়ে গেছে। কিন্তু ওটাই ওদের এবং কিছুটা আমাদের সংস্কৃতি।

এদের সিনেমায় আমরা যত আশা বেঁধে রেখেছিলাম তত বেশি হতাশ করেছে। সামগ্রিকভাবে পুরো সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যে ভয়ানক ভায়োলেন্স প্রোমোট করছে তা তো আর অস্বীকার করা যায় না। ধরুন, একদিন হুট করে রাস্তার কোন টোকাই চাকু নিয়ে রাতের বেলা আপনাকে আটকে রেখে পুস্পা স্টাইলে বলছে, “ঝুকেগা নেহি শালা!”

বলিউড সবসময় ইংরেজিতে কথা বলে। লক্ষ্য করে দেখবেন, বলিউডের সর্বশেষ দুটো পছন্দের সিনেমায় ইংরেজির ব্যবহার নাই। নামও বলতে হবে? ‘12th Fail’ ও ‘Laapataa Ladies’। আমার মতে ইংরেজিতে কথা বলা অন্যায় নয় কিন্তু হিংলিশ কেন? বিনাকারণে অনর্গল হিংলিশ বলছে। তার দেখাদেখি বাংলা নাটকে চলছে বাংলিশ।

ভাষার প্রতি এত কদর দেখে চোখে জ্বল চলে আসে। আপনি বাংলাদেশি হলে বাংলায় বলুন, আরো ভালো হয় যদি আপনি আপনার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। আমরা যারা প্রমিত বাংলার পন্ডিত তারা নাহয় কষ্টকরে বুঝে নেবো। এতে লজ্জার কি আছে? এতে সমস্যা কি? এটাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় ‘Inferiority Complex’ বলে।

কিন্তু এমন সমাজ এই বলিউড তৈরি করেছে যে সমাজে আমরা সবাই এই রোগে আক্রান্ত। এই ভুল সমাজ ভুল ড্রেস-আপ সেন্স শেখাচ্ছে, হিরোইক দর্শনে অহংকারী হতে শেখাচ্ছে, বাংলিশ বা হিন্দি+বাংলা+ইংরেজি ভাষাত অদ্ভুত মিশ্রণে ভুলভাল হাইব্রিডাইজেশনের শিকার হতে হচ্ছে, ভায়োলেন্স শেখাচ্ছে, আর উপনেশবাদের ধারণা এমনভাবে আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে ঢুকে দেওয়া হচ্ছে এতে করে এক জীবনে আমাদের মধ্যে হীনমন্যতা যাবে না। ইউরো-সেন্ট্রিক জীবন কে আদর্শ হিসেবে বিবেচনায় আমরা নিচুস্তরের। আর এডওয়ার্ড সাঈদের ‘ওরিয়েন্টালিজম’ হলো কালজয়ী বৃথা সাহিত্য বা দর্শন।

এক সেকেন্ড, আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের থেকে দাম্পত্যের কলহের মূখ্য না হলেও গুরুত্বপূর্ণ গৌণ অনুঘটক এই বলিউড কে বিদায় দেবার পালাও এসেছে। আরো বেশি দেরি করলে মুক্তি অসম্ভব। “আগুনের দিন শেষ হবে একদিন...” এটা সেই সময়ের বাংলা সিনেমার গান। সস্তা গান। আরো অদ্ভুত বিষয় কি জানেন? এই সিনেমায় দুই বাংলা একসাথে কাজ করেছিলো।

ছবি: Bing Enterprise (Copilot Ai)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪৪

অহন৭১ বলেছেন: ভাইয়া, এত কথা বলে লাভ কী?? আমাদের ইসলাম ধর্মে নাঁচ, গান, বাদ্য, একতারা, দোতারা, হলি্উড, বলিউড, টালিউড...... সব হারাম। তো, ওদের প্রতি হিংসা, গীবত ছড়ানো ব্যতীত অক্ষম আর কী করতে পারে, বলেন @ ভাইয়া???

