নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দীর্ঘসময় ধরে ওপার ও এপার বাংলার একাধিক অনলাইন নিউজ ও ব্লগিং পোর্টালে সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কাজ করে যাছি। সামনের সময়ে দায়িত্ব ভাগাভাগি করার কথা ভাবছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়ে খুব একটা ভালো ফলাফল পাইনি।
আমার পরিকল্পনা রয়েছে ভবিষ্যতে আরো বড় অনলাইন ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার। এজন্য এই লেখাটি ড্রাফট হিসেবে রাখতে চাই, যাতে আমাদের টিম যখন বড় হবে, তখন আমরা আমাদের ভূমিকা যেন ভালোমতো বুঝতে এবং পালন করতে পারি।
আমার মতে, এই কাজটি বেশ জটিল। কারণ, এই কাজে যে ধরণের পিরামিড অনুযায়ী কাজ করা উচিত যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, সে পরিমাণ লোকবল নিয়োগ দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। যারা বাংলা নিউজ/ব্লগিং পোর্টালে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন, তারাও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের প্রয়োজন বোধ করেন না অথবা, এমন মানুষদের খুঁজেই পাওয়া যায় না।
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন বড় গ্রুপের এডমিন এমন ভাব নিয়ে থাকেন যে, তার মতাদর্শের সাথে যদি কোন পোস্ট, ব্লগ, আর্টিকেল বা লেখা না মিলে, তাহলে তিনি সেটি খারিজ করে দেন, মুছে দেন বা সরিয়ে ফেলেন। এমনকি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রুপেও এডমিন মহাশয়দের বায়াসনেস লক্ষ্য করা যায়।
ফেসবুক কেন্দ্রিক কিছু গ্রুপের সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যাওয়ায় এডমিনরা (সবাই নয়) একরকম প্রভুত্ব দেখান। হঠাৎ করে তারা তাদের দায়িত্বকে ক্ষমতা বলে ভুল মনে করেন। এখানে বলে রাখা ভালো, আমি সব গ্রুপের সকল এডমিনদের এমন সরলীকরণ করছি না, করা উচিতও নয়।
কোনটা ক্ষমতা এবং কোনটি দায়িত্ব, এই শব্দগুলোর সাথে শুধু বাহ্যিক পরিচিতি থাকলে চলবে না। এসবের জন্য বাস্তবিক প্রয়োগ প্রয়োজনীয়।
অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদকীয় স্তর ও ব্লগ/ফেসবুক গ্রুপের সংকট
সাধারণত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ৮ স্তরের সম্পাদক থাকেন।
১. প্রধান সম্পাদক (Editor-in-Chief)
'প্রধান' অর্থে তার প্রভুত্ব পুরো নিউজ পোর্টাল জুড়ে বিদ্যমান থাকে। তিনি সবকিছুই প্রায় নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। কোন নিউজ বা খবর প্রকাশিত হবে এবং কোনটি হবে না, এসবকিছুর বিচার-বিশ্লেষণ করে তত্ত্বাবধানে থাকেন তিনি। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে প্রধান সম্পাদক যদি জ্ঞানীয় পক্ষপাত দুষ্ট না হোন, তবেই সেই অনলাইন পত্রিকা বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। কারণ তিনি ঠিক করেন ঐ অনলাইন নিউজ পোর্টালের কমিউনিটি গাইডলাইন কি হবে? তিনি ঠিক করেন ঐ অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদকীয় নীতি কি হবে?
