নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দরিদ্রতা আর ক্ষুধা তৃষ্ণার দেবতাদের অভিশপ্ত কৃপায় শৈশবহীন, আদরহীন আর স্নেহহীন শিশুরা গৃহহীন হয়ে যখন " গৃহকর্মী ওরফে আধুনিক দাসত্বের " শিকলে নিজেদের সঁপে দেয় ঠিক তখনই মুখোশ পরিহিত প্রাণহীন পশুদের পাশবিক আদিম বর্বরতার শিকার হয় তারা। " গরম খুন্তি" ব্লেড আর ধারালো ধাতব বস্তুর উপপুর্যপুরি আঘাতে শিশুদের নির্যাতনের যে ভয়াবহতা তার কাছে " হিটলারের গ্যাস চ্যাম্বার" তো দূরে থাক যমদূতও ভয়ে শিওরে উঠবে। সভ্যতা ভব্যতা কিংবা সমাজ ও বিবেকের সমূলে পতনের যে বিকট শব্দ শুনতে পাচ্ছি তা অনিবার্য।আমি নরকের কীট দেখিনি কিন্তু শিশু নির্যাতনকারী পশুদের দেখেছি। এসব দেখে দেখে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের " প্রাগৈতিহাসিক" অবলম্বনে বলিতে হয়,
" মরিব না আমরা মরিব না বনের পশুও যে সমাজে বাস করিতে পারে না আমরা মানুষ সেখানে বাস করিবই।"
আউল বাউল আর লালনের দেশে " ডিজিটাল" নামের একটা উচ্চারণে ভারী শব্দের আগমন হয়েছে।
কারণটা হল জীবনপদ্ধতির আনুসঙ্গিক বিষয়গুলোর ডিজিটালকরণ কিন্তু আমরা যেহেতু " হুজুগে বাঙ্গালি" তাই আমরা আমাদের শৈশব, কৈশোর আর বার্ধক্যের ডিজিটালাইজ করলাম। এর ফলে আমরা কাবুলিকে ঘৃণা করে ধূতি পড়লাম, সকালে মাঠার পরিবর্তে চার বোতল ভদকা, শাড়ির বদলে মাসাককালি আর মাঠাককালি, আর বৈঠকের বদলে জলসা বসিয়ে মাস্তি আনলিমিটেড জাতিতে পরিণত হলাম। অনুকরণপ্রিয় জাতির যদি কোনো পুরস্কার থাকত তাহলে সেটা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি হত।
লালনের বারামখানা....
, নজরুলের বাবুদের তালপুকুের....
রবি ঠাকুরের আমাদের ছোটনদী......
জসীমউদ্দিনের সোজন বদিয়ার ঘাট...... কেবলই স্মৃতি।
শৈশব আর কৈশোরের দূরন্ত দিনে হারিয়ে যেতে যেতে শুধুই মনে হচ্ছে,
" এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হত তুমি বলত?
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হত তুমি, বলনা.....?"
হিটলারীয় একনায়কতন্ত্র আর ষ্টালিনীয় সমাজতন্ত্রের গোপন অভিসারে লিংকনীয় গণতন্ত্রের গর্ভে
" যুদ্ধতন্ত্র" নামের এক অবৈধ সন্তানের জন্ম হয়েছে। টার্গেট বিশ্বজুড়ে অসহায় নিপীড়িত আবালবৃদ্ধবণিতার জান কবজ করা। জাতিসংঘ হল এই অবৈধ সন্তানের বৈধ " শূণ্যমন্দির"। যেখানে নৈশভোজ আর সার্কাসীয় কথাবার্তার মাধ্যমে পূজা অর্চনা করে মানবতার খোলসে
বিবেকহীন দানবরা। মাওবাদী, ফিলিস্তীনি আর রোহিঙ্গা
নিরপরাদ শিশুদের নিষ্পাপ রক্তের জুস পান করা এসব নেতাদের নরখাদক বললেও কম বলা হবে। জর্জ অরওয়েলের " এনিমেল ফার্ম" এর এনিমেলরা এখন ভ্যাম্পায়ার বা রক্তপিপাসু হয়ে গেছেন। " ভ্যাম্পায়ার ফার্ম " এখন যুদ্ধতন্ত্রের ধারক ও বাহক। মুক্তবিশ্বের যুদ্ধবাজ বারবনিতাদের কুকর্মে মহাপ্লাবন আসবেই।কেননা,
" লোকালয় পুড়িলে কি দেবালয় রক্ষা পায়?"
