নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

অবনি মণি

যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।

অবনি মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: "শাড়ি" (এটা কি ইসলামিক পোশাক??)

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪



আমাদের সিলেটের ৯০ ভাগ মানুষ নিজেকে,নিজেদেরকে,নিজেদের পরিবারকে অত্যন্ত ধার্মিক এবং রক্ষণশীল মনে করে থাকেন। কিন্তু আসলে তাঁর ভেতর যে কতোটা স্বচ্ছ সেটা তিনি বা তাঁরা নিজেরাই ভালো জানেন আর এক আল্লাহ জানেন। বিশেষ করে গ্রামের মানুষগুলো মনে করে থাকে শহরে কোনো ধার্মিক মানুষ বসবাসই করতে পারেনা, রক্ষণশীল মানুষ হাজারেও একটা পাওয়া যাবেনা। শহরের মানুষ নামায পড়েনা,রোজা থাকেনা,পর্দা করেনা।ইসলামিক পোশাকের প্রতি গ্রামের মানুষ যতটা সচেতন হয় শহরের মানুষ অতোটা সচেতন না। এরা যা তা পোশাক পরিধান করছে। এরা বিধর্মীদের অনুসরণ করে।বুড়ো বয়সেও সালোয়ার কামিজ পরে! এরা দিনের পর দিন অনৈসলামিক কার্যকলাপ গুলো চালিয়েই যাচ্ছে।

এই বিষয় গুলোকে শহরের মানুষ মনে করে থাকে যে গ্রামের মানুষগুলো এখনো গোঁড়াই থেকে গেলো। কোনো উন্নতি নাই এদের, না মানসিক না পোশাকে আশাকে। গ্রামে অনেক ইসলামিক স্কলার থাকা স্বত্তেও ইসলাম সম্পর্কে এখনো সঠিক তত্ত্ব মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারছেনা। নিজেদের মনগড়া করে ইসলামের বিধান তৈরী করছে আবার ভাঙ্গছে। আর শহরে যারা জানে তারা নিজেরাই জানে। অন্যকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করছেনা। অথবা তাদের অনেকেই আছে সঠিকটা জানেনা।

যেমন : "শাড়ি" একটা পোশাক। এই শাড়ি নিয়ে বলতে গিয়ে এতো ঘানি টানলাম। আমাদের সিলেটের বিশেষ করে গ্রামের মানুষের ধারণা সালোয়ার কামিজ একটা অনৈসলামিক পোশাক। তবে বিয়ের আগে সালোয়ার কামিজ পরা যায়। কিন্তু বিয়ের পর আর সালোয়ার কামিজ পরা যাবেনা। গুনাহ হবে,কে নেবে তোমার এই গুনাহর ভার। ছিঃছিঃ শহরের মানুষগুলো বুড়াকালেও সালোয়ার কামিজ পরে। ইন্নালিল্লাহ। এরা ধর্মের অবমাননা করছে কিভাবে দেখছ? গ্রামের ৯৯ ভাগ মানুষই বিয়ের দিন যে শাড়ি পরে আর কখনো তারা সালোয়ার কামিজের মুখ দেখেনা। ই মা...! মানুষ কি মনে করবে গো সালোয়ার কামিজ পরলে।জিজ্ঞেস করেছিলাম কিছু মানুষকে যে আপনি সালোয়ার কামিজ না পরে শাড়ি পরেন কেনো? সালোয়ার কামিজই পইরেন, ভালো লাগে দেখতে। উত্তর এলো "ইয়া আল্লাহ বলো কি ; আমার শ্বশুর অনেক ধার্মিক লোক,সালোয়ার কামিজ পরলে এখনি ঘর থেকে বের করে দেবেন।বলবেন পাখা গজাইছে,আধুনিক হয়ে গেছি।স্টাইল করছি"।

