নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হাসতে পছন্দ করি, হাসাতে চেষ্টা করি , মানুষের সাথে দুষ্টামি করতে ভালোলাগে, দুষ্টামি করলে অনেকেই মাইন্ড করে , আর আমার তখন খুবই খারাপ লাগে , মনে মনে ভাবতে থাকি যে হয়তো বেশিই দুষ্টামি করে ফেলেছি,পরোক্ষনে আবার ভুলে যায়ে দুষ্টামি শুরু করি, আমার ব্রেনে কোন স

মোহামদ শাকিল

আমি হাসতে পছন্দ করি, হাসাতে চেষ্টা করি , মানুষের সাথে দুষ্টামি করতে ভালোলাগে, দুষ্টামি করলে অনেকেই মাইন্ড করে , আর আমার তখন খুবই খারাপ লাগে , মনে মনে ভাবতে থাকি যে হয়তো বেশিই দুষ্টামি করে ফেলেছি,পরোক্ষনে আবার ভুলে যায়ে দুষ্টামি শুরু করি, আমার ব্রেনে কোন সমস্যা আছে কি না জানি না , আমি কোন কিছু মনে রাখতে পারি ন, কিছুক্ষন মাথায় থাকে,তারপর ভুলে যাই, কার ও সাথে রাগ করি না, যদি কখনো কারো সাথে রাগ করি তাইলে তার সাথে আর কখনো কথা বলি না, আমি একবার যা বলি তাই করি, এজন্য আমাকে কেউ দেখতে পারে , আমার আচরণ খুবই খারাপ, আমি তেমন smart না, গরীব বাবা,মার দিত্বীয় সন্তান, একটু লাজুক টাইপের, মেয়েদের সাথে ঠিক মত কথা বলতে পারিনা, কথা বলতে গেলে মুখে কথা আটকে যায়, বুক ধব,ধব করতে থাকে, মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকার মত সাহস নেই, এক নজর, একবার ই এক সেকেন্ট তাকাতে পারি, আর সাহস হয় না, এসব কারেনে এখনো কেউ জোটে নি, তবে এ খনকাউকে জোটানোর মত ইচ্ছে ও নেই, এখনো খুবই ছোট আমি !

মোহামদ শাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কখনো কখনো ভালবাসা রক্তের সাথেও বেঈমানি করে

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

- হ্যালো রফিক , সীমা বলছি ।

- কি খবর ? কার নাম্বার থেকে ফোন

করেছ ?

- বাবার নাম্বার । আমার

মোবাইলে ব্যালান্স নেই ।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা ছিল ।

- বল

- পরশু থেকে তোমার সাথে আমার আপাতত

দেখা হচ্ছে না ।

- মানে ? কি বলছ ?

- বাবা সিলেটে বদলি হয়েছেন । তাঁর

সাথে আমাদের ফ্যামিলির

সবাইকে সিলেটে যেতে হবে ।

- এসব কি বলছ ?

- যেটা ঘটতে যাচ্ছে সেটা বলছি ।

- তোমার জব ?

- ভাবছি , সিলেটের এক কিন্ডার

গার্টেনে জয়েন করব ।

বাবার বন্ধুর কিন্ডার গার্টেন ।

- প্লিজ , তুমি ঢাকা থেকে যাও ।

- ঢাকায় কোথায় থাকব ?

- কোন আত্মীয়ের বাসায় ।

- থাকার মত ঢাকায় আমার আত্মীয়দের

কোন বাসা নেই ।

- ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাক !

- একা একা ?

- তুমি চাইলে আমি তোমার সাথে লিভ

টুগেদার করতে পারি ।

- ফাজলামো করবে না ।

- আই এম সিরিয়াস ।

- পারলে না তো একটা চাকরি খুঁজে বের

করতে । তোমার

ইনকামের একটা সোর্স

থাকলে তোমাকে বিয়ে করে ঢাকায়

থেকে যেতাম ।

- কিছুই কি করার নেই ?

