নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছূ সময় বসলে এক ব্যক্তির মুখে জাতীয় সমস্যা সমাধানের আহবান শোনা যায়, আহবান শেষে তিনি বলেন, আমি জয়নাল একলা পারবো না।আপনারা একটু এগিয়ে আসুন।জয়নেলের দাবি টা যৌক্তিক এবং তার উপস্থাপনা ও খারাপ না তবে কৌশলটা সকলে সমর্থন করে না। জয়নাল এর দাবি হচ্ছে এ দেশ থেকে শিক্ষা বাণিজ্য দূর করা , তথা কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা। তার দাবি যৌক্তিক হলেও আমাদের সকলের মানষিকতা যৌক্তিকভাবে পরিবর্তন হয়নি।তাই তো জয়নালের ডাকে কেই সাড়া দেয়নি বরং অনেক তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ তার উদ্যোগ বা আহবান কে পাগলামি বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের গো বেচারা সরকার ও কয়েক বার উদ্যোগ নিয়েছে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে। শিক্ষামন্ত্রী অনেক সভা সেমিনারে কোচিং এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষা বাণিজ্যিকরণের বিরুদ্ধে তথা কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে সংসদে আইন ও পাশ করা হয়েছে তথাপি শিক্ষা ক্ষেত্রে এর সুফল দেখা যায়নি।শিক্ষা বাণিজ্যের খপ্পরে পড়ে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে গরীব , মেধাবী ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীরা আর অসহায়ত্বের দীর্ঘস্বাশ ছাড়ছে জয়নালের মতো সচেতন মানুষেরা। এর মূলে রয়েছে গন সচেতনতার অভাব। আমরা যদি সবাই জেগে না উঠি তবে সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারন করবে। আমি জয়নালের আহবানের অনেক আগে থেকেই কোচিং ব্যবসার ঘোর বিরোধী। আমি নিজে কখনও কোচিং করিনি এবং কাউকে কোচিং করতে উৎসাহিত করিনি।কোচিং বিরোধীতার কারনে অনেকেই আমার সাথে বিতর্কে জড়িয়েছেন , আমি অনেকের বিরাগ ভাজন হয়েছি। তাই আমি জয়নালের আহবানে আলোড়িত হই। আমি মাঝে মাঝেই জয়নাল কে ঢাবি ক্যাম্পাসে দেখতে পাই , তিনি বলেন, "বঙ্গবন্ধু তার সোনার বাংলায়, শিক্ষাকে বাণিজ্যকরন করতে চাননি,তিনি আজ নেই আর শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করা হয়েছে, কোচিং ব্যবসার নামে ছাত্র-ছাত্রীর মেধাকে ধংস করা হচ্ছে।গরীব ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা-পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আসুন আমরা কোচিংকে বয়কট করি, আমাদের ছেলে-মেয়েদের কোচিং এ না পাঠিয়ে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে এগিয়ে আসি। আমি জয়নাল একলা পারবো না, আপনা সবাই এগিয়ে আসুন।আপনারা যার যার এমপি এর মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করি।" এত সুন্দর আহবান এ কেই যখন সাড়া না দেয় তখন আমাকে খুব পীড়া দেয়। আরো খারাপ লাগে যখন দেখি আমাদের সমাজের তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিতরা এই আহবান এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়।গত কাল এই ব্যপারটা নিয়ে আরো বেশি খারাপ লাগল যখন দেখলাম জাতির বিবেক বলে খ্যাত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ও জয়নালের এই আহবানে সাড়া দিল না।গতকাল টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এর ব্যানারে একটি প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে সমাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ্ ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন মোঃ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অজায় রায়, বিমল বিশ্বাস প্রমূখ। জয়নাল তার প্রচারনার ধারাবাহিকতায় উপরোক্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিকট সুন্দর ভাবে , আদবের সাথে জনগুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা কোচিং ব্যবসা বন্ধের জন্য পূর্বের মত অনুরোধ করেন । কিন্তু তারাঁও জয়নালের আবেদনের প্রতি কোন গুরুত্ব দেখালো না। কিন্তু আমরা যদি এভাবে এগিয়ে না আসি তবে জয়নাল একলা পারবে কি জাতীয় এই সমস্যা সমাধান করতে।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২
আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: সহমত । আমিও শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল প্রকার কোচিং এর বিরোধী।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
অজানাবন্ধু বলেছেন: ভাইজান আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আমিও চাই শিক্ষার নামে বানিজ্য বন্ধ্ হোক।
আমি আছি আপনাদের সাথে।
জয়নাল ভাইকে ও ধন্যবাদ ।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
সুখী বাঙ্গালী বলেছেন: শক্ষিামন্ত্রীত কোচংি বন্ধ করতে গয়িে তাকে আরও বধৈতা দয়িছেনে। জয়নাল বা আমি, আপনি সখোনে কি করব?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২০
সাদ্দাম570 বলেছেন: http://mcent.com/ref/GCKHP6/