নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

অবনি মণি

যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।

অবনি মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচ্ছেদেও যখন সুখ থাকে !

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

আমার দূরের কিন্তু অত্যান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু রওনক । চট্টগ্রামের একটা সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ; বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তৃতীয় বর্ষ শেষের পথে । কল্পনাবিলাসী কিংবা স্বপ্ন বিলাসী কোনটাই নয় , বাস্তবতায় বিশ্বাস করে চলার চেষ্টা তার সবসময় । তবু যে আবেগ অনুভূতি বলে কিছু একটা আছে এই কথা সে ভুলে যেতে পারেনা । প্রেম-ভালবাসার মতো একটা নির্দিষ্ট সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে জীবনকে গুটিয়ে চলার চিন্তা কখনো করেনি ; বন্ধুবান্ধব,হৈ-হুল্লোড়,উল্লাস এগুলো যেন তার রক্তের সাথে মিশে গেছে । এসব ছাড়া জীবনকে চিন্তা করার কথা কখনো ভাবেনি ।



বছর দুই আগে ফেবুতে পরিচয় হয় ইরার সাথে ; ইরা কেবল এইচ,এস,সি পাস করে ইউনিভার্সিটি কোচিং করছিল ঢাকাতে । খুব সাধারন সিমসাম সরলমনা একটা মেয়ে ইরা । পরিচয় , কথা এবং অবশেষে বন্ধুত্ব । চলছে কথা ; যাচ্ছে দিন , আসছে রাত । ইরার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে দিন দিন ; ফেবু আছে চ্যাট ও চলছে । নিয়ম করে প্রতিদিন কথা হয় ,দুজনের ভালোলাগা মন্দলাগা সবকিছু ভাগাভাগি চলছে বন্ধুত্বের খাতিরে ।সম্পর্কটা তখনো তুই এর মধ্যেই আছে ।



একটা পর্যায়ে ইরার দুর্বলতা বাড়তে থাকে রওনকের প্রতি; এদিকে রওনক তো আবেগ কে প্রশ্রয় দিতেই চায়না একদম । তবু ইরা খুব গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলে আর তা জানায় রওনককে । রওনক তা গ্রহন না করে ইরাকে বুঝায় ; ‘এ সম্ভব না ,এ হয়না’ ।রওনক কেবল তৃতীয় বর্ষ শুরু করেছে আর ইরার এরই মধ্যে বিয়ের প্রস্তাব আসছে ! অনার্স শেষ করতেই এখনো তিন বছর বাকি তার পর আরও অনেক পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হতে ইরার বাবা তাকে নিয়ে বসে থাকবেনা এটা অনেকটাই নিশ্চিত রওনক । তাই কোনভাবেই এই সম্পর্কে জড়ায়ে দুজনেই কষ্ট পাওয়ার রাস্তা খুজতে যায়নি রওনক । বন্ধুত্ব যাতে টিকে থাকে সে কথাই বুঝায় ইরাকে । সাময়িকভাবে ইরা বুঝলেও রওনকের প্রতি ইরার ভালোবাসা কমে যায়নি বরং দিন দিন বাড়ছেই ।



এভাবেই চলছে দুজনের গভীর বন্ধুত্ব । সম্পর্কের দু’বছরের মাথায় রওনক আসে ঢাকাতে ইরার সাথে দেখা করতে । প্রথমবার দেখা ; মনে অনেক আনন্দ আর উত্তেজনা নিয়েই ঢাকা এসেছে রওনক তার চট্টগ্রামের বন্ধু অপুকে নিয়ে । দেখা হল ; শুরু হল নতুন বন্ধুর সাথে হৈ-হুল্লোড়,আড্ডা , ঘুরাঘুরি । ঢাকাতে আরও এক মেয়ে বন্ধু, চট্টগ্রামের বন্ধু অপু , ইরা আর রওনকের চলছে বিন্দাস দিন ! সারাদিন এখানে ওখানে ঘুরাঘুরি আর দিন শেষে ভুরিভোজ । এগুলোই ইরার সাথে কাটানো প্রথমবার রওনকের সবচেয়ে আনন্দের দিন । তৃতীয় দিন চার বন্ধু মিলে বিন্দাস দিন কাটানোর পর চলে যাবার মুহূর্ত ! সবাই যে যার গন্তব্যে যাবার উদ্দেশ্যে একটা দুতলা বাসে উঠল ।



হঠাৎ-ই ইরা জিজ্ঞেস করলো ‘কালকের পর কি আমাদের আর দেখা হবেনা রওনক ’ ?