দরিদ্রতা আর ক্ষুধা তৃষ্ণার দেবতাদের অভিশপ্ত কৃপায় শৈশবহীন, আদরহীন আর স্নেহহীন শিশুরা গৃহহীন হয়ে যখন " গৃহকর্মী ওরফে আধুনিক দাসত্বের " শিকলে নিজেদের সঁপে দেয় ঠিক তখনই মুখোশ পরিহিত প্রাণহীন পশুদের পাশবিক আদিম বর্বরতার শিকার হয় তারা। " গরম খুন্তি" ব্লেড আর ধারালো ধাতব বস্তুর উপপুর্যপুরি আঘাতে শিশুদের নির্যাতনের যে ভয়াবহতা তার কাছে " হিটলারের গ্যাস চ্যাম্বার" তো দূরে থাক যমদূতও ভয়ে শিওরে উঠবে। সভ্যতা ভব্যতা কিংবা সমাজ ও বিবেকের সমূলে পতনের যে বিকট শব্দ শুনতে পাচ্ছি তা অনিবার্য।আমি নরকের কীট দেখিনি কিন্তু শিশু নির্যাতনকারী পশুদের দেখেছি। এসব দেখে দেখে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের " প্রাগৈতিহাসিক" অবলম্বনে বলিতে হয়,
" মরিব না আমরা মরিব না বনের পশুও যে সমাজে বাস করিতে পারে না আমরা মানুষ সেখানে বাস করিবই।"
সাগরে সলিল সমাধি, সড়ক দূর্ঘটনা কিংবা লেলিহান আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে জীবন নামের " প্রাণপাখি" টা যখন খাঁচা ভেঙ্গে দূর অজানায় হারিয়ে যায় তখন স্বাভাবিক মৃত্যুকে মনে হয় " স্বপ্ন"।
জীবনের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হয় কিন্তু যৌবনের মৃত্যুর কোনো প্রতিকার নেই। নানাবিধ দূর্ঘটনায় আমাদের উদ্দাম যৌবন এখন বার্ধক্যের কংকাল মূর্তি। ৭১ সালের " মুক্তিযুদ্ধ" ২০১৬ সালে এসে " মৃত্যুযুদ্ধে" পরিণত হয়েছে। মহাযাত্রা কিংবা অকালমৃত্যুর হাতছানিতে বিপর্যস্ত জনজীবন কেবলই নচিকেতার,
" যখন সময় থমকে দাঁড়ায়
হতাশার পাখি দু' হাত বাড়ায়
খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোণ
কি আর করে তখন?
"স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন" স্বপ্ন দেখে মন।"
দুঃস্বপ্ন হলেও ক্যালেন্ডারের তারিখের পাতায় অন্তত একটি দূর্ঘটনাহীন দিন চাই। এটাই আপাতত স্বপ্ন।কেননা,
" A journey of thousand miles begins with a single step."
চোখে যাহা "উৎসবের লাল" চেতনায় তাহাই " বেদনার নীল"।লক্ষ কোটি চোখ থাকার চেয়ে গুটিকয়েক চেতনা থাকা উত্তম। এই চেতনার ভাঙ্গা তরীতে ভর করেই ১৯৫২, ১৯৭১, এবং ১৯৯০ কে পাড়ি দেয়া হয়েছিল। তাইতো অন্ধ লেখক জন মিল্টন " প্যারাডাইস লষ্ট" এর মত অমর সৃষ্টতে তুষ্ট না হয়ে " প্যারাডাইস রিগেইনড" এ থামলেন। আমরা ১৬ কোটি মানুষের হয়ত প্রায় ৩২ কোটি চোখ থাকলেও চেতনার পরিসংখ্যানে আমরা দেউলিয়া হয়ে গেছি। ফলে কোরবানিতে আমরা হয়ত চিকনাইযুক্ত গরুর মসলাযুক্ত স্বাদ পাচ্ছি কিন্তু অসহায় নিপীড়িত, আর ভাগ্যাহত মানুষের অশ্রুর নোনাজলের যে গভীর বেদনা তা বুজতে পারছি না।এজন্যই কবি বলেছিলেন,
" চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিত বেদনা বুঝিতে পারে।"
" মাঝ রাতে বাঁকা চাঁদ আকাশে,
চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাসে।"
অনাবিল আনন্দের ঈদের চাঁদ "বাঁকা" হলেও তার জাদুকরী " বাঁশির" সুরের তালে আমরা জীবনের নানাবিধ দুঃখ, বিড়ম্বনা ভুলে যাই। সম্ভবত মৃত্যুর আলিঙ্গন আর ঈদ উদযাপনেই আমরা কিঞ্চিৎ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। ঈদ পূর্ববর্তী " হলি আর্টিজান" ও " ট্যাম্পাকোর আগুন" এর ঘটনায় মৃত্যু ও ঈদের মধ্যে একটা গোপন আঁতাত লক্ষ্য করা যায়। এ ঘটনা চলতে থাকলে এটা নিয়েও একটা " তদন্ত কমিটি " করা যায়।
" ঈদ পূর্ববর্তী মৃত্যুর মিছিলে আর কোন অকাল মৃত্যু নয়।" কর্পোরেশনের " নগর পিতা" হয়ত জবাই হওয়া পশুর রক্ত কয়েক ঘন্টায় ধূয়ে ফেলতে পারবেন, কিন্তু অজ্ঞাতপরিচিত পুড়ে যাওয়া পিতার লাশের স্মৃতিচিহ্ন তার সন্তানদের কাছে অমোচনীয়।
তবুও " ঈদ মোবারক"
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪
বোরহাান বলেছেন: নাথিং টু সে! মানবতারাও আজ মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভেবেছিলাম মানুষ, এখন দেখছি কবি