২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৯

মি. বিকেল বলেছেন: ইসলাম ধর্মে নাচ, গান, বাদ্যযন্ত্র এবং বিনোদনের অন্যান্য ফর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, এবং এই বিষয়গুলি বিভিন্ন ইসলামিক স্কলার এবং মাজহাব অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। কিছু হাদিস এবং ইসলামিক শিক্ষা অনুসারে, নাচ, গান, বাদ্যযন্ত্র এবং অন্যান্য বিনোদনের ফর্মগুলি হারাম বা নিষিদ্ধ বলে বর্ণিত হয়েছে। তবে, এই বিষয়গুলি সম্পর্কে বিভিন্ন মাজহাব এবং স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে সংস্কৃতি এবং প্রেক্ষাপট অনুসারে এই বিষয়গুলির ব্যাখ্যা ভিন্ন হতে পারে।

ইসলামে হিংসা বা গীবত ছড়ানো নিষিদ্ধ এবং এটি অন্যের প্রতি অন্যায় আচরণ হিসেবে বিবেচিত। ইসলাম ধর্মে সবার প্রতি সদাচার, সহনশীলতা এবং সম্মান দেখানোর উপর জোর দেওয়া হয়। তাই, কারো প্রতি হিংসা বা গীবত ছড়ানোর পরিবর্তে, ইসলাম ধর্মে শান্তি, সদ্ভাব এবং সহমর্মিতা প্রচার করা হয়।

এই বিষয়ে আরও গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য, আপনি বিশ্বস্ত ইসলামিক স্কলার বা জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করতে পারেন, যারা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত এবং সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারেন।

২| ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: হিংলিশ বাংলিশ নিয়ে যে কথাটা বললেন, সেটা আমার মনে ধরেছে। কোক স্টুডিওর একটা জনপ্রিয় গান 'কথা কইও না' যে মহিলা গেয়েছে, সে তেমন একটা শিক্ষিত না। হাইকোর্টের মাজারে পরে থাকতো, আর গান করতো। ঐ আয়োজনে তার মেয়ে বেহালা বাজিয়েছে। বিহাইন্ড দ্যা স্টোরিতে দেখাচ্ছে, তার সেই মেয়েও ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজী বলে নিজের স্মার্টনেস প্রকাশের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রবণতাকে কি বলে? ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স?

২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৩

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার উল্লেখিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, এটি বোঝা যাচ্ছে যে 'কথা কইও না' গানটি কোক স্টুডিও বাংলা থেকে আলেয়া বেগম নামের একজন শিল্পী গেয়েছেন, যিনি তার সংগীত প্রতিভা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার মেয়ে বেহালা বাজিয়েছেন এবং বিহাইন্ড দ্যা স্টোরিতে তার মেয়ের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে।

এই ধরনের প্রবণতা কেবল ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। ভাষা দক্ষতা বা শিক্ষার মান অনুযায়ী নিজেকে বা অন্যকে মূল্যায়ন করা অনেক সময় সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে। কারো ভাষা দক্ষতা বা শিক্ষার মান যদি কম হয়, তাহলে তা তার প্রতিভা বা মেধার পরিচায়ক নয়। প্রত্যেকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিভা এবং দক্ষতা থাকে, এবং সেগুলি বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পায়।

একজন ব্যক্তির ভাষা দক্ষতা বা শিক্ষার মান নিয়ে মন্তব্য করা বা তাকে নিয়ে বিচার করা অনেক সময় অযৌক্তিক এবং অসম্মানজনক হতে পারে। প্রত্যেকের মধ্যে বিশেষ কিছু দক্ষতা থাকে এবং সেগুলি সম্মান এবং উৎসাহের সাথে গ্রহণ করা উচিত। আমাদের উচিত প্রত্যেকের বৈচিত্র্যময় প্রতিভা এবং অবদানকে সম্মান করা।

৩| ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- 12th Fail দেখেছি Laapataa Ladies হয়তো দেখবো। পোষ্ট সম্পর্কে কিছু বলার নাই।

২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৫

মি. বিকেল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.