নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

অবনি মণি

যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।

অবনি মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"হিজাব ফ্যশনের জন্য নয় ; এটা একটা ধর্মীয় পোশাক"

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

হিজাব এক ধরনের কাপড় যা মাথা, বুক কিংবা পুরো শরীর আবৃত রাখে।একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের মধ্যে এই পোশাক পড়ার প্রচলন রয়েছে। আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সাঃ) প্রদর্শিত নিয়ম অনুসারে নিজের আব্রু রক্ষার্থে আমরা মুসলিম নারীরা এ পোষাক পড়ে থাকি। মূলত পুরুষের প্রত্যক্ষতা এড়াতে এটি পরিধান করে থাকি আমরা মুসলিম নারীরা। কারণ পুরুষের প্রত্যক্ষতা এড়াতে পারলে, সমাজে নারীঘটিত অনেক অপরাধ অনেকাংশেই কম হয়।



তবে হিজাবের চর্চা কেবল ইসলামে আছে তা নয়। ভিন্ন নামে, ভিন্ন পরিসরে তা জারি আছে অন্যান্য ধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যেও।

“বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী খ্রীষ্টপূর্ব ১৩’শ শতাব্দি থেকে হিজাব বা চুল আবৃত করার পোশাক ব্যবহৃত হয়ে আসছে । সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী হিন্দুদের ধর্ম ধর্মগ্রন্থ গীতাতেও শরীর কিংবা মাথা আবৃত রাখার কথা বলা আছে। ঋগবেদ-এর ১৯-২০ মন্ত্রে বলা হয়েছে, পুরুষদের নারীদের বস্ত্র পরিধান করা উচিত নয়। রামায়ন থেকে জানা যায়, সীতার প্রতি রামের নির্দেশ ছিলো নিজেকে ঢেকে রাখার ।”(সংগৃহীত)



"পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক"। বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী । একটা সময়ে শুধু পর্দা করার জন্যই হিজাব পরা হতো। কিন্তু বর্তমানে সব বয়সী নারী ও তরুণীদের কাছে হিজাবের ব্যবহার দারুণ এক ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিজাবে পর্দা করা ছাড়াও রয়েছে নানা উপকারী দিক। বাইরের ধুলাবালি থেকে ত্বক ও চুলের সুরক্ষা দিতেও হিজাব কার্যকর ।



আগে যতটা না চোখে পড়তো টাইট,পাতলা,শরীর দেখানো জামা পড়ুয়াদের বর্তমানে তার থেকেও বেশী চোখে পড়ে হিজাবের ফ্যাশন । জিন্স পেন্ট আর শার্ট পড়ে হিজাব পড়া নারীদেরও অভাব নেই এ সমাজে । পাতলা জামা ; আপাদমস্তক শরীর দেখা যাচ্ছে আর এদিকে মাথায় হিজাব পড়া ; স্লিভলেস জামা পড়া কিন্তু মাথায় হিজাব ।এমন কিছু ফ্যাশনেবল হিজাবধারীদের দেখা যায় যা সহজেই যে কাউকে আকর্ষিত করবেই । হিজাব পড়ে পার্কে বয়ফ্রেন্ড এর বুকের উপর শুয়ে থেকে হিজাবের এ অবমাননা না করলেই কি নয় ! বলছিনা হিজাব পড়ে প্রেম করতে নেই কিংবা প্রেম করা যাবেনা ; কেন হবে সেটা পাবলিক প্লেসে !



