নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসিএস পাশ বেকার

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬


শিরোনাম শুনে আৎকে উঠলেও ঘটনা সত্য সাক্ষী দূর্বল। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অন্যতম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও মেম্বার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এই কমিশনের অন্যতম প্রধান কাজ হলো বিসিএস ক্যাডার নির্বাচন করা যারা প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দাপ্তরিক কাজে সহযোগিতা করা। অতীতের ICS বা CSP অফিসারের মতো বর্তমান BCS কর্মকর্তাগণ সম্মানিত এবং ক্ষমতাধরও বটে। শুরুর দিকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উনত্রিশটি দপ্তরের জন্য ২৯ ধরনের বিসিএস ক্যাডার সুপারিশ করতো এবং পরবর্তীতে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠিত হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিসিএস ক্যাডার থেকে আলাদা হয়ে যায়। সাধারণত প্রতিবছর কয়েকটি ধাপে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের সেরা মেধাবীদের মধ্য থেকে প্রয়োজন সংখ্যক শূন্য আসনের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ দানের জন্য সুপারিশ করা হয়। সুপারিশকৃতদের বলা হয় বিসিএস ক্যাডার (প্রথম শ্রেণীর /৯ম গ্রেড গেজেটেড কর্মকর্তা )। ২৮ তম বিসিএস এ পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়ম কানুন এ কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। কমিশনের ঘোষিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বিসিএস পরীক্ষার্থী হিসেবে নূন্যতম যোগ্যতমরাই প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। অতপর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের একটা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এদের কে বলা যেতে পারে বিসিএস পাস। বিসিএস পাস করা পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তাদের চাহিদাক্রম, মেধাক্রম, কোটা ও বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য আসন বিবেচনা করে প্রথম সুপারিশ করা হয় তাদের বলে ক্যাডার এর পর যাদের সুপারিশ করা হয় তাদের বলে প্রথম শ্রেণী ননক্যাডার। এর পর বিসিএস পাশ পরীক্ষার্থীদের সম্মতিক্রমে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশ করা হয়। আর যে সকল বিসিএস পাশকৃতদের কোন দপ্তরে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় না তাদের বলা যেতে পারে বিসিএস পাশ বেকার ( অন্যান্য বেকারের মতো যেমন, উচ্চ শিক্ষিত বেকার, শিক্ষিত বেকার, অর্ধশিক্ষিত বেকার, অদক্ষ বেকার, দক্ষ বেকার)। শেষাক্ত পরীক্ষার্থী বেকার হলে আমাদের স্বীকার করতে হবে তিনি বিসিএস পাশ। তিনি মেধার জোরে ক্যাডার ননক্যাডারদের সাথে প্রতিযোগিতা করে বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। হায় আপসোস আমাদের উচ্চশিক্ষিত সমাজ বা বিসিএস ক্যাডার বা পরীক্ষার্থীর নিকট সঠিক তথ্য না থাকায় অনেকে বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে পাশ করে বলতে পারে না তিনি বিসিএস পাশ। এটা হতে পারে তার জন্য একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের কৃতিত্ব।
বিসিএস পাসের যে মর্যাদা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে তা বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের দেওয়া হলে এবং বিসিএস ক্যাডার হিসেবে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রের পদমর্যাদা ভোগ করবে তাহলে কাউকে ছোট না করে সবাই মর্যাদাশীল হতে পারে।
কর্মক্ষেত্রের পদমর্যাদাই আসল পরিচয়। বিসিএস ক্যাডারের আলাদা মর্যাদা বিভিন্ন বৈষম্য ও বিভক্তি তৈরি করে। এই ক্যাডার ঐ ক্যাডারের থেকে বেশি মর্যাদার ( বেতন কাঠামো বা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন বৈষম্যের গুরুত্ব দেওয়া হয় নি)। আবার বলা হয় আমাদের বিসিএস আসল বিসিএস, বিশেষ বিসিএস কোন বিসিএসই না শর্টকাটে সরকারি চাকুরী আবার কলেজ সরকারি হলে শিক্ষকদের আত্মীকরন করে ক্যাডারের মর্যাদা দিলে শিক্ষা ক্যাডারের লোকজন মেনে নিতে পারে না।
সরকারের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়োগের তথ্য সরকারের নিজস্ব পত্রিকা (বাংলাদেশ গেজেট ) প্রকাশ করে থাকে। সরকারের কিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান আছে যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়োগের তথ্য বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ করা হয় না। এর উপর ভিত্তি করে গেজেটড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে বিভক্ত করা হয়।
তাই মর্যাদা নির্ধারণ করা উচিৎ যার যার কাজের ধরন অনুযায়ী বা নিজ নিজ অফিসিয়াল পদমর্যাদা অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে বা প্রকাশ অনুসরে নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ছোট কিন্তু জনবহুল দেশে - এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে আর কিইবা আশা করা যায়।

এক একটি খালি পদের জন্য যদি অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকে ,তাহলে কাউকে না কাউকে এই পরিস্থিতির মুখোমুখী হতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.