রওনক বলল ‘হয়তো না’ !

ঠিক ঐ মুহূর্তে রওনক অনুভব করতে পারলো ও ইরাকে ভালবেসে ফেলেছে । বাস চলছে আর রওনকের বুকের ভেতর কষ্টের পাহাড় গড়তে শুরু করেছে ।



চলে যাবার সময় ঘনিয়ে আসছে আর রওনকের মনে ইরাকে ভালোবাসার গভীরতা বাড়ছে । চতুর্থ দিন ; রওনকের চট্টগ্রাম ফিরে যাবার দিন ; আধাবেলা রওনক আর ইরা একসাথে ঘুরলো তারপর আবার সেই চারজনের আড্ডা ! আশ্চর্যান্বিত ভাবে রওনকের জন্মদিনের তিন আগেই জন্মদিন পালনের আয়োজন করলো ইরা ! উদযাপন শেষে আবার ঘুরাফেরা তারপর বিদায়ের পালা । রওনকের ভেতরটা পুড়তে শুরু করলো ; ক্লান্তিভরা দিনের শেষেও তার চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ নেই বরং ইরাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে বিষাদে ভরা মনটা কেবল ডুকরে কেঁদে উঠছে । তার হৃদয়ে এ কীসের আঘাত শুরু হলো ! কিছু ভাবতে পারেনা রওনক !



রাত এগারটায় ট্রেন ছাড়ার সময় । যথারীতি দু’বন্ধু ট্রেনে চড়ে বসলো । ট্রেন যাত্রা শুরু করলো আর রওনক গত চারদিনের প্রত্যেকটা মুহূর্তের স্মৃতিচারন করতে লাগলো ।আজ আর ভাবতেই পারছেনা রওনক ; এতো হাসি-আনন্দ আর তার ভালোবাসার মানুষটাকে ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে তাকে । হয়তো এটাই ইরার সাথে প্রথম এবং শেষ দেখা । এ কথা ভাবতেই রওনকের বুক ফেটে কান্না আসছে ; আবেগ আর ধরে রাখতে পারেনি রওনক । রওনক কাঁদে চুপিসারে পাছে অপু যেন দেখতে না পায় । ট্রেনের গতি বাড়ার সাথে সাথে রওনকেরও কান্না বাড়তে থাকে । রওনক কাঁদে ; অঝোরে কেঁদে যায় পুরোটা পথ । ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পুরো পথটাই কেঁদে কেঁদে পার করলো রওনক ।



চট্টগ্রাম ফিরে যাবার দু’দিন পর রওনকের জন্মদিন ।

যথারীতি ইরা তাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফোন দেয় এবং শেষে একটা কথা বলে ‘তোকে ভালোবাসি’ ।

রওনক আনমনে ঐ কথার প্রতি উত্তরে বলে ‘আমি তোর থেকেও বেশী বাসি’।

ইরা বলে ‘আগে তো কখনো বলিসনি’

‘আগে কখনো অনুভব করিনি কিন্তু এখন যে করছি’ রওনক উত্তরে বলে ।



তারপর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ঐদিন পুরোটা সময় অপুদের প্রাইভেট কারে ঘুরে বেড়ানো আর আনন্দ উল্লাসের ফাঁকে ফাঁকে ইরার সাথে ফোনে কথা বলা । সেই উল্লাসিত সময়ে ইরার পছন্দের গানগুলো বাজানো আর ওকে শুনানো । রওনক-ইরার প্রেমের প্রথম দিন ; যেন হাজার বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল ইরা ।



