![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।
কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেকে সিলেটি ভাবতে লজ্জা লাগে।যদিও সিলেটে সারাজীবনই শিক্ষার হার কম ছিল তবুও বিশ্বের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ স্থানগুলো দখল করে আছে আমাদের সিলেটিরা। অর্থাৎ যারা করেছে তারা ভালো কিছুই করেছে।এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যারা আজও শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে আছে তাদের কথা বাদই দিলাম ; তবে যারা এগিয়ে আছে তারা মানসিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পরা লোকেদের চেয়ে হাজার গুণে পিছিয়ে আছে। বলা-বাহুল্য এরা যত বড় মর্যাদাই পাক না কেনো এই মানসিকতার হয়তো পরিবর্তন হবে না।
প্রসঙ্গ হলো সম্পর্কবাচক শব্দ "কাকা-কাকী" নিয়ে। সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলা ছাড়া জানামতে বাকী ৬০ টি জেলাতেই চাচা-চাচী সম্পর্ককে কাকা-কাকী ডাকা হয়।আমরা সিলেটি হওয়া স্বত্তেও সঙ্গত কারণেই আমরাও কাকা-কাকী ডাকি। ছোটবেলা আত্মীয়,পাড়া,প্রতিবেশী অনেকের মুখ থেকেই শুনতে হতো "কাকা-কাকী" তো হিন্দুদের ডাক তোমরা ডাকো কেন।গুনাহ হবে তো!! কবীরা গুনাহ ।ছোট ছিলাম নিজেও,যারা বলতো তারাও আমার মতোই ছোট ;ওরা এসবের কী বুঝে ! তাছাড়া আমার নানাভাই ঢাকা "সরকারী আলিয়া মাদ্রাসার"র একজন মুহাদ্দীস ছিলেন অতএব নিশ্চয় যে শব্দ বললে গুনাহ হবে এমন শব্দ তাঁর ছেলেমেয়েদের শেখাননি। অর্থাৎ আম্মা,মামা,খালারা "কাকা-কাকী" ডাকেন সেই সুবাদে আমরাও। যাইহোক ছোটবেলা বিষয়টাকে ততোটা পাত্তা দেইনি।
বড়বেলা নিজে যখন বাংলা ব্যকরণ পড়েছি তখন জানতে পারলাম আমরা বেশীর ভাগই বিদেশী শব্দ ব্যবহার করি।যেগুলি না আরবী না বাংলা।খাঁটি বাংলার ব্যবহার খুবই কম আমাদের বাংলা ভাষাতে। সিলেটি ভাষাকেও যদি ধরা হয় সেক্ষেত্রেও দেখা যাবে খাঁটি বাংলার ব্যবহার অতি নগণ্য।
কিন্তু এখনো এই অত্যাধুনিক যুগে এসে শিক্ষিত,বাংলায় পারদর্শী, কবি,লেখক,সিলেটি মানুষগুলো যখন বলে তোমরা "কাকা-কাকী" ডাকো কেনো? সেটাতো হিন্দুরা ডাকে। মানে হিন্দুদের ভাষা এটা। তাদেরকে তবে বলতে হয় আপনারা যদি এতো খাটি মুসলমান হয়ে থাকেন তবে সারাদিন মুখে তালাবদ্ধ করে বসে থাকেন। আশাকরি আপনারা আমার মতো হিন্দুদের ভাষা ব্যবহার করবেননা।সবচেয়ে সহজ শব্দ দিয়ে বুঝালাম আপনি যে মামা-মামী ডাকেন সেটা কোথা থেকে আগত? কবি সেখানে নিরব!
হ্যাঁ, আমাদের উচিত আমাদের এলাকার প্রচলিত প্রথা,সংস্কৃতিকে আগে গুরুত্ব দেয়া। কারণ সমাজের চোখে অন্য এলাকার প্রথাগুলো একটু অস্বাভাবিক দেখায় কিংবা শুনায়। যে যেটাতে অভ্যস্ত তার কাছে সেটাকেই সঠিক মনে হবে। কারণ সবাই ভিন্নধরণের কথা শুনে অভ্যস্ত না। তাই একটু খটকা লাগতে পারে।
তবে যারা কমপক্ষে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে তারা অবশ্য এখন আর এটা নিয়ে প্রশ্ন করেনা। তবে ঐ তথাকথিত কিছু মুসলমান রয়েই গেছে এ প্রশ্নটি করার জন্য। অনেকেই আছে,প্রায়ই প্রশ্ন করে! যেহেতু তুমি জানোনা; সেক্ষেত্রে প্রশ্নটা এমন হতে পারতোনা ' আমরা সবাই চাচা-চাচীর ক্ষেত্রে এক শব্দ ব্যবহার করি তোমরা কেনো অন্যটা ব্যবহার করছো'? তা না করে সরাসরি বলেই ফেলে এটাতো হিন্দুরা ডাকে,হিন্দুরীতি; এই শব্দ গুলো কেমন যেন বিশ্রী শুনায় । অদ্ভুত!!!
