নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়েশ করে, আলসেমিতে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

মুনির হাসান

অলস লোক। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খায়েশ কিন্তু করতে পারি না!

মুনির হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্মদিন, বস

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৪



এক সময় স্টিফেন হকিং কেমব্রিজে তাঁর অফিস রুমের দরজায় লিখে রাখতেন - বস ঘুমোচ্ছেন!
তারপরও যারা দরজা খুলে তাঁর দেখা পেতেন তারা ভাগ্যবান।
তো, গ্যালিলিও-র মৃত্যুর ঠিকঠিক ৩০০ বছর পরে তাঁর জন্ম। তখন তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলে। হকিং-এর বাবাও বাংলাদেশের বাবাদের মতো চাইতেন ছেলে ডাক্তার হোক। খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে। ছেলে যেদিন ঘোষণা করে সে ফিজিসিস্ট হবে সেদিন বেচারী মা খুবই কষ্ট পেয়েছে। পরে হকিং-এর বাবা বললেন - অসুবিধা নাই। চিন্তা করো না। তোমার ছেলে একদিন বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে তোমার মান রক্ষা করবে।
তো, হকিং গেলেন অক্সফোর্ডে। চারবছরে মোটামুটি স্যাররা সবাই তাঁর জ্বালাতনে অস্থির। এতো প্রশ্ন, এতো হৈ চৈ - খেলার মাঠ থেকে পরীক্ষার খাতা - সবটাতেই ব্যাপক উপস্থিতি। অনার্সের ফাইনাল ভাইভার দিন তাঁকে প্রশ্ন -
'আমাদের তো বহুত জ্বালাইছো। এর পরে কী করবা?"
"তেমন কিছু না। ফার্স্ট ক্লাশ পেলে কেমব্রিজে চলে যাবো। আর না পেলে এখানেই থাকবো। কী বলেন স্যার?"
বাপরে। অক্সফোর্ডের স্যাররা তাঁকে মানে মানে ফার্স্ট ক্লাশ দিয়ে অক্সফোর্ড থেকে তাড়ালেন। হকিং এসে পড়লেন কেমব্রিজে।
গ্যালিলিও যে ব্যাটনটা তাঁর হাতে দিছে সেটা কিসের? এক্সপেরিমেন্টের। অথচ তাঁর রুমে যে পোস্টার দুইটা আছে সেটার একটা কার- আইনস্টাইনের। কেন?
আর একটা তো আমরা জানি মেরিলিন মনরো'র।

এর মধ্যে কিন্তু টের পাওয়া গেল হকিং-এর হাটতে একটু সমস্যা হয়। ডাক্তাররা ব্যালান্স রাখার জন্য তাঁকে একটা লাঠি ধরায় দিলেন। এর মধ্যে এক অনুষ্ঠানে হকিং-এর পরিচয় হল জেন ওয়াইল্ডের সঙ্গে। বেচারী থাকে আর এক শহরে। প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় তাই হকিং-কে দেখা যায় কেমব্রিজের মাঠের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকতে। বাস থেকে এসে নামে জেন। বাঙ্গালী বাবাদের মতো বংশ রক্ষার জন্য বড়ো হকিং তাই ছোট হকিং-এর বিয়ে দিয়ে দিলেন। মাঠের কোণায় দাঁড়ানোর ব্যাপারটা শেষ।

তো, মটর নিউরণ রোগে আক্রান্ত স্টিফেন হকিং কী করেছেন?

কোয়ান্টাম বলবিদ্যা আর আপেক্ষিকতাকে প্রথম ছাদনা তলায় নিয়ে গেছেন। বলছেন কৃষ্ণগহবর আসলে কালো নয়! এ যেন "কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি, কালো তারে বলে গায়ের লোক"।

সেই ১৯৬৪ সাল থেকে দোর্দন্ড প্রতাপে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে লাঠি ঘুরিয়ে হকিং শেষ পর্যন্ত প্যারালাল ইউনিভার্সে চলে যান ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ।

আজ তাঁর মাত্র ৭৮ তম জন্মদিন। পালিত হবে তাঁর হাজাতম জন্মদিনও।

মাঝে মধ্যে ওয়ার্ম হোল দিয়ে তাঁর সঙ্গে আমি দেখা করতে যাই। আজকে ভোররাতে গিয়ে দেখলাম জন্মদিনের পার্টি নিয়ে ব্যস্ত।

শুভ জন্মদিন, বস বলে চলে এসেছি।

হকিং-এর কাজ কর্ম নিয়ে পড়তে পারেন - আমাদের কালের নায়ক

হকিং নোবেল প্রাইজ পেতে পারেন কিনা সেটা নিয়ে পড়তে পারেন - হকিং-এর নোবেল

আর আজ ৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় যোগ দিতে পারেন তাঁর জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে।


মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪০

ইউসুফ হাওলাদার শাওন বলেছেন: শুভ জন্মদিন

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: মিটিং আছে আসতে পারবো না।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: অসাধারণ! মনে হচ্ছে এক্সিপেরিমেন্টের ব্যাটনটা আপনিও হাতে তুলে নিয়েছেন। লেখা ভালো লাগছে।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২১

শের শায়রী বলেছেন: হ্যাপী বার্থডে জিনিয়াস।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। এভাবেই গুণী ব্যক্তিদের সম্বন্ধে অন্যদেরকেও জানাতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.