![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।
রিমঝিমের সব কান্না থেমে গেছে ; কান্না ভুলে গিয়েছে রিমঝিম অনেকদিন । এখন আর ইচ্ছে করলেই কাঁদতে পারেনা । হিমেল রহমান চলে গিয়ে রিমঝিম কে অনেক কিছু শিখিয়েছে । সময়ের সাথে সাথে মানুষ যে কতটা বদলাতে পারে তা শিখেছে রিমঝিম । রিমঝিম ও অনেক বদলে গিয়েছে । ও আর হিমেল রহমানকে মনে করার চেষ্টা করেনা
হিমেল রহমান চলে যাওয়ার কারণটা আজও জানা হলনা রিমঝিমের । শেষে শুধু এতুকুই বলেছিল হিমেল “তুমি আমার থেকে অনেক ভালো ছেলে ডিজার্ভ কর । আমি তোমার যোগ্য নই”। না,যোগ্যতার প্রশ্ন তো কখনো তুলেনি রিমঝিম ; তবে কেন যোগ্যতার অজুহাত দেখিয়ে চলে যেতে হবে । হিমেলের সবগুলো পথ খোলা রেখেছিল রিমঝিম আর হিমেলও তার একটা পথই বেছে নিয়েছে ।
হিমেলের সাথে ইচ্ছে না হলেও রিমঝিমের প্রায়ই দেখা হয়ে যাবে ,দু-একবার হয়েছেও । খুব স্বাভাবিক আচরন দুজনের । হাই-হ্যালো হয়েছে ,হিমেলের মধ্যে এতোটুকু অপরাধবোধ ও নেই ; এতে ক্ষুব্দ নয় রিমঝিম ; কোন অভিযোগ নেই ; অনুযোগও করেনা কোন ।
অনেক দিন পর রিমঝিমের আজ মন খারাপ হল হিমেল এর জন্যে । জানে , হিমেল মেয়ে দেখছে বিয়ের জন্যে ; তবু রিমঝিমের মনে উদ্বিগ্নতা নেই মোটে । রিমঝিম এটা ভেবেই নিয়েছে যে আল্লাহ হয়তো হিমেল কে তার জন্যে সৃষ্টি করেননি । এটাই বাস্তবতা আর এটা তাকে মনে প্রানে বিশ্বাস করতেই হবে। তবু আজ একটু উদ্বিগ্নতা কাজ করছে রিমঝিমের মনে ।
হ্যাঁ ; অবশেষে হিমেলে রহমান লাবণ্য নামের অনাকাঙ্ক্ষিত জনকেই জীবনসঙ্গিনী করে নিয়েছে । জীবনের আরেকটি অধ্যায় শুরু হল হিমেল রহমান এর কিন্তু রিমঝিম ঐ আগের জায়গাতেই পড়ে আছে ! তার চলার গতি যে অনেক ধীর ! আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে রিমঝিমকে ; এ পথের শেষ কোথায় জানেনা রিমঝিম ; এতটুকুই জানে যে ,চারপাশের মানুষগুলো নিয়ে সে যে স্বপ্নে বিভোর তা পূরণের লক্ষ্যেই পথ চলতে হবে তাকে । আবেগের বশবর্তী হয়ে কখনো কিছু করেনি রিমঝিম তাই আজও সে আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে বাস্তবতা কে মেনেই হাঁটছে সামনে ।
আবেগ কে প্রশ্রয় দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন ! রিমঝিমের চোখের সামনে যে স্বপ্ন গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে তা নিয়েই রিমঝিমের যাত্রা অনেক দিনের । না, রিমঝিমের বয়সী মেয়েদের মতো ওর স্বপ্ন নয় যে ইচ্ছেমত ঘুরবে,ফিরবে,টাকা ওড়াবে,বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আড্ডা দিবে,রেস্টুরেন্টে ঢুকবে আর রিচ ফুড খাবে,পার্কে পার্কে ঘুরবে,জীবন উপভোগ করবে; এই তো জীবন । জীবন আর কয়দিনের ! মেয়ে হিসেবে ততটা আধুনিকের কাতারেও পড়েনা রিমঝিম ।আর ওর সপ্নের সাথে হিমেল রহমানদের স্বপ্নের কোন মিল নেই ; হিমেল রহমান রা স্বপ্ন দেখে শুধু একমাত্র ভালবাসার মানুষ কে নিয়ে ঘর বাঁধতে ,হাতে হাত ধরে চলতে আর জীবন কে উপভোগ করতে । রিমঝিম সেই স্বপ্নে কখনো বিভোর হতে পারেনি তাই এরকম হিমেল রহমান এর মতো অনেকেই তার হাত ছাড়তে বাধ্য হয়েছে । কেউ একজন ও নাই রিমঝিমের হাতে হাত ধরে তার স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবায়ন করার মতো তাই ঐ পথ একাই তাকে চলতে হবে !
