নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুষ কি এবং কেন খায় বা কোন শ্রেণীর লোকেরা ঘুষ খায়? হয়তো এভাবে কেউ ভেবে দেখেন নি। কেউ এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেন বা ঘুষের পরিনতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা অনেকেরই নাই। ঘুষ হচ্ছে সাধারণ জনগণ কে হয়রানি না করার প্রতিশ্রুত পারিশ্রমিক যা বিভিন্ন কৌশলে বা বিভিন্ন কাজের (হয়রানির ) মাধ্যমে বিভিন্ন লোকের সহযোগিতায় সাধারণ জনগণের নিকট থেকে আদায় কৃত অর্থ। ঘুষ আর স্পীড মানি এক জিনিস নয়। কোন কাজ আটকে রাখা বা স্বাভাবিক গতিকে নানান অজুহাতে বাধা গ্রস্থ করার পর যার বিনিময়ে কাজের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনে তাকে ঘুষ বলে। আর স্পীড মানি হচ্ছে স্বাভাবিক কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয় বা যে অর্থ দিলে কর্মী শারীরিক ও মানষিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে কাজ আন্তরিক হয় এবং কাজের গতি বাড়ে তাকে স্পীড মানি বলে। ঘুষ অবৈধ ও অনৈতিক কিন্তু স্পীড মানি গ্রহণযোগ্য।
ঘুস কারা খায়?
যাদের নৈতিক শিক্ষা,ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ নেই এবং ঘুসের পরিণতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই, অন্ধের হাতি দেখার মতো আংশিক শিক্ষা নিয়ে বোকার স্বর্গে বসবাস করে তারাই ঘুস খায়। ঘুষ খেলে শরীর ভালো হয় না বরং মন খারপ হয়। মানষিক দূশ্চিন্তায় রাতের ঘুম হয় না।
একজন অন্ধ যখন হাতির কান ধরে পর্যবেক্ষণ করে তখন হাতি তার নিকট কুলার মতো মনে হয়। যতই তাকে বোঝানো হয় হাতি কুলার মতো নয় সে মানে না কারন সে তার অভিজ্ঞতা লব্ধ আংশিক জ্ঞান (হাতির কান ধরে দেখা ) দিয়ে পূর্ণাঙ্গ হাতি দেখার জ্ঞানের সাথে তুলনা করে নিজের ভুল কে প্রাধান্য দিয়ে হাতিকে কুলা মনে করে। অনুরূপভাবে একজন ঘুসখোর নিজেকে জ্ঞানী (যদিও জ্ঞান পাপী/উচ্চশিক্ষিত মূর্খ ) মনে করে পাশের বাড়ির ঘুসখোর বাড়িয়ালার নিকট থেকে আংশিক শিক্ষা (ঘুসের টাকায় বাড়ি করা যায় ) গ্রহণ করে ভুল করে ভুল পথে ঐ ঘুসখোরকে অনুকরন করে নিজের ঘুস খাওয়া কে সঠিক মনে করে। যতই তাকে বোঝানো হয় ঘুষ খারাপ সে অন্ধের মতো আংশিক জ্ঞানকে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান মনে করে খারাপ কাজে (ঘুষ খাওয়ায়) অটল থাকে।
একজন ঘুস খোর যদি বুঝতে পারতো তার ঘুষ খাওয়ার জন্য ছেলে বকাটে হয়েছে বা স্ত্রী দূরারোগ্য ব্যধি (ব্যয় বহুল রোগ) তে আক্রান্ত বা মেয়ের জামাই মাতাল বা মা বিছানায় কাতরায় তবে সে কখনও ঘুস খেতো না। যদি কোন ঘুসখোর বুঝতে পারতো ঘুষের টাকার কারণে রাতে ঘুম হয় না, সমাজের লোকজন প্রকাশ্য না করলেও গোপনে ঘৃণা করে, পুলিশে ধরতে পারে, জেল জরিমানা বা ক্রস ফায়ার হতে পারে, দূদকে মামলা করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে তবে সে কখনও ঘুষ খেতো না। ঘুষ খাওয়ার এইসব পরিণতির খবর তার মগজে ঢোকে না যেমনি ঘুষ খোর বুঝতে পারেনা যে কেন স্ত্রী পরকীয়া করে, মেয়ে নাইট ক্লাবে যায়, ছেলে গাড়ি/মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় প্রচুর অর্থ বা নিজের জীবন বিলিয়ে দেয় বা নিজের সন্তান কেন হাবাগোবা বা বিকলাঙ্গ হয়। এ সবাই পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাব। যেমন খবর রাখেনা বনের রাজা উসমান গনি বা হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা বা বাকীর পরিবারের শেষ পরিণতি বিষয়ে। তাইতো ঘুষখোর ভুল করে ভুল কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনয়ত। আসুন আমরা সবাই ভালো মন্দ সত্য মিথ্যা সম্পর্কে সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করি মন্দ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখি। আল্লাহ্ আমাদের হেফাজত করক, হেদায়েত দান করুক এবং ভালো কাজ করার তৌফিক দান করুক। আমিন।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আমিন!
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: লোকজন সরকারী চাকরির জন্য এত পাগল হয় ঘুষ খাওয়ার জন্যই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আমি সাজিদ বলেছেন: সরকারী চাকরি মানে ঘুষ খাওয়ার সুযোগ, ভুল করেও বার বার পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ। এলিট শ্রেনীতে উঠার হাতিয়ার৷ এগুলো ধ্রুব সত্য, কিন্তু মিডিয়ায় আসবে না।