![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন আজ অন্যরকম এক গল্প শুনি। অনেক তো হলো ভালোবাসার, সাইকোলজিক্যাল, থ্রীলার, ভৌতিক গল্প পড়া বা শুনা। আজ অন্যরকম একটা গল্প পড়ি।
আচ্ছা গল্পের তো একটা নাম দিতে হবে। নাহলে তো আর হয়না। আচ্ছা আমরা নাহয় গল্পের নাম দিলাম ‘বাবা’ ।
_______
‘বাবা’
_______
একটা গরিব ফ্যামিলি, পরিবারে চারজন মানুষ। বাবা, মা, ছোট এক মেয়ে আর মেয়ের দাদা। মেয়ের নাম রুমি। বাবার নাম রহিম, মায়ের নাম রুনি। রুমির বয়স সবে মাত্র পাঁচ বছর।
রুমির পড়াশুনার প্রতি খুব আগ্রহ। একা একা বই পড়ে ভুল বা সঠিক যা হোক চেষ্টা করে। ভাগ্যক্রমে শহরের বড় এক স্কুলে সে পড়ার সুযোগ পায়। বাবা ভর্তির জন্য যোগাযোগ করতে গেলে স্কুলের হ্যাডমাস্টার বলে,
- এখন ভর্তি এবং এক বছরের টাকা একসাথে দিতে হবে। পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা লাগবে। দিতে পারবেন?
তখন ছোট্ট মেয়ে কি বুঝেছ কে জানে। সে তাকিয়ে আছে বাবার মুখের দিকে। রুমির মা রুনি রহিমকে বাইরে ডেকে বলে,
- এত টাকা কোথায় পাবে?
- জোগার করে ফেলবো। কিন্তু মেয়েকে পড়াতে হবে। আমাদের মত ওরে তো অশিক্ষিত রাখতে পারিনা। ওর পড়ার ইচ্ছে, তাই জীবন দিয়ে হলেও পড়াবো।
তারপর সব ঠিক হয়ে গেল। বাবা পনের দিনের সময় নিলো টাকা জোগাড় করার জন্য।
পনের দিন পর ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে আসলো বাবা হ্যাডমাস্টারের কাছে। হ্যাডমাস্টার বললো,
- বাকি পনের হাজার?
- পারিনি জোগাড় করতে স্যার। আরো সাত দিন সময় দিন।
- এই শেষ। তারপর আমি আর কিছু করতে পারবো না কিন্তু।
- অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার।
বাবা টাকা দিয়ে বাড়িতে গেল। রুনি জিজ্ঞেস করলো,
- টাকা পেলে কোথায়?
- পেয়েছি।
- কোথায় সেটাই তো জানতে চাচ্ছি।
- জানতে হবেনা তোমার। পেয়েছি এটাই তো অনেক।
- সত্যি বলো না কোথায় পেয়েছো?
- কিডনি বিক্রি করেছি একটা। কাউকে বলবে না কিন্তু।
- কি?
- হ্যা! বাবা বা রুমি যেন জানতে না পারে।
তারপর ছয় দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। কিন্তু বাকি পনের হাজার টাকা জোগাড় করতে পারলো না। সাত দিনের মাথায় সে তার বাকি একটা কিডনি মাত্র ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করলো। তাও লিগেল ভাবে না, কারন কোন ডাক্তার এক কিডনি দেয়ার পর অন্য কিডনি নিবেনা। তো বাদ্ধ্য হয়ে অন্য পথে বিক্রি করা লাগছে।
তারপর রহিম মারা যায়। কিন্তু টাকা পৌঁছে যায় পরিবারের কাছে। যার পর মেয়ের মা ভর্তির টাকা ছুড়ে মারে হ্যাডমাস্টারের মুখে।
যেই টাকার জন্য মারা গেল তার স্বামী। মারা গেল এক মেয়ের বাবা। মারা গেল একটা পরিবারের স্বপ্ন। মারা গেল পুরো একটা পরিবার।
তারপর রুমি অনেক অনেক পড়াশুনা করে। অনেক বড় একজন ডাক্তার হলো।
একটা সময় রুমি একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা করলো। যেটা তার বাবার নামে রাখলো ‘রহিম প্রাইমারি স্কুল’ ।
নামটা একটু অন্যরকম বা বেমানান লাগলেও রুমি তার দিকে ভ্রুক্ষেপ করলোনা।
এখন তার একটাই উদ্দেশ্যে তার এলাকার যত অনাথ, গরিব শিশু আছে তাদের বিনা বেতনে পড়াশুনা করাবে রুমি। সে যে অবহেলার জন্য তার বাবাকে হারিয়েছে তা আর কাউকে হারাতে দিবেনা। কারন সে বুঝে, জানে বাবা না থাকার দুঃখ,কষ্ট কি।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
কাঠ পেন্সিঁল বলেছেন: ধন্যবাদ
@কানিজ রিনা
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৮
কানিজ রিনা বলেছেন: বাবারাই সন্তানের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন।
বেশ লাগল লেখাটা ধন্যবাদ।