আবার এমনও নারীর অভাব নেই যারা নিয়মিত হিজাব পড়ে থাকে কিন্তু অকেশনালি হিজাবের ধরা ছুয়ার বাইরে থাকেন । কোন বিশেষ অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে,জন্মদিন,কিংবা কোথাও ঘুরতে যাওয়া এমন দিনে হিজাবের আওতামুক্ত থাকার চেষ্টা করেন । অনেককে অনেক সময় প্রশ্ন করেছি এটা কেন ? অনেকেই উত্তরে বলেছেন একদিনই তো ; একদিন না পড়লে কি আর হয় ! আর এমন অনুষ্ঠানে হিজাব পড়লে কেমন যেন খেত দেখায় ! অনেকে আবার এও বলে থাকেন আজ প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করছে তাই পড়তে ইচ্ছে করলোনা । যদি পর্দা করার জন্য হিজাব পড়ে থাকেন এই মানুষ গুলো তবে বলবো আল্লাহর এমন কোন বিধানের মধ্যে আছে কি কোন বিশেষ দিনে পর্দা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন? আর যদি ফ্যাশন হিসেবে পড়ে থাকেন তবে বলবো হিজাবের এই অবমাননা না করলেই কি নয় ?



আমার কাছের অনেকেই আছে যারা হিজাব পড়ে দেখে তাদের প্রতি আমার একটা শ্রদ্ধাবোধ জন্ম নিয়েছে । তাঁকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি ।তার থেকে হিজাব পড়ার উৎসাহ পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি হঠাৎ যখন তাঁকে আবার হিজাব ছাড়া দেখতে হয় তখন সেই শ্রদ্ধাবোধ কোথায় এসে নামে ধারণা করুন !



হিজাব নিয়ে কথা বলার মতো অতটা ধার্মিক এখনো হতে পারিনি । আল্লাহ কে ভয় করে আর পর্দা করার জন্যেই হিজাব পড়তে শুরু করেছি । কিন্তু প্রতিটা পদে পদে কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হয় “তুমি কি ফ্যাশন হিসেবে হিজাব পড়া শুরু করেছ? আচ্ছা , তুমি কি হিজাব প্রতিদিনই পড়বা নাকি অকেশনালি বাদ দিবা ? হিজাব কি কয়দিন পর ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছে আছে ? কোন বিয়ে কিংবা কোন অনুষ্ঠানে হিজাব পড়ার ইচ্ছে আছে নাকি পড়বানা ?” এখানে প্রশ্নকারীর কোনো দোষ নেই ; তিনি নিয়মিত এমন পরিস্থিতি দেখে অভ্যস্ত তাই হয়তো প্রশ্ন করছেন । কিন্তু যারা এসব করছে তাদের অনেকেই ধর্মীয় পোশাক হিসেবেই ব্যবহার করছে কিন্তু অকেশনালি হিজাবের আওতামুক্ত থাকার যে কোন বিধান কোন ধর্মেই নেই এ কথা হয়তো তারা জানেনা । অথবা সঙ্গ দোষে হয়ে যাচ্ছে । বন্ধু,কলিগ কিংবা কাছের কোন একজন বলছে আজ হিজাব না পড়লেই কি নয় ? আজকে বাদ দাও ; কিছু হবেনা । ঐ কথা শুনেই হয়তো বাদ দিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু তিনি তখন তার ব্যক্তিগত মতামত কেও যে অসম্মান করছেন এটা তিনি নিজেও বুঝেননি । এমন প্রস্তাব আমিও অনেক পেয়েছি । কিন্তু এ বিষয়ে আমি আমার কথার বাইরে কখনো যাইনি ।



আশা করি আমরা যারা পর্দার জন্য হিজাব ব্যবহার করছি তারা একটু জানার চেষ্টা করবো ইসলামে নারীর পর্দা করার মর্যাদা কতটুকু ! হিজাবের অবমাননা না করে আসুন আমরা হিজাবের সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা করি ।



