![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমনিতেই বিভৎস কোন কিছু আমি সহ্য করতে পারি না । এমনকি আমি হরর মুভি পর্যন্ত দেখি না । দুর্বল হার্টের মানুষ বলতে পারেন । বেশ কয়েকদিন যাবত ফেসবুকে ফটিকছড়ির হত্যাযজ্ঞের ভিডিও ক্লিপটির ছড়াছড়ি দেখছিলাম । ইচ্ছে করেই এড়িয়ে যাচ্ছিলাম কারণ মৌলবাদী হায়েনার দল কতটা হিংস্র নেকড়ে পশু হতে পারে তা আমার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ভালই জানা আছে । যদি সহ্য করতে না পারি এই ভয়ে বার বার এড়িয়ে যাচ্ছিলাম । কিন্তু যখন নির্জর ভাই ভিডিও টা শেয়ার করলেন কিছুটা অংশ দেখলাম ।
বিশ্বাস করেন আর নাই করেন আমি কয়েক ঘণ্টার জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম! এমন নৃশংস বর্বর দৃশ্য আমি এর আগে দেখি নাই । এরা কি মানুষ? না! এদের মানুষ নামে সম্বোদন করা মানে পুরো মানবব্জাতির অপমান । কোন মানুষ অন্য একটি মানুষকে এই ভাবে পিটিয়ে ও কোপাইয়ে প্রস্তরযুগীয় বর্বরতায় হত্যা করতে পারে না । এরা মানুষের ওরসে জন্ম নেয়া কিছু নেকড়ের বাচ্চা । কোন হিংস্র পশুর দূষিত বীর্যে এদের জন্ম । একটি অসহায় নিস্ত্রর দেহের উপর এতগুলো মানুষ রূপি জানোয়ারের বাচ্চা ঝাপিয়ে পড়ে নির্মম ভাবে আগাতের পর আঘাত করতেছে অথচ ভিডিওতে দেখলাম অনেকে নিরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেন সার্কাস দেখতেছে ! বরং বলতে দেখলাম 'এখনো মরে নাই আরো মার'...... আরো মার...মারি ফেল শালাকে... !!
একটি প্রতিবাদী মানুষকে ও দেখলাম না হত্যাযজ্ঞ থামাতে এগিয়ে আসতে । আমরা কি আবার মধ্যযুগে ফিরে গেলাম? ন্যাশনাল জিওগ্রাপী চ্যানেলে একবার দেখেছিলাম কিছু ছোট বাঘের বাচ্চা পথ হারিয়ে ফেললে একটি মা সিংহী বাচ্চা গুলোকে আগলে রাখে । আমাদের বিবেক কি তবে বন্য পশুর কাছে ধর্ষিত হল?
সবচেয়ে অবাক হই যখন দেখি আমাদের অনেক জনপ্রিয় ফেসবুক সেলিব্রেটি এই নৃশংস ঘটনা দেখার পরও অজ্ঞাত কারনে নিরব । অথচ এদের অনেকে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মানবতার চৌদ্ধ গোষ্ঠী উদ্ধার করে পোষ্ঠের পর পোষ্ঠ প্রশ্রব করেছিল । তবে কেন এই পক্ষপাতিত্ত? বিশ্বজিৎ মানুষ ছিল আর এরা কি জড় পদার্থ সদৃশ্য কিছু?
বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের পর মেইনস্ট্রিম মিড়িয়া গুলো যতটা উৎসাহ নিয়ে প্রচার করেছিল তাঁরাও এই ঘটনা স্ব-জ্ঞানে এড়িয়ে যাচ্ছে । এমনকি এই নির্মম ঘটনাটি সরকার দলীয় লোকদের উপর সংঘটিত হলেও সরকার এই নিয়ে কোন বিবৃতি ও প্রেসনোট পর্যন্ত দেয় নি । বর্তমান সরকার কোন ভাবেই এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না । কারন তাদের ভোটের রাজনীতির আপসীয় মানসিকতার জন্য এই মৌলবাদীর দল এতটা ভয়ংকর ভাবে আস্ফালন দেখাতে পেরেছে ।
ভিডিও ক্লিপটিতে দেখলাম হত্যাকারীরা 'নারেয়ে তকবীর ', 'আল্লাহু আকবর' স্লোগান দিয়ে জীবন্ত মানুষ গুলোকে কোপিয়ে মারতেছে । প্রশ্ন হল এই বিভৎস ভিডিও ক্লিপটি দেখার পর যদি কেউ ইসলামের মা-বাপ ধরে গালি দেয় খুব ভুল হবে কি? কি বলবেন? যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এরা প্রকৃত মুমিন মুসলিম না আর আপনার মত যারা এই অন্যায় দেখার পরও প্রতিবাদ না করে স্ব-জ্ঞানে এড়িয়ে যাচ্ছে তারাই আসল মুসলমান তাই না? ধর্মের নামে মানুষের রক্তে এই হলি খেলা আর কত ? নিজের বিবেক ও মনুষ্যত্বকে আর কত কাল দলবাজীর রাজনীতির কাছে বন্ধক দিয়ে রাখবেন? মনে রাখবেন যেই মারা পড়ুক না কেন রক্ত কিন্তু মানুষরই ঝরে ।
যে সব মহান সাচ্চা আস্তিক পীর নাস্তিকদের রক্তে হোলি খেলে ইসলাম রক্ষায় মাটে নেমেছেন তাদের কে বলি, ইসলামকে ধব্বংসের জন্য নাস্তিক আর বিধর্মীদের প্রয়োজন নাই, এইসব রক্ত পিপাসু ধর্ম ব্যবসায়ীরাই ইসলামের বিলুপ্তির জন্য যথেষ্ট!
