নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!
আজ ৪ ডিসেম্বর থেকে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ১০ম আন্তর্জাতিক সায়েন্স অলিম্পিয়াড(আইজেএসও )। ভারতের পুনেতে এই অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মত আমাদের কেও আছে। বাংরাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক Farseem Mannan Mohammedy এবং Farhana Mannan বাংলাদেশ পর্যবেক্ষকদলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। অন্যান্য অলিম্পিয়াডের মত এখানেও প্রথম বছর পর্যবেক্ষক থাকতে হয় এবং সব ঠিক থাকরে পরেরবার থেকে সেখানে াংশ নেওয়া যায়।
২০১২ সাল তেকে আমরা গণিতের পাশাপাশি বিজ্ঞান নিয়েও কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি। কয়েকটি স্থানীয় বিজ্ঞানমেলা, গুগল সায়েন্স ফেয়ারের জন্য সহযোগিতা ইত্যাদির পাশাপাশি আমরা সেবার আযোজন করি সত্যেনবোস বিজ্ঞান ক্যাম্প যেখানে ৭ জেলার ৮৪জন বিহ্ঞান শিক্ষক যোগ দিয়েছেন। তখন তেকে মূলত বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের কর্মবীর নির্বাহী পরিচালক Alin-Sazzadur R Chowdhury এর মন্ত্রণা এবং প্ররোচনায় আমরা দেশে একটি শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস করা যায কীনা সেটা নিয়ে ভাবতে থাকি। অবশেষে ২০১৩ সালের মে-জুন মাসে আমরা প্রথমবারের মত ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক -বিএফএফ শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৩ এবং প্রথম জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ক্যাম্প আয়োজন করি। আমাদের প্রিয় Azam Khan ভাই-এর কারনে এটি ব্যপকতা পায়। এর সঙ্গে যুক্ত হোন আরো অনেকে।
ক্যাম্পের শেষ আমরা ভাবছিলাম আমাদের মিমু কিশোরদের কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাঠানো যায় কী না। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এশিয়ান সায়েন্স ক্যাম্পে পাঠাবো। জানলাম বাংলাদেশ তেকে নাকি একটি জাতীয় প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে সেখানে অংশগ্রহণকারী পাঠানো হয়। ব্যাপারটা আমি জানতাম না। জানলে হয়তো কংগ্রেস আর করতাম না। পরের দুইমাস চেস্টা করেও সেই জাতীয় প্রতিযোগিতার কোন খবর আমি বের করতে পারি নাই! পরে ভাবলাম তাহলে কংগ্রেসটা থাকুক। আইজেএসও-এর প্রেসিডেন্ট-এর সঙ্গে আমার আগে থেকে যোগাযোগ ছিল। তাকে জানালাম আমাদের জন্য কিচু করা যায কী না। কিন্তু ততদিন ১০ম আইজেএসও-তে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সময়ও পার হয়ে গেছে। তারপরও উনি বরলেন ভারতে যোগাযোগ করতে ওরা যদি রাজী হয়। সেই হিসাবে আমরা যোগাযোগ করি এবং এসসোসিয়েট মেম্বারশীপ মানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সম্মতি পাই। সেই হিসাবে ফারসীম আর ফারহানা ওখানে যোগ দিয়েছেন।
আমাদের দেশে এই ধরণের কার্যক্রমের স্পন্সর পাওয়াটা কঠিন। এবং আমরা এখনো পাইনি। আমাদের পরিচিত একজন আমাদের চার লক্ষ টাকা ধার দিয়েছেন যে টাকা দিয়ে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হয়েছে। পরে যদি স্পন্সর না পাই, তাহলে আমাকে হয়তো সেই ধার শোষ করতে হবে। যদিও আমি যথেষ্ট আশাবাদী যে, আমাদের এবারের কর্মকাণ্ডে আমরা কাউকে না কাউকে পাবোই।
বিজ্ঞান কংগ্রেসের কর্মকাণ্ডকে আমরা এবার বছরব্যাপী একটা কর্মকাণ্ডে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে কয়েকটি হল-
১. বছরর জুড়ে বিজ্ঞানের জন্য প্রচারণা, ২. স্কুলে স্কুলে একটিভেশন ও বিজ্ঞান মেলা, ৩. গুগল ও ইন্টেল বিজ্ঞান মেলার প্রস্তুতির জন্য কর্মশালা, ৪. বিজ্ঞানকর্মী এবং বিজ্ঞান লেখকদের জন্য কর্মশালা, ৫. আঞ্চলিক ও জাতীয় বিজ্ঞান ক্যাম্প, ৬. কংগ্রেস, ৭. আি্জেএসওতে অংশ নেওয়া ইত্যাদি।
আজ থেকে আমাদের ২০১৪ এর কার্যক্রম শুরু হল। বাকী আল্লাহর ইচ্ছা।
সবার সেকন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক। #cscongress14
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ কামনা রইল।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অজস্র শুভকামনা রইলো !
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
সুমন কর বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল।