নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়া কি? এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪২


ইবাদত-বন্দেগি ও আমল হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। দুনিয়ার কোনো স্বার্থসিদ্ধি বা মানুষকে দেখানোর জন্য বা কারও বাহবা পাওয়ার জন্য ইবাদত-বন্দেগি করলে আল্লাহ তাআলার দরবারে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এ লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগিই হলো ‘রিয়া’।
সমাজের লোকে ধার্মিক বলে আলাদা সম্মান করবে, কিংবা নিজেকে একটু ভিন্নভাবে লোকজনের কাছে উপস্থাপন করা যাবে- এ উদ্দেশ্য নিজেকে মানুষের সামনে আল্লাহ ভীরু, পরহেজগাররূপে প্রকাশ করাকে ইসলামের পরিভাষায় রিয়া বলে।
রিয়া অর্থ লোক দেখানো ইবাদত। ইবাদত একান্ত আল্লাহর জন্য।
ইবাদত করা দেখে অন্য কেউ দেখে ভালো বলুক এরূপ মনোভাব নিয়ে ইবাদত করলে প্রকৃত পক্ষে সে ইবাদত আল্লাহর উদ্দেশ্যে করা হয় না। এ কারণে রিয়াকে গোপন শিরক বলা হয়।
পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে রিয়ার অপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রিয়ামিশ্রিত ইবাদত কখনও আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না বরং এর জন্য শান্তি অবধারিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় প্রভুর দর্শন লাভের আশা রাখে, সে যেন নেক কাজ করে এবং তার ইবাদতে যেন অপর কাউকে শরিক না করে। ’
আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ওই সব নামাজি লোকদের জন্য ধ্বংস বা ওয়ায়েল দোজখ, যারা অন্যমনস্কভাবে নামাজ পড়ে এবং অন্যকে দেখায়।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক ব্যক্তি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.) কোন কাজে মুক্তি ও পরিত্রাণ পাওয়া যাবে? নবী করিম (সা.) উত্তরে বললেন, তুমি আল্লাহতায়ালার ইবাদত করবে এবং তা মানুষকে দেখানোর ইচ্ছা করবে না। হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরও বলেন, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আল্লাহতায়ালার দরবারে হাজিরপূর্বক বলবেন, তুমি কি প্রকার ইবাদত করেছ? সে ব্যক্তি বলবে আমি নিজের প্রাণকে আল্লাহর রাস্তায় কোরবান করেছি। আমি জেহাদে যোগদান করলে কাফেররা আমাকে শহিদ করেছে।
আল্লাহতায়ালা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ, তুমি শুধু এই উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করেছিলে যে, লোকে তোমাকে বীরযোদ্ধা বলে আখ্যায়িত করবে। হে ফেরেশতাগণ! এ ব্যক্তিকে দোজখে নিয়ে যাও। অপর এক ব্যক্তিকে উপস্থিত করে জিজ্ঞাসা করা হবে তুমি কি প্রকারের ইবাদত করেছ? সে ব্যক্তি উত্তরে বলবে, আমার ধন-সম্পদ যা কিছু ছিল আমি তা আল্লাহর রাস্তায় দান-খয়রাত করেছি। আল্লাহপাক বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ, তুমি শুধু এ উদ্দেশ্য দান-খয়রাত করেছিলে যে, মানুষ তোমাকে দাতা বলে প্রশংসা করবে। অতএব এ ব্যক্তিকেও দোজখে নিক্ষেপ কর।
অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে হাজির করে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি কি প্রকারের ইবাদত করেছ? সে ব্যক্তি উত্তরে বলবে, আমি বহু পরিশ্রম করে বিদ্যা অর্জন করেছি এবং কোরআন শরিফ পাঠ করেছি। আল্লাহতায়ালা বলবেন, তুমি মিথ্যাবাদী, মানুষ তোমাকে আলেম বলবে এ উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করেছ। ফেরেশতাগণ! এ ব্যক্তিকেও দোজখে ফেলে দাও।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, আমি আমার উম্মতের জন্য ছোট শিরকের ভয় যত করছি, এত ভয় অন্য কোনো বিষয়ে করি না। উপস্থিত সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ছোট শিরক কি? হুজুর (সা.) উত্তর দিলেন, তা হচ্ছে- রিয়া।
হাদিসে আরও বলা হয়েছে, ইবাদতের মধ্যে একটি ধূলিকণা পরিমাণ লোক দেখানো মনোভাব থাকলে আল্লাহতায়ালা ওই ইবাদত কবুল করেন না।
অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, কেয়ামতের দিন লোক দেখানো ইবাদতকারীদের এভাবে আহ্বান করা হবে, ওহে রিয়াকার, ওহে বিশ্বাসঘাতক, ওহে হতভাগা! তোমার সমস্ত নেক আমল বিনষ্ট হয়েছে। তুমি যে ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইবাদত করেছিলে এখন তাদের নিকট তোমার পারিশ্রমিক প্রার্থনা করো।
‘রিয়া’ বা লোক দেখানো ইবাদত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে তাদের ধনসম্পদ খরচ করে এবং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না (আল্লাহ তাদেরও ভালোবাসেন না) আর শয়তান কারও সঙ্গী হলে সে সঙ্গী কতই না মন্দ!’ (সুরা নিসা : আয়াত ৩৮)
উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা দুই শ্রেণীর লোকের ব্যাপারে ইশারা প্রদান করেছেন। এক শ্রেণী হলো কৃপন; যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করতে কৃপণতা করে। আর দ্বিতীয় শ্রেণির লোক হলো তারা, যারা লোক দেখানোর জন্য বা সুনাম অর্জনের জন্য ব্যয় করে; ইবাদত-বন্দেগির জন্য নয়। উভয় কাজই কাফেরদের অভ্যাসের বহিঃপ্রকাশ।
আল্লাহ তাআলার কাছে বান্দার ইবাদত-বন্দেগি কবুলের জন্য লোক দেখানো মানসিকতা পরিহার করা জরুরি।
যখন মানুষকে তাদের আমল তথা ইবাদত-বন্দেগির বিনিময় দেয়া হবে (তখন) আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তাদেরকে (রিয়াকারীদের) বলবেন, ‘তোমরা তাদের কাছে যাও, যাদেরকে তোমরা দুনিয়াতে (ইবাদত-বন্দেগি করে) দেখাতে। দেখ তাদের কাছে থেকে (ইবাদতের) কোনো প্রতিদান পাও কিনা।’ (মুসনাদে আহমদ)
রিয়া করা শরিয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। রিয়া মানে হলো- লোক-দেখানো কাজ, আত্মপ্রদর্শন, মুনাফিকী ও ভণ্ডামি ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় রিয়া বলে- সুনামের আশায় বা দুর্নামের ভয়ে সৎ আমল ও নেক কাজ করা, যাতে লোক ভালো বলে বা ভালো নজরে থাকা যায়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা রিয়াকারীর জন্য কঠিন শাস্তি রেখেছেন। তাই লৌকিকতা দেখিয়ে নিজেকে শাস্তির জন্য তৈরি না করাই মুমিনের কাজ।
জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষকে শোনানোর জন্য এবং মানুষের নিকট প্রসিদ্ধি লাভ করার জন্য কোনো আমল করে আল্লাহ তাআলা তার অবস্থা মানুষকে শুনিয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করে, আল্লাহ তাআলা তাকে রিয়াকারীর শাস্তি দেবেন। (বুখারি, হাদিস : ২/৯৬২; মুসলিম, হাদিস : ২/৪১২; তিরমিজি, হাদিস : ২/৬১; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২/৩১০; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৩/৪০; শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ৫/৩৩০)
