![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শূন্য। আমরা একে 'খালি' অর্থেই ব্যবহার করে থাকি। অর্থাৎ, কিছুই নেই এমন অর্থে। যেমন, কোন এক লোকের পকেটে টাকা পয়সা কিছুই নেই। তখন আমরা বলি 'শূন্য' পকেট।
আবার, অঙ্কে এক থেকে এক বাদ দিলে হয় 'শূন্য'। অর্থাৎ, ফাঁকা। পরীক্ষার খাতা খালি জমা দিলে বা কিছুই না পারলে, নম্বর দেয় 'শূন্য'।
এক কথায়, আমরা এই 'শূন্যের' প্রয়োগ করি 'শূন্যতায়', 'হীনতায়', একেবারে বিলীনতায়।
কিন্তু, একেবারে বিলীন হয়ে তৈরী হওয়া এই শূন্যেরো কিন্তু বিশালতা আছে। পূর্ণতা আছে।
অবাক হচ্ছেন! হওয়ারই কথা। শূন্যের আবার কীসের বিশালতা। আর, কীসের পূর্ণতা। শূন্য তো শূন্যই। তবে, আমি-আপনি যতই অবাক হই না কেন, সত্য কিন্তু এটিই। যার প্রমাণ দেখবো আমরা সামনে।
একটি সংখ্যা 'এক'-কে যদি আমরা 'এক' দিয়েই ভাগ দেই, তাহলে, উত্তর আসবে 'এক'। যদি 'দুই' দিয়ে ভাগ দেই, উত্তর আসবে 'অর্ধেক'।
ঠিক তেমনি, 'এক লক্ষ'-কে যদি 'এক' দিয়ে ভাগ দেই, উত্তর আসবে, 'এক লক্ষ'-ই। আর, 'দুই' দিয়ে ভাগ দিলে উত্তর আসবে 'পঞ্চাশ হাজার'। অর্থাৎ, তার অর্ধেক।
এরকম, এক কোটি, এক বিলিয়ন বা এক ট্রিলিয়ন কিংবা এরচেয়ে যত বড় সংখ্যাই হোক না কেন, তাকে যদি 'এক' দিয়ে ভাগ করা হয়, উত্তর আসবে ঐ সংখ্যাটিই। আর, 'দুই' দিয়ে ভাগ করলে উত্তর আসবে তার অর্ধেক।
এটি বলে আমি যা বুঝাতে চাচ্ছি, তা হল, সংখ্যা যত বড়ই হোক না কেন, তা পরিমাপ যোগ্য।
এবার আসি শূন্যের বেলায়। শূন্যতায় পরিপূর্ণ এই 'শূন্য'-কে যদি আমরা এক দিয়ে ভাগ দেই, স্বাভাবিক নিয়মে উত্তর 'শূন্য'-ই আসার কথা।
কারন, কোন সংখ্যা-কে 'এক' দিয়ে ভাগ করলে ঐ সংখ্যাটিই আসবে। এক কেজি চাল যদি এক জনকে দেই, সে এক কেজি-ই পাবে।
কিন্তু, আমি যদি একজনকে এতো বেশী পরিমাণ চাল দেই, যা পরিমাপযোগ্য নয়, তাহলে, সে পাবে 'অপরিমাপযোগ্য' চাল। অর্থাৎ, 'অসীম'।
ঠিক, এই হিসাবটিই শূন্য'-এর ক্ষেত্রে। যখনই আমরা 'শূন্য'-কে কোন সংখ্যা দ্বারা ভাগ দেই, উত্তর আসে 'অসীম'। কোন সংখ্যাকে যদি শূন্য দ্বারা ভাগ দেই, তখনো উত্তর আসে 'অসীম'।
কারন, এই 'শূন্য' শুধু 'শূন্যতায়' নয়, পরিপূ্র্ণ এক অসীম বিশালতায়।
©somewhere in net ltd.