![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
--আচ্ছা অনিক সাহেব একটা প্রশ্ন করি?
--জ্বি বলুন!
--আপনি কেন হত্যা করলেন আপনার স্ত্রীকে?
--আমি তো হত্যা করিনি। কত বার একথা বলবো।
অনিক একজন ব্যাবসায়ী। ঢাকা শহরে তার কম করে হলেও তিনটা বাড়ি আছে। তার একমাত্র স্ত্রী অর্থি। যার হত্যার অপরাধে অনিককে গতকাল রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ফ্রিজ থেকে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটা অবস্থায় উদ্দার করেছে পুলিশ। তবে এগুলো তার স্ত্রীর কিনা এখনও পুলিশ শিওর নয়। গ্রেফতার করাটাও যুক্তিসংগত কারন আছে যখন তার স্ত্রীর হত্যা হয় তখন সেই শুধু বাসায় ছিলো।
--আচ্ছা অনিক আপনি কিভাবে হত্যা করেছেন আপনার স্ত্রীকে?
জজ সাহেব অনিককে প্রশ্নটা করলো!
--আমি হত্যা করিনি জজ সাহেব।
বরাবরের মত অনিক আবার বললো যে সে হত্যা করেনি। তবে এবার একটু রাগন্মিত কন্ঠে সেটা প্রকাশ করলো।
--তাহলে কি হয়েছে সেদিন রাতে একটু খুলে বলবেন?
--বলছি!
একটু দীর্ঘশ্বাস নিয়ে অনিক বলা শুরু করলো।
" সেদিন রাতে রাতের খাবার পর 'অর্থি' আমার কাছে একটা জিনিস চেয়েছিলো তা হল আমার থেকে মুক্তি। ও বলেছিলো 'অনিক আমাকে মুক্তি দেও তোমার জীবন থেকে। আমি একা থাকতে চাই। এই জীবন ভালো লাগছে না আমার আর।' আমি শুধু উত্তরে বলেছিলাম 'আচ্ছা'। এরপর দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত তখন দুটা বেজে পনের মিনিট তখন আচমকা আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর অর্থির সেই কথাটা আমার কানে বাজতে থাকে 'অনিক আমাকে মুক্তি দেও তোমার জীবন থেকে'।
তারপর উঠে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে কিছুক্ষন বসে রইলাম প্রিয় চেয়ারটিত হেলান দিয়ে। তারপর ভাবতে লাগলাম যাকে এতোটা ভালোবাসি তাকে কি করে মুক্তি দেই? কিভাবেই বা সেটা দিবো?.... তারপর মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো চলে গেলাম রান্নাঘরে। রান্নাঘর থেকে এসে রুমে ডুকলাম দেখলাম কি মায়াবী এক রুপসী ঘুমিয়ে আছে। ইচ্ছে করছিলো যুগ যুগ এভাবে তাকে দেখি। কিন্তু কি করার সে যে মুক্তি চেয়েছে। আর তা আমাকে করতেই হবে যে। ওর গলার ওড়নাটা দিয়ে ওকে মেরে দিলাম। যখন ওড়নাটা ওর গলায় চেপে ফাঁস দিচ্ছিলাম তখন দুটা মায়াবী চোখ পরম মায়ায় তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে। কিন্তু কিছু বলেনি। কারন আমি যে সেই সুযোগ দেইনি ও যে মুক্তি চেয়েছে আমার কাছে। মাত্র এক বা দুমিনিট লাগলো ওকে মুক্তি দিতে। তারপর ভাবলাম ওকে ছাড়া তো আমি বাচঁতে পারবো না তো এখন কি করা যায়। তখন রান্নাঘর থেকে যে ছুড়ি নিয়ে এসেছিলাম তা ব্যাবহার করলাম। তারপর ভাবলাম যে ওকে রান্নাকরে খেলে মন্দ হবেনা। তাহলে আমার ভিতরই থাকবে ও। তারপর টুকরা টুকরা করলাম ওর দেহটা। "
কথাগুলো বলে একটু দীর্ঘশ্বাস নিলেন অনিক সাহেব।
আদালতের সবাই ওর দিক ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে। তারপর আবার অনিক বললো
--তাহলে বলুন জজ সাহেব আমি কি হত্যা করেছি আমার স্ত্রীকে? ও তো মুক্তি চেয়েছে তাই ওকে মুক্তি দিলাম আমি। ঠিক করিনি বলেন?
--হুমম!! ওরা সবাই মিথ্যা বলে আপনি হত্যা করেন নি অনিক।
জজ সাহেব একটু দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন। আর সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে অনিককে দেখছে।
©somewhere in net ltd.