ফেসবুকে যেকোনো গ্রুপের এডমিন প্রধান সম্পাদকের ভূমিকায় থাকেন। অধিকাংশ ফেসবুকীয় গ্রুপে মডারেটর পর্যন্ত থাকেন না। ফলে এখানে জ্ঞানীয় পক্ষপাত দুষ্ট বেশি হতে দেখা যায়। এডমিনরা তাদের মতাদর্শের সাথে না মিললে পোস্ট, ব্লগ, আর্টিকেল বা লেখা খারিজ করে দেন, মুছে দেন বা সরিয়ে ফেলেন।
২. ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (Managing Editor)
একজন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ডেডলাইন শব্দ কে বিশেষভাবে খেয়াল রাখেন। কাজ দেওয়া এবং কাজ যথাসময়ে আদায় করে নেওয়া তার প্রধান দায়িত্ব। ব্যবস্থাপনা সম্পাদককে যে কোনো সম্পাদকের চেয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় এবং একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে তার কাজ নিয়মিত করতে হয়। এছাড়াও, প্রধান সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
ফেসবুক গ্রুপে এই পদের নাম দেওয়া যেতে পারে 'মডারেটর'। কিন্তু এখানেও ফেসবুকের কিছু ঘাটতি থেকে যায়। কারণ, প্রধান সম্পাদক বা এডমিন সংখ্যা কখনোই অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক না হলেও, ফেসবুক গ্রুপে একাধিক এডমিন ও মডারেটর থাকেন। এমনকি মডারেটরের ক্ষমতা প্রায় অনেকাংশেই এডমিনের সমান। ফলে, ফেসবুক গ্রুপ বা কোন ব্লগিং সাইট এই পিরামিড অনুসরণ করতে সক্ষম হয় না।
৩. সংবাদ সম্পাদক (News Editor)
একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ সম্পাদক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই পদটির গুরুত্বের কারণ হলো, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে শুধুমাত্র খবর প্রকাশিত হয় না। সেখানে প্রতিবেদন, লাইফস্টাইল, রুপচর্চা, স্বাস্থ্য, জীবনী, ধর্ম, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, বিজ্ঞানসহ একাধিক বিভাগ থাকে। এসব বিষয়ে একাধিক স্কলারের লেখাও আসে। ফলে, একজন সংবাদ সম্পাদক নির্ধারণ করেন কোন সংবাদ উপস্থাপন করা উচিত, কোন বিষয় নিয়ে সংবাদ হওয়া উচিত, এবং সংবাদের বিষয়বস্তু ও মান যাচাই করেন।
ফেসবুক বা ব্লগিং সাইটে এই ধরণের কোনো ফিচার নেই। এডমিন বা মডারেটর চাইলে ফিচার পোস্ট, পিন পোস্ট বা নির্বাচিত পোস্ট কোনটি হবে তা নির্ধারণ করেন। অর্থাৎ, এক ব্যক্তি তিনজনের কাজ করেন, যা জ্ঞানীয় পক্ষপাত দুষ্ট হতে বাধ্য।
৪. ডিজিটাল সম্পাদক (Digital Editor)
ডিজিটাল সম্পাদক প্রকাশিত সব লেখা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ব্রেকিং নিউজের ক্ষেত্রে টেমপ্লেট বা টেক্সটের মাধ্যমে তিনি সার্বক্ষণিক পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখেন। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন উৎসব ও আয়োজনে শুভেচ্ছা জানান।
ফেসবুক গ্রুপেও এডমিন বা মডারেটর এই দায়িত্ব পালন করেন। তারা গ্রুপে মানুষদের ইনভাইট করেন এবং বিভিন্ন উৎসব ও আয়োজনে শুভেচ্ছা জানান। এটি এককেন্দ্রিক বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। একজন এডমিন/মডারেটর একই সাথে এই সবগুলো সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন, যা উক্ত ব্লগ বা ফেসবুক গ্রুপের মান কমাতে পারে।
