নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম চুরিই আকাশের জীবনের প্রথম ও শেষ চুরি

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩১

চুরি করা ভালো নয় অন্যদের মতো আকাশও ছোট বেলা থেকেই শিখেছে তার পরিবার থেকে। আকাশ অন্যদের থেকে তুলনামূলকভাবে নীতি নৈতিকতার প্রশ্নে একটু এগিয়ে। ছোট বেলায় অনেকেই শখ করে বা অভ্যাসগত ভাবে চুরি করে থাকে । আবার অনেকেই চুরি করার মানষিক রোগে ভোগে। সে দিক থেকে আকাশ চুরিসহ সকল ঋণাত্বক কাজ এড়িয়ে চলে। বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঋণাত্বক আচরণের মানুষ সে এড়িয়ে চলতো। তার পাড়া প্রতিবেশি যারা চুরি করে (শখের বশে ফলমুল, হাস-মুরগী) তাদের সে অপছন্দ করে। কিন্তু সকল নিয়ন্ত্রণ তো উপরওয়ালার হাতে। আকাশের বয়স যখন সাত-আট তখন এক বিকেল বেলা চাচাতো ভাই শামসুর খোঁজে পাশের বাড়ির আঙ্গিনায় গিয়ে দেখে আরও দুই প্রতিবেশি তফাজ্জল ও কালাম এর সঙ্গে গাল-গল্প বা সলাপরামর্শ করছে। কিছু সময় তাদের সাথে অবস্থান করে বুঝতে পারে যে তারা পাশের বাড়ির আমগাছ থেকে আম পেড়ে (চুরি করে) খাবে। আকাশ এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে তাদের সাথে থাকবে না বলে চলে আসতে চাইলে তফাজ্জল ও কালাম বুঝিয়ে বলে এটা চুরি নয় শামসুর মামার (চাচাতো মামা) গাছের আম, মন চাচ্ছে আমরা পেড়ে খাব সমস্যা কোথায়? কোন ঘোরের মধ্যে আকাশ তাদের সাথে যোগ দেয় তা সে বুঝতে পারে না। আকাশ যেখানে আম চুরির বিরোধিতা করেছে , সেখানে সে আম গাছে চড়েছে আম পাড়তে। শামসু ও আকাশ দুইজনই এ কাজে আনাড়ী তারপরও তারা আমগাছে। আকাশ আম পেড়ে কয়েটি থোকা ডালে বাধিয়ে রেখেছে এবং আরও আম পাড়ার উদ্যোগ নিতেই অসাবধানতা বশত ডালে রাখা আমগুলো মাটিতে পড়ে শব্দ তৈরি হয়। আম পড়ার শব্দ শুনে বাড়ীর কেয়ারটেকার এসে হাতে নাতে ধরে ফেলে। শামসু ও আকাশের পরিচয় পেয়ে (দেখে চিনতে পারে) সতর্ক করে ছেড়ে দেয়।এই ঘটনায় আকাশ ভিশন লজ্জা পায়। এটাই ছিল আকাশের জীবনের প্রথম ও শেষ চুরি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.