নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই লিখতে পারে না! যারা লিখে তারাও সবাই তা সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেনা।যদি ব্যাখ্যাই করতে না পারি তাহলে লিখে কি লাভ?নিজে যতটুকু বুঝি বা ব্যাখ্যা করতে পারবো বলে মনে করি তাই লিখি!!!!!

কাঠ পেন্সিঁল

সখ হিসেবে লেখালেখি!!!

কাঠ পেন্সিঁল › বিস্তারিত পোস্টঃ

•সেই মেয়েটি•

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৩

বসে আছি পার্কের এক পাশে একটা বট গাছের নিচে। হ্যাঁ কোন কারন তো আছেই তাই এখানে আসা। অরনীর আজকে দেখা করার কথা। পাগলিটার সাথে অনেক দিন দেখা হয়না। কে জানে কতটা রেগে আছে পাগলিটা।
এসব ভাবতে ভাবতেই হটাৎ খেয়াল করলাম দূরে কোন এক অপ্সরীকে দেখা যাচ্ছে। ঠিক বুঝলাম না কে ওই অপ্সরী। একটা মেয়েলি ডাকে বাস্তবে ফিরলাম। তাকিয়ে দেখি অরনী। আজকে নীল শাড়ি পরে এসেছি। সাথে হাত ভর্তি কাচের চুড়ি লাল,নীল বিভিন্ন রংঙের। যেন এগুলো ওর হাতের জন্যই সৃষ্টি।
-তোমাকে খুবই সুন্দর লাগছে পাগলি।
-হয়েছে হয়েছে! আর বাজে বকতে হবে না।
-সত্যি বলছি পাগলি।
-হুম। চলো ওদিকে একটু হেটেঁ আসি।
-চলো।
দুজনে হাটঁছি হালকা বাতাস বইছে। বাতাসে অরনীর চুলগুলো উড়ছে আর তা ওর মুখে এসে পড়ছে। আর ও হাত দিয়ে তা সরিয়ে নিচ্ছে। আমি এগুলো দেখছি আর হাটছি। আমি নিরবতা ভেঙ্গে বললাম:
-হাতটা একটু ধরি?
অরনী যেন একটু বেশিই অবাক হলো আমার কথায়। তারপর কিছুক্ষন মুখ গোমরা করে রাখার পর বললো
-অনুমতি লাগে নাকি পাগল?
আমি ওর হাতটা ধরে হাটঁছি। আর ও আমার হাত।
এইতে মাস ছয়েক আগেও কত অপরিচিত ছিলো এই হাত আর এই হাতের অধিকারীনি।
একদিন ভার্সিটিতে ক্যান্টিনের এক কর্নারের বেঞ্চে মন খারাপ করে বসে ছিলাম। কারন কালকেই ছিলো পরীক্ষার ফিস জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই সময় বাড়িতেও টাকা চাওয়া যাবেনা। কিছুদিন আগেই যে টিউশনের টাকা পাঠিয়েছে অনেক কষ্টে।
ঠিক তখনই একটা মেয়েলি কন্ঠ শুনে মাথা তুলে তাকালাম। একটা মেয়ে আমাকেই ডাকছে।
-কি হয়েছে অনিক?
আমি কিছুটা ইতস্তত করতে করতে বললাম।
-না কিছুনা।
-মন খারাপ কেন তাহলে?
এই মেয়েটার একটা বদ অভ্যাস আছে কারো সাথে কথা বলতে নিলে একটানা কথা বলতেই থাকে।
-এমনিতেই।
-কি হয়েছে আমি জানি। চলো আমার সাথে।
আমি কিছুটা অবাক হলাম। ও জানে কি করে। না আধৌ জানেনা। আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হাত ধরে সোজা নিয়ে এলো ফিস জমা দেওয়ার জায়গায়। তারপর তারব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে আমার হাতে দিয়ে বললো 'এই নেও টাকা। যাও পরীক্ষার ফিস জমা দিয়ে আসো'।
আমি বললাম:
-তোমার কাছ থেকে কেন নিব?
-বন্ধু হিসেবে।
-না নিতে পারবো না।
-আচ্ছা বাবা ঠিক আছে। যখন তোমার টাকা হবে তখন নাহয় ফিরিয়ে দিও।
এরপর টাকা নিয়ে পরীক্ষার ফিস দিয়ে এসে তাকে একটা 'ধন্যবাদ' দিলাম। যা তার জন্য খুবই কম প্রাপ্তি ছিলো। শুধু ধন্যবাদ এর প্রাপ্য হয়না। এরপর বন্ধুত্ব।বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা।
এসব ভাবতে ভাবতেই হাটছি। তখন ওর কথায় আবার বাস্তবে ফিরলাম।
-কি ভাবছো?
-কিছুদিন আগেও কত অচেনা ছিলে। এখন কত আপন হয়ে গেছো তাই ভাবছি।
-পাগল একটা।
হাত ধরে আবার হাটছি। এ পথের যেন শেষ না হয়। সারাজীবন হাটতে চাই এ হাত ধরে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.