নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়েশ করে, আলসেমিতে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

মুনির হাসান

অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!

মুনির হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনস্টাইন, হকিং ও মেরিলিন মনরো

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২০


আজ থেকে ১০০ বছর আগে, ১৯১৯ সালের ৬ নভেম্বর স্যার আর্থার এডিংটন তার এক্সপেডিশনের রেজাল্ট প্রকাশ করে বলেন - আইনস্টাইনের থিউরিই ঠিক। ভারী বস্তুর পাশ দিযে আসার সময় আলো বেঁকে যায়। এ যেন কোন সুন্দরী মেয়েকে পাশ কাটানোর সময় তাকে কুর্নিশ করা। বিশেষ করে মেয়েটি যদি মেরিলিন মনরো হন।

অনেকের ধারণা গ্র্যাভিটির ফলে আলোর বেঁকে যাওয়ার ব্যাপারটা আইনস্টাইনই প্রথম বলেছেন। তবে, কথাটা সত্য নয়। ১৭০৪ সালে আইজ্যাক নিউটনও কথাটা বলেছেন। তবে, সেভাবে কোয়ান্টিফাই করতে পারেননি।
আইনস্টাইন অবশ্য একটু সরে আসলেন। তিন বললেন - আলো যে বাঁকে সেটা আসলে পথটা বাঁকা বলে। সূর্যের মতো একটি ভারীবস্তু তার আশেপাশের স্থানকালকে বাঁকিয়ে দেয়। শূণ্যে ভাসমান একটি চাদরে যদি একটা বল ছেড়ে দেন তাহলে সেটি ঘুরে ঘুরে এর কেন্দ্রে গিয়ে হাজির হবে এবং চাদরের মাঝখানে ঝুলে পড়বে। এরপর আপনি যাইই গড়িয়ে দেন না কেন সেটা ঘুরে টুরে ঐ বলের কাছেই যাবে। কারণ এছাড়া আর কোন পথ নাই।
আইনস্টাইন হিসাব করে সেটা বেরও করে ফেললেন ১৯১৬ সালে। প্রকাশের জন্য যখন তিনি তাঁর সাধারণতত্ত্ব প্রকাশকের কাছে পাঠান তখন ফুটনোটে লিখেছেন -"এ নিবন্ধ বোঝার মতো লোক পৃথিবীতে ১২জনের বেশি নাই there were not more than twelve persons in the whole world who would understand it,"
আইনস্টাইনের এই কথা যে কতোটা সত্য সেটা বোঝা যায় কিছুদিন পরে। একদর সায়েন্টিস্ট আইনস্টাইনের বিরোধিতা করে বইই লিখে ফেললেন - 100 Against Einstein'
শুনে আইনস্টাইন বললেন - If I was wrong, one would be enough!
আইনস্টাইনের এই কথাগুলো সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যখন ইংলন্ডে পৌছায় তখন সেটি হয়ে যায় 'তিনজন'। এ প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিক স্যার আর্থার এডিংটনকে একবার কথা প্রসঙ্গে জানায় - আইনস্টাইন নাকি বলেছেন সাধারণত্ত্ব মাত্র তিনজন লোক বুঝতে পারে?"
জবাবে এডিংটন ভ্রূ কুঁচকে বলেন - আর একজন কে?
সে সময় ইউরোপ জুড়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। কাজে আইনস্টাইনের জন্য জীবনপাত করার কারও খায়েশ হওয়াার কথা নয়। কিন্তু দেখা গেল স্যার আর্থার এডিংটন এবং ডাইসন, ইংলন্ডে বসে পরিকল্পনা করছেন কেমন করে এটি প্রমাণ করা যায়। কিন্তু ফান্ডিং আর নিরাপদে ব্রাজিল যাওয়ার উপায়?
১৯১৮তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সেই সুযোগটা আসে। ২৯ মে ১৯১৯ এর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য দু্টি ব্রিটিশ দল রওনা হলো দক্ষিণ আমেরিকার উদ্দেশ্যে। ব্রাজিলের দলটির তর সয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি ফটোগ্রাফিক প্লেট ডেভেলপ করেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কারণ আইনস্টাইনই জিতে যাচ্ছেন মনে হয়। এডিংটন অবশ্য ধীরে চলা নীতিতে বিশ্বাসী। তিনি দেশে ফিরে সকল ছবি নিয়ে বসলেন এবং ৬ নভেম্বর রাজকীয় বিজ্ঞান সমিতির একটি কক্ষে সাংবাদিকদের সামনে সব কিছু তুলে ধরলেন।
আইনস্টাইনকে এক সাংবাদিক বললেন - আ্চ্ছা, আপনার তত্ব যদি সত্য প্রমাণিত না হতো তাহলে আপনি কী করতেন?
হাসতে হাসতে আইনস্টাইন বললেন - ঈশ্বরের জন্য করুণা বোধ করতাম!
এই ঘটনা আইনস্টাইনকে রাতারাতি তারকা খ্যাতি এনে দেয়। ৭ তারিখে লন্ডন টাইমস হেডলাইনে লিখেছে -“Revolution in science NEW THEORY OF THE UNIVERSE: NEWTONIAN IDEAS OVERTHROWN.”

