নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হাসতে পছন্দ করি, হাসাতে চেষ্টা করি , মানুষের সাথে দুষ্টামি করতে ভালোলাগে, দুষ্টামি করলে অনেকেই মাইন্ড করে , আর আমার তখন খুবই খারাপ লাগে , মনে মনে ভাবতে থাকি যে হয়তো বেশিই দুষ্টামি করে ফেলেছি,পরোক্ষনে আবার ভুলে যায়ে দুষ্টামি শুরু করি, আমার ব্রেনে কোন স

মোহামদ শাকিল

আমি হাসতে পছন্দ করি, হাসাতে চেষ্টা করি , মানুষের সাথে দুষ্টামি করতে ভালোলাগে, দুষ্টামি করলে অনেকেই মাইন্ড করে , আর আমার তখন খুবই খারাপ লাগে , মনে মনে ভাবতে থাকি যে হয়তো বেশিই দুষ্টামি করে ফেলেছি,পরোক্ষনে আবার ভুলে যায়ে দুষ্টামি শুরু করি, আমার ব্রেনে কোন সমস্যা আছে কি না জানি না , আমি কোন কিছু মনে রাখতে পারি ন, কিছুক্ষন মাথায় থাকে,তারপর ভুলে যাই, কার ও সাথে রাগ করি না, যদি কখনো কারো সাথে রাগ করি তাইলে তার সাথে আর কখনো কথা বলি না, আমি একবার যা বলি তাই করি, এজন্য আমাকে কেউ দেখতে পারে , আমার আচরণ খুবই খারাপ, আমি তেমন smart না, গরীব বাবা,মার দিত্বীয় সন্তান, একটু লাজুক টাইপের, মেয়েদের সাথে ঠিক মত কথা বলতে পারিনা, কথা বলতে গেলে মুখে কথা আটকে যায়, বুক ধব,ধব করতে থাকে, মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকার মত সাহস নেই, এক নজর, একবার ই এক সেকেন্ট তাকাতে পারি, আর সাহস হয় না, এসব কারেনে এখনো কেউ জোটে নি, তবে এ খনকাউকে জোটানোর মত ইচ্ছে ও নেই, এখনো খুবই ছোট আমি !

মোহামদ শাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায়দের প্রতি আমাদের করণীয়- (গুরুত্বপূর্ণ পুষ্ট)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

টিফিন এর সময় সব ছেলে-

মেয়ে টিফিন করতে বাইরে গেল ।

সবাই ক্লাস থেকে বের হয়ে কেউ

কেউ গেল ক্যান্টিন এ আবার কেউ

কেউ মাঠে খেলতে । কিন্তু এর

থেকে একটি ছেলে এর কোনটিতেই গেল

না ।

মাঠের এক কোনে , গাছের

নিচে বসে আছে । প্রতিদিনই এই রকম

দেখা যায় ।

ক্লাসে এ অনেকেই এই

ছেলেটিকে দেখতে পারে না ।

ছেলেটার জামা নোংরা , চুল

গুলো এলোমেলো । আর বাকিদের ,

সুন্দর জামা -কাপড়। সুন্দর

করে পরিপাটি করে আসে সবাই শুধু ঐ

ছেলেটি ছাড়া ।

সামনে পরীক্ষা ।

স্কুলে টাকা দিতে হবে । সবাই যার

যার বাসায় জানায় ।

সবার বাবা-মা এসে টাকা পরিশোধ

করে গেছে । শুধু ঐ ছেলেটির পরীক্ষার

ফি বাকি ।

ছেলেটি ক্লাসে আসলেই স্যার

ফি এর কথা জিজ্ঞাসা করে । আর

ছেলেটি চুপ করে থাকে । এই

ভাবে ২-৩ দিন গেল ।

স্যাররা বুঝতে পারলো , এই ছেলে তার

টাকা দিতে পারবে না । হেড স্যারের

কাছে নিয়ে ছেলের

নামে নালিষ করলো । হেড সার

ছেলেটিকে তার রুমে ডাকলো ।

অনেক বকা ঝকা করলো ।

বাবা-মা দিয়ে পরের দিন

ক্লাসে আসতে বলল ।

"প্রথম দিন

তোমার বাবা-মা এসে সেই

যে ভর্তি করে দিয়ে গেল আর

তাদের মুখ এ দেখলাম না ১ বছরের ।

কাল যদি তোমার বাবা-মা আমার

সাথে দেখা না করে তুমি আর

ক্লাসে আসবে না ।

এখন যাও ।

ছেলেটির বয়স তত বেশী হবে সা ।

১৪-১৫ .