৫. কপি সম্পাদক (Copy Editor)
কপি সম্পাদক লেখক বা রিপোর্টারদের বানান, ব্যাকরণ এবং লেখার শৈলী খুব সুচিন্তিতভাবে খেয়াল করেন। এমনকি সামান্য যতিচিহ্নের ভুল হলেও তিনি লেখক/রিপোর্টারদের জানান বা নিজে থেকেই সংশোধন করেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ব্লগিং সাইট এবং ফেসবুক গ্রুপে এমন কোন পদ-ই নেই। ফলে এখানে লেখার মানের প্রতি তেমন কেউ খেয়ালও রাখেন না। খুব বেশি ভুল হলে পাঠক খোদ এসে হয়তো বলেন, “জনাব, আপনার লেখাতে বানানের অনেক সমস্যা পাচ্ছি।” এতে করে কোন ব্লগিং সাইট বা ফেসবুক গ্রুপ লেখক/ব্লগার তৈরি করতে পারছে না। শুরুর দিকে বাংলা ব্লগগুলোতে হাতে ধরে লেখা শেখানোর বিনয়ী নিয়ম থাকলেও এখন অবহেলা বেশি দেখা যায়।
৬. প্রুফরিডার (Proofreader)
প্রুফরিডার যে কোন লেখা প্রকাশের আগে সর্বশেষ একবার চোখ বুলিয়ে দেখেন যে, কোন ভুল থাকলো কিনা। যদি তিনি কোন ভুল বা লেখার মধ্যে সমস্যা দেখতে পান, তাহলে সেটা প্রকাশের আগেই সংশোধন করেন বা বাতিল করে দেন। এই পদ এখন এতটাই বিরল যে, অনলাইন নিউজ পোর্টালেও খুব বেশি বানান ভুল হতে দেখা যায়। আর ব্লগিং সাইট বা ফেসবুক গ্রুপের অবস্থা তো আরও খারাপ।
৭. সম্পাদনা সহকারী (Editorial Assistant)
সম্পাদনা সহকারী পুরো সম্পাদকীয় প্রশাসনকে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে রাখেন। তিনি সম্পাদক, রিপোর্টার, লেখক, এজেন্ট এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে কাজের সমন্বয় ঘটান। বড় বড় অনলাইন নিউজ পোর্টালে এমন পদ এখনো আছে, তবে সবাই এই পদ রাখেন না বা রাখতে পারেন না। এতে করে প্যানেল উক্ত নিউজ পোর্টালের চেয়ে অনেক বড় হয়ে যেতে পারে। ফেসবুক বা ব্লগিং সাইটেও এমন কোন পদ নেই। এডমিন বা মডারেটর এই দায়িত্বও পালন করেন।
৮. সহকারী সম্পাদক (Assistant Editor)
সহকারী সম্পাদকের কাজ হচ্ছে তার সিনিয়র সম্পাদকদের কাজে সহায়তা করা। অনেক কমিউনিটি গাইডলাইন, সম্পাদকীয় নীতি, ভুল টেমপ্লেট বা বানান হয়তো কারো চোখেই পড়ে না, তিনি এই জায়গায় এসে সে সম্পর্কে সিনিয়রদের জানান, অবগত করেন বা পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ অনলাইন নিউজ পোর্টালে এই ধরণের পদ নেই বলা চলে। ফলে অনেক কিছুই দৃষ্টিগোচর থেকে যায়।
বাংলাদেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালের অধিকাংশই ওয়ান ম্যান/উইমেন আর্মি বলা যেতে পারে। এখানে প্রধান সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক সব কাজ করেন। ব্লগিং সাইট বা ফেসবুক গ্রুপের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে কিছু কিছু ফেসবুক গ্রুপ বা ব্লগ আছে, যেখানে নিয়মিত লেখক সংখ্যা চারজন, কিন্তু এডমিন ও মডারেটরের সংখ্যা ১৪ জন।