১০ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক টাইমস এটিকে প্রধান শিরোনাম করে। সেদিন প্রথম পাতায় ছয় কলামে এই সংবাদ ছাপা হয়।

আর এভাবে আমাদের মিলোভার স্বামী হয়ে উঠেন বিশ্বজন। আইনস্টাইনের ১২ জনের সংখ্যাটা বাড়তে সময় নেয়ে ম্যালাদিন।

[এই শিরোনামে একটি সিরিজ লিখতে শুরু করি আমি বেশ কিছুদিন আগে। ফেসবুকেই লিখেছি। কাল সোহানীর লেখা পড়ে মনে হলে এই সিরিজটা সামহোয়্যার ইনে লিখলে মন্দ হয় না। সেই কারণে এখানে লেখা। মুক্ত সামু ব্লগে লিখতে পারাটাও একটা আনন্দের ব্যাপার। ]

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩

হাবিব বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম ভাইয়া। গতকাল সোহানী আপুর পোস্ট থেকে আপনাকে জানার সুযোগ হলো। আপনার ব্লগবাড়িতে ঘুরে এসে আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম। আপনার বইগুলো সংগ্রহ করার খুব ইচ্ছা আছে। আপনার পোস্ট পেয়ে ভালো লাগছে

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'আলো বাঁকা পথে চলে'- ছাত্রজীবনে খুব খটখটে এরকম একটা থিওরি মুখস্থ করতে হয়েছিল। তখন যেমন বুঝি নি, এখনো ব্যাপারটা বুঝি নি। 'সময় ও স্থান' বাঁকা হওয়ার উদাহরণটা এই ব্লগেই মাত্র কিছুদিন আগে অন্য এক ব্লগার ব্যাখ্যা করেছিলেন (সম্ভবত নতুন, শের শায়রী), সেটা বুঝতে পারি নি। স্থান বেঁকে যাওয়ার ব্যাপারটা খুব সাধারণ ভাবে হয়ত বুঝে ফেলবো, কিন্তু সময় কীভাবে বেঁকে যায় তা মাথায় আসছে না। খুব ছোটো গণ্ডির মধ্যে যদি চিন্তা করি, তাহলে কি ব্যাপারটা এরকম যে, স্থান বেঁকে যাওয়ার ফলে আমরা দেখতে পেলাম সূর্য পশ্চিম, উত্তর বা দক্ষিণ দিক থেকে উদিত হচ্ছে? টাইম বেঁকে যাওয়া কি এরকম যে, তখন পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য হয়ে গেলো ৩০ বা ১০ ঘণ্টা, এবং সূর্য থেকে পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহের দূরত্বেও হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটলো? এটা যদি না হয়ে থাকে, তাহলে প্লিজ একটা উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা বোঝালে খুশি হবো।

