নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্ম সূত্রে মুসলমান প্রকৃত মুসলমান নয়।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

ভারতীয় উপমহাদেশে বর্তমানে আমরা যারা মুসলমান আছি, তাদের সিংহভাগই বংশগত বা জন্মগত মুসলমান। কিন্তু ইসলাম কখনোই জন্মগত মুসলমান কে প্রকৃত মুসলিমের স্বীকৃতি দেয় না, যতক্ষণ না সে পরিপূর্ণ ভাবে ঈমানের সহিত ইসলামে প্রবেশ না করছে।
তাই জন্মগত মুসলিম কখনোই প্রকৃত মুসলমান নয়। বরং এটি তার একটি খেতাবের মতো। সত্যিকারের ইসলাম অনুযায়ী প্রকৃত মুসলিমের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
মুসলিম শব্দের অর্থঃ
মুসলমান বা মুসলিম (আরবি:مسلم-অর্থ: আত্মসমর্পণ, অনুগত) । অর্থাৎ মুসলিম হলো সেই লোক যে আল্লাহর উপর ঈমান এনে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে ৷
মুসলমানের পরিচয় জানতে হলে দুটি বিষয়ে সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যার একটি হলো কুফর আর অন্যটি হলো ইসলাম।
কুফর হলো- আল্লাহ তাআলার হুকুম তথা পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ বর্ণিত আইনকানুনকে অস্বীকার করা এবং সেইমতো জীবনযাপন না করা।
ইসলাম হলো- শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার হুকুম তথা কুরআন এবং সুন্নাহকে মেনে নিয়ে সেইমতো জীবনযাপন করা।
সুতরাং মুসলিম শব্দটি ঈমানের সাথে সম্পর্কিত। শুধু নাম বা খেতাবধারী মুসলিম মানেই সত্যিকারের মুসলিম নয়। বরং প্রকৃত মুসলমান হচ্ছে সে যে পরিপূর্ণভাবে ঈমান এনে ইসলাম পালন করে।
ঈমান কীঃ
ঈমান হচ্ছে ইসলামের পরিপূর্ণ বিধানকে মুখে স্বীকৃতি, অন্তরে বিশ্বাস এবং কাজে পূর্ণ করা। যার সহজ অর্থ হলো ইসলামের বিধানকে মুখে স্বীকার করা, অন্তরে বিশ্বাস করা এবং সেইমতে কাজ করাই হচ্ছে ঈমান। যে এই কাজ অর্থাৎ ঈমান এনে ইসলামের প্রতি আনুগত্যশীল হয় তাকে বলা হয় মুসলিম।

ঈমান থেকে মুমিন বা মুসলিমঃ
একজন মানুষ ঈমান আনার পরই মুসলিমে পরিনত হয়। সুতরাং কেউ ঈমানদার হলেই সে মুসলিম হবে। আর ঈমানদার হতে হলে তার অনেকগুলো গুনাবলীর প্রয়োজন। যার মধ্যে মুমিনের গুণাবলী নেই সে কখনোই মুসলিম নয়।
মুমিনের গুণাবলীঃ

মুমিন বা মুসলিম হতে হলে তার মধ্যে কিছু গুণাবলী থাকা আবশ্যক। আর তা হচ্ছে -

১) কালেমাতে পূর্ণ বিশ্বাস।

২) আল্লাহর কিতাবে সন্দেহ পোষণ না করা।

৩) আল্লাহর বিধানে পূর্ণ আনুগত্য করা।

৪) উদ্যমী হওয়া এবং দ্বীনের জ্ঞানার্জন করা।

৫) শির্কমুক্ত বিশ্বাস এবং নিফাকী বর্জন করা।

৬) অন্ধবিশ্বাস না করা ও পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুসরণ না করা।

