নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারণ মানুষ! লিখতে ভালোবাসি তাই লেখার সাথে একটু সহবাস!

Arfin Sani

লেখার সাথে একটু পরিচয় আছে। আর সেই পরিচয় থেকেই লেখার প্রতি ভালোলাগা অতঃপর ভালোবাসা! তাই কলম হাতে নিয়ছি!

Arfin Sani › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আবিরের প্রেম নিবেদন"-১

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২



.
বেশ কিছুক্ষণ ধরেই শুক্রাবাদ পার্কে বসে আছি! নাদিয়া আসতে বলেছে। জরুরী তলব। কিছু একটা বলবে হয়তো! ফোনে বললো, 'খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা, সামনাসামনি বলতে হবে!'
কিছুটা বুঝতে পারছি, সে কী বলতে চায়। তাই আমি একটু আগেভাগেই এসে বসে আছি! অবশ্য নাদিয়া ডাকলে আমিই আগে আসি। কারন আপাতত আমার কোনো কাজবাজ নেই! আমি আগে আসি আর নাদিয়া পরে এসে দেরী করার কারন বর্ণনা করে। যদিও আমি কখনোই কোনো কারন জানতে চাই না!
তিনমাস আগে এক শপিংমলে নাদিয়ার সাথে আমার সিনেমেটিক পরিচয় হয়েছে! আসলে পরিচয়ের পর থেকে সবকিছু যেন সিনেমেটিক ভাবেই চলছে! প্রথমে শপিংমলে অপ্রস্তুত ভাবে হাঁটার সময় নাদিয়ার সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেছিলাম! প্রচুর মানুষ ছিলো সেখানে, ভরা মজলিসে ওভাবে পড়ে যাওয়া আসলেই লজ্জাজনক ছিলো! আমারচে' নাদিয়ার দোষটাই বেশি ছিলো, তাই হয়তো ও সে নিজেও অনেক লজ্জা পেয়েছিলো! এবং সেদিন তার লজ্জারাঙ্গা-মুখ সত্যিই দেখার মত ছিলো!
পরবর্তী দেখা হয়েছিলো ধানমন্ডি লেকের পাড়ে! একা বসে বাদাম খাচ্ছিলাম, পেছন থেকে নাদিয়া নিজে এসেই কথা বলেছিলো এবং সেদিনের ঘটনার জন্য কয়েকবার সরি বলছিলো! তারপর আমরা আস্তে-আস্তে ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম!
নাদিয়ার মত এমন মেয়ে আমি সত্যিই আগে কখনো দেখিনি! স্কুল,কলেজ বা ভার্সিটিতে যখনই বন্ধুদের,বান্ধবীদের সাথে আড্ডায় বসি, তখন মেয়েদের ভেতর শাড়ী-চুড়ি, গহনাগাঁটি বা কোন ছেলে আজ রঙচটা টিশার্ট পরে ভার্সিটিতে এসেছে এসবের গল্পই চলতে থাকে!
নাদিয়া খুব চঞ্চল! অনেক কথা বলে! তবে তার কথার অধিকাংশই হলো, বই, সমাজ,পরিবেশ বা পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে! নাদিয়াকে যতই দেখি মুগ্ধ হই! তাকে ভালো লাগার অন্যতম কারন হলো, সে কবিতা খুব পছন্দ করে! আমি মাঝেমধ্যে যে ভাঙ্গা-ভাঙ্গা শব্দ লিখি, তা নাদিয়াকে শুনাই আর সে অনেক মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং সেখান থেকে কিছু পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে দেয়! কবিতার ব্যাপারে তার দখল সত্যিই অভাবনীয়!
.
আজকের অপেক্ষা একটু বেশিই দীর্ঘ হচ্ছে। এপর্যন্ত চার কাপ চা খেয়ে ফেলেছি, পাঁচ নম্বার কাপের জন্য চা-ওয়ালাকে বললাম তখনি পেছন থেকে ডাক আসলো,
-'আবির! আমি অনেক সরি! অনেক দেরী হয়ে গেলো। আসলে, আগেই বেড়িয়েছি কিন্তু রাস্তায় একটু দেরী হয়ে গেছে!' একদমে কথাগুলো বলে থামলো নাদিয়া।
আমি তাকে কিছুই বললাম না। অপলক তাকিয়ে -তাকিয়ে তার কথা শুনছিলাম!
-'কী হয়েছে আবির?' প্রশ্ন করলো নাদিয়া।
-'কই, নাহ! কিছুই হয়নি!' সোজা হয়ে বসলাম আমি!
-'তাহলে অমন করে বসে আছো কেনো?'
-'এমনি! আচ্ছা, তুমি যেনো কী বলতে চেয়েছিলে!' উৎসুক হয়ে জানতে চাইলাম!
-'ও হ্যাঁ! আমরা বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার যাচ্ছি। তুমি যাবে?' উৎসাহি কণ্ঠে জানতে চাইলো নাদিয়া!
আমি কিছুটা ভড়কে গেলাম! একটু নড়েচড়ে বসলাম, হয়তো আমার চেহারায় একটু পরিবর্তন হয়েছে! তা দেখেই নাদিয়া জানতে চাইলো,
-'কী ভাবছো আবির?!'
- 'কিছুই ভাবছি না! আসলে সামনে তো এক্সাম! তাছাড়া.....
-'ওসব বাদ! এক্সাম এখনো অনেক দেরী। তোমার কথা বন্ধুদের বলে রেখেছি! তাই তুমি যাচ্ছো!' আমাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই কথাগুলো বলে ফেললো নাদিয়া!
-'আচ্ছা, কবে যাচ্ছো?'
- 'আগামী দশ তারিখ! তুমি প্রস্তুত থেকো। আমি এখন যাই।' বলেই উঠে দাঁড়ালো নাদিয়া। এবং কিছু বলার আগেই হাঁটা শুরু করলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
নাদিয়াকে কিভাবে কথাগুলো বলবো বুঝতে পারছিনা! কিন্তু বলতে হবেই, যেভাবেই হোক! তাই ভাবলাম, সমুদ্রের কাছে যেহেতু যাচ্ছি তাহলে সমুদ্রকে সাথে নিয়েই বলবো!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.