![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কাল্পনিকতা পছন্দ করিনা, আমি বাস্তবতাকে খুব বেশি পছন্দ করি
প্রথমে বন্ধুগণদের সাথে সিগারেট অথবা ডেনডি অথবা গাজা আর যাদের একটু ভালো সামর্থ্য আছে তাদের জন্য বাংলা মদ তার চেয়ে একটু ভালো হলে বিদেশি মদ, ফেনসিডিল, সব মিলিয়ে নেশার খোরে ডুবে যাচ্ছে যুব সমাজ। শেষ পরিনতি না বুজে যারা একটু একটু করে নেশার জগতে পা রাখে তাদের সবারই গন্তব্যের সাধনার জগৎ থেকে অনেক দুরে । অনেক শিক্ষার্থীর সময়টা যখন লেখাপড়া ও খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা হলেও তারা এখন অনেকেই এমন এক জগৎতের বাসিন্দা হবার পথে সেই জগৎ থেকে ফিরে আসা একেবারেই অসম্ভব। *(এটা তো সব সময় খাইনা, এমনে একটু সখ করে খাচ্ছি, পরে আর খাবো না)* সিগারেট শুরুর প্রথম দিকে যে কারো একজনের বক্তব্য শুনতে চাইলে পৃথিবীর সবাই হয়তো এমন উত্তরই দিবে, কিন্তু আসলে সিগারেটের নেশা কয় জনকে ছেড়েছে এ কথা সিগারেট আসক্তরাই শুধু জানে। যারা স্কুলে যায় তাদের শুরুটা তো সিগারেটে, আরা যারা স্কুলে ব্রেঞ্চে গিয়েও গা ঠেকাইনি তাদের শুরুটা আবার অন্য ভাবে। চোখ ভরা স্বপ্ন থাকার কথা পৃথিবীতে তাদের সারা দিনের কাজকর্ম ছুটে চলার আসল মুল লক্ষ্য নেশা করা। এসবের মধ্যে অধিকাংশই যাদের বাস্থ হারা, আমরা যাদেরকে টুকাই বলে থাকি। মা- বাবা না থাকা অথবা সামাজিক অবহেলা ভৈষম্যের দুঃখ ভুলতে এরা অল্প বয়স থেকে নেশা দিয়ে শুরু করে মরন খেলা। শুরুটা সিগারেট কিংবা ডেনডি থেকে হলেও পরেরটা অনেক ভয়াবহ কিছু ভালো পরিবারের সন্তানরা ভুল করে নেশার জগৎ এ আস্তে আস্তে ডুকার পর গাজা, মদ, ফেনসিল, এমনকি হিরোইন। কিছু স্বচ্ছ পরিবারে সন্তানরা এসবের মধ্যে জড়িয়ে যায়। তার মা বাবাদের কাছে অপমান ও লজ্জা জনক হলেও এর পিছনেও যুক্তি আছে নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য। নেশার জগৎতে আরেক দলে নাম মেয়েরা, তারাও বন্ধুদের সাথে ও নানা কারণে জড়িয়ে যায় এই নেশার জগতে,ইনজেকশন, মদ, হিরোইন, ইত্যাদি অনেক কিছুই তারা ব্যবহার করে থাকে। এসব নেশা ছেলেদের চাইতে মেয়ের আরো বেশি ক্ষতিকারক। যাদের কাছে মদ বেশি প্রিয় কিন্ত তারা জানেন যে মদ কি দিয়ে তৈরি হচ্ছে- নানা ধরেনের পচাঁ সামগ্রী ও গরুর মূত্র। এসব প্রতিরোধের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের প্রশাসন কি করচ্ছে ?
* দুলাল কৃষ্ণ সাহা মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রধান পরিক্ষক। দীর্ঘদিনের এই পরীক্ষাকারী এই পদটির সুবাদে এক সময় সরিষা তৈল ফেরিওয়ালার ছেলে এখন ঢাকা শহরের কয়েকটি ফ্যাট এর মালিক। পরিক্ষাকারক তার অধিনস্থ কয়েকজনের দাবি ভারতের দুলাল তৈরি করেছে কয়েক কোটিটাকা বাড়ী । পুলিশ, র্যাব যে ঝূর্কিপূণ নিয়ে মাদকদ্রব্য আটক করে, আর দুলাল তার আকার ধারন করা রির্পোট পাল্টে হিরোইন কে বানায় আটা, গাজাকে বানায় লাউয়ের ডুগা, আর ইয়াবাকে বানায় ভিটামিন ট্যাবলেট। এই দুলালের চেয়ার এতো শক্ত যে তার উপরের চেয়ার লড়লেও তার চেয়ার লড়াবার কারো ক্ষমতা নেই। তাকে নাকি চেয়ার থেকে সড়ালে নাকি আর্ন্তজাতিক চাপ আসবে।*
নিয়ন্ত্রকের দূর্নিতিতে আর মাদ্রক দ্রব নিয়ন্ত্রহীন ছেড়ে দেওয়ার জন্য আজ বাংলাদেশের মাদক ব্যবহার কারীরা হাত বাড়ালেই তাদের চাহিদা মতো নেশা জাতীয় মাদকদ্রব পাচ্ছে। নেশার চুবুল থেকে মানুষকে দূরের রাখার দুটি পদ্ধতি বিশ্বে জুড়ে প্রচলিত রয়েছে। এর ১টি হলো সচেতন হয়ে মাদকদ্রব উন্মুক্ত করে দেওয়া আরেকটি হলো মাদকদ্রব প্রদর্শন বাজার জাতকরণ নিয়ন্ত্রন করা। কিন্ত এসবের কোনটাই মানা হচ্ছে তখন মাদকের থাবা বাচাঁনোই এখন মানুষের বড় চ্যালেঞ্জ।
©somewhere in net ltd.