আমার মূল প্রশ্ন হলো- আলো বাঁকা পথেও চলে- এটা প্রয়োগ করে বিজ্ঞানের কী কী আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে? অন্যদিকে, আলো সোজা পথে চললে তা দিয়ে কী কী আবিষ্কার করা সম্ভব হতো? অর্থাৎ, পৃথিবী বা ইউনিভার্সে আলোর সোজা-বাঁকা পথে চলার প্রভাব বা প্রায়োগিক দিকগুলো কী কী?

আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগছে।

সালগুলো ২০১৮ হয়ে গেছে। প্লিজ কারেক্ট করে দিন।

শুভেচ্ছা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

মুনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। টাইপো ঠিক করেছি।

আরো বাঁকা পথে চলে না। আলো সরল পথেই চলে। কিন্তু যেখানে পথটাই বাঁকা সেখানে আলো আর কী করতে পারে।

স্থান বা কাল করে কোন বিষয় নয়। এটি একসঙ্গে বিদ্যমান। এ জন্য আমরা বলি বিগব্যাং-এর "আগে" বলে কিছু নাই। যারা জোর করে কিছু করতে চায় তারা হকিং-এর কাছে জানতে চান - বিগব্যাং-এর আগে ঈশ্বর কী করেছেন?
হকিং বলেছেন - তিনি তখন যারা এই প্রশ্ন করবে তাদের জন্য নরক বানাচ্ছিলেন।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ছোটবেলা থেকেই আইনস্টাইনের ভক্ত। মহা ভক্ত। আমার ঘরে তার একটা পোস্টার ছিল দীর্ঘদিন।
মেরিলিন তো লক্ষ কোটি তরুনের রানী।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

মুনির হাসান বলেছেন: হকিং-এর অফিসে মাত্র দুইটি পোস্টার। একটি আইনস্টাইনের আর একটি মেরিলিনের।

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: স্যার!!!!!!!!!!!!!! এটা সত্যিকারের আপনি?!?!?!
প্রথমবার ম্যাথ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সময় থেকে আপনার ভক্ত বনে গিয়েছি। আপনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ(জাওয়াদ ভাই) কোন বৈশ্বিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মত গোল্ড মেডেল জিতেছে। সামুতে আপনাকে পেয়ে কী যে আনন্দ হচ্ছে!!!
এবারের অলিম্পিয়াড অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। মনে আছে,আমার অনেক মেধাবী বন্ধু অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারত না কেবল ঢাকা পর্যন্ত আসতে হবে-এজন্য। এবার নিশ্চয়ই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো থেকেও অনেক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করবে।
আমার প্রিয় ব্যক্তিত্বদের একজনের পোস্টে সরাসরি মন্তব্য করতে পেরে ধন্য হলাম! আশা করছি ফেসবুকের পাশাপাশি সামুতেও সিরিজটা প্রকাশ করবেন।
আমার সালাম জানবেন। ভালো থাকুন।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুনির হাসান ,




যেখানে গাঙ বাঁকা, কূল বাঁকা, চাঁদও বাঁকা এমনকি প্রেমিকার মনও বাঁকা ( মনরোর বাঁকা ভ্রুর কথা না হয় বাদ ;) ) সেখানে আলোও যে বেঁকে যাবে, এতে আর আশ্চর্যের কিছু নেই।

লেখাটি সম্ভবত পর্বে বিভক্ত। সিরিজটি চালিয়ে গেলে ভালো লাগবে। আশা করি তা চলবে। বিজ্ঞান যেহেতু, সেহেতু গনিত তো এখানে আছেই , সে গনিতের কথাও জানতে চাই।

শুভেচ্ছা জানবেন।

( অঃটঃ সোহানীর সেই পোস্টে মন্তব্য করে এসেছি )