পরিশেষে যারা আজকে মানুষের মৃত্যুতে দলীয় সংকীর্ণ মানসিকতার ডিগবাজিতে ফুর্তি করতেছেন বা মরলে আ-লীগ কিংবা নাস্তিক মরেছে এই মনোভাব পোষণ করতেছেন । তাদের জন্য মার্টিন নিমোলারের লেখা নিচের কবিতাটি প্রযোজ্য -
তারা যখন কমিউনিস্টদের ধরে নিয়ে যেতে এলো,
আমি নীরব ছিলাম,
কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারা যখন শ্রমিক ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল,
আমি কথা বলিনি,
কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর তারা ফিরে এলো ইহুদিদের ধরে নিয়ে যেতে,
আমি চুপ করে ছিলাম,
কারণ আমি ইহুদি নই।
এবার তারা ফিরে এলো ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,
আমি কোনো কথা বলিনি,
কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
শেষবার তারা ফিরে এলো
আমাকে ধরে নিয়ে যেতে।
কেউ আমার পক্ষে কথা বলল না,
কারণ তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: বাংলাদেশের কোনায় কোনায় আজ বাকশালী কুকুরদের পাপের আর অত্যাচারের হাজার হাজার ভুক্তভোগী রয়েছে। সাধারণ জনগণের প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। এটা তার একটা ছোটো নমুনা।
একপেশে চিন্তা না করে, দুইটা দিকই দেখেন, দেখবেন যে সাধারণ জনগণের আর কোনো উপায় নেই, বিচার চাইতে গেলে পুলিশ কিছু করে না, চামচা কোর্ট জামিন থেকে খালাশ সবই করে দেয়, এর পরও কোনো উপায় না দেখে প্রতিক্রিয়াতো দেখাবেই।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
ছবিপ্রেমিক মুরাদ বলেছেন: এই নর পিষাচদের কোন ভাবেই সাধারণ জনতা বলা যায় না । পুরো ঘটনাটি ছিল জামাত-শিবিরের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী । তা না হলে মূহর্তের মধ্যে এত গুলো সশস্ত্র মানুষের উপস্তিতি কিভাবে হল? যদি হত্যাজজ্ঞের স্বীকাররা সশস্ত্র কোন হাঙ্গামার জন্যই জড়ো হত তবে বিষয়টা স্বাভাবিক বলেই বিবেচ্য হত কিন্তু এখন জামাত-শিবির যা করে দেখিয়েছে তা তাদের সন্ত্রাসী জঙ্গি শক্তির প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়!!
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভোট সার্থ আর টাকার রাজনীতির কাছে আমরা আমাদের মনুষত্য বিসর্জন দিয়েছি। রাজনৈতিক সুবিধা বিবেচনা করে আমরা কাঁদি আবার আমরাই হাততালি দেই। কি আমি কি আপনি এখন আমরা কেউ আর মানুষ নই। হয় বিএনপি জামাত নয়তো আওমীলীগ বাম।
এখন কাদের মরণে আপনি কাঁদবেন, বর্বর হত্যাকান্ড দেখে নির্বাক হবেন আর কাদের হত্যাকান্ড দেখে হাততালি দিবেন সেটা আপনার বিবেচনা।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
ছবিপ্রেমিক মুরাদ বলেছেন: কোন দলের পক্ষ নয় ভাই স্বাধীনতার মৌলিক চেতনা ও স্বাধীতার পক্ষের মানুষের সাথে থাকতে চাই ।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
এম এম কােজম বলেছেন:
ভিডিওতে যে লোকগুলোকে দেখা যাচ্ছে, এদের কারো কোন ধর্মীয় আচারের বা শিক্ষার সাথে যে সম্পরক নেই তাতো পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে। আর আল্লাহু আকবারের ধ্বনি ভিডিওর সাথে এডিট করা হয়েছে এটাও পরিষ্কার। এসব ভিডীও দিয়ে ব্লগের কিছু বেক্কল মারকা লোকরে হয়তো ধোঁকা দেয়া যাবে। দেখেন লীগের লোকদের দেয়া পোষ্ট থেকেই তুলে দিচ্ছি তথ্য।
আসলে কি শুধু লীগের লোকই মরেছে , গ্রামবাসী কি শত শত গুলি খেয়ে মারা যায়নি? আপনাদের মাথায় যদি বিন্দু পরিমাণ ঘিলু থেকে থাকে তাহলে তাদের লেখা থেকেই আমি কিছু অংশ তুলে ধরছি , আপনারাই বুঝে নিন আসলে কোন পক্ষের লোক বেশী মরেছে।
তার সাথে ছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী গ্রুপ তায়্যুব বাহিনী, যার মামলার সংখ্য ৩৫টি, আর এই সন্ত্রাসী বাহিণীর কাছে ছিল অত্যধুনিক সমরাস্ত্র। তাদের পাহারায় ছিল স্থানিয় পুলিশ বাহিনী। তাদের সাথে ছিল ২০০ টি মোটর সাইকেল, ৫ টি মিনি ট্রাক, ৩ টি মাইক্রোবাস, ২ টি কার। এলাকার লোকের কাছে জানাযায় তাদের সংখ্য ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী।
অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সহ একটা বাহিনীরে পিটাইয়া মারলো লাঠি দিয়ে আর তারা বইসা কি আঙ্গুল চুষছে? তারপর পুলিশরে মাইর দিলো পুলিশ পালটা একশন নেয়নি, একথাও কি বিশ্বাসযোগ্য?