হাদিসে মর্মার্থ হলো- কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষের সামনে তার দোষ-ক্রটি প্রকাশ করে তাকে অপমান ও অপদস্ত করবেন।
রিয়াকারীর চারটি নিদর্শনঃ
১) একাকিত্বে নেক কাজে অলসতা করে।
২) মানুষের সামনে পূর্ণ আনন্দ ও নিপুনতার সাথে আমল করে।
৩) যে কাজে মানুষ প্রশংসা করে সে কাজ আরও বেশি করে।
৪) যে কাজে তার নিন্দা হয়, সেটা কম করে।
----হযরত আলী (রাঃ)
রিয়া একটি গোপন শিরক বা ছোট শিরক। কিয়ামতের দিন রিয়াকারীকে চার নামে ডাকা হবেভ
১) হে কাফের, ২) হে ফাজের (অবাধ্য), ৩) হে ধোকাবাজ ও ৪) হে ক্ষতিগ্রস্ত
আমল কবুল হওয়ার জন্য চারটি জিনিস জরুরী
১) ইলম ( কেননা ইলম ছাড়া কোন আমল ছহীহ হওয়া কঠিন বরং অসম্ভব, আর ছহীহ আমলই কবুল হয়)
২) নিয়্যত ( নিয়্যত ছাড়া আমল প্রতিদানযোগ্য নয় এমনকি অনেক আমল গ্রহনযোগ্য হয় না)। হাদিসে আছে, “সকল কর্ম তার নিয়্যতের উপ নির্ভরশীল”।
৩) ছবর (প্রত্যেক আমল সহ্য ও ধৈর্য্যের সাথে ধীর-স্থিরভাবে সম্পন্ন করতে হবে)
৪) ইখলাস ( কারন এখলাস ছাড়া কোন আমল কবুল হয় না)
তিনটি বিষয় আছে যা আমলে কেল্লা স্বরূপঃ
১) এটা স্মরণ রাখতে হবে যে, আমল করার তৌফিক আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। (তাহলে অহংকার ও দাম্ভীকতা থাকবে না)
২) প্রত্যেক আমল আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য করা হয়, (যাতে নাফসের খায়েশ ভেঙ্গে যায়)
৩) আমলের ছওয়াব ও প্রতিদান কেবল আল্লাহর নিকট চাইতে হবে ( যাতে হৃদয় থেকে রিয়া ও লোভ লালসা বের হয়ে যায়)।
যেসব কারণে মানুষ রিয়া বা লৌকিকতা করে
ঈবাদাত ও নেক আমল সমূহে আল্লাহ্ তাআলাকে রাজি-খুশির পরিবর্তে দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজের বড়ত্ব, যশ-খ্যাতি, ক্ষমতা লাভের বাসনা। সমাজের মধ্যে থাকা অবস্থায় সুন্দর করে ইবাদাত করা, লোকদের সন্তুষ্টি করার জন্য আমল করা ও নির্জনে গাফলতি করা এবং নিজেকে জাহির করার জন্য কাজ করা। বর্তমানে রিয়ার এক এক নতুন ধারার ফিতনার প্রচলন শুরু হয়েছে; যেমন- কোনো ভালো কাজ করে বা দান-সদাকা দিয়ে অথবা নিজে ইবাদাত-বন্দেগি করার বিষয় বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা।
যেসব কাজ মনে হলেও রিয়া বা লৌকিকতা নয়
* কেউ না চাইতেই মানুষ তার ভালো কাজের প্রশংসা করে। এটা বরং মুমিনের জন্য আগাম সুসংবাদ। * দাবি-দাওয়া ছাড়াই খ্যাতি অর্জন। যেমন- কোনো আলিম কিংবা দ্বীনি শিক্ষার্থী লোকদের দ্বীন-ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে থাকেন। তাদের কাছে যা দুর্বোধ্য ও জটিল সেগুলোর সমাধান তারা দিয়ে থাকেন। এভাবে জনগণের মাঝে কখনো কখনো তাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষিতে লৌকিকতা থেকে দূরে থাকার নামে দ্বীনি কাজ থেকে তারা বিরত থাকা মোটেও সমীচীন হবে না। বরং তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাবেন এবং নিয়ত ঠিক রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
* কেউ কেউ কখনো কোনো উদ্যমী ইবাদতকারীকে দেখে তার মতো ইবাদতে আগ্রহী হয়ে ওঠা। এটা কোনো লৌকিকতা বা রিয়া নয়। সে তার ইবাদতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করলে অবশ্যই ছওয়াব পাবে। * পোশাক-পরিচ্ছদ ও জুতা সুন্দর-পরিপাটি করে পরা এবং সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহার করা। এর কোনোটিই রিয়া বা লৌকিকতা নয়।