- না । নেই । চাইলে আজ সন্ধ্যায় আমার

সাথে লাস্ট মিট

করতে পারো । কবে না কবে দেখা হয়

কে জানে ! পকেটে হাত দিয়ে রফিক

দোমড়ানো মোচড়ানো কয়েকটা পুরনো ৫

টাকার নোট বের করল ।

গুনে দেখল , ২০ টাকা আছে ।

২০ টাকা নিয়ে কোন অবস্থাতেই সীমার

সাথে দেখা করা যায় না ।

কারন , রফিকের যতই অভাব

থাকুক না কেন , সীমার কাছ থেকে কখনই

সে খাবার-

দাবারের বিল , রিকশা ভাড়া নেয় না ।

যদিও সীমা তাকে অনেক

সাধাসাধি করে ।

রফিক মনে করে , এসব ক্ষেত্রে সীমার

কাছ

থেকে টাকা নিলে সীমা তাঁর উপর

সময়ে অসময়ে কতৃত্ব

খাটানোর চেস্টা করবে ।

ধারণাটা অমূলক নয় । মেয়ে মানুষের

মনের অন্তর্নিহিত ইচ্ছে হল বয়ফ্রেন্ডের

উপর খবরদারি করা । আর

সেটা টাকা নামের

ইস্যু ধরে হলে তো কথাই নেই !

যে কোন ভাবেই হোক রফিককে মিনিমাম

৩০০ টাকা যোগার

করতে হবে । সীমার

সাথে কথা হয়েছে সে বি.এফ.সি তে আসবে ।

ওখানে ২ পিস চিকেন ফ্রাইয়ের

খেতে গেলেও

৩০০ টাকা লাগে ।

অনেকের জন্য ৩০০ টাকা ম্যানেজ করা ৩

সেকেন্ডের কাজ ।

কিন্তু রফিকের ফ্যামিলির অবস্থা এমন

যে ৩০০ টাকায়

তাদের একদিন চলে যায় । মায়ের

সামনে দাড়িয়ে রফিক ৩০০ টাকা চাইবে

আর তাঁর মা নিমেষেই

আলমারি খুলে ৩০০ টাকা বের

করে দিবে এটা অসম্ভব

কোন কল্পনা ।

এমন সময় এলাকার এক ছোট ভাই

এসে রফিক কে জানালো তাঁর বড় বোনের

নাকি এক্টোপিক

প্রেগন্যান্সি হয়েছে । প্রচুর রক্তক্ষরণ

হচ্ছে । অপারেশন

না করলে নাকি সে বাচবে না , আর

অপারেশনের জন্য

দরকার ও পজিটিভ ব্লাড । রফিকের

রক্তের গ্রুপও ও পজিটিভ । দ্রুত

এলাকার ছোট ভাইয়ের

সাথে সে হাসপাতালে ব্লাড

দিতে চলে গেল ।

ব্লাড দিয়ে বিকেলের মধ্যেই ক্লান্ত

শরীর নিয়ে রফিক সীমার

সাথে বি.এফ.সি তে দেখা করল । দুই

পিস চিকেন ফ্রাই সে সীমার

সামনে রাখলো ।

সীমা রফিককে খেতে অনেক

সাধাসাধি করলো । কিন্তু রফিক

সীমাকে মিথ্যে জানালো যে বাসা থেকে

সে ভরপেটে খেয়ে এ

তাঁর খুব বমি বমি ভাব হচ্ছে । ক্লান্ত

শরীর , কিন্তু

তৃপ্তি ভরা চোখে সে সীমার খাওয়ার

দৃশ্য দেখলো । এর পরের হিস্ট্রি অনেক

করুন ।

সীমা রফিককে ছেড়ে বাবা , মায়ের

সাথে সিলেটে চলে গেল ।

একটা কথা আছে , চোখের আড়াল

হলে মনের আড়াল । প্রথম প্রথম

সীমা রফিককে দিনে ১ বার ফোন দিত ।

কিছুদিন পর দিত

সপ্তাহে ১ বার , তাঁর

কিছুদিন পর মাসে একবার ।

এখন ও সীমা রফিক কে ফোন দেয় ।

বছরে একবার ।

রফিকের জন্মদিনে ।

কিভাবে ডেইলি দিবে সীমা ?

সে তো তাঁর হ্যাজব্যান্ড আর

ছেলেমেয়ে নিয়ে ব্যস্ত ।

এখনো প্রতিটা রাতে সীমাকে রফিকের

মনে পড়ে ।

মনে পড়ে লাস্ট বি.এফ.সি তে শেষ

দেখা হওয়ার কথা ।

মনে পড়ে ৩০০ টাকা যোগার করার ঘটনার

কথা ।

ও পজিটিভ ব্লাড দিয়ে সে এলাকার

ছোট ভাইয়ের কাছ

থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছিল । রক্ত

বেচা টাকা দিয়ে সে সীমাকে খাইয়েছিল



কখনো কখনো ভালবাসা রক্তের সাথেও

বেঈমানি করে ।

[ সত্য ঘটনা অবলম্বনে ।]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.