৭) রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পূর্নাঙ্গ অনুসরণ।

৮) সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করা।

৯) সৎকাজের আদেশ অসৎকাজের নিষেধ করা।

১০) নিয়মিত সালাত আদায় করা।

১১) বিনয় ও কোমলতা ও আল্লাহ্ ভীরু হওয়া।

১২) তওবাকারী ও তাকওয়া অবলম্বনকারী।

১৩) লজ্জ্বাস্থানের হেফাজতকারী ও পরহেজগারী।

১৪) জিহাদকারী ও আপোষহীন।

১৫) ওয়াদা রক্ষা করা।

১৬) দানশীলতা।

১৭) আমানতদারী হওয়ার

১৮) ধৈর্যশীল হওয়া ইত্যাদি।

ঈমান জন্মগত নয়ঃ

উপরের উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, কেউ মুসলিম ঘরে জন্ম নিলেই এইসব গুণের অধিকারী হতে পারে না। এইসব গুণ ধারণ করতে হলে জ্ঞানের প্রয়োজন। সুতরাং যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করবে, সে ই হবে প্রকৃত মুসলমান।
জন্মগত মুসলিম না হওয়ার কারণঃ
ভারতীয় উপমহাদেশে জন্মগত মুসলিম প্রকৃত মুসলিম নয়। এর যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
প্রথমত শির্কঃ
আল্লাহ্ বলেন " অধিকাংশ লোকই ঈমান আনে শির্কযুক্ত অবস্থায় "। অর্থাৎ মুসলমান হওয়ার পরও তারা মুশরিক। অর্থাৎ তারা ঈমান আনার পরও শির্কে লিপ্ত। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানগণ শির্কের সংজ্ঞা ই জানে না। তারা জানে না শির্ক কী? কীভাবে একজন মানুষ শির্কের যুক্ত হয়। এই উপমহাদেশের কোটি কোটি মুসলমান আজ শির্কে ডুবে আছে সঠিক ইসলামের জ্ঞান না থাকার কারণে।

দ্বিতীয়ত বিদআতঃ
শির্কের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বিদআত। আমাদের এই উপমহাদেশে এখনো বিদআত কী জিনিস সেটাই মুসলমানরা জানে না। বিদআত কীভাবে একজন মানুষকে মুশরিকে পরিনত করে তা আমাদের সাধারণ জ্ঞানে নেই।
এই বিদআতের কী কঠিন শান্তি তা এখনো এখানকার মুসলমানগণ উপলব্ধিতে নেই সঠিক জ্ঞানের অভাবে ।

তৃতীয়ত পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুসরণঃ
বাপ দাদার অন্ধ অনুসরণের কারণেও উপমহাদেশের জন্মগত মুসলমানগণ প্রকৃত মুসলিম নয়। তারা মনে করে বাপ দাদা থেকে যা তারা ইসলাম হিসাবে পেয়েছে, তা ই বুঝি প্রকৃত ইসলাম। অথচ তারা যাচাই করে দেখার চেষ্টা করে না যে, আমরা যা পালন করছি আসলেই তা সঠিক কিনা?
আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে শতশত আয়াতে পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুসরণ না করার কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ বলেন,
" আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা'আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও "। [ সুরা বাকারা ২:১৭০ ]
এই আয়াত দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, বাপ দাদার অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না। কুরআন এবং সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান অর্জন করে যাচাই করে তবেই ইসলাম পালন করতে হবে। যে এমন করবে সে ই হবে প্রকৃত মুসলমান।

অথচ বাজার থেকে আলু পটল কিনলেও আমরা একটু যাচাই করে দেখি, সেটা আসলে ভালো নাকি নষ্ট! আর যে ঈমান এবং আমল দ্বারা দুনিয়া এবং আখিরাত নির্ভর । সেই ঈমান এবং আমলের ক্ষেত্রে আমরা অন্ধ অনুসরণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
সুতরাং যে ব্যক্তি পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুসরণ করে, যার মধ্যে মুমিনের গুণ এবং শির্ক বিদআত সম্পর্কিত কোনো জ্ঞান থাকে না সে কখনোই প্রকৃত মুসলিম নয়। আর যে পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুসরণ করে না এবং জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মুমিনের গুণাবলী ধারণ করে, সে ই প্রকৃত মুসলিম।
আনুষ্ঠানিক ইবাদতঃ
আমরা মনে করি শুধুমাত্র সালাত, সিয়াম, হজ্জ্ব, যাকাত, কুরবানী ইত্যাদিই হচ্ছে ইসলাম। অধিকাংশ জন্মগত মুসলিমের ধারণা এইসব বিশ্বাস করলে এবং যতটুকু পারা যায় তা পালন করলেই বুঝি ইসলাম পালন হয়ে যাবে। এবং আমরা নিজেকে মুসলিম দাবি করতে পারবো। কিন্তু ইসলাম হচ্ছে পরিপূর্ণ একটি জীবনব্যবস্থা। যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একজন ব্যক্তির জীবনযাপন কীভাবে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যে এইসব জ্ঞান রাখবে না সে কখনোই মুসলিম হতে পারে না।
যদি জন্মগত মুসলিম হওয়া যেতো তাহলে নূহ আঃ এর ছেলে এবং লুত আঃ এর সন্তানসন্ততিরাও মুসলিম হতো। অথচ আল্লাহ বলেন তারা কাফির। কেননা তাদের কর্মই তাদেরকে কাফিরে পরিনত করেছে। সুতরাং আমাদের দেশে জন্মগত ভাবে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশ ৯০ ভাগ নয় বরং ১০ ভাগ পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ।