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

কলাবাগান১ বলেছেন: Walter Isaacson's book- best sellers New York Times

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার বুয়েট জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে আমার অনেক মিল খুঁজে পাই | আমি অবশ্য তখন 'হর্ষবর্ধন গোবর্ধন' শেষ করে জুলে ভার্নে মজেছি | গায়ে হাওয়া লাগিয়ে আড্ডা মেরে ঘুরে ফিরে পরীক্ষার আগে ক্লাসের কয়েকজনের রুমে ধর্ণা দিতাম চোথার জন্য | আজ সেই কয়েক বন্ধুর বাস মিশিগানে | ভাবি তাদের চোথা না পেলে হয়তো আপনার মতো একদিন হয় সাময়িকভাবে বুয়েট ছেড়ে বিদায় নিতাম আর নাহয় চিরতরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াই ছেড়ে দিতাম |

আমার ইদানিং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া শুরু হয়েছে, রাফুভাইয়ের রুমি আমি এক দুবার গিয়েছি, সেটা কি ১২০ নাকি ১২৭ ছিল ?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২১

মুনির হাসান বলেছেন: ১১৯

আমার বুয়েট জীবনের ওপর আমার একটা বই আছে। পড়ো পড়ো পড়ো
https://munirhasan.com/self_rea_101/

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: পরের পর্বগুলির অপেক্ষায় থাকলাম।
ব্লগে আবার ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন রইল।
ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার লেখা, আমার মতো গাধাদের জন্য সহজপাঠ্য। সিরিজ চালিয়ে যান, পাশে আছি।
+++

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

সোহানী বলেছেন: এইতো আপনাকে পেয়ে গেলাম ;)

বিজ্ঞান আমার বিষয় নয়, তারপরও আমার প্রিয় বিষয়। চলুক সিরিজটি, সাথে আছি। (সোনাবীজ ভাই উল্লেখ করেছেন, সালগুলো একটু চেইন্জ দরকার।)

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মুনির হাসান ভাই,
ব্লগে আবার ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন রইলো। থাকুন আমাদের সাথে। সবাই চলে গেলে কিভাবে হয় বলেন। মুনির হাসান ভাই, আপনাকে ব্লগে খেজুরের গুড়ের শুভেচ্ছা।

১২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শিরোনামের সাথে উপমার দারুণ মিল। বিষয়টি সহজভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: তত্ব ও তথ্যবহুল লেখা।
অনেক কিছু জানলাম। ভাল লেগেছে।
আমার প্রীতি নিন।

১৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন। আইনস্টাইনের কথা।

আলো বাঁকা পথেও চলে- এটা প্রয়োগ করে বিজ্ঞানের কী কী আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে? (সোনাবীজ ধুলোবালিছাই এর প্রশ্নে)

ইন্টারস্টেলার পর্যবেক্ষন করা, মহাশুন্য থেকে হাবল টেলিস্কোপের ছবি, সহ সকল স্পেস অভিযানে এটা প্রয়োগ হচ্ছে, বি
মহাকাশ বিজ্ঞান, নেক্সট পরিকল্পনা ভুল হবে এটি বিবেচিত না হলে।

আমার এনিয়ে গত বছর লেখা একটি পোষ্ট ছিল। পড়ে দেখততে পারেন, অন্যরাও দেখুক।
অসীমের সন্ধানে

১৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর পোস্ট :)

১৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে পেলাম স্যার কি যে ভালো লাগছে।
আপনার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হকিং-এর অফিসে মাত্র দুইটি পোস্টার। একটি আইনস্টাইনের আর একটি মেরিলিনের।

বাহ!
তাই নাকি!!!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

মুনির হাসান বলেছেন: এবং পজিশনটাও মজার। মেরিলিন হলেন দরজার পেছনে। আপনি ভিতরে ঢুকলেই তাকে দেখতে পাবেন না। কারণ আপনি ঢোকার পর দরজাটা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু বস সার্বক্ষণিক তাকে দেখতে পাবেন। আর আইনস্টাইন গ্রীণবোর্ডটার পাশে। অর্থাৎ ভিজিটরদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভিজিটর দেখতে পান আইনস্টাইনকে আর হকিং দেখতে পেতেন মেরিলিনকে!!!

