![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
--এই তুমি কোথায়?
--আমি তো অফিসে...কেন?
--বাসায় চলে এসো।
--ওকে আসতেছি।
অর্থি আমার স্ত্রী। খুব সুখের সংসার আমাদের। কয়েক হাজার টাকার বেতনের একটা জব করি তাতেই ভালো ভাবে চলে যায় আমাদের সংসার। অর্থির এক্সা কোন বাহানা নেই নেই অতিরিক্ত কোন চাওয়া। তাই মনে হয় আমাদের সংসারটা এত্ত সুন্দর। আজ ও ফোন করে বাসায় যেতে বলেছে নিশ্চই কোন বাহানা আছে আজ! যে বাহানাই ও করুক না কেন তা সব সময় থাকে আমার সাদ্ধের ভিতর ই।
এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে এসেছি।
--কি হয়েছে ম্যাডাম এত জরুরি ডাক যে?
--চলো না কোথাও ঘুরে আসি! অনেক দিন ঘুরতে যাওয়া হয়না কোথাও?
--হুম! চলো...তা কোথায় যাবে?
--চিন্তা করতে হবে।তো তোমার বস ছুটি দিবেন?
--তুমি তো জানো বস কত্ত ভালোবাসে আমায়। যখন যা চাই তাই দেয় সে। ওমন ভালো মানুষ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।
--হুম তা যা বলেছো।
.
সকাল নয়টা বেজে পচিঁশ মিনিট আমরা স্টেশনে পৌছালাম। অর্থিকে বললাম,
"তুমি এখানে বসো আমি একটু আসছি।" "কেন কই যাচ্ছো?" অর্থি বললো
"এই একটু আসছি"
"ঠিক আছে তাড়াতাড়ি এসো"
"হুম"
স্টেশনে ডুকার আগে একটা ফুলের দোকান দেখেছে। সেখানে কিছু লাল টকটকে গোলাপ ফুল দেখেছি। অর্থির গোলাপ ফুল খুব প্রিয়। তাই কিছু ফুল কিনে আনার জন্য যাচ্ছি...
-- ভাইয়া গোলাপের একটা তোরা বানিয়ে দিন তো।
--আচ্ছা দাড়ান ভাইয়া দিচ্ছি।
দোকানদার একটা তোরা বানিয়ে দিলো। তা নিয়ে সোজা স্টেশনের ভিতর অর্থি সেখানে বসাই আছে। ওর কাছে এসেই অর্থির হাতে ফুলের তোরাটা দিয়ে বললাম,
--এটা তোমার জন্য পাগলি।
--হু! এই জন্যই গিয়েছিলে।
--জ্বি পাগলি
--হুম খুবই সুন্দর। ধন্যবাদ তোমাকে পাগল।
--শুধু ধন্যবাদে তো হবে না আরো কিছু চাই যে।
--কি?
--ভালোবাসি বলো?
--না বলবো না!
আমি একটু অভিমান করে বসে আছি ওর পাশে।জানি ও এখনই আমার অভিমান ভাঙ্গাতে উঠে পরে লাগবে,
--এই পাগল শোন না
--থাক
--রাগ করেছো?
--না
--তাহলে?
--বলো ভালোবাসি
--ভালোবাসি ভালোবাসি পাগল তোমায় খুবই ভালোবাসি।
--আরও জোরে বলতে হবে।
--ভালোবাসি তোমায় খুব ভালোবাসি
--আরও জোরে।
--ভালোবাসি তোমায় খুব ভালোবাসি
এবার অর্থি একটু জোরেই বললো। যার জন্য আশেপাশের বেশ কিছু মানুষ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে পরলো। অর্থি লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মাথা লুকিয়ে নিলো।
.
ট্রেনে পাশাপাশি বসে আছি। অর্থি জানালার পাশে বসা। ও বরাবরের মতো এমনই বাস,ট্রেন যাতেই বসুক জানালার পাশে বসে। ট্রেনের গতিতে বাতাসও কেমন উম্মাদ হয়ে গেছে। অর্থির চুল হাওয়ায় উড়ছে আর কিছু চুল আমার মুখে এসে পড়েছে। না আমি সেগুলো সরাচ্ছি না খুব ভালো লাগছে ওর চুলের কি সুগন্ধ! ওকে বললাম একটু ফান করে,
--ইসস তোমার চুলে কি বাজে গন্ধ!
--কি! তুমি সুন্দর আর খারাপ চিনো নাকি হু।
--হি হি হি! চিনি বলেই তো বরাবরের মতো এই সুন্দর চুল আর তার মালকিনের প্রেমে পড়ি।
--হইছে হইছে! এই অনিক দেখ ওই বাচ্চাটা কত্ত কিউট না?
--হুম! তবে আমাদের অত্রি বা অভির চেয়ে নয়।
--কি করে বুঝলে?
--আমি যে ওদের বাবাই! সবই বুঝি।
অর্থি চার মাসের প্রেগনেন্ট। ও "মামুনি" আর আমি "বাবাই" হবো। নামও ঠিক করেছি দুজনে মেয়ে হলে অত্রি ছেলে হলে অভি।
--হা হা হা! সত্যি পাগল একটা তুমি।
--তোমার প্রেমে পাগল পাগলি।
--হি হি হি
পৌছে গেলাম নির্দিষ্ট স্থানে যেখানে ঘুরতে যাবার কথা। হোটেলে গিয়ে দুজনে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুরতে বের হলাম দুজনে।
©somewhere in net ltd.