রিমঝিম স্বপ্ন দেখে তাদের নিয়ে যারা দুবেলা দুমুঠো খেতে পারেনা পেট ভরে,একটা ভালো কাপড় পড়তে পারেনা,কনকনে শীত সহ্য করতে না পেরে অবশেষে .........! স্কুলে যেতে পারেনা অভাবের কারণে ; চিকিৎসা করাতে পারেনা বলে ভোগতে ভোগতে শেষমেশ এক বিছানায় দিন কাটাতে হয়। হয়তো রিমঝিমের একার পক্ষে এ স্বপ্নগুলো পূরণ করা সম্ভবপর নয় তবু উদ্যোগ নিতে দোষ কোথায় ! এ সমাজে যে উদ্যোগ্তার বড়ই অভাব ! হয়তো বা উদ্যোগ নেয়ার পর রিমঝিমের মতো করে স্বপ্ন দেখা অনেকেই এগিয়ে আসবে আর রিমঝিমের হাত ধরবে !
রিমঝিমের আশেপাশে এরকম অনেক মানুষ আছে যারা রিমঝিমের মতো একটা মেয়ের জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে প্রতিদিন ; মা, এবার তো শীতের কাপড় একেবারেই নাই ; আমার মেয়ে নতুন ক্লাসে ভর্তি হয়েছে একটা স্কুল ব্যাগ থাকলে হয়তো মেয়েটার পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ত ; আমার তো এ মাসের ঔষধ ফুরিয়েছে মা ; ঘরের চালাটা যদি না বদলাই তাহলে এ বছরই ঝড়ে ঘরটা আমার উড়িয়ে নিয়ে যাবে ।
কিছুই নেই তবু কিছুতো আছে রিমঝিমের ! কিছু মানসিক শক্তি আর সেই মানুষগুলোর কষ্ট অনুধাবন করার মতো একটা বড় মন ;আর আছে এসব কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগানোর মতো কিছু মহৎ মানুষ আর ঐ ভোক্তভোগী মানুষ গুলোর আশীর্বাদ ! আর কি চাই রিমঝিমের !
হিমেল রহমানদের মতো যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র সুবোধ উদয়ের লক্ষণ কিংবা অনুতপ্ত বা অনুশোচনার আভাসমাত্র নেই যা রিমঝিমের এই ব্যথিত হৃদয় কিঞ্চিত প্রশমিত করতে পারে তাদের জন্যে কেনইবা রিমঝিমের এ খরতপ্ত মরুদ্যান রচন ; রিমঝিম জানেনা ! কেবল জানে এ আঁধার কালো অধ্যায়ের অবতারণা কেবল-ই নিছক ! অরুনাদীপ্ত ঊষার প্রভাতে তার বিষবাষ্প উদগীরণ শুধু-ই নিরর্থক । রিমঝিম শুধু-ই জানে তার এ চলার পথ রেল লাইনের দুটি রেলের মতই চিরকালীন সমান্তরাল !
রিমঝিমের প্রত্যাশা কেবল হিমেল রহমানদের মতো ঐসব মানুষ গুলোর প্রতি-- অন্তত তাদের ইতিবাচক বিকাশের স্বার্থে শাশ্বত মনুষ্যত্ববোধের চেতনায় সংবেদনশীল ও সহমর্মী অন্তরাত্মা জাগ্রত করবার । ফলহীন বৃক্ষের এই গ্লানি আর কতো বয়ে বেড়াতে হবে রিমঝিম জানেনা তবু প্রতীক্ষায় রয়েছে একটি বর্ষার আগমনী বার্তা শুনবার ব্যাকুলতা নিয়ে ।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৩
অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহমুদ
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লিখেছেন...শুভেচ্ছা ..।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
অবনি মণি বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ তুষার কাব্য
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৪
হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: ভালো লেগেছে।