♣ তবে চলুন একটু জেনে আসি ; আপনি আমি রোজ কতোগুলো বিদেশী শব্দ ব্যবহার করি যা কীনা হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টানদের ভাষা থেকে আগত।না বাংলা শব্দ না আরবী শব্দ।
♦ কাকা-কাকী শব্দ গুলো প্রমিত বাংলায় ব্যবহৃত সাঁওতালি শব্দ। পশ্চিমবঙ্গের অধ্যাপক ক্ষুদিরাম দাস "সাঁওতালি-বাংলা সমশব্দ অভিধান" নামে যে বইটি লিখেছিলেন সেখানে কাকা-কাকীর পাশাপাশি হাজারও শব্দ রয়েছে যা বাংলা এবং সাঁওতালি উভয় ভাষাতেই ব্যবহৃত হয়। এর বেশীর ভাগই মূলত সাঁওতালি শব্দ।
মূলগতভাবে সাঁওতালি কিছু শব্দ আমরা নিয়মিতই বাংলা ভাষায় ব্যবহার করি এমন কিছু শব্দ উল্লেখ করলাম : আটা,আমড়া,আম,ঝিঙা, ডাল,ডিম,চাল,তাল,তিল,মরিচ,পুদিনা,ব্যঙ,ইন্দুর,বাঁদুড়,ভ্যাড়া,ট্যংরা,খইলসা, মামা-মামী,খালা-খালু,গোড়ালী,ঠ্যাঙ, মুচ,ঘাড়,গলা,পেট।এমন হাজারও সাঁওতালি শব্দ রয়েছে যা কীনা আমরা প্রতিটা বাক্যে ব্যবহার করে থাকি।
এগুলি তো শুধু সাঁওতালি শব্দের ব্যবহার ; এরকম হাজারো বিদেশী শব্দ রয়েছে যেগুলি আরবী না। কোনো ইসলামিক ভাষা না। সবকিছুতে হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান জড়ায়ে নিজেকে অতীব ধার্মিক মনে করা থেকে বিরত থাকুন। হুটহাট কাউকে দোষারোপ না করে জানুন,শিখুন। অন্যকে শেখান।
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ অশেষ ।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
অশ্রুকারিগর বলেছেন: আপনি কি বুঝাইতে চাইছেন বুঝলাম না। আমি বা আমার আশেপাশের সবাই আমরা চাচা-চাচি ডাকি। আমি কখনো শুনিনাই এই যুক্তি যে কাকা-কাকী ডাকলে কবীরা গুনাহ হবে। সিলেটের অনেক গ্রামে চাচাকে ছোট আব্বা , জ্যাঠাকে 'বড় আব্বা' বলে এটাও নিশ্চয় জানেন। আর চাচা কি বাংলাদেশে কেউ ডাকেনা!
আমাকে কেউ কখনো বলেনাই হিন্দুদের ডাক হওয়ায় কাকা-কাকী ডাকা যাবে না। এমনিতেই তো আমরা ডাকিনা। আপনি সিলেটের কোথায় থাকেন ?
সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলা ছাড়া জানামতে বাকী ৬০ টি জেলাতেই চাচা-চাচী সম্পর্ককে কাকা-কাকী ডাকা হয়।আমরা সিলেটি হওয়া স্বত্তেও সঙ্গত কারণেই আমরাও কাকা-কাকী ডাকি। এই কথাটা একটু বিদ্ঘুটে ঠেকলো আমার কাছে। আপনি প্রথম লাইনে বললেন সিলেট ছাড়া বাকি সব জায়গায় কাকা-কাকী ডাকা হয়। তাহলে আপনি সিলেটি হয়ে কেনো কোন 'সঙ্গত' কারনে কাকা-কাকী ডাকেন ???