অর্থাৎ তাদের ধারণা শাড়িটা হলো ইসলামিক পোশাক।অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিরাই স্ত্রীর উপর এই চাপ সৃষ্টি করে থাকেন।যদিও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু তারা জানেনা শাড়ি হলো বাঙালি নারীর ঐতিহ্য। আবহমান কাল থেকে নারী আর শাড়ি শব্দ দু’টি একে অপরের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। প্রাচীনকাল থেকে নিজেদের নান্দনিকভাবে সাজাতে বাঙালি নারীরা শাড়ি পরে।সব বাঙালিই কিন্তু মুসলমান না। অথচ এই শাড়িকে তারা ধর্মীয় পোশাক হিসেবে ব্যবহার করে থাকলেও শাড়ি পরার পর শরীরের বেশীর ভাগ অংশই বের হয়ে থাকে। অনেকে পরতে পারেনা আবার অনেকেই মনে করে এভাবেই পরে,ইট্টু আধটু বের করে।অতি ধার্মিকদেরই দেখেছি শাড়িকে পরিপাটি করে পরতে পারেনা।পুরো দেহ ঢেকে পরতে পারে বরং আধুনিকারা।

অথচ ইসলাম বলে, শাড়ি যদি সারা দেহকে ঢেকে নেয়, তাহলে বৈধ। বলা বাহুল্য, পেট-পিঠ বের করে রেখে অথবা পাতলা শাড়ি পরা বৈধ নয়। অনুরূপ এমন লেবাসও বৈধ নয় যাতে নারী দেহের কোনও সৌন্দর্য প্রকাশ প্রকাশ পায়। যে নারীরা এমন শাড়ি বা লেবাস পরে, তারা সেই নারীদলের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) বলেছেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামবাসী হবে, যাঁদেরকে এখনো আমি দেখিনি। তন্মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণী হল সেই মহিলা দল, যারা কাপড় পরা সত্বেও যেন উলঙ্গ থাকবে, (যারা পাতলা অথবা খোলা লেবাস পরিধান করবে।) এরা (পর পুরুষকে নিজের প্রতি) আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও (তাঁর প্রতি) আকৃষ্ট হবে; তাঁদের মাথা হবে হিলে যাওয়া উটের কুজের মত। তারা জান্নাত প্রবেশ করবে না এবং তাঁর সুগন্ধও পাবে না। অথচ তারা এত এত দূরবর্তী স্থান হতে পাওয়া যাবে।” (মুসলিম ২১২৮ নং)

তবে পেচিয়ে কাপড় পরিধান করার ব্যাপারে হাদিসের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে আর এই কারনে যেহেতু শাড়ী পেচিয়ে পরিধান করতে হয় তাই আমরা মনে করি শাড়ী পরা থেকে মুসলিম মহিলাগন যদি দূরে থাকেন সেটাই উত্তম।

নন-সিলেটিদের মধ্যে ধর্মীয় পোশাক হিসেবে শাড়ি পরার রীতি কম।অর্থাৎ তারা এটাকে ধর্মীয় পোশাক মনে করে পরেনা। তারা এটাকে বাঙালির সংস্কৃতি মনে করেই পরে। গ্রাম শহর সব জায়গাই একই জানে। বয়স্করাও সালোয়ার কামিজই পরে। ধার্মিক হোক কিংবা না হোক। কিন্তু এটা নিয়েও সিলেটি মানুষদের মাথাব্যথা আছে, নন-সিলেটিরা অতি আধুনিক তাই বুড়ো বয়সেও সালোয়ার কামিজ পরে।

এগুলো হলো প্রপার জ্ঞানের অভাব,না জানার অভাব। শুধু টুপি পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলেই ইসলামিক হওয়া যায়না। জানতে হয়,ঘাটতে হয় সাথে সাথে চর্চাও করতে হয়। না জেনে ভূল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিব্রত না করে বরং জানার চেষ্টা করুন। দুনিয়ায় পাবেন, আখেরাতেও পাবেন।

বি:দ্র: ভূল তথ্য থাকলে সঠিক করে দেয়ার অনুরোধ থাকলো। আমারো জানার ভূল থাকতে পারে। আরো ভালো তথ্য থাকলে সেটাও আমাকে শেয়ার করা যেতে পারে।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.