তিন কথার তালাক

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

তিন কথায় "তালাক" ব্যাবস্থার মাধ্যমে গ্রামের ধনবান ব্যাক্তিবর্গ, মোড়ল শেনী গোষ্ঠীর পাশাপিশি ও শহড়ের-ও এক শ্রেনীর বুদ্ধিজিবী ওদের পশুত্ব শক্তির উদ্ভব ঘটিয়ে তিন কথার তালাক ব্যাবস্থার কারনে বা ইসলামী আইন থাকায় নিরঅস্ত্র সরল মনা মহিলাদের মানুষীক ভাবে নির্যাতন তো করেই এবং পাশাপাশি পরকীয়া প্রেমে জরিয়ে কথায় কথায় তালাক দিয়ে থাকে । জন্ম দাতা পিতা-মাতা ও ভাই বোনের স্নেহ মায়া মমতা ত্যাগ করে পৃথিবীর সকল বিপ্লবের বিজয় ঘটিয়ে শহড় বা পল্লী গ্রাম থেকে আসা কোন এক নারী যখন অজানা অচেনা নতুন এক সংসারে এসে নতুন করে ঘড় বাঁধতে শুরু করেন তখন তার সেই কাংখিত পুরুষ মানুষটি এতোদিন লুকিয়ে রাখা মনের ভিতরের পশুত্ব ভাব বাহিরে প্রকাশ করে, শুরু করে স্ত্রীর উপর অস্বাভাবিক আচরন । এই অস্বাভাবিক আচরন একদিন জন্ম দেয় নির্মম নৃসংশতম অমানবিক নাটকীয় বাস্তব কাহিনীর ।
প্রত্যেক মানুষ খারাপ, আবার প্রত্যেক মানুষই ভাল, আমাদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনে স্রষ্টা বলেছেন, মানুষকে সুন্দরতর বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, আবার তাকে নিচ থেকে নীচত্বর করা হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের মধ্যেই মনুষ্যত্ব ও পশুত্বভাব পাশাপাশী বাস করে । তবে ঐ সব পশুত্ব শক্তিধারী মানুষগুলোর মধ্যে মনুষ্যত্বের তুলনায় ও পশুত্বের স্বভাব-ই বেশি বিদ্যমান, তাই তারা অবলা নারী পেয়ে কথায় কথায় তাদের তালাক দিয়ে থাকে, এতে ভুক্তভোগী মা তো আছেন-ই, তার পাশাপাশি সন্তানেরা-ও অনাথ হয়ে পরে, অল্প বয়সেই বঞ্চিত হয় মাতৃ স্নেহ থেকে, আর সেখানে নারীর কোন অধিকার বৈধ করা হয়নি । তাই সব ধর্ম বা সমাজ ব্যাবস্থা থেকেই ( যে সব ধর্মে তিন কথার তালাক ব্যাবস্থা রয়েছে ) তিন কথার তালাক ব্যাবস্থা উচ্ছেদ করে নারী এবং এবং শিশু নির্যাতন চিরতরে নির্মূল করে এক আধুনিক ইতিহাস তৈরী করতে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের এই স্মার্ট প্রজন্মের ।

০ টি +০/-০