বাংলাদেশের বাংলা ব্লগগুলো ডুবতে বসেছে। আমার মতে, এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বাংলা লেখকদের মূল্যায়ন না করা। এই সমস্ত ব্লগ (সামহোয়্যারইন ব্লগসহ) লেখকদের সম্পদ বলে মনে করা ছেড়ে দিয়েছে। এখন একজন লেখক তার সময় নষ্ট করে ফ্রি-তে একটি প্রবন্ধ উপহার দিচ্ছেন। এপ্রুভ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সেন্সরশিপ যেমন লেখনীতে বাধা হতে পারে, তেমনি লেখকদের/ব্লগারদের ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বাঁচানো সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুশকিল হচ্ছে, কোন ফেসবুক গ্রুপ, ব্লগ সাইট বা নিউজ পোর্টাল যদি তাদের প্ল্যাটফর্মে কোন লেখা শুধু প্রকাশ হচ্ছে বলে লেখকদের গর্ব করা উচিত মনে করে, তাহলে বেশিরভাগ লেখক লেখালেখি ছেড়ে দেবে। যত বড়ই ব্লগ হোক না কেন, লেখক ছাড়া তার কোন মর্যাদা নেই। কারণ লেখকরাই সবচেয়ে বড় পাঠক।
আপনি এডমিন বা মডারেটর, এটি আপনার দায়িত্ব, ক্ষমতা নয়। যদি এমন চলতে থাকে, তাহলে সব লেখক একদিন লেখা ছেড়ে দেবে কারণ দিনশেষে এরা লেখক, গাধা নয়।
ছবি: Bing Enterprise (Copilot Ai)
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৭
মি. বিকেল বলেছেন: তপন সাহেব, কিছুদিন আগেই তো আপনি ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়েছেন দেখলাম। এভাবে চলতে থাকলে হবে না, করলাম না ব্লগিং। কিন্তু কিছু না বলেই ছাড় দেবো? আপনি মনে হয় অনেক বিনয়ী মানুষ।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এআই দিয়ে আপনার ছবিটা বম্বের হিরোদের মত বানিয়েছেন, সুন্দর না বলে উপায় নেই। ঠিক বলেছেন লেখকরাই মুল সম্পদ ব্লগ বা ফেবু বা অনলাইন লেখালেখির প্লাটফর্মে। সবচেয়ে বড় কথা সময়ের সাথে আপডেট না হতে পারলে টিকে থাকা মুসকিল।
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৬
মি. বিকেল বলেছেন: কোথাও না কোথাও এই ব্লগে এতদিন যখন লিখছি একটু হলেও ভালোবাসি। অনেকের মত হয়তো প্রকাশ করতে পারি না কিন্তু আপনার এই কথাটি ভালো লেগেছে: সবচেয়ে বড় কথা সময়ের সাথে আপডেট না হতে পারলে টিকে থাকা মুসকিল।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি বলেছেন যে সামু ব্লগ লেখকদের সম্পদ মনে করা ছেড়ে দিয়েছে। অর্থাৎ আগে সম্পদ মনে করত। তা যখন সম্পদ মনে করত, তখন কীভাবে লেখকদের ট্রিট করত? আর এখন করছে না। তো কী করা উচিত লেখকদের জন্যে? ব্যক্তি আক্রমণ থেকে রক্ষা করার কথা বলছেন। এই সংক্রান্ত নীতিমালা ব্লগে আছে এবং কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবায়নও হয়। আচ্ছা, এটা ভালোভাবে করা ছাড়া আর কী করতে পারে ব্লগ এখানকার লেখকদের জন্যে?
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৩
মি. বিকেল বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকে এককথায় আমি কলম ধরতে শিখেছি, লেখাটা শিখেছি। এই ব্লগ না থাকলে আজ হয়তো এই লেখাটিও পেতেন না
১. আগে সম্পদ মনে করতো: এর উত্তরে শুধু বলতে চাই, আমার একেবারে প্রাথমিক দিকের লেখাগুলো দেখুন। ঐ লেখাগুলো মোটেই গোছানো ছিলো না তবুও ব্যক্তি আক্রমণ কম বরং গঠনমূলক অনেক মন্তব্য পেয়েছি। এখন রেফারেন্স দিয়ে গুছিয়ে লিখলেও ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে।
২. এই সংক্রান্ত নীতিমালা ব্লগে আছে এবং কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবায়নও হয়: এ বিষয়ে এই বাক্যের মধ্যেই উত্তর আছে। রিপোর্ট করা সত্ত্বেও কিছু কিছু মন্তব্য অত্যন্ত সাংঘর্ষিক হওয়া সত্ত্বেও সেটা মুছে দেওয়া হয় না। আর রিপোর্ট কেন করতে হবে? একজন লেখকে কি কোন দায়িত্ব ব্লগের নাই?
