নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানফাত শিফিরের স্ট্যাট্যাস সমগ্র - ২য় পর্ব

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৬

ভবন ধ্বস আর আগুনের লেলিহান শিখায় " তৈরী পোশাক শিল্প" এখন " তৈরী লাশ শিল্প" তে পরিণত হয়েছে। শ্রমিকের শ্রম, ঘাম, রক্ত কিংবা পুড়ে যাওয়া কংকাল হয়ত শকুন নামক প্রাণীকে নাড়া দিবে। কিন্তু মানুষ নামক শকুন শ্রেণীর প্রাণীদের স্বপ্নে কেবলই অধিক মুনাফা, মার্সিডিজ গাড়ী, কানাডার বেগম পাড়ার নারী, আর সুইস ব্যাংকের সিন্দুক। বাংলাদেশের অর্থনীতির "হৃদয়খ্যাত" পোশাক শিল্পের ভিত রক্ষাকারী এসব শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া কংকাল আর তাদের হতদরিত্র পরিবারের " বোবাকান্নায়" আকাশ- পাতাল ভারী হলেও হালকা হবে ঋণখেলাপি, মুনাফাখোর জল্লাদদের পাষাণ অসুরীয় হৃদয়।আর দূষিত রাজনীতির নীল বিষে আক্রান্ত নীতিনির্ধারকদের বলি,

" আমি চিৎকার করিয়া কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার,
বুকের ব্যথা বুকেতে চাপিয়া
নিজেকে দিয়াছি ধিক্কার।"

" বনমালী গো পরজনমে
হইয়ো রাধা"।
বনমালীরা সবাই রাধা হবে এটা কেমন কথা? যেহেতু গণতান্ত্রিক সমাজ, সেহেতু কেউ কৃষ্ণ হবে, কেউ অসুর হবে, কেউবা লক্ষী হবে আবার কেউবা পেঁচা হবে। এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীনদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে ,
" আদমসন্তান গো পরজনমে
হইয়ো সরকারি দল।"

মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, চাকমা আর মারমা সহ অসংখ্য মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে গুণগত পরিবর্তনের জন্য গঠণমূলক বিতর্কের কোনো বিকল্প নেই।
যুক্তিহীন তর্ক আর নিন্দুকহীন সমাজ একটা জীবন্ত লাশের মত,
" যার দেহ আছে আত্মা নেই
জীবন আছে যৌবন নেই
মন আছে মনুষ্যত্ব নেই
অনুরূপ সরকারি দল আছে বিরোধী দল নেই।"
এজন্যই কবির দ্ব্যর্থহীন উচ্চারণ,
" নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো।"

"মায়ের অসীম স্নেহময়তা, বোনের খুনসুটি আর নবদম্পত্তির প্রেমালাপ" কে উপেক্ষা করে যারা পাষন্ড পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে মরণপন লড়াই করেছিল তারা নিশ্চয়ই পদক, খেতাব আর সার্টিফিকেটকে আলিঙ্গনের স্বপ্নে বিভোর ছিল না।তাদের শয়নে স্বপণে ছিল " হয় মুক্তি নয় মৃত্যু"। আর আমরা তাদের বীরত্বগাথাকে আজ বানিয়েছি রাজনৈতিক সার্কাসের রঙ্গমঞ্চ।

" হায়রে পদক আর সার্টিফিকেটের ফ্রেমে বন্দী স্বাধীনতা!!!"
কূটিল খিস্তি খেউরের রাজনীতির কালো ফিতায় বন্দি আদম সন্তানদের কার্যক্রমে নরকের কীটরাও লজ্জ্বায় মুখ ঢাকবে। বাংলাদেশের " স্বাধীনতা" আজ হাসপাতালের বেডে বন্দী। ওপেন হার্ট সার্জারি হবে।রক্ত, কিডনী কোনোটারই দরকার নেই, দরকার কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের, " আমি মেজর জিয়া বলছি........

"কোরবানি"

আসলেই হরেক রকম কোম্পানির বাহারি ফ্রিজে সয়লাব হয়, " বাড়ির অন্দরমহল"। উদ্দেশ্য গোশতের সংরক্ষণ।কিন্তু শ্বাশত ইসলামে "নিয়তের অন্দরমহলকে" উৎসর্গ ও পরিশুদ্ধ করার মাধ্যমে যেই
" মানবতার সংরক্ষণ" করার কথা তা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। " গোশতের" অগুণিত রান্নার কলাকৌশলে ব্যাস্ত আমরা সুমহান ইসলামের ত্যাগের যে শিক্ষা তাকে " ভোগে" পাঠিয়ে দেই।ধনী দরিদ্রের সহাবস্থানের প্রতিটি গ্রাম, পাড়া ও মহল্লায় আমরা কি পারিনা সমবেতভাবে কোরবানি করে প্রতিটা পরিবারে সমবন্টনের মাধ্যমে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপণ করতে?