চুটিয়ে প্রেম চলছে দু’জনের । ইরার প্রতিটা মুহূর্তের ভাবনায় ছিল শুধু রওনক আর আজ রওনকেরও শুধু-ই ইরা ।ইরা আদর করে রওনককে ডাকতো ‘বাচ্চা’ বলে আর রওনক ডাকতো ‘টিয়া পাখি’ বলে ।কখনো কখনো রওনকের মুখে টিয়া পাখি না শুনতে পেলে বড্ড অভিমান করতো ইরা ! রওনক কোনদিনও ভাবেনি সব বাস্তবতা ভুলে ও এরকম একটা আবেগি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে অথচ আজকাল রওনকের সকালের ভাবনায় ইরা ,বিকেলের ভাবনায় ইরা ; রাতের ঘুমকে হারিয়ে যে স্বপ্ন প্রতিদিন জাগিয়ে রাখে সেইখানেও ইরা । ওর সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে শুধু ইরা ; ওর হাসির মাঝে ইরা , কান্নার মাঝে ইরা ; সারাদিনের ক্লান্তিশেষে সামান্য বিশ্রামের মুহূর্তেও চোখের সামনে ভেসে উঠে একটি মুখ সে শুধু-ই ইরা । মাঝে মাঝে ইরাকে বেস্বরা গলায় গান শুনাতো রওনক । এ কেমন অনুভূতি ! ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যে এমন হয় তা কখনো জানতোনা রওনক । অথচ আজ ওর সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে শুধু ইরাই বিরাজ করছে !



এরকম এক মাস পার হল । অমনি একটা সময় ইরার বিয়ের প্রস্তাব আসে তার বাবার কাছে । ছেলে ডাক্তার । আজকাল ডাক্তার পাত্র যেন মহামূল্যবান কিছু ! খুজে মেলানো যেখানে অসম্ভব সেখানে পাত্র নিজেই এসে ধরা দিচ্ছে অতএব এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাটা হবে বোকামি ইরার বাবার জন্যে । যে চিন্তাটা আগেই রওনকের ছিল সেইটাই ঘটলো । এদিকে রওনক কেবল থার্ড ইয়ারের শেষের দিকে পড়ছে ।



ইরা জিজ্ঞেস করে ‘বিয়ে করতে আর কত বছর লাগবে তোমার’?

‘কমপক্ষে তিন বছর’ বলে রওনক ।



এতগুলো বছর ইরা বাবাকে কি বুঝিয়ে পার করবে ও জানেনা । বাবা তো নিয়ম করে প্রতিদিনই ঐ পাত্রের কথা ইরার কানে দিচ্ছে কিন্তু এদিকে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে এমন অবস্থায় ইরাকে বিয়ে করার চিন্তাও খুবই দুষ্কর রওনকের পক্ষে ! পরিবার কে কি দিয়ে বুঝাবে যেখানে সে এখনো গ্রাজুয়েশন ই শেষ করেনি ।



রওনকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ! এটাই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব আসেনি ইরার ; এর আগেও অনেক এসেছে কিন্তু ইরা নানাভাবে সেগুলো প্রত্যাখ্যান করলেও এখন আর তার পক্ষে সম্ভব হবেনা ! বার বার কি অজুহাত দেখাবে ইরা ! রওনক সব দিক বিবেচনা করে আবারো ইরাকে বুঝাতে শুরু করে । ঐ ডাক্তার পাত্রকেই বিয়ে করতে বলে রওনক ! ইরা কোনভাবেই রওনকের কথা বলতে পারবেনা তার বাবাকে কারণ রওনকের যে প্রতিষ্ঠিত হতে এখনো অনেক দেরি ; কি বলবে সে বাবাকে ।



নানা প্রতিকুলতার কথা চিন্তা করে ইরা দেখল রওনক ঠিকই বলেছে । বাবা-মা কে কষ্ট দিয়ে সে পারবেনা রওনকের কাছে চলে যেতে যেহেতু রওনকও এখনো প্রতিষ্ঠিত হতে অনেক দেরি তাই রওনকের পরিবারও কষ্ট পেতে পারে এরকম একলা একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে । ইরাও চায়নি রওনক কোন ভাবে কষ্ট পাক তার জন্যে । আস্তে আস্তে যোগাযোগ কমিয়ে দিতে শুরু করে দু’জনে । রওনক জানে যতই যোগাযোগ হবে ততই কষ্টের পরিমাণ বাড়তে থাকবে । যোগাযোগ কমে গেলেও ভালোবাসার কোন কমতি ছিলোনা তাদের মধ্যে ! রওনক কিভাবে এতো গভীর ভালোবাসায় ডুব দিয়েছে আজও ভাবতে পারেনা ।



