নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ তাওয়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির সেরাজীব হিসেবে। মানুষকে দিয়েছেন নিজের দুই পায়ে দাড়ানোর ক্ষমতা এবং মেরুদন্ডের উপর ভর করে মাথা উঁচু করে চলার ক্ষমতা।সেই সাথে দিয়েছেন জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন উন্নত মস্তিস্ক। সঠিক পথের দিশা দিতে পাঠিয়েছেন অসংখ্য নবী-রাসুল। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) এর মাধ্যমে মানব জাতির জন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা আল কোরআন। আল-কোরআন হচ্ছে সর্বকালের সমগ্র মানবজাতির পথ নির্দেশক। কোরআন শরীফে আছে আমাদের দৈনন্দিন সকল কার্যাবলীর নির্দেশনা। আমাদের অর্থণীতি, সমাজনীতি, পারিবারিক সম্পর্কসহ সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআনে। মানবজাতির উত্তম অনুকরনীয় ও অনুসরনীয় আদর্শ হচ্ছে কোরআন শরীফ। সকল বিষয়ে ধারনা দেওয়া আছে এই মহাগ্রন্থে। মহাগ্রন্থ আল কোরআন এক শাশ্বত গ্রন্থ। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের এই যুগে মানুষ তার মধ্য থেকে নতুন নতুন অনেক তত্ত্ব ও উপাত্ত আবিষ্কার করছে। শিল্প-সাহিত্য, সামাজিক নীতি-আদর্শ, সমরনীতি, রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা, যুগ-জিজ্ঞাসার জবাব, সব কিছুই রয়েছে এ কোরআনের মধ্যে। পবিত্র কোরআনই সব মানব হিতৈষী জ্ঞান-বিজ্ঞানের আধার বা মৌলিক সূত্র। কিন্তু আমরা যারা শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে কোরআন অধ্যয়ন করি তাদের কাছে পবিত্র কোরআনের সেই জ্ঞানভাণ্ডার কখনোই উন্মোচিত হয় না। তবে কোরআনে বর্ণিত উলুল-আলবাব বা গভীর জ্ঞানের অধিকারীগণই পবিত্র কোরআনের সেই বিজ্ঞানময় বাণীসমূহের প্রকৃত অর্থ অনুধাবনে সক্ষম। আমাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে করতে জীবনটাকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করতে নিয়মিত কোরআন পাঠ করা জরুরী। কোরআন শুধু দেখে দেখে পাঠ বা নাজিরা তেলাওয়াত করলে হবে না। কোরআনের ভাষা বুঝতে হবে এবং সেই আলোকে জীবন ধারন করতে হবে। এই বিষয়ে আল্লাহ তাওয়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা ক্বামার এর ১৭ নং আয়াতে বলেছেন,“ নিশ্চয় আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি। অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?” সুতরাং কোরআন অনুধাবন করা কঠিন নয়। আমরা যারা আরবি ভাষা সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান রাখিনা তাদের উচিৎ বাংলায় অনুবাদকৃত কোরআন পড়ে আল্লাহর নির্দেশাবলী সম্পর্কে জানা এবং জীবনে পথ চলার পথে তা মেনে চলা। আমাদের দেশে যে সকল ইসলামিক পন্ডিত বা হুজুর বা মওলানা বা মাদ্রাসায় পড়া শিক্ষিত সমাজ তাদের উচিৎ নিজে কোরআন পড়া এবং অন্যদের কোরআন পড়তে উৎসাহিত করা। অথচ তাদের অনেকের আচরনে তা প্রকাশ পায় না। তারা মনে করে যে সকলে কোরআন পড়ে সত্য জেনে ফেললে তাদের ধর্ম ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে বা তাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা ধর্ম নিয়ে রাজণীতি করা জনসমর্থন পাবে না। তাই কোন ধর্মীয় কোন আলোচনা বা ওয়াজ মাহফিলে নানান বিষয়ে গাল-গপ্প হলেও কোরআন পাঠের গুরুত্ব বা কোরআন পাঠে উৎসাহ দিয়ে আলোচনা করে না। তাদের আলোচনায় কোরআন পাঠের আগ্রহ হারিয়ে মকমলের কাপড়ে জড়িয়ে চাঙ্গে (উচু তাক) উঠিয়ে রাখে সাধারণ জনগন। অথচ কোরআন হচ্ছে নিয়মিত পাঠকরা ও অর্থ অনুধাবন করার মতো বই।
আসুন আমরা সবাই নিয়মিত কোরআন পাঠ করি এবং কোরআনের আলোকে জীবন ধারন করি। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে জীবন ধারনের তৌফিক দিন। আমিন।
০৩ রা জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩১
রবিন.হুড বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে সবাই কোরআনের নির্দেশনা মেনে চললে সুন্দর সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
২| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: জীবন বিধান একটা চলমান ঘটনা।সময়ের প্রয়োজনে প্রতিটা দেশের বিধি বিধান পরিবর্তন করতে হয়।কোন অপরিবর্তনীয় বিধান দিয়ে পৃথীবির কোন দেশ চলে না।তালেবান আইএস চেষ্টা করেছিলো, ফলাফল কি হয়ে ছিল আমরা দেখেছি।ভবিষ্যতে হয়তো অন্য কোথাও চেষ্টা করা হবে কিন্তু ফলাফল ভালো হবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আল কোরআন হচ্ছে পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান অথচ কোরআনের নিয়মে দেশ চলছে না।