ইসলামের পর্দা-ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে না বুঝার কারণে কেউ কেউ একে পশ্চাৎপদতা, সেকেলে, নারীকে শৃঙ্খলিতকরণের পন্থা, উন্নয়নের অন্তরায় এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি বৈষম্য সৃষ্টির প্রয়াস বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। মূলত এই ভুল বুঝাবুঝির জন্য মুসলিম-বিশ্বের কতিপয় এলাকায় ইসলামের সত্যিকার শিক্ষার অপপ্রয়োগ আর পাশ্চাত্য গণমাধ্যমের নেতিবাচক ভূমিকাই দায়ী। পাশ্চাত্য গণমাধ্যমের এটা একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ইসলামের কথা উঠলেই তার প্রতি একটা কুৎসিৎ আচরণ প্রদর্শন করা হয়। আর তাঁদের এই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে আমাদের এই অঞ্চলেও অনেকে পর্দা-প্রথা সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করে থাকেন। একজন খ্রীষ্টান 'নান' বা ধর্মজাজিকা যখন লম্বা গাউন আর মাথা-ঢাকা পোশাক পড়ে থাকেন তখন তা আর পশ্চাৎপদতা, উন্নয়নের অন্তরায় বা নারীকে শৃঙ্খলিতকরণের প্রয়াস বলে বিবেচিত হয় না। বরং তা শ্রদ্ধা, ভক্তি বা মাতৃত্বের প্রতীক রূপেই বিবেচিত হয়।(সংগৃহীত)



অতএব, ইসলামের পর্দা-ব্যবস্থা বা ক্ষেত্র-বিশেষে নারী-পুরুষের পৃথকীকরণ নারীকে শৃঙ্খলিত করার পরিবর্তে তাঁকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে, সমাজে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ-ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১০:৩১

রেজওয়ান26 বলেছেন: হিজাবের অবমাননা না করে আসুন আমরা হিজাবের সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা করি ।- আমীন

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:২৭

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে !

২| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

দূর্জয় হাফিজ বলেছেন: সহমত পোশন করিলাম....

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

অবনি মণি বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ !

৩| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: সময়ের আবর্তনে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। হিজাব যে শুধুমাত্র কালো ঢিলাঢালা আবরণ এটা ভুল ধারণা। কেউ যদি শাড়ি পরেও হিজাবের আদব রক্ষা করে চলতে পারে , তবে সেটাও নাজায়েজ নয় । '' হিজাব ফ্যশনের জন্য নয় ; এটা একটা ধর্মীয় পোশাক " ..এর সাথে আমি একমত নই। হিজাব যদি আট শাট না হয় , ধর্মীয় বিধান মেনে ফ্যাশনেবল করা হয় তবে সেটা বোধকরি অনেকের কাছেই আকর্ষনীয় , অনুকরণীয় হবে।

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

অবনি মণি বলেছেন: হিজাব যদি আট শাট না হয় , ধর্মীয় বিধান মেনে ফ্যাশনেবল করা হয় তবে সেটা বোধকরি অনেকের কাছেই আকর্ষনীয় , অনুকরণীয় হবে ।
আপনার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি !

৪| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:০০

আলোকসন্ধানী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার বিশ্বাস আমাদের থেকে হাজার গুণ বেশি। আল্লাহ্‌ আপনাকে সঠিক পথের সন্ধান দিন। আমিন।

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

অবনি মণি বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ !

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: Can you show us the instruction of wearing veil which we call hijab in Quran. We caĺl head veil with covering chest of women is hijab but meaning of Hijab isn't that. Kindly show me from Quran where is instruction of wearing chest covering veil .

০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

অবনি মণি বলেছেন: কুরআন এ কি আছে না আছে এ বিষয়ে আমি খুব একটা যদি জানতাম তবে আমি আমার লেখায় উল্লেখ করে দিতাম । আমি যদদুর জানি আব্রু রক্ষার জন্য আমরা হিজাব ব্যবহার করে থাকি । সেক্ষেত্রে এটাকে যারা ফ্যশন হিসেবে ব্যবহার করছেন তাদের নিয়ে আমার মুল্যবান কিছু মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য !

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়
হিজাবের পক্ষে সুরা আল নুরের ৩১ তম (২৪--৩১) আয়াতের এই অংশটুকে হিজাব পরার আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে দবি করা হয় --- ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে ---এখানে বলা হয়েছে -- তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে - মাথার ওড়না বক্ষে ফেলে রাখলে তা হবে হিজাব ।। অনেক বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদে মাথার ওড়না বা ভেইল হিসাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার নমুনা দেখুন। এই আয়াতে আরবিতে খিমার শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যার অর্থ আচ্ছাদন বা কভার যেমন পর্দা একটা কভার বা টেবিল ক্লথ যা টেবিলকে ডেকে আরাখে , জামা পরিধেয় বস্ত্র যা শরীর ডেকে রাখে তাই খিমার । শাল মাথার ওড়না শাড়ীর আচল ব্লাঊজ এই সবই খিমারের আওতায় পরে কারন এগুলো কভার বা আচ্ছাদন করতে পারে । সুতরাং খিমার শব্দের অর্থ শুধু মাথার ওড়না বা ভেইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু কিছু হাদিসের বিকৃত ব্যাখার মাধ্যমে খিমারের অর্থ মাথার ওড়না হিসাবে বহু কোরানের অনুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ।