* পাপ গোপন রাখা এবং সে সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলা রিয়া নয়। বরং শারয়িভাবে আমরা নিজেদের ও অন্যদের দোষ গোপন রাখতে আদিষ্ট। কিছু লোকের ধারণা অপরাধ প্রকাশ করা জরুরি; যাতে করে সে মুখলিছ বা খাঁটি মানুষবলে গণ্য হবে। এটি একটি ভুল ধারণা এবং ইবলিসের ধোঁকা। কেননা পাপের কথা বলে বেড়ানো মুমিনদের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত।
* একমাত্র আল্লাহ্ তাআ'লা কে রাজি-খুশির জন্য দান-সদাকা, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, পরোপকার, মানুষকে অর্থ-সম্পদ বা বিভিন্নভাবে সহায়তা করলে যদি কারও নাম ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এগুলো রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে না।
রিয়া থেকে মুক্তির উপায়
এক. সম্মান, খ্যাতি-প্রীতি ও দেমাগ-ভাব অন্তর থেকে বের করতে হবে।
দুই. রিয়ার চেতনা এসে গেলেও তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবে না বরং নিয়ত ঠিক রেখে কাজ করে যেতে থাকবে, এভাবে আস্তে আস্তে সেটা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং অভ্যাস থেকে ইবাদত ও ইখলাস-নিষ্ঠায় পরিণত হবে।
তিন. যে ইবাদত প্রকাশ্যে করার বিধান, তাতো প্রকাশ্যেই করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য ইবাদত প্রকাশ করারও নিয়ত রাখবে না, গোপনে করারও উদ্যোগ নিবে না।
চার. ইবাদাত করতে হবে একমাত্র আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।
পাঁচ. কোনো কাজে কখনও গাফিলতি না করা।
ছয়. মানুষকে সব সময় বড় মনে করে নিজেকে ছোট মনে করা।
সাত. নেক লোক ও হক্কানি আলেম-ওলামাদের সংস্পর্শে থাকা। ইসলামী কিতাবাদি পড়া ও প্রয়োজনে তাদের পরামর্শ নেওয়া।
আট. নিজের বিবেকের কাছে নিজের কর্মের হিসেব নেওয়া।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের রিয়াসহ সব ধরনের ছোট ও বড় শিরক এবং গুনাহ থেকে মুক্ত রাখুন। ইসলামের আলোয় আমাদের জীবন পরিচালিত করার তাওফিক দান করুন।
পরিশেষে...
কুরআনুল কারিমের উল্লেখিত আয়াত এবং হাদিসে কুদসির আলোকে বুঝা যায়, রিয়া তথা লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগি বা আমল আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনে মারাত্মক বাধা।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোক দেখানো ইবাদতকে ছোট শিরক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর শিরক ছোট হোক আর বড় হোক শিরককারী কখনো আল্লাহর নেকট্য লাভ করতে পারে না।
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ছোট-বড় সব ধরনের শিরক থেকে বেঁচে থাকা। বিশেষ করে কাজ ভালো হোক আর মন্দ হোক তা যেন লোক দেখানোর জন্য না হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর নৈকট্য অর্জনে যথাযথভাবে হুকুম-আহকাম ও ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ কেন অসুতষ্ট?

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

জটিল ভাই বলেছেন:
আমিন। যথেষ্ঠ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর সুন্দর লিখনী। মাশাল্লাহ্।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছোট শিরক হতে বাঁচার তৌফিক দান করুন হে মহান রব

সুন্দর পোস্ট

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: জাজাকাল্লাহ রাইরুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.