নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের মৃতু্্য নেই...তাই স্বপ্ন দেখে যাই...

রহস্য মানব

রহস্য মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিনতে চেয়েছিল জামায়াত: সাঈদীর মামলার বাদী

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২

জিয়ানগর, পিরোজপুর থেকে: সাক্ষীদের কেনার জন্যে ঘরে ঘরে গিয়েছে জামায়াতের লোকজন। অর্থের লোভ দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায়ও পর্যাপ্ত নয়।



একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার একথা বলেছেন।



তিনি বলেন, “অনেক হুমকি এসেছে, এখনো ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বিদেশ থেকেও ফোনে হুমকি আসছে। তবে আমি প্রস্তুত।”



কাদের মোল্লার রায়ে হতাশ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সাঈদীর ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় তিনি মানতে পারেন না। “১০০ বার ফাঁসি দিলেও তার অপরোধের শাস্তি হবে না।



শাহবাগের গণজাগরণের প্রতি সম্মান তিনি বলেন, “ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ যেন ছেড়ে না যায় তরুণরা।”



মুক্তিযুদ্ধে স্বচক্ষে সাঈদীর অপকর্ম দেখেছেন বলেই নিজের দায়িত্ব থেকেই মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।



জিয়ানগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের এই কমান্ডার বলেন, তিনি ৭১-এ সুন্দরবন অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ দিতেন। তিনি নিজে দেখেছেন পারেরহাটে সাঈদীর নেতৃত্বে বন্দরে লুটপাট হতো।



এছাড়াও যুদ্ধের সময় পারেরহাটের মদন শাহার ঘর লুটপাট করে বড়লোক হয়েছেন সাঈদী।



পারেরহাটে সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সাঈদীর নেতৃত্বে শান্তি কমিটির একটি দল পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে পারেরহাট বাজারের আওয়ামী লীগ, হিন্দু সম্প্রদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের বাড়িঘর ও দোকান চিনিয়ে দেয়। এসব দোকান ও বাড়িতে লুটপাট করা হয়।



মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেন, সাঈদীর নেতৃত্বে সশস্ত্র দল উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার ২৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাঈদীর ইন্ধনে বিসা বালী নামের একজনকে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়।



তিনি বলেন, “সাঈদী আমাদের বাড়িতেও পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে যায়। সেখানে বড় ভাই আবদুল মজিদ হাওলাদারকে ধরে নির্যাতন করা হয়। এরপর সাঈদী নগদ টাকা লুট ও মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।”



সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল পারেরহাট বাজারের ১৪ জন হিন্দুকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে নিয়ে যায়। পরে তাদের গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।



সাঈদীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের রাজাকার দল পারেরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি থেকে তার তিন বোন মহামায়া, অন্ন রানী ও কমলা রানীকে ধরে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।



সাঈদী ও তার নেতৃত্বের রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পারেরহাটের বিপদ সাহার সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে তার বাড়িতে আটকে নিয়মিত ধর্ষণ করে।



সাঈদী প্রভাব খাটিয়ে পারেরহাটসহ অন্য গ্রামের ১০০-১৫০ জন হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তর করেন। তাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করেন।



সাঈদীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র দল পরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী ইন্দুরকানি গ্রামের তালুকদার বাড়িতে আক্রমণ চালায়। ৮৫ জন ব্যক্তিকে আটক করে তাদের কাছ থেকে মালামাল কেড়ে নেওয়া হয়। ১০-১২ জন বাদ দিয়ে বাকিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।



মাহবুবুল আলম হাওলাদারের চার ছেলেমেয়ে। পরিবারকে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। তার নিরাপত্তায় বাড়ির সামনে তিনজন পুলিশের পাহারা।



বাংলাদেশ সময় ১২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৩

এমএন/জেলা প্রতিনিধি/আরআর

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.