নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছুটে চলার নামেই জীবন তাই আমারা ছুটে চলছি নিরন্তর। কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি আমরা তা জানি না বা জানার চেষ্টাও করি না। আমরা ক্লান্তহীন পথ চলে দেখি সামনে কানাগলি বা মরীচিকা। তখন ক্লান্ত দেহে নতুন গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় হতাশার জলে ডুবে মরি।এই ভুল পথে চলতে গিয়ে আরও একটা ভুল প্রতিযোগিতা করি তা হলো অপরকে ঠকানোর প্রতিযোগিতা। অপরের ক্ষতি করতে গিয়ে কখন যে নিজের ক্ষতি হয়ে গেছে বা কেউ ক্ষতি করে গেছে তার হিসাব মেলানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনি।
কেউ দুধে পানি মিশিয়ে অপরকে ঠকিয়ে নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে বাজারে গিয়ে ফর্মালিন যুক্ত পঁচা মাছ কিনে ঠকে গেছেন। আবার মাছ বিক্রেতা ফর্মালিন দিয়ে পঁচা মাছ বিক্রি করে লাভ করে খুশিতে খুশিতে নিজের ছেলেকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলেন। ডাক্তার সাহেব ওষধ কোম্পানি দ্বারা প্ররোচিত হয়ে উল্টা পাল্টা টেস্ট ও অতিরিক্ত ওষধ দিয়ে নিজে তৃপ্তির ঢেকুর গিললেন। ডাক্তারের ছেলের নিকট থেকে অতিরিক্ত টিউশন ফি নিয়ে জিততে চাচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য শিরোনামে সংবাদ ছাপানোর হুমকি দিয়ে হলুদ সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজী করে সাংবাদিক ভাই। জিততে গিয়ে হেরে যাচ্ছে আইনজীবির মারপ্যাঁচে মানহানির মামলা খেয়ে। আবার আইনের নামে বেআইনী কর্ম করে পুলিশকে দিতে হয় মাসিক সালামি। এভাবে আমরা একজন আর একজনকে হারানোর প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। আপনি একজনকে ফাঁকি দিয়ে অর্থ আয় করছেন আর অন্যজন আপনাকে অন্ধকারে রেখে আপনার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দিন শেষে আপনার প্রাপ্তি শুন্য কিন্তু পাপের বোঝা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা একটা দুষ্টু চক্র । এ চক্র আমাদেরই ভাঙ্গতে হবে। প্রতিরোধ করলেই প্রতিকার পাওয়া যাবে। আপনি দাড়িয়ে থাকেলে কেউ আপনাকে দাবড়াতে পারবে না। আপনি দৌড়ালে কেউ আপনাকে দাবড়ানোর সুযোগ পাবে।আপনি থামলে সেও থামবে। এবার আপনি তাকে তাড়া করুন সে পালিয়ে যাবে। এখন আপনার সময় ঘুরে দাড়ানোর অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো। আমরা গনেশটা উল্টে দেই। ভালোকাজের প্রতিযোগিতা শুরু করি। আমরা একে অপরের উপকার করা শুরু করি তবে অন্য কেউ আমার বা আপনার উপকার করবে।
ধরুন আপনি অফিসে যাচ্ছেন প্রতিবেশির সাথে সদ্ভাব বজায় রেখেছেনে আপনার গাড়ীতে বা রিক্সায় তাকে লিফট দিলেন অন্যদিকে তার স্ত্রী আপনার সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করল। দুধ বিক্রেতা খাঁটি দুধ বিক্রি করলে মিষ্টি বিক্রেতা খাঁটি দুধ দিয়ে ভেজালমুক্ত মিষ্টি বানাতে পারবে। এভাবে আমরা একে অপরের উপকার কারা প্রতিযোগিতা করতে পারি। আমরা যদি যে যার জায়গা থেকে সৎ থাকি একে অপরের উপকার করি তবে কাউকে ঠকতে হবে না। কবি কামিনি রায়ের কবিতা আমরা অনুসরণ করতে পারি।
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ,
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২২
রবিন.হুড বলেছেন: আপনার মতো সবাই উপলব্ধি করলে আর কোন সমস্যাই থাকবে না।
২| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিরোনামে ভালোলাগা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে জীবনে সৎ থাকলে, কারো ক্ষতি না করলে- জীবন আনন্দময় হয়।