যেই পক্ষের আর যেই দলের লোকই মারা যাকনা কেন, এত হত্যা মেনে নেয়া যায়না। এটা ধর্মীয় এবং সকল দৃষ্টিতেই চরম চরম অন্যায়।
আর ফটিছড়ির এই গণহত্যা যাতে মানুষের কাছে প্রকাশ না পায়, হতে পারে সেই জন্যই আমার দেশ পত্রিকা তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেয়া হলো। আবার নাও হতে পারে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
ছবিপ্রেমিক মুরাদ বলেছেন: //আর ফটিছড়ির এই গণহত্যা যাতে মানুষের কাছে প্রকাশ না পায়, হতে পারে সেই জন্যই আমার দেশ পত্রিকা তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেয়া হলো। আবার নাও হতে পারে।//
আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত । কারন সারা দেশে পরিকল্পিত নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য এই পত্রিকাটি দায়ী ।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আহমেদ রিজভী বলেছেন: ২৮ অক্টোবর আর ২৮ ফেব্রুয়ারীর কথা মনে আছে ভাই সাহেব ?
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৪
এম আবু জাফর বলেছেন: আপনারা যারা কুত্তালীগ বলে ডেকেছেন তাদের মধ্যেথেকে কিছু
পাগলা কুকুরকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের ভয়ে ফটিকছডির মানুষ
প্রতিটি দিন কাটাত ভীত হয়ে।
সারা বাংলায় এই প্রতিরোধ একদিন ঘরে ঘরে শুরু হবে।
ধর্ষক, লুটেরা, জালীম শাসকের পক্ষে কেউ থাকবে না।
সেই দিন বোধকরি বেশি দূরে নয়।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১১
জাতির চাচা বলেছেন: ৩০ বছর ধরে বাকশালীরা ফটিকছড়িতে যে বর্বরতা চালাচ্ছিলো তা কি জানেন? আগে সব জানুন।এ রকম প্রতিরোধের অবস্থা একদিনে হয় নাই ।আপনাদের বিবেক শুধু বিশেষ বিশেষ সময় জাগত হয় ।সুশীল ।হায়রে সুশীল!!!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
ছবিপ্রেমিক মুরাদ বলেছেন: ৩০ বছর ধরে বাকশালীরা বলতে আপনি কাদের কথা বলতে চাচ্ছেন বুঝিয়ে বললে ভাল হয়?
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
কলাবাগান১ বলেছেন: উপরের এই সমস্ত লোকজনের সাথে ব্লগিং করি ভাবতেই গা গুলিয়ে উঠে..... আপনারা যেভাবে এই হত্যাকে সাপোর্ট দিচ্ছেন, ওখানে থাকলে তো এই পশু চেহারাটা সবাই দেখতে পারত.....।
যদি সাপোর্টও দিয়ে থাকেন, মানবতার খাতিরে চুপ থাকাও ই বান্চনীয়..... তা না করে ওপরের এই ৬ ব্লগার গলা উচিয়ে যে সমর্থন দেখাচ্ছেন তাতেই বুঝা যায় 'শিক্ষিত' মৌলবাদীরাও কেমন নৃশংস হতে পারে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২
ছবিপ্রেমিক মুরাদ বলেছেন: নির্বোধের সাথে তর্ক করে যুক্তি বুঝানো আর গাঁধাকে পানিতে নামানো একি কথা !
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
অবুঝ পাঠক বলেছেন: logi boitha diye pitiye mere fele lasher upore nritto ar bishwajit re kupanir drissho to jonab khuboi enjoy korechilen. Nijer pasay bash dhukle betha to lagbei. Tai noy ki ¿