নিজস্বতা বলে একটা কথা আছে, ভাষাগত পার্থক্য আছে বলেই সিলেট এর মাঝে বৈচিত্র আছে।
আপনি কি জানেন খুলনার মানুষ কাঁচা মরিচকে 'ঝাল' বলে ? যেমনঃ আমাকে ২৫০গ্রাম ঝাল দাও।
তো, এইটা আপনি সিলেটের বাজারে বলে দেখেন আপনাকে লোকে পাগল বলবে কারন সব জায়গায় 'ঝাল' একটা স্বাদের নাম। (যদ্মিন দেশে যদাচার)
আপনার আগের পোস্টও দেখলাম একটু কষ্টে ভরা । কারণটা একটু বলবেন আশা করি।
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫০
অবনি মণি বলেছেন: আমি বোঝাতে চেয়েছি বাকী ৬০ জেলাতেই কাকা কাকি ডাকার প্রচলন রয়েছে ।কিন্তু সিলেটে এর প্রচলন নাই বলে তাদের ধারনা শুধু হিন্দুরাই কাকা-কাকী ডাকে। অনেকের ধারনা কাকা-কাকী ডাকলে গুনাহ হবে এই কারনে যে এটা হিন্দুরা ডাকে ।বললেন আমি কি জানি?? জানতে পারি আবার নাও জানতে পারি ।কিন্তু জেনে নেয়াটা তো ভূল কিছু না। তাই বলে এটা তো বলা যায় না তুমি মুসল্মান হয়ে কাকা-কাকী ডাকো কেন??
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১২
অশ্রুকারিগর বলেছেন: তবে যারা এগিয়ে আছে তারা মানসিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পরা লোকেদের চেয়ে হাজার গুণে পিছিয়ে আছে। বলা-বাহুল্য এরা যত বড় মর্যাদাই পাক না কেনো এই মানসিকতার হয়তো পরিবর্তন হবে না।
এটা আপনি কি লিখলেন ? কোন যুক্তিতে ? ভিন্ন মানসিকতা হলেই কি সেটাকে পিছিয়ে পড়া বলে ? ভিন্ন সংস্কৃতি হলেই কি সেটাকে পিছিয়ে পড়া বলে ?
আবার প্রথমেই নিজেকে সিলেটি দাবী করলেন।
"আমি সিলেটি,আমি একজন গর্বিত সিলেটি" কিন্তু.......... সবাই এইভাবেই শুরু করে। পুরো পোস্টে আপনার গর্বিত হওয়ার কোন কারন দেখলাম না হীনমন্যতা ছাড়া। আমি দুঃখিত শব্দটা ব্যবহার করা জন্য। আপনি চাইলে আমার মন্তব্যটাকে মুছেও ফেলতে পারেন। কিন্তু আপনি পাবলিক প্লেসে বাকি ৭ টা বিভাগের মানুষের কাছে আমার বিভাগ নিয়ে 'যুক্তিহীন, ভ্রান্তিমূলক' কথা বললে সেটা আমার কাছে হীনমন্যতা।
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
অবনি মণি বলেছেন: আপনি আমাকে বুঝতে ভুল করছেন ! ওরা জানে যে কাকা-কাকী একটা সম্বোধন মাত্র ।এখানে হিন্দু মুসলিম এর ব্যপার আসছে কেন? আর বুঝাতে চেয়েছি জানার অভাব ; না জেনে তো আমাকে ভুল তথ্যে ধর্মের দোহাই দিয়ে যা তা বলতে পারেনা! এটাই বললাম!
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
শরতের ছবি বলেছেন: আমি কিছু বললাম না , আপনার লেখার বিপক্ষে । তবে সিলেটী হয়ে আমি খুশি । মানুষ গুলো দিলখোলা ,নরম প্রকৃতির হয় - সিলেটের মাটির মত । সিলেট কিন্তু পুন্য জায়গা ।
"সিলেট ভুমি ধন্য হইল তোমার পরশ পাইয়া
দুআ কর মোরে হযরত শাহজালাল আউলিয়া ।"
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
অবনি মণি বলেছেন: দুঃখিত ।কষ্ট পাবেননা । যারা না জেনে অযথা ধর্মের দোহাই দেয় আমি কেবল তাদের কথাই বলছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: পোস্টের ছবিটাত আসলো না...
ইডিট করে ছবি লিংক টা একটু ঠিক করেন।।