মুসলমান হওয়া কখনোই জন্মগত নয়ঃ
কেননা আল্লাহ্ বলেন,
"এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। [ সুরা ইমরান ৩:১০২ ]
‘হে ঈমানদাররা! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো (সুরা: বাকারা, আয়াত: ২০৮)
‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম সন্ধান করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত’ (সূরা আলে ইমরান-৮৫)
"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম" (আলে ইমরান -১৯)
এইসব আয়াত দ্বারা আল্লাহ মানুষকে সুস্পষ্টভাবে ইসলামে প্রবেশ করার কথা, পরিপূর্ণ ইসলাম পালন করার কথা এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। সেইসাথে ইসলাম ছাড়া কোনো কিছুকেই গ্রহণ করা হবেনা বলে আল্লাহ্ সুদৃঢ় ঘোষণা দিয়েছেন।
এ থেকে এটা নিশ্চিত যে, জন্মগতভাবে মুসলমান হলেই মুসলিম হওয়া যায় না। বরং মুসলমান হওয়ার জন্য প্রকৃত ঈমানের যোগ্যতার প্রয়োজন।

সুতরাং সঠিক মুসলমান হচ্ছে সে - যে ঈমানের গুণাবলী অর্জন করে মুসলিম হয়েছে। যা কখনোই শুধুমাত্র জন্ম দ্বারা পরিপূর্ণ হওয়ার নয়।

সূত্রঃ সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী এর ব্লগ

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

বিষাদ সময় বলেছেন: লেখার মধ্যে মনে হয় কিছু অসংগতি আছে। এখানে মুমিন এবং মুসলিম, ঈমান এবং আমলকে এক করে ফেলা হয়েছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

রবিন.হুড বলেছেন: যার ঈমান আছে তিনি মুমিন বা মুসলমান বা মুসলিম। আবার যিনি ইসলামের হুকুম আহকাম নিয়ম কানুন মেনে চলে বা আমল করে তাকে মুসলমান বলা হয়। এই লেখার অসংগতি কি তা একটু বুঝিয়ে বললে আমার এবং সবার জন্য মঙ্গল হবে।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

বিষাদ সময় বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই আমিও এ সম্পর্কে খুব কম জানা মানুষ। তার পরও আমার সীমিত জ্ঞানেই কিছু অসংগতি ধরা পড়ছে। যেমন এখানে মুসলিম হতে হলে কিছু গুনাবলী থাকা আবশ্যক বলে ১৮ টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। তার মানে এই গুনগুলি না থাকলে সে মুসলিম নয়। যার মধ্যে দানশীলতা একটি আমার জানা মতে দানশীলতা তো অনেক বড় বিষয়, দান হলো একটি নফল ইবাদত। তা মুসলিম হওয়ার জন্য আবশ্যক হয় কি করে?
সময় পেলে অন্য অসংগতি গুলো তুলে ধরার চেষ্ট করবো। ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

রবিন.হুড বলেছেন: দান যে কোন অবস্থায় করা যায়। যার যতটুকু আছে সেখান থেকে দান করতে হবে। দান করার জন্য বড় লোক হওয়ার প্রয়োজন নেই। ১৮ টা পয়েন্ট বলে কথা নয়। একজন মুসলিম এর কিছু বৈশিষ্ট আছে যে গুলো পরিপালন করা বাধ্যতামূলক।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। কে হিন্দু, কে মুসলমান সেটা বড় কথা নয়। 'মানুষ'। আমরা সবাই মানুষ। এই মানুষের মধ্যে যখন ধর্ম টেনে আনতে যাবো, তখনই সমস্যা দেখা দিবে।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

রবিন.হুড বলেছেন: ধর্ম মানুষকে মানবীয় গুনাবলী অর্জন করতে সাহায্য করে। ধর্মের অপব্যাখ্যা বা বাড়াবাড়ি অশান্তি সৃষ্টি করে।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি যে ১৮ টা বৈশিষ্ট দিলেন মুসলিম হবার জন্য উক্ত সব বৈশিষ্ট কিন্ত অন্যান্য ধর্মাবলম্বিরাও মানে যে তাহাদের এই সব বৈশিষ্ট না থাকলে তারা সেই সব ধর্মের সঠিক অনুসারী নয় । তো প্রশ্ন হলো একটা লোক ১৮ টা বৈশিষ্টে গুণান্বিত হয়ে নিজেকে কোন ধর্মে অনুসারিত বলে ঘোষণা দেবে?

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

রবিন.হুড বলেছেন: যে কেউ উপরের বৈশিষ্ট্য ধারন করলে মুসলিম হিসেবে পরিচিত পাবে তাকে ঘোষনা দিতে হবে না।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলাম হলো আগের ধর্মগুলোর একটা মিলিত রূপ।এখানে পৌত্তলিগদেরও অনেক কিছু আছে।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ শব্দটি পৌত্তলিকদের কাছ থেকে নেয়া।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে কেউ উপরের বৈশিষ্ট্য ধারন করলে মুসলিম হিসেবে পরিচিত পাবে তাকে ঘোষনা দিতে হবে না।

অন্য ধর্মে বিশ্বাসী হলেও সে মুসলিম হয়ে যাবে??!

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

রবিন.হুড বলেছেন: যে আল্লাহ ও তাঁর কলেমা বিশ্বাস করে, অন্তরে ধারন করে সে অনুযায়ী কাজ করে সে অন্য ধর্মে বিশ্বাস করবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.