১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কালই গুনিজন সম্পর্কে আদ্যান্ত পাঠ করলাম বিস্ময়ের সাথে!

আজই পেয়ে গেলাম ব্লগে:)
সত্যি ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। গুনিজনের সান্নিধ্যও যে বিশাল প্রাপ্তি।


মজা করে বিজ্ঞান শেখানো যদি স্কুল গুলোতে চালু হতো।
পুলাপাইন একটাও ক্লাশ ফাকি দিতো না! উল্টো অপেক্ষায় থাকতো ক্লাশের। :)

+++++

১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

জানা বলেছেন: সেই স্বভাবসূলভ মজা করে বিজ্ঞানের খটমটে বিষয় নিয়ে পরীক্ষিত সত্যটা সবার মনে এবং মাথায় সহজ করে গেঁথে দেবার প্রিয় মানুষ আমাদের মুনীর ভাই। আলোর গতির গতিবিধির ব্যাখ্যায় আইনস্টাইন এবং স্যার আর্থার এডিংটন এর এক্সপেডিশনে উদাহরণ স্বরূপ সুন্দরী মেরিলিন মনরোর জায়গা পাওয়া- দারুণ এক মজার বিষয় জানলাম আমরা। বিজ্ঞানের সূত্র এবং তার পরিক্ষীত সত্যের মত মানুষের জীবনে সুস্থ গতিতে রসবোধ, আনন্দযোগ এবং সংযুক্ত থাকাটাও সত্য এবং পরীক্ষিত প্রয়োজন।

আজ সামহোয়য়ার ইন ব্লগের ১১তম জন্মদিনে আপনার লেখাটি পেয়ে আমাদের সবারই খুব ভাল লাগছে। একদিকে যেমন সত্যিকারের গুনীদের এ দেশে চেনার এবং জানার সুযোগ সীমিত তেমনই আপনার মত যথার্থ 'কাজের' মানুষ নিজের চেয়ে নিজের কাজকে যোগ্যতর গতি দিয়ে চলেন বলেই আপনাদের গায়ে 'সেলেব্রিটি'র তকমাটা জোরেসোরে লাগেনা। আর সে জন্যেই 'মুনীর ভাই'দের বিপুল চেনা-জানার পরিসর ছোট। তবে, সেই পরিসরে সত্যিকারের ভালবাসা এবং শ্রদ্ধাটা বিশুদ্ধ, স্থায়ী।

মুনীর ভাই সহ সবাইকে আজকের বিশেষ দিনের জন্যে কৃতজ্ঞতা। ভালবাসা অশেষ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

মুনির হাসান বলেছেন: আমি সব সময় ভাবতাম জন্মদিন মনে হয় ১৯ ডিসেম্বের। কোন একবার বাংলা ব্লগ দিবস পালনের সময় প্রথম আলো অফিসে আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কী কথা হয়েছে সেটাও মনে আছে। আত্মজীবনীর তৃতীয় খন্ডে হয়তো বা লিখবো।

তবে, যেদিন আপনার কাছে জেনেছি এই সাইটটা বন্ধ হয়ে আছে কোন এক পাগলামিতে তখন অনেক অবাক হয়েছিলাম। সকালে সাইটে ঢুকে মনে হলো অনেকেই হয়তো এখনও ফিরেন নাই। আমিও সেই দলে। ভাবলাম দল পরিবর্তন করি। তাই ফেসবুকে লিখতে শুরু করেও আবার একানে নিয়ে এসেছি। এখন তো ঠিকই করেছি এই সিরিজ যদি কখনো বই হয় তালে সেটি প্রিয় জানা, তোমাকে উৎসর্গ করবো।

সবাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
সামহোয়্যার ইনের সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

