নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই লিখতে পারে না! যারা লিখে তারাও সবাই তা সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেনা।যদি ব্যাখ্যাই করতে না পারি তাহলে লিখে কি লাভ?নিজে যতটুকু বুঝি বা ব্যাখ্যা করতে পারবো বলে মনে করি তাই লিখি!!!!!

কাঠ পেন্সিঁল

সখ হিসেবে লেখালেখি!!!

কাঠ পেন্সিঁল › বিস্তারিত পোস্টঃ

“অতন্দিলার বারান্দা”

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

এইতো অতন্দ্রিলাকে নিয়ে বের হলাম নতুন বাসা খুজার উদ্দেশ্যে। অবশ্য সেটা একাও পারতাম আমি তবে ওর একটা কথা 'বাসাটা আমার পছন্দ হওয়া চাই। বাসার থেকেও বারান্দাটা পছন্দ হওয়া খুব বেশিই প্রয়োজন।' তাই ওকে নিয়েই বের হলাম। বিয়ে হয়েছে এই মাস দুয়েক হবে। এর ভিতর এতোটা আপন করে নিবে ভাবিনি।
বেশকিছু বাসা দেখেছি তবে কোনটাই পছন্দ হলনা। কোন বাসা একদম ছোট,কোনটার আবার বারান্দা নেই,কোনটার বারান্দা এতটাই ছোট যে দুইটা চেয়ার পাতার ও যায়গা হবেনা। শেষ পর্যন্ত একটা বাসায় এসে অতন্দিলা একটু আটঘাঁট বেধেঁই সবকিছু দেখছে। সবার আগে বারান্দা।
-শুনছো অনিক।
-হ্যাঁ বলো।
-বারান্দাটা খুবই পছন্দ হয়েছে।
-আর বাসাটা?
-বাসাটাও খারাপ না এটাই নিয়ে নেও। তবে ভাড়াটা মনে হয় একটু বেশিই হবে।
-হোক! তোমার তো পছন্দ হয়েছে এটাই বেশ।
এরপর বাসাটা ভাড়া নেওয়া। পরের দিনই চলে এলাম বাসায় সবকিছু নিয়ে।
-এই অনিক উঠো না? আর কত ঘুমাবে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো তো।
-উঠছি।
উঠেই দেখলাম বারান্দায় বসে আছে অতন্দ্রিলা। দুইটা চেয়ার পাশাপাশি রাখা। তার সামনেই একটা ছোট টেবিল। কিছু ফুলের টব খুব সাজানো গোছানো ভাবে রাখা। তাতে গোলাপ, আরও কি কি যেন ফুল ফুটে রয়েছে। মেয়েটা খুব সাজানো গোছানো জিনিস পছন্দ করে। ঘরের কিছু অগোছালো থাকেনা ওর জন্য। এমনকি আমার অগোছালো জীবনটাও গুছিয়ে দিয়েছে নিজের মত করে।
-বসো এখানে।
আমি বসা মাত্রই এক কাপ গরম কফি দিলো। চুমুক দিতেই অদ্ভুদ রকমের এক আনন্দ হচ্ছে।
-বলেছিলাম না এরকম এক সন্ধ্যায় তোমাকে নিজের হাতে কফি করে খাওয়াবো।
-হুম আরও বলেছিলে "যে আমাদের ছোট্ট একটা বাসা হবে। যেখানে খুব সুন্দর একটা বারান্দা থাকবে। সেই বারান্দায় থাকবে নানা রকমের ফুল গাছ। গোলাপ টা যেন চাই। বেলি ফুলও চাই। সেখানে দুইটা চেয়ার থাকবে,একটা টেবিল থাকবে। বিকাল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা হবে দুজনে সব কাজ ফেলে সেখানে বসে যাব হাতে দুকাপ কফি নিয়ে। কফিতে চুমুক দিতে দিতে হারিয়ে যাব কোন এক ভালোলাগায়। কথা বলবো মনের সব কথা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতের আধার যখন আরও গভীর হবে তখন বারান্দা দিয়ে রাতের আকাশের চাঁদের জোৎস্নায় সমস্ত বারান্দা একাকার হয়ে যাবে। দুজনে হারিয়ে যাব অন্য এক রুপকথার রাজ্যে।"
-হি হি হি ! জ্বি মনে আছে জনাব।
-জানি পেত্নি!
-এই আমাকে পেত্নি বললে!
-কই না তো!
-বলেছো!!
-হি হি হি।
দুজনের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে রইলো রাতের চাঁদ। রাতের চাঁদও চুপটি করে দেখে এরকম দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.