নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষক হচ্ছেন জাতি গঠনের মহান কারিগর।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩১

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষক হচ্ছেন জাতি গঠনের মহান কারিগর। আবার সম্রাট নেপোলিয়ান বলেছেন " আমাকে একজন শিক্ষিত মা দেও আমি একটা শিক্ষিত জাতি দেব"। শিক্ষক আছেন, শিক্ষিত মা আছেন, আধুনিক শিক্ষা সামগ্রীর নেই কোন ঘাটতি কিন্তু নেপোলিওনের কাঙ্খিত সেই শিক্ষিত জাতি কোথায়, জাতির মেরুদণ্ড তো মাথা উঁচু করে দাড়ানোর মতো শক্ত হতে পারে নাই।শিক্ষা নেই তো শিক্ষা গুরুর মর্যাদাও নেই। শিক্ষকগণ তাঁদের কোটি টাকার মর্যাদা বিক্রি করেছেন হাজার টাকায়। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা না দিয়ে শর্ট সাজেশন ও মুখস্থ করে পাস করে দ্রুত সনদ পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। আবার কিছু শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে আগ্রহী না হয়ে ব্যক্তিগতভাবে বা কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে অশিক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে মেধা ধ্বংস করে ফেলছেন। সত্যি কথা বলতে আমাদের দেশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই আছে শুধু সার্টিফিকেট তৈরির কারখানা। এর মধ্যে যে সকল মেধার বিকাশ ঘটছে তা তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টার ফল। সুশিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা বা মানবিক শিক্ষার এই অভাব এখন প্রকট আকার ধারণ করছে। এর জন্য শিক্ষা পদ্ধতি অনেকাংশে দায়ী। পাঠ্যপুস্তক বা সহশিক্ষায় অনেক কিছু আছে শেখার মতো বা জানার মতো। কিন্তু বইয়ের জ্ঞান বইয়ে রয়ে যায়। ভাবসম্প্রসারণ পড়ে মুখস্থ করে পরীক্ষায় খাতায় লিখে ভালো নম্বর পেয়েছি কিন্তু জীবন খাতায় শুন্য। যেমন " গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন"। অথবা আমরা এক কান দিয়ে শুনি আর অন্য কান দিয়ে বের করে দেই। আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি বানরের মালা গাথার মতো। সুতার নিচে গিড়া না দিয়ে ফুল গেথে যাচ্ছি কিন্তু মালা সম্পূর্ণ হচ্ছে না। আমারা প্রথম শ্রেণীতে যা শিখি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠে মনে রাখি না। দশম শ্রেণী পর্যন্ত অর্জিত শিক্ষা যদি কেউ ধরে রাখে তবে তাকে উচ্চ মাধ্যমিক বা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে কোন বেগ পেতে হবে না। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত দরখাস্ত লেখা শেখানো হয় তারপরও নিজের জীবনে প্রয়োজনীয় দরখাস্ত লিখতে অন্যের সহযোগিতা নিতে হয়। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষা। সমগ্র শিক্ষা জীবনে "আমার জীবনে লক্ষ্য (Aim in Life)" রচনা/প্রবন্ধ(Essay) লেখার চর্চা করে শিক্ষা জীবন শেষ করেও জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি না।
আবার আমাদের শিকার অন্যতম ত্রুটি হচ্ছে অন্ধের হাতি দেখার মতো কোন বিষয় সম্পর্কে আংশিক জ্ঞান লাভ করে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানের অধিকারী মনে করে হাতিকে থাম বা কুলার মতো মনে হয়। এই গল্প আমরা সবাই জানি কিন্তু মানি না বা এখান থেকে কোন শিক্ষা নেই নি। আমরা প্রতিটি বিষয়ে আংশিক জেনে পূর্ণাঙ্গ জানার ভাণ করি(সজ্ঞানে/অজ্ঞানে) এবং ভুল কাজ করি, ভুল কথা বলি এবং ভুল সিদ্ধান্ত নেই। একজন ঘুসখোর যদি ঘুস খাওয়ার পরিণতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানত সে কখনও ঘুস খেত না। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি খুবই প্রচলিত কথা। এখানে চোরকে যদি ধর্মীও বিধি নিষেধের সাথে সামাজিক, পারিবারিক,মানষিক, শারিরীক এবং আইনগত দিক থেকে তার ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক এবং সম্পূর্ণ ধারণা (শিক্ষা/মটিভেট) দেওয়া যায় না খেয়ে মরে গেলেও চুরি করবে না।
আল্লাহ্ আমাদের সঠিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিন। আমিন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



শিক্ষা সমস্যা নিয়ে গরুর রচনা

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭

নতুন বলেছেন: গ্রামের বেশির ভাগ প্রাইমারী শিক্ষকই আন্তরিক ভাবে ছাত্র পড়ায় না। তারা নিজেরাই কম জানে, এবং সরকার থেকেও গ্রামের শিক্ষার মান জাচাইয়ের কোন চেস্টা নাই।

শিক্ষা চলছে পুরো দায়সারা ভাবে।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন কোনো কথা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.