নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশের নারী ভাগ্য ভালো নয়। অর্থাৎ আকাশ তার চল্লিশ বছর জীবনে বেশি নারীর সান্যিধ্যে যেতে পারে নাই । এটা তার জন্য সৌভাগ্য না দূর্ভাগ্য তা হিসেব করা হয়নি। যেমন কারো কন্যা সন্তান জন্ম হলে বলে সৌভাগ্যবান আবার জীবন সঙ্গিনী ভালো হলে বলে ভাগ্যগুনে এমন ভালো বউ পেয়েছে। আবার বলা হয় সংসার ভালো হয় রমনীর গুনে।
আকাশ ছোট বেলা থেকেই লাজুক ও সৎ স্বভাবের। কোন মেয়ের ক্ষেত্রে সম্পর্ক করার আগে চুলচেরা বিশ্লেষণ সহ সততা বজায় রাখত। অর্থাৎ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের বাইরে কোন বিরূপ আচরণ কোন মেয়ের সাথে সে করে নি। বউ ছাড়া কারও হাত কখনোই সে ধরেনি। তারপরও পথ চলতে সামাজিকতার কারনে যে সকল মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়েছে সে বিষয়ে অল্প বিস্তর বলা যেতে পারে। আকাশ এক বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। আকাশের শিশু বয়সে বড় বোনের বিবাহ হওয়ার কারনে তার সান্যিধ্যে আসতে পারে নাই। চাচাতো বোনেরা বয়সে বড় হওয়ার দরুন তাদের সাথে মিশতে পারেন নাই। সমবয়সী খালাতো বোনেরা দুরে থাকা বা তাদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক দৃঢ় না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয় নি। প্রতিবেশি হিসেবে যারা ছিল তাদের সাথে লাজুক স্বভাবের কারনে মিশতে পারে নাই। আকাশ আবার ছোট বেলা থেকেই চুজি। সবার সাথে সব কথা বলতে পছন্দ করে না। সমালোচনাকে খুবই ভয় পায়। কোন মেয়ের সাথে কোন কথা বললে কে কিভাবে গুজব ছড়াবে তার ঠিক নাই। তাই সবার সাথে মেপে কথা বলে। হয়তো অনেকে ভাবতে পারে আকাশ খুব মুডি । আসলে তা নয় সমালোচনার ভয়ে হিসাব নিকাশ মিলাতে গিয়ে মেয়েদের সাথে কম মিশেছে। বা তার মেয়েদের কনভেন্স করার ক্ষমতা কম। সে আবার প্রতিটি মেয়েকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতো। কোন মেয়ের সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক হিসাব করে সে অনুযায়ী মূল্যায়ন করতো অন্য ছেলেদের মতো সকল ষোড়ষী মেয়েদের এক কাতারে রেখে স্বপ্নের নায়িকা মনে করতো না। দূরের আত্মীয় হলেও খালা,ফুপু,ভাস্তি, ভাগ্নি, বোন সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে প্রেম নিবেদন করার মতো কাউকে খুঁজে পায়নি আকাশ। দু্ একজনকে কিছুটা পছন্দ হলেও জড়তার কারনে মুখ ফুটে বলতে পারে নি তবে মনে মনে তাদের দিক থেকে প্রস্তাব আশা করে থাকতো। এ যেন বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। অভাগা যে দিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায়। আকাশের নারী ভাগ্যের ক্ষেত্রে এই প্রবাদ একশত ভাগ সঠিক। আকাশের বিচরণক্ষেত্র পাড়া-প্রতিবেশী,আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মেয়ে না থাকায় তার ভাগ্যে কোন মেয়ে বন্ধু জোটে নাই। ইন্টার মিডিয়েট লাইফে তার কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে কোন ছাত্রী ছিলনা।ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের একটা মেয়েকে আকাশের কিছুটা পছন্দ হলো যার সাথে বন্ধুত্ব করা যেতে পারে কিন্তু যখন ভাবলো তার সাথে মনের কথা শেয়ার করবে, কিছুটা সময় কাটাবে তখন থেকে সে কলেজে অনিয়মিত। তার সাথে আর যোগাযোগ করার সুযোগ হয়নি। আকাশ যেখানে স্নাতক (সম্মান) করার জন্য ভর্তি হলো সেই ক্যাম্পাসেই কোন মেয়ে নাই। অবশ্য এই সংকট অনেকের ক্ষেত্রে দূর হয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সাথে ব্যাচে বা কোচিংয়ে প্রাইভেট পড়ে। কিন্তু আকাশ কখনো কোন প্রাইভেট টিউটরের বাসা বা কোচিংয়ে না যাওয়ায় কারনে বান্ধবীর সংকট দূর করতে পারে নাই। ডিজুস প্রেমের আমলে আকাশ একটা ডিজুস সিম কিনলেও কারো সাথে প্রেমালাপ করার সুযোগ হয় নি। আসলে প্রেম করতে যা লাগে আকাশের তা ছিল না। প্রেমের শর্ত হলো মানিব্যাগ ভর্তি টাকা ও নিজের ব্যক্তিত্ব সস্তা দামে বিক্রি।
হলে থাকার সময় এক রুম মেটের সহযোগিতায় একটা মেয়ের সাথে ফোনে আলাপ হয় এবং লালবাগ কেল্লায় স্বল্প সময়ের জন্য সাক্ষাত হয় । তাদের মধ্যে আলাপ কম হলেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে অনেক দিন যার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ আঠারো বছর পর আবার দেখা হয়। পড়ালেখা শেষে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকুরীর পরীক্ষায় ভালো করার টিপস নেয়ার উদ্দেশ্যে আকাশের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে তার চাচাতো ফুফুর মেয়ে। আকাশের সাথে কিছু দিন তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে । শাহাবাগে আড্ডা, হলের গেস্টরুমে অপেক্ষা, বই মেলা ও চারুকলার জয়নুল উৎসব এ ভালো সময় কাটলেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি কারন ঐ ফুফাতো বোন অন্য কাউকে ভালো বাসতো। খুলনা থেকে গ্রাজুয়েশন করে খালাতো বোন ঢাকায় এলে আকাশের সাথে বিশ বছর পর দেখা হয়। বুয়েটের ক্যান্টিনে হালকা নাস্তা করে রিক্সায় করে লালমাটিয়া পৌছে দেয়া আকাশের নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে আকাশ কখনও কোন মেয়ের সাথে রিক্সায় চড়েনি।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
রবিন.হুড বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লিখবো ইনশাল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: লিখুন বিস্তারিত।