জানা বলেছেন: আজ সামহোয়্যার ইন ব্লগের ১১তম < আজ সামহোয়্যার ইন ব্লগের ১৪ তম জন্মদিন।
টাইপোটির জন্যে দুঃখিত।

২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফেসবুক হলো বউ'এর ছবি দেয়ার জন্য, সামু হলো লেখার জন্য

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

মুনির হাসান বলেছেন: দ্বিমত থাকুক

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !
সিরিজ আকারে চলুক ।

২৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫

শের শায়রী বলেছেন: সালাম জানবেন। আপনার লেখা পড়ার মজাই আলাদা। বিজ্ঞানের ভয়াবহ খটোমটো ব্যাপারগুলো কেমন যেন পানির মত সহজ হয়ে যায়। আশা রাখি সামনে আপনাকে নিয়মিত পাব।

২৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৪

জানা বলেছেন: মুনীর ভাই, ২০০৫ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর সামহোয়্যার ইন ব্লগের প্রথম পোস্টের জন্ম। আমরা ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস কে সম্মানের সাথে উদযাপনের পাশাপাশি এক বিপুল আনন্দে ১৬ই ডিসেম্বরেই এর অফিসিয়াল উদ্বোধন করি। তবে, ১৫ই ডিসেম্বর যেহেতু এর সত্যিকারে জন্ম তাই আমরা এই দিনটিকেই সামহোয়্যার ইন ব্লগের জন্মদিন উদযাপন করে আসছি প্রতিবছর। সেই হিসেবে এবারের ১৫ই ডিসেম্বর ১৪ বছর হলো। আর গত ১১টি বছর ধরে ১৯ শে ডিসেম্বর উদযাপিত হয় বাংলা ব্লগ দিবস। এই দিবসটির একটি বিশেষ লোগোসহ অফিসিয়ালী রাষ্ট্রীয় কপিরাইট বিষয়ক খাতায় রেজিস্ট্রি করা আছে। ২০০৯ সালের ১৯শে ডিসেম্বর ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান স্যার দিনটির উদ্বোধন করেন এবং প্রতিবছর বাংলা ব্লগাররা এই দিনটি বিশেষ আনন্দে উদযাপন করেন। এবারেও বিপুল উৎসাহে ব্লগাররা ১১তম বাংলা ব্লগদিবস উদযাপন করবেন।

২০০৯ সালে একটি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে ব্লগারদের মতামতের ভিত্তিতে বাংলা ব্লগ দিবস নির্ধারিত হয়। এখানে পোস্টের লিঙ্ক দিলাম। এটা নিয়েও বছরের পর বছর কম যুদ্ধ করতে হয়নি আমাকে।
https://www.somewhereinblog.net/blog/janablog/29058690

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

মুনির হাসান বলেছেন: আমি ভাবতাম বাংলা ব্লগ দিবস আর সামহোয়্যারের জন্মদিন একই দিনে। সেটাই আমার মতো মুর্খরা ভাবে আর কি।
যা হোক। জানা থাকলো।

১৯ তারিখ নিশ্চয়ই ভুলে যাবো। বুড়ো হইছি তো। মনে থাকলে এসে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাবো।

২৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫১

অন্তরন্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আবার সামুতে লিখার জন্য। সিরিজ চলুক।

২৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আলো গতি কখনো কি প্রায়গিক ভাবে পরীক্ষিত ?
নাকি E= mc2 বলে চালানো হচ্ছে ?
আর যখন সরল পথ ছেড়ে বেকেঁ যায় তখন কি একই গতি থাকে ???

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

মুনির হাসান বলেছেন: একেক মাধ্যমে আরোর গতিবেগ একেক রকম, কিন্তু একই মাধ্যমে সেটা সবসময় এক। যেমন শূণ্য স্থানে প্রতি সেকেন্ড ১৮৬,০০০ মাইল। অনেকগুরো এক্সপেরিমেন্ট করে এটা প্রমাণিত। কাজে কোন ঝামেলা নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.