![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কাল্পনিকতা পছন্দ করিনা, আমি বাস্তবতাকে খুব বেশি পছন্দ করি
আমাদের দেশেও আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যতটুকু অবশেষ দেশে ছিলো তা-ও ধ্বংস করে চলেছে। পুনরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রহসনমুলক একটি নির্বাচন করে জনগণের ন্যূনতম ভোটাধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের বিপক্ষে যাচ্ছে দেখে ভোট ডাকাতি চালিয়েছে। এখন সম্প্রচার নীতি, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার নামে প্রচার মাধ্যম ও বিচার বিভাগের ওপর খবরদারি বাড়াতে চাইছে। বিরোধীদের দমনের জন্য রাষ্ট্রী বাহিনীর হাতে বিনা বিচারে হত্যা-গুম-ক্রসফায়ারের লাইস্নে তুলে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতি, লুটপাট, দখল, চাঁদাবাজি, প্রশাসনের দলীয়করণ সীমা ছাড়িয়েচে। সরকারি দলের আশ্রিত গডফাদার ও সন্ত্রাসীদের দাপটে জননিরাপত্ত বিপন্ন। ‘উন্নয়নের জোয়া’- এর কথা বলা হচ্ছে, অথচ এবারও বন্যায় বিপর্যস্ত লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে ত্রানের জন্য আহাজারি করতে দেখা গেল।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানেরা নামে স্থাপিত রেন্টাল-কুইক রেন্টাল নামের লুণ্ঠনকারী বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সংসদে ‘দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের বিশেষ বিধান’ নামক আইনের মেয়াদ আরও ৪ বছর বাড়িয়ে অর্থলোপাটকারী ও সহযোগীদের যাতে বিচার করা না যায় তার জন্য দায়মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমুদ্রের গ্যাস- তেলসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা না করে জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তিতে বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেয়া হচ্ছে। উন্নয়ন নামে পরিবেশ ও মানুষের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টিকারী রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎপ্রকল্প এবং উন্মুক্ত কয়লাখনি বাস্তবায়নে তৎপর সরকার কোনো প্রতিবাদ-ভিন্নমতে কান দিতে রাজি নয়। মহাজোট সরকার চটকদার নানা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে বাংলাদেশকে ‘মধ্য আয়ের দেশ’ বানাতে চায়। অথচ এদেশে শ্রমিক ন্যায্য মজুরি পায় না, কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত, যুবকদের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই, ছিন্নমূল বস্তিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ব্যয়বহুল শিক্ষা-চিকিৎসা, ক্রমবর্ধমান বাড়ি ভাড়া-গাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ- পানি-গ্যাস-ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রায় অসহনীয় ব্যয়বৃদ্ধিতে সীতিত আয়ের মানুষ বিপর্যস্ত
©somewhere in net ltd.