নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিজেই নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান।

তোমাদের কেউ

তোমাদের কেউ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় হুমায়ূন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

আমি সন্ধ্যাবেলায় বারান্দায় বসে হুমায়ূন
আহমেদের বই পড়ছি। অতি দূঃখের একটা গল্প। দূঃখের
গল্প পড়ে আমি একই সাথে হাসছি ও ভয় পাচ্ছি। ভয়
পাওয়ার কারণ হাসির সাথে সম্পর্কিত।

আমি বইটা পড়ে হাসি আটকিয়ে রাখতে পারছি না।
মুখচাপা দিয়ে হাসছি। যখন হাসছি তখন খুক খুক
করে বিচিত্র শব্দ হচ্ছে। ভয় এই যে, আমার
পিতা অতি সত্ত্বর এই শব্দের রহস্য উদ্ঘাটন
করতে আসবেন বলে মনে হয়।

অভাগা যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগর
শুকিয়ে যায়। বঙ্গোপসাগরের ভাগ্য
ভালো আমি কক্সবাজার দেখতে যাই নাই। আমার
আব্বা 'খুক খুক' শব্দে আকৃষ্ট
হয়ে অতি তাড়াতাড়ি দর্শন দিলেন।

-কাব্য?

-জ্বী আব্বা?

-কি করো?

-বই পড়ি।

-কার বই?

-আমার, আব্বাজান।

-মস্কারী করবা না। আমি মস্কারী পছন্দ করি না।
সত্য বলো...

-সত্য কথা আব্বা। দুইশ টাকা দিয়া বই কিনেছি।
দোকানদারকে বলেছিলাম, ভাই ছাত্র মানুষ বিশ
টাকা কম রাখেন। উনি রাখেন নাই।

-বইয়ের লেখক কে?

-জনাব হুমায়ূন আহমেদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমেস্ট্রি পড়াতেন।

আব্বা গম্ভীর হয়ে গেলেন। উনি হুমায়ূন
আহমেদকে পছন্দ করেন না। কারণটা বিবাহসম্বন্ধীয়
কিনা জানি না।

-বইয়ের নাম কি?

-হিজিবিজি

- কে বিজি?

-হিজি

-ও আচ্ছা...এইসব হিজিবিজি এই
বয়সে পড়া ভালো না। দাও এদিকে দাও...

-জ্বি আচ্ছা।

-এই বই আমি পুড়ায়ে ফেলব, কোনও আপত্তি আছে?

-জ্বি না আব্বা...
আব্বা বইটা নিয়ে চলে গেলেন।

আমি আরেকটা হুমায়ূন আহমেদের বই নিয়ে বসলাম।
এইটাও অতি দুঃখের গল্প। কিন্তু পড়ে হাসি আসছে।
মুখচাপা দিয়ে হাসছি। খুক খুক খুক।

পাদটিকা : কেউ একজন বলেছিলেন," মধ্যবিত্ত
পরিবারের সন্তানদের সেবন যোগ্য একমাত্র
নেশাজাতীয় দ্রব্য, হুমায়ূন আহমেদের বই।"
কে বলেছিলেন নিশ্চিত না। ব্যাক্তিটি আমিও
হতে পারি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.