নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার গর্ব, বাংলাদেশ আমার অহংকার

মিঃ সালাউদদীন

আমি জন্ম সূত্রে বাংগালী, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, যে ভাষাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন সালাম রফিক বরকত জব্বার সহ হাজার হাজার ভাষা প্রিয় বাংগালী । আমি বাংগালী, বাংলা আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ, যে দেশকে স্বাধীন করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন আরো ত্রিশ লক্ষ স্বাধীনচেতা বাংগালী পুরুষ এবং নারী, বীরাঙ্গনা হয়েছেন আরো হাজার হাজার মা বোন । বাংলাদেশ আমার গর্ব, বাংলাদেশ আমার অহংকার ।

মিঃ সালাউদদীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস থেকে নেয়া ( বাংলা ভাষার উৎপত্তি )

১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪



ধর্ম বর্ন গোত্র নাই, সবাই আমরা ভাই ভাই । ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং বন্ধু রাষ্ট্র, ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব আরো শক্তি শালী এবং দীর্গ জিবী এটাই আমার কাম্য । কিন্তু ইতিহাস থেকে জানা, অন্যায় বা রাষ্ট্রদ্রোহী কোন অপরাধ নয় ।
খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি । আরিয়ানরা ( আর্য জাতি, যারা দলবদ্ধ হয়ে পশু পালন করতো, তারা অগনিত পশু নিয়ে, ঘাষ আচ্ছাদিত অঞ্চলে অঞ্চলে গমন করতো এবং এসব এলাকার ঘাষ শেষ হয়ে গেলে নতুন আর এক অঞ্চলে বেছে নিতো, মোট কথা, তারা যাযাবর জীবন যাপন করতো এবং এ ভাবেই তারা বাংলা অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করে ) বাংলায় বসতি স্থাপন করে তারা সংস্কৃত ভাষার সাথে তাদের ভাষা মিলিয়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য জন্ম দেয় নতুন এক ভাষা, যা হলো "বাংলা ভাষা" এবং তা থেকেই সৃষ্টি হয় বাংলা সাহিত্যের, কিন্তু আরো অনেক পরে । বাংলায় আরিয়ানদের বসতি স্থাপন কালে এবং বাংলা ভাষার উৎপত্তিতে ইসলাম ধর্মের জন্ম হয়নি । প্রায় সবাই বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে আসে, কিছু গোয়ার গোবিন্দ বা কান্ড জ্ঞান হীন অনেকে এতোই বাড়াবাড়ি করে যে,- রবীন্দ্রনাথের জন্ম না হলে বাংলা ভাষারও জন্ম হতো না ? এই গোয়ার গোবিন্দ সর্ব কালেই ছিলো, এখনও আছে এবং থাকবে, সুতরাং তাদের কান না দিয়ে সত্য জানাটাই মুখ্য বিষয় । নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করলে যে প্রশ্নটি আসে, তা হলো : সেই আড়াই হাছর আগে যে ভাষার সৃষ্টি, সে ভাষার প্রতি ১৮৬১ সালের জন্ম নেয়া রবীন্দ্রনাথের কি অবদান থাকতে পারে ? তখন তো রবীন্দ্রনাথের কোন নাম গন্ধও ছিলনা । রবীন্দ্রনাথ তো কোন নবী বা পয়গম্বর নয় যে, তার জন্মের পূর্বে পূর্বাবাস দেয়া হয়েছে তার আগমন বার্তা, যাতে বর্নিত হয়েছে বাংলা ভাষার জন্ম কথা ?
অনেকে ৫২"র ভাষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে বঙ্গবন্ধুর অবদান কে ম্লান করে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ কে দাড় করান, যা স্বাধীনতা কামী সমস্ত বাংগালীর জন্য এক অপমান জনক ব্যাপার । আরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে রবীন্দ্রনাথের অবদান থাকবে তো দূরের কথা, সে তো বরং বাংলাদেশ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, রবীন্দ্রনাথ যদি বাংলাদেশ স্বাধীনতার বিরোধিতা না করতো তাহলে তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয় সেই ১৯০৬ সালে । সেই সময় রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পতিষ্ঠা করার বিরোধিতা করে ।
রবিন্দ্রনাথ শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, ১৯০৬ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনেরও বিরোধিতা করেছিলো, এই কথা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য । শুধু তাই নয়, আমি জোর করে বলতে চাই ;- পূর্ব বাংলায় যথা বাংলাদেশে রবিন্দ্রনাথের উপস্থিতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে ম্লান করে দিয়েছে, প্রতি বৈশাখে লাল পাড়ের সাদা ধুতি পড়ে রবীন্দ্র পূজারীরা বঙ্গবন্ধুকে করছে অবহেলা আর অসম্মান । ইতিহাস কাউকে ভয় পায়না, ইতিহাস মাথা নত করতে জানেনা । ইতিহাস থেকে জান, ইতিহাস আমার তোমার সবার ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.