৩. এটা ভালোভাবে করা ছাড়া আর কী করতে পারে ব্লগ এখানকার লেখকদের জন্যে? নীতিমালায় অনেক কথা আমরা লিখে থাকি কিন্তু সমস্ত পালন করাও সম্ভব হয় না, এটা বুঝে আসে। কিন্তু ব্লগের প্রধান গুরুত্ব দেওয়া উচিত লেখকেদের প্রতি, তাদের লেখার প্রতি। যা একজন লেখক অনেক রিসার্চ করে হয়তো লিখেছেন তাকে আক্রমণ করা যাবে না এবং একই সাথে যিনি আক্রমণ করছেন তার ব্যাপারে নোটিশ জারি বা ব্লগে তার লেখা প্রথম পাতায় যাচাই না করে প্রকাশ না করা। আরো অনেক কিছুই করা যায়, যেমন, কেউ কারো বিশ্বাসে আঘাত করছে কিনা!, কেউ ইচ্ছেকৃত ভাবে কাউকে খেপিয়ে তুলছে কিনা, মানে সবসময় মডারেশনের জায়গায় রাখা উচিত।
৪. কী করা উচিত লেখকদের জন্যে? তাদের কে আরো নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। যেমন তিনি চাইলে ব্যক্তি আক্রমণের মন্তব্যগুলো অন্তত মুছে ফেলতে পারেন। আর নির্বাচিত পোস্টে আমার বা কারো লেখা যাওয়ার পূর্বে ভোটিং পোলও দেওয়া যেতে পারে। I mean more control... জেন জি কিন্তু এসব মন্তব্য সহ্য করবে না। এছাড়াও মডারেটরদের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে হবে। একজন মডারেটর চাইলেই কাউকে মিউট বা সেফ থেকে আন-সেফ জনে দেওয়া যাবে না। এখানেও ভোটিং থাকা জরুরী। কারা ভোট দেবে? লেখক প্যানেল।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি একাধারে একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। সেই সাথে মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত।
এতোগুলো কাজ একসাথে চালিয়ে যাচ্ছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনাকে সামুতে পেয়ে ভালো লাগছে।
আপনার সম্পাদনায় যে নিউজ পোর্টাল বা ব্লগসাইটগুলো চলছে, সেগুলোর লিংক পেতে পারি কি, প্লিজ?
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬
মি. বিকেল বলেছেন: 'আপনার সম্পাদনায় যে নিউজ পোর্টাল বা ব্লগসাইটগুলো চলছে, সেগুলোর লিংক পেতে পারি কি, প্লিজ?' - এটাই তো বড় সমস্যা। পোস্ট কি আমার ব্যক্তি পরিচয় নিয়ে? ঠিকাছে, উপরোক্ত লেখায় আমার পরিচয়ের যা যা ক্লেইম করেছি তা এখানেই দেবো। আর হ্যাঁ, সামহোয়্যারইন ব্লগ যদি শেষ হয়ে যায় কোন একদিন (আপনার একটি লেখা মতে), তবে আমি থাকবো, এই ব্লগ কে আমি শেষ হতে দেবো না।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনি কি আরেকটি ব্লগিং প্ল্যটফর্ম খুলতে চাচ্ছেন ?
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
মি. বিকেল বলেছেন: প্রায় হুবহু ফেসবুক সাইট টেস্ট পর্যায়ে আছে, এ বছরের আগষ্টের মধ্যে শুরু করার ইচ্ছে আছে: Click This Link
এছাড়াও একাধিক ব্লগ ও নিউজ পোর্টাল পরিচালনা করছি।
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: "আর হ্যাঁ, সামহোয়্যারইন ব্লগ যদি শেষ হয়ে যায় কোন একদিন (আপনার একটি লেখা মতে), তবে আমি থাকবো, এই ব্লগ কে আমি শেষ হতে দেবো না।'' ~ সাধুবাদ জানাই। অনেক শুভকামনা রইল।
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি আগে গোছানো এবং গঠনমূলক মন্তব্য পেতেন, এখন আক্রমনাত্মক মন্তব্য পান এই উক্তি কীভাবে "ব্লগ এখন আর লেখককে মূল্য দেয় না" এই উক্তিকে সমর্থন করে? আপনাকে কি ব্লগ মন্তব্য করে না ব্লগার? ব্যক্তি আক্রমণ সবসময়ই ছিল। আগে আরও বেশি ছিল। ব্লগ যদি খুব অর্থকরী কিছু হতো তাহলে একটা ফুল ফেইজড প্রফেশনাল সেট আপের মডারেশন প্যানেল থাকত এবং এসব সমস্যা তখন থাকত না। কিন্তু বাস্তবতা বিরুদ্ধে।
আপনি চাচ্ছেন মডারেটরের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে। সব ক্ষমতা থাকার পরেও ব্লগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, আর ক্ষমতা কমিয়ে দিলে কী হবে?
কী করা উচিত লেখকদের জন্যে? তাদের কে আরো নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। যেমন তিনি চাইলে ব্যক্তি আক্রমণের মন্তব্যগুলো অন্তত মুছে ফেলতে পারেন। - এই অপশন তো এখনও আছে। আপনি আপনার ব্লগের ব্যক্তি আক্রমনাত্মক মন্তব্য মুছে ফেলতে পারবেন।
শুভ ব্লগিং।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: খুব একটা খারাপ বলেননি! অনেকাংশেই সহমত আপনার সাথে।