![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বনামধন্য লেখক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর হওয়া হামলার ফলে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল থেকেই সেখানে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন, প্রতিবাদ র্যালি, বিক্ষোভ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করছে। জাফর ইকবালের এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের ধর্মান্ধ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
আমি মনে করি, প্রথমত যে কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ বে-আইনী একটি কাজ। আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে এ ধরনের কাজ করলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। হামলাকারী ফয়জুর রহমান অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ইসলামের শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে কিন্তু ইসলাম এ কাজকে মোটেও সমর্থন করে না।
আমাদের দেশে কিছুদিন আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাদের দেশে স্বার্থান্বেষী, সুযোগ সন্ধানী ও ধর্মব্যবসায়ী কিছু গোষ্ঠী রয়েছে যারা তাদের হীন কর্মকাণ্ডকে চরিত্রার্থ করার জন্য যে কাউকে নাস্তিক, মুরতাদ ইত্যাদি ফতোয়া দিয়ে জনগণের ধর্মীয় চেতনাকে ব্যবহার করে এসব ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড ঘটায়। আমাদের দেশে এটা নতুন কিছু নয়।
আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই যে প্রচলিত আইন যেমন এ বিষয়টিকে সমর্থন করেন না তেমনি ইসলামও এই কর্মকাণ্ডকে মোটেও সমর্থন কর না। এ ধরনের আঘাত করা, হামলা চালোনো ইসলামের সম্পূর্ণ বে-আইনী। যদি কেউ ইসলামের বিরুদ্ধ কটূক্তি করেই থাকে তবে ইসলামে এর উপযুক্ত শাস্তি রয়েছে কিন্তু একজন ফয়জুর রহমান বিচ্ছিন্নভাবে এরকম হত্যার প্রচেষ্ট বা হামলা করতে পারে না। আল্লাহর রসুল (স.) যখন রাষ্ট্রপ্রধাণ হলেন তখন তিনি আইনের আওতায় এনে সকল সমস্যার সমাধান করেছেন। বিচ্ছিন্নভাবে কোন কাজ করেন নি। অতএব এই সকল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের দেশকে যে অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে তা সচেতন ও চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গ সহজেই বুঝতে পারবেন, এর সাথে ইসলামের দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোন সম্পর্ক নেই।
©somewhere in net ltd.