" পৃথিবীতে এক শ্রেণীর মানুষ আছে, ইহারা যেন খড়ের আগুন দপ করিয়া জ্বলিয়া উঠিতে পারে আবার খপ করিয়া নিভিয়াও যাইতে পারে।" আমাদের ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদদেরা ক্ষমতার মোহে আপাতত দপ করিয়া জ্বলিয়া উঠিলেও ক্ষমতাহীণতায় তারা শুধু নিভিবেনই না " ব্ল্যাক হোলে" তাদের প্লট বরাদ্দ নিশ্চিত।ক্ষমতার মোহে অন্ধত্ব বরণ করা এসব পাইক পেয়াদাদের নির্বাসিত জীবনের করূণ দশা দেখে তখন নরকের কীটও গেয়ে উঠবে,
" এসব দেখি কানার হাট- বাজার।"

গরমিলের অর্থনীতির অনর্থক বায়োস্কোপের

ভেলায় চড়ে আমরা আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের

গর্বিত বাসিন্দা। গুটিকয়েক ক্ষমতাসীন লোকদের সম্পদ যেন মহামতি আলেকজান্ডারের তরবারির মত, আজকে

"স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক " তো কালকে " সুইস ব্যাংক" হয়ে

" কুয়ালালামপুরের অভিজাত" সেকেন্ড হোম হয়ে

"কানাডার বেগম পাড়ায়" আমোদ ফূর্তি করে

" ফিলিপাইনের ক্যাসিনোর" মাতাল স্পর্শের হাওয়ায়

উড়িয়ে বেড়ায়।অর্থনীতির " এডাম স্মিথতন্ত্র" " অমর্ত্য

সেনতন্ত্র" যেখানে ব্যর্থ, অর্থনীতির " লুন্ঠণতন্ত্র" সেখানে

" আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ" হয়ে আলোর গতির চেয়ে গতিশীল।এ যেন,

"সকাল বেলার ফকির রে তুই বিল গেটস সন্ধ্যাবেলা। "

" লুন্ঠণতন্ত্র ওরফে চুরিতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক।"


দ্বিদলীয় রাজনীতিতে ক্ষমতাসীনদের " সানাই" এর সুর আর ক্ষমতাহীনদের " বিউগল" এর করুণ সুরের বৃত্তে বন্দী কৃষক, শ্রমিক, জনতার বাংলাদেশ।পন্ডিততুল্য রাজনীতিবিদেরা প্রায়শই ভুলে যান,

" আজকের সানাই আগামী দিনের বিউগল।"

অতীতে "রোম" পুড়েছিল আর নীরু বাঁশি বাজিয়েছিল আর বর্তমান রোম বিদ্যা আর সংস্কৃতির পীঠস্থান আর নীরু ইতিহাসের খলনায়ক হয়ে অবিরত পাঠকের ঘৃণা কুড়াচ্ছেন।বর্তমানে আমাদের ক্ষমতাসীনদের যারা টাকা, বিত্ত ও বৈভব কুড়াচ্ছেন ভবিষ্যৎ এ ভোগ বিলাসে মত্ত তাদের সন্তানেরা ঘৃণার ডাষ্টবিনে নিক্ষিপ্ত হবেন এটা নিশ্চিত।কারণ,

" মরণঘাতী এইডসের প্রতিষেধক আবিস্কার সম্বভ, কিন্তু ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি ঠেকানো অসম্বভ।"

অদম্য তারুণ্য, অভ্যন্তরীন গণতান্ত্রিক চর্চা, নিখাদ

দেশপ্রেম ও প্রগতিশীল চিন্তার সাবলীল বিকাশই রাষ্ট্র

কল্যানের স্তম্ভ বলে বিবেচিত।" আমিই রাষ্ট্র", " রাষ্ট্রের

জন্য জনগন" কিংবা " পরার্থপরতার অর্থনীতি" র

ফ্যাসিবাদী চরিত্র সাময়িক সময়ের জন্য কিছু লোকের

"ভোগবাদী" উত্থানের কারণ বটে, কিন্তু শেষ বিচারে

সমূলে ধ্বংসই তাদের পরিণতি। ইতিবাচক সৃষ্টিশীলতায়

" নগদ নারায়ণ" হয়ত নেই কিন্তু তার যে আত্মতৃপ্তি আছে তার উচ্চতার কাছে বোধকরি হিমালয়ও কিছুই না। অগুনিত শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত বাংলাদেশের নানাবিধ অরাজকতায় তরুনরা হয়ত " ভাবনার করিডোরে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হলেও" এদের উদ্দাম নেতৃত্বই বাংলাদেশকে,
" পুতুলের মত করে সাজিয়ে,
হৃদয়ের কোটরে রাখবে।"

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.