ছেলেটি কাদতে কাদতে ক্লাসে গিয়ে তার

ছিড়া - ব্যাগ টি নিয়ে বের

হয়ে গেল স্কুল থেকে ।

সেই থেকে ছেলেটি আর স্কুলে আসে না ।

অনেক দিন পর সেই স্কুলের হেড স্যার

একদিন রাস্তায় রিক্সার জন্য

দাড়িয়ে ছিল । কোথা থেকে যেন

একটা রিক্সা এসে বলল , স্যার উঠেন ।

স্কুলে যাবেন ?

স্যার একটু আশ্চর্য হয়ে রিক্সা চালকটির

দিকে তাকিয়ে রইলো ।

একটা ১৪-১৫ বছরের

ছেলে রিক্সা চালাচ্ছে ।

স্যার আরও বেশী অবাক হল , যখন

দেখলো এই ছেলেটা সেই ছেলে .

যাকে সে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে ছিল



স্যার আর কথা বলতে পারলো ণা । চুপ

করে রিক্সায় উঠে বসলো।

ছেলেটি কথা বলতে শুরু করলো।

" স্যার , আমাকে চিনছেন ?

= স্যার , না (না চিনার ভান করে বলল

- )

"স্যার ঐ দিন পরীক্ষার

ফি দিতে পারি নাই তাই

আমাকে বের করে দিছিলেন।

আমি সেই ছেলে ।

= হুম . চিনতে পারছি "

স্যার আপনে ঐ দিন আমারে স্কুল

থেকে বের না করে দিয়ে আমি , আজ

না খেয়ে মরতাম ।

= মানে

" স্যার আমি এতিম । রাস্তায় রাস্তায়

ঘুরতাম । আর বিভিন্ন স্কুলের

সামনে দারাইয়া থাকতাম আর

ভাবতাম আমি যদি পরতে পারতাম ।

একদিন একটা , সাহেব তার বউ

আমারে দেইখা , আপনার

স্কুলে ভর্তি করাইয়া দিছিল।

আমি অনেক খুশি ছিলাম । কিন্তু

স্কুলে ভর্তি করানোর পর আর সেই

সাহেব- মেডাম রে দেখি নাই । আর

আমি পাগলের মত ,

খাইয়া না খাইয়া সারা দিন

স্কুলে পইরা থাকতাম । সাবই যখন

টিফিন খেত , আমি দূরে এক

কোনে বসে বসে ,

সবা্র খাওয়া দেখতাম । আর

কান্না করতাম ।

ক্ষিধা অনেক লাগতো । কিন্তু ক্লাস

করতে বেশী ভাল লাগতো । তাই

না খাই য়া ক্লাস করতাম । আর

রাতে গিয়া রাস্তার পাশে ঘুমাইতাম ।

আপনে আমারে স্কুল থেকে বের

করে দেবার পর বুঝতে পারলাম ,

পড়া শুনা আমাদের জন্য না । যাদের

পেটে ১ বেলা বরপেট খাবার

জুটে না , বাবা- মা নাই তাদের জন্য

পড়া লেখা না ।

তাই ঐ দিন থেকে স্যার

আমি রিক্সা চালাই

তাছি । এখন স্যার প্রতিদিন ৩

বেলা হোটেল এ ২ প্লেট ভাত ,

সাথে মাছ , ডাইল . দিয়া পেট

ভইরা ভাত খাই । .....

স্যার মাফ কইরা দিয়েন ,

আমি কি সব বকবক

কইরা আপনেরে ডিস্টার্ব করতাছি ।

স্যার স্কুল আইসা পরছে ।

= এই নেও ভাড়া ।

" স্যার এই ডা কি কন ?

আপনি আমার স্যার , আপনার

থেকে আমি টাকা নিয়া বেয়াদবি করতে পারমু

না । স্যার ।

বলে ছেলেটা চলে গেল ।

আর ততখনে , হেড স্যারের , দুচোখ

দিয়ে অঝর পানি পড়ছে ।

রুমাল দিয়ে মুছতেছিল , কিন্তু

এখন যেন আর মুছে শেষ

করা যাচ্ছে না । যেই

ছেলে টা কে সে , না জেনে অনেক

কথা শুনিয়ে স্কুল থেকে বের

করে দিয়ে ছে ,

আহ সেই ছেলে তাকে এত সম্মান দিল ?

স্যার হাটতে হাটতে আর চোখের

পানি মুছতে মুছতে নিজের

রুমে ডুকলেন ।

" আসুন না , আমরা এই রকম কিছু গরীব

ছেলেদের সাহায্যে এগিয়ে আসি ।

একদিনের জন্য নয় , ছেলেটির পাশে সব

সময় থাকি ।

আপনি এত টা কামাচ্ছেন , এর

থেকে যদি প্রতি মাসে , ২০০ টাকা ,

কোন গরীব ছেলের পড়াশুনার

খরচে ব্যয় করেন ,

দেখবেন নিজেকে অনেক সুখি লাগবে । )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.