শুরু হল রওনক-ইরার বিষাদে ভরা দিন ।সুখের দিনগুলো আসতে না আসতেই শুরু হল বিচ্ছেদের মেলা ।এ কেমন ভালোবাসা যে ভালবাসার জন্যে আজ তাদের জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে ব্যর্থতার তিলক অঙ্কিত ! না পারে দুজন দুজনকে ভুলে যেতে আবার না পারে এ সম্পর্কটা চালিয়ে নিজেদের ব্যর্থতার স্বীয় স্বরূপ প্রকাশ করতে । এ গ্লানিবহ জীবন কেবল নীরবে কাঁদায় তাদের ।



রওনক পারেনি ইরার বুকের গভীরে আজন্ম লালিত ভালবাসাকে সময়ের দাবিতে সংস্করণের মাধ্যমে সুস্থ করে তুলতে !পারেনি এই সজীব প্রাণবন্ত লাবণ্যময় কোমল একটি মানবিক চেতনার মূল্যায়ন করতে ! পারেনি পল্লবিত ভালোবাসার শিশির জলে সিক্ত ভালোবাসার মালা গেঁথে ভালোবাসার মানুষের গলায় পরিয়ে দিতে কিংবা ভালবাসার পরম আলিঙ্গন ডোরে আবদ্ধ হয়ে জীবনের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত করতে ! পারেনি ভালোবাসায় ভালোবাসায় দু’টি জীবন পরিপূর্ণ করে ভরিয়ে তুলতে । এ দেহের প্রতিটি রক্ত কনিকা জুড়ে যার অস্তিত্ব পারেনি তার কিশোরী বেলার সুপ্ত উচ্ছ্বাসটুকুর এই জ্বালাময়ী পরশ আজ এ যথাযথ শুভলগ্নে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বৃন্তবীথিতে গ্রোথিত করে সার্থক করে তুলতে !



রওনক আজ নির্বাসিত ! তবে তার নির্বাসন ইচ্ছাকৃত হলেও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে সময়ের প্রয়োজনে পরিস্থিতির দাবিতে একান্তই বাধ্যবাধকতা কর্তৃক আরোপিত । আজ রওনকের জীবন বৃত্তের পরিসীমায় দিগন্ত বিস্তৃত অসীম শূন্যতা । অস্তগামী নক্ষত্রের ন্যায় ধূসর এ জীবনের প্রতিটি বালুচর । রিক্ত নিঃস্ব এ জীবনে কেবল সীমাহীন হাহাকার ! না পাওয়ার ভারাক্রান্ত এ হৃদয় নিরবচ্ছিন্ন অন্ধকারে হাতরে ফেরে জীবনধারণের জন্যে কিঞ্চিত অবলম্বন !



রওনক আবার ফিরে পেয়েছে সেই দিনগুলি ; বন্ধু-বন্ধব , আড্ডা ,মাস্তি সব মিলে একেকটা সুখের দিন কেটে যাচ্ছে । সব কিছুর ভিড়ে আজ রওনক কিছুটা সুখ লাভ করে যখন দেখে ইরা ভালো আছে , সুখে আছে । ইরা যদি এ ব্যথা ভুলে যেয়ে সুখে থাকে তবে সেটাই হবে রওনকের পরম পাওয়া ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

খেলাঘর বলেছেন:



গল্প?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

অবনি মণি বলেছেন: সত্য গল্প

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: স্বাদ বিস্বাদের পার্থক্য তেমনটা বুঝিনা।
বুঝি শুধু না পাওয়ার যন্ত্রনা.........যা শুধু জ্বালা ময়।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

খেলাঘর বলেছেন:


ওকে

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

আরজু পনি বলেছেন:

এমনই হয় !

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ! আসলেই এমনি হয় ! আরজুপানি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.