খিমার মানে মাথার ওড়না এর পিছনের যুক্তি কি ??? নবীর স্ত্রী বা কণ্যারা বা মুসলিম মহিলারা হিজাব পরতো তাই খিমার শব্দের অর্থ মাথার ওড়না -- এই ভাবে খিমার শব্দের অর্থকে মাথার ওড়নার মধ্যে সিমিত করে ফেলা হোল। ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ হিজাব পরতো এবং শরীর সম্পূর্ন ডেকে রাখতো বা এখনো রাখে যার মূল কারন মাত্রারিক্ত গরম হতে শরীরকে রক্ষা করা । মরুভূমির সাভাবিক তাপ মাত্রা যেখানে ৪৫ ডিগ্রী হতে ৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভেরি করে সেখানে মানুষ বাধ্য হয়ে মাথা সহ দেহ ডেকে রাখে জীবন রখা করার জন্য। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যেমন শীত বস্ত্র পরে তেমনি মরুভূমির অত্যাধিক গরম হতে রক্ষা পেতে মানুষকে ডোলা কাপড় পরতে হয় এবং মাথা ডেকে রাখতে হয়। ডোলা কাপড় শরীর থেকে নির্গত ঘাম হতে সৃষ্ঠ ময়েসচারকে ধরে রাখে যা শরীরের ত্বককে বার্ন হতে রক্ষা করে । হিজাব মরুভূমির আবহাওয়ার প্রটেকশন ক্লদিং হিসাবে ইসলাম আগমনের বহু আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে এবং অমুসলিমরা তা ব্যবহার করে ।
হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়

০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ২:১০

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে !

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

এ আর ১৫ বলেছেন: হিজাব শব্দের প্রকৃত অর্থ পর্দা বা আচ্ছাদন যা ঢেকে রাখে বা আড়াল করে কিন্তু আমরা সবাই হিজাব অর্থ জানি মাথার ওড়না দিয়ে বুক ঢেকে ফেলাকে । আরবি শব্দ খিমারের অর্থ একই রকম যার অর্থ পর্দা বা আচ্ছাদন যা ঢেকে রাখে। হিজাব যে ভাবে মাথার ভেইল হয়ে গেছে খিমার ও সেই ভাবে মাথার ভেইল হয়ে গেছে । মাথার ভেইল যেহেতু আচ্ছাদন করে বা ঢেকে রাখে সুতরাং ঐটা এক ধরনের হিজাব বা খিমার ।মাথা ঢাকা বা চুল ঢাকার কোন নির্দেশ কোরানে নেই। মরু ভুমির তাপ ( ৪৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রি) এবং বালুর ঝড় থেকে প্রটেকশনের জন্য ইসলাম আসার আগে থেকে মরু ভুমির নারি পুরুষ মাথা চুল ঢেকে কাপড় পরে থাকে। সুরা নুরে আয়াত ৩১ বলা আছে খিমার দিয়ে বুক ঢাকতে । এই খিমার ওড়না বা শাড়ির আচল বা শাল বা অন্য ধরনের কভার হতে পারে ।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: একজন ইসলামি স্কলারের মতামত দেওয়া হোল
Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him! The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.The last part of the verse (24:31) translates as, "They shall not strike their feet when they walk in order to shake and reveal certain details of their bodies." The details of the body can be revealed or not revealed by the dress you wear, not by your head cover.Notice also the expression in 24:31, [Quran 24:31] They shall not reveal any parts of their bodies, except that which is necessary.This expression may sound vague to many because they have not understood the mercy of God. Again God here used this very general term to give us the freedom to decide according to our own circumstances the definition of "What is necessary".It is not up to a scholar or to any particular person to define this term. God wants to leave it personal for every woman and no one can take it away from her. Women who follow the basic rule number one i.e. righteousness, will have no problem making the right decision to reveal only which is necessary.

৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

মাসূদ রানা বলেছেন: ধন্যবাদ বোন অবনি মণি ....... জাজাকাল্লাহ ।

০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ২:১০

অবনি মণি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ !

১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ৯:৫২

আধখানা চাঁদ বলেছেন: চমৎকার লেখা । অসাধারণ।

++++++++++++++++++++++++++++++++++

০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০১

অবনি মণি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া !

১১| ০৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

সুশান্ত হাসান বলেছেন: মহানবী (সঃ) বলেন, “আল্লাহ্র
বান্দীদেরকে মসজিদে আসতে
বারণ করো না, তবে তারা যেন
খোশবূ ব্যবহার না করে
সাধাসিধাভাবে আসে।” ৫০৭
(আহমাদ, আবূ দাঊদ, সঃ জামে
৭৪৫৭ নং

“যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার
করে মসজিদে যাবে, সে
মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত
কোন নামায কবুল হবে না।” ৫০৮
(ইবনে মাজাহ ৪০০২, সঃ জামে
২৭০৩ নং)

১২| ০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

সুশান্ত হাসান বলেছেন: এক ব্যক্তি তাঁর ‘বাকেরা’
মেয়েকে বিয়ে দেন তার
বিনানুমতিতে। পরে সে নবী
করীমের নিকট হাজির হয় ও
অভিযোগ দায়ের করে। ফলে নবী
করীম (স) তাদের বিয়ে
বিচ্ছিন্ন করে দেন।
হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণনা
করেছেনঃ
একটি পূর্ব-অবিবাহিতা
মেয়েকে তার পিতা এমন একজনের
সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল, যাকে
সে পছন্দ করে না। পরে রাসূলে
করীম (স) সে মেয়েকে বিয়ে বহাল
রাখা-না-রাখা সম্পর্কে পূর্ণ
ইখতিয়ার দান করেন।
অপর একটি ঘটনা থেকে জানা যায়,
চাচাতো ভাইয়ের সাথে পিতা
কর্তৃক বিয়ে দেয়া কোনো
মেয়ে রাসূলের দরবারে হাযির
হয়ে বললঃ
আমার পিতা আমাকে তার
ভ্রাতুষ্পুত্রের সাথে বিয়ে
দিয়েছেন। সে নীচ শ্রেণীর
লোক; আমাকে বিয়ে করে তার
নীচতা দূর করতে চায়।
এ অবস্থায় রাসূলে করীম (স)
তাকে বিয়ে বহাল রাখা-না-
রাখার স্বাধীনতা দান করেন।
তারপরে মেয়েলোকটি বলেঃ
আমি তো পিতার করা বিয়েতেই
অনুমতি দিয়েছি।
কিন্তু তবু এ অভিযোগ নিয়ে
আসার উদ্দেশ্য হলোঃ

আমি চাই যে, মেয়েলোকেরা
একথা ভালো করে জেনে নিক যে,
বিয়ের ব্যাপারে বাপদের
কিছুই করণীয় নেই।
এসব হাদীস থেকে স্পষ্ট
প্রমাণিত হয় যে, বয়স্কা
মেয়েদের বিয়েতে তাদের
নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা ও
পছন্দ-অপছন্দ হচ্ছে শেষ কথা।
পিতা বা কোনো অলীই কেবল
তাদের নিজেদেরই ইচ্ছায় বিয়ে
করতে কোনো মেয়েকে বাধ্য
করতে পারে না। এজন্যে রাসূল
করীম (স) সুস্পষ্ট নির্দেশ
দিয়েছেনঃ
মেয়েদের বিয়েতে তাদের কাছ
থেকে তোমরা আদেশ পেতে
চেষ্টা করো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.