নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার গর্ব, বাংলাদেশ আমার অহংকার

মিঃ সালাউদদীন

আমি জন্ম সূত্রে বাংগালী, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, যে ভাষাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন সালাম রফিক বরকত জব্বার সহ হাজার হাজার ভাষা প্রিয় বাংগালী । আমি বাংগালী, বাংলা আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ, যে দেশকে স্বাধীন করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন আরো ত্রিশ লক্ষ স্বাধীনচেতা বাংগালী পুরুষ এবং নারী, বীরাঙ্গনা হয়েছেন আরো হাজার হাজার মা বোন । বাংলাদেশ আমার গর্ব, বাংলাদেশ আমার অহংকার ।

মিঃ সালাউদদীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলক ( এক )

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

সকাল হতেই গাড়ীর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় পুলকের, কিন্তু আজ একটিও গাড়ীর শব্দ পাওয়া যায়নি, তবুও পুলক জেগে উঠেছে ঘুম থেকে । গত রাতে খবরে বলেছে ; তুষার পরবে প্যারিস সহ আশেপাশের শহর-গুলোতে, ৮ থেকে ১০ সেন্টিমার স্তরে বেধে জমা হবে তুষার, আর সেই তুষার দেখার জন্যই ঘুম থেকে উঠা । প্যারিসে সাধারনত তুষার পরেনা, আর পরলেও তা মাটিতে জমা হয় না, মাটিতে পরার সাথে সাথে তা পানিতে পরিণত হয়ে যায় ।
প্যারিসে সর্বশেষ তুষার পরে ছিলো সেই ২০১০ এ, কিন্তু তখন পুলকের বয়স মাত্র ৬ মাস । এখন ওর বয়স ৮ বছর । পুলক এর আগে যে কখনও তুষার দেখিনি তা নয়, বেশ কয়েক বার শীত মৌসমে লন্ডন, বার্লিন, কোপেন হাগ, জুরিখ শহর ভ্রমন করেছে ওর বাবা মার সাথে । এছাড়াও, শীতের ছুটিতে স্কুল থেকে একবার নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো "মিরন" ( ইটালী ফ্রান্সের বর্ডার ফ্রান্সের একটি পার্বত্য অঞ্চল ) পাহাড়ের চুড়ায়, সেখানে স্কী খেলার ব্যাসায়ীক ভালো ব্যাবস্থা রয়েছে এবং সেখানে তাদের স্কী খেলার প্রশিক্ষণ-ও দেয়া হয়েছিলো ।
এক দিন এক বিপদে পরে বেশ ভয়-ও পেয়েছিলো পুলক ও তার সঙ্গীরা, যারা স্কী খেলায় পুলকের মতই একেবারে নতুন । এর নেপথ্যে ছিলো গ্রুপ প্রধান স্কুল শিক্ষক এবং তার দ্বায়িত্ব হীনতার অভাব । প্রচুর তুষার পরা সহ তুষার ঝড় হবে এ সংবাদ আবহাওয়া বার্তা বার বার জানালেও গ্রুপ প্রধান স্কুল শিক্ষক পুলক ও তার সঙ্গীদের নিয়ে যায় স্কী স্পটে, হঠ্যাৎ করে প্রচুর তুষার পরা সহ সুরু হয় তুষার ঝড় । একদিকে পুলক ঠান্ডা হিম শীতল বাতাসের কারনে চোখ খুলতে পারতে ছিলোনা, অপর দিকে চোখ খুলতে পারলেও কয়েক সেন্টিমার দূরে কি আছে তা-ও দেখতে পাচ্ছিলো না, একই অবস্থা তার সঙ্গীদের-ও । পুলকের ভাষায় "আমরা এমন এক অন্ধকার গুহায় প্রবেশ করেছি যেখানে নিজের অবস্থান ছাড়া আর কাউকে-ই অনুভব করতে পারছিলাম না এবং এ অন্ধকার গুহা-ই যেন আমাদের শেষ ঠিকানা" । সেখানকার আরো কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলো পুলক ও তার সঙ্গীরা । সেখানে তাদের পরিমান মত খাবার পরিবেশন করা হতোনা এবং তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে ১৫ থাকা অবস্থায়-ও প্রতিদিন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে যেতে হতো নাস্তার টেবিলে, কারন গরম পানির ব্যাবস্থা ছিলো অচল, শীতকালীন সরঞ্জাম আগে থাকতেই মেরামত করার কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি, কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেয়ার পরও তা মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি, এতোই ইগনোর করাহয়েছিলো শিশু বয়স অতিক্রম করা বালক বালিকাদের উপর । এসব তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আজও পুলক ভুলে নাই এবং এসব কথা প্রায়ই বলে, যা শুনে ওর বাবা